১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু এসে বসেছিলেন এমন একটি খাটের সন্ধান পাওয়া গেছে মাগুরার সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ), আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আতর আলীর বাড়িতে। ওই বাড়ির একটি কক্ষে পরিবারের সদস্যরা সযত্নে রেখে দিয়েছেন শাল কাঠের এ খাটটি। পাশে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত একটি টেবিলও সযত্নে রাখা হয়েছে। এই বাড়ির কাছারিঘরে বঙ্গবন্ধু এসে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতেন। সেখানে এ টেবিলটি রাখা ছিল। বঙ্গবন্ধু এটির ওপর হাত রেখে কথা বলতেন বলে জানিয়েছেন আতর আলীর পরিবারের সদস্যরা। সংরক্ষিত খাটটি ছিল প্রয়াত আতর আলীর বসতঘরের শয়নকক্ষে। ১৯৬৬ সালে চিকেন পক্সে আক্রান্ত আতর আলীকে দেখতে এসে বঙ্গবন্ধু এই খাটে বসেছিলেন।
আতর আলীর বড় পুত্রবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘১৯৬৬ সালে নোমানী ময়দানে বঙ্গবন্ধুর জনসভায় বক্তৃতা দিতে আসছেন জেনে আব্বা (শ্বশুর) দুপুরে অসুস্থ অবস্থায়ই বাড়ি থেকে রওনা হয়েছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর যখন জানলেন বঙ্গবন্ধু নিজেই আসছেন তখন ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধু একাধিকবার এই বাড়িতে এসেছেন এবং আমার আম্মা (শাশুড়ি) মরহুমা জাহানারা বেগমের হাতের রান্না খেয়েছেন।’
সৈয়দ আতর আলীর বড় ছেলে সৈয়দ আবু আসাদ টোকন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের বাড়িতে প্রথম আসেন ১৯৫৩ সালে। পরবর্তীতে যতবার দক্ষিণাঞ্চলে এসেছেন, এ বাড়িতে বসে মাগুরা মহকুমা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে ছয়বার এ বাড়িতে এসেছেন। ১৯৬৬ সালে আব্বাকে দেখতে এসে ওই খাটে বসেছিলেন। আমাদের বাড়ির পূর্বদিকে একটি ছনের কাছারিঘর ছিল। সেখানে বঙ্গবন্ধু মহকুমা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতেন।’
সৈয়দ আতর আলীর পৌত্র মাগুরার ক্রীড়া সংগঠক বারিক আনজাম বার্কি বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে থাকা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত শাল কাঠের এই খাট ও টেবিল সরিয়ে পশ্চিম দিকের একটি ঘরে রেখেছি। খাটটির দৈর্ঘ্য ছয় ফুট, প্রস্থ পাঁচ ফুট। বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ থাকায় এটি আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ।’