শিক্ষায় বঙ্গবন্ধুর অবদান

  মো. সিদ্দিকুর রহমান
বাঙালি জাতিকে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার মাধ্যমে সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ দেশের মানুষের সঙ্গে ছিল তার অবিনশ্বর আত্মার বন্ধন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পরও এ বন্ধন ছিন্ন হয়নি। ‘সোনার বাংলা’ গড়তে তিনি যে সুদূরপ্রসারী কর্মযজ্ঞের সূচনা করেছিলেন, এর মাধ্যমে বাঙালির হৃদয়পটে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন এ মহান নেতা।


এ দেশের সংগ্রামী ইতিহাস, স্বাধীনতা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সবকিছুর সঙ্গে মিশে ছিল তার নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলার বন্ধু। তার ভালোবাসার ভাণ্ডার ছিল অফুরন্ত। শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সবার ধারণা ছিল, বঙ্গবন্ধু একমাত্র তাদের ভালোবাসার ধন। প্রকৃতি, মাটি, মানুষ কেউই তার অন্তর ভরা ভালোবাসা থেকে দূরে ছিল না।

স্বাধীনতার ঊষালগ্নে তিনি গরিব কৃষকের খাজনা মওকুফ করেন। শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থ রক্ষার্থে বড় বড় মিল, কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। এত দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ, ভালোবাসা স্বাধীন দেশে আজও কোনো নেতার মাঝে দৃশ্যমান হয়নি। মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে তিনি বহুবার জেল খেটে সংগ্রামী ঝাণ্ডা সমুন্নত রেখে আমাদের জন্য দিয়ে গেছেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু হিসেবে আজও তিনি আছেন সমাদৃত। বেঁচে থাকলে হয়তো তিনি বিশ্বের সব অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে নেতৃত্ব দিতেন। জাতিসংঘ তাকে বিশ্ববন্ধু হিসেবে খেতাব দিয়ে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা তার অন্যতম রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তিভূমি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ৮টি শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন পেশ করে। সব কমিশন ছিল এ দেশের মানুষের মৌলচেতনা, সমাজ-সংস্কৃতি ও কৃষ্টিবিরোধী। ১৯৭০ সালে নির্বাচনী বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে বিনিয়োগকে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ বলে অভিহিত করেন। সে আলোকে ১৯৭৪ সালে একটি সুদূরপ্রসারী শিক্ষার লক্ষ্য নিয়ে তিনি কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন জাতিকে উপহার দিয়েছেন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খান প্রণীত অধ্যাদেশ বাতিল করে ১৯৭৩ সালে উচ্চশিক্ষা প্রসারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীন পেশা ও বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেছিলেন।

১৯৭৪ সালে প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনে বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, জনগণই সব সাহিত্য ও শিল্পের উৎস। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনোদিন মহৎ সাহিত্য বা উন্নত শিল্পকর্ম হতে পারে না। তিনি শিল্পী-সাহিত্যিকদের খুবই সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। তার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ ১৯৭৪ সালে প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে প্রধান অতিথির পদ অলঙ্কৃত করার আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি তার পরিবর্তে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন ও পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। ওই সময়ে তিনি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে আসেন। ১৯৪১ সালে নিখিল বঙ্গ ছাত্রলীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সম্মেলনে তিনি অতিথি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির ও অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

পাকিস্তানের কারাগার থেকে স্বদেশের মাটিতে পা রেখে তিনি বক্তৃতা করেছিলেন ১০ জানুয়ারি ১৯৭২। তাতে আবৃত্তি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের কবিতা উদ্ধৃতি দিয়ে; এমনকি তিনি বলেছিলেন, সাত কোটি বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে। তিনি ভাষা আন্দোলনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন। কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় অনশনসহ ২১ ফেব্রুয়ারির কর্মসূচির দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা অনুসারীদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।

তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিয়ে মাতৃভাষার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও দরদ প্রকাশ করেছিলেন। মাতৃভাষায় ভাষণের মাধ্যমে তিনি বিশ্ববাসীকে ইঙ্গিত করেছেন যে, এ ভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করার মাঝে রয়েছে বাঙালির রক্ত। এ রক্তস্রোতে রচিত হয়েছে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে রঞ্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি শুধু জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ববন্ধু নন; তিনি বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রতিষ্ঠারও রূপকার। এই মহান নেতা সেদিন জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেয়ার মাঝেই বীজ বুনে দিয়েছিলেন ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি। এর মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা পেয়েছে পরিপূর্ণ মর্যাদা।

শিক্ষকদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করছি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান নোয়াখালী জেলায় এক জনসভায় গিয়েছিলেন। সেখানে সার্কিট হাউসে অবস্থানরত অবস্থায় একজন বৃদ্ধ শিক্ষক পরিচয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি চায়। বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর কানে পৌঁছামাত্র বঙ্গবন্ধু শিক্ষককে তার কাছে নিয়ে আসেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। শিক্ষকের সেবায় বাদশাহ আলমগীরের চেয়েও বিরাট উদারতার পরিচয় দেন তিনি।

স্বাধীনতার আগে প্রাথমিক শিক্ষকরা স্বল্প বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন। গভর্নর মোনায়েম খাঁর আমলে প্রাথমিক শিক্ষকরা বঙ্গভবন ঘেরাও করে বেতন স্কেলপ্রাপ্ত হয়। স্বাধীনতার পর জাতীয়করণের আগ পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ছিল ১২০/-, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ছিল ২/-, প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ছিল ১৩০/-, ইনক্রিমেন্ট ৩/- টাকা। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মুক্তিযুদ্ধ সমর্থন করেছিল। সব পেশাজীবীর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকরা সর্বাধিকসংখ্যক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পাকিস্তান আমলে প্রাথমিক শিক্ষকরা তাদের স্বল্প বেতন জেলা বোর্ড থেকে পেয়ে থাকতেন।

এ বেতন পোস্ট অফিসের পিওনের মাধ্যমে হাটবারে ভেঙে ভেঙে দেয়া হতো। কী দুর্বিষহ ছিল প্রাথমিক শিক্ষকদের সে সময়ের জীবন! যে হাটবারে পোস্ট অফিসের পিওন টাকা দিত না; সেদিন প্রাথমিক শিক্ষকদের পরিবারে নেমে আসত ঘোর অমানিশা। সে অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষকদের পরনে ছিল লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি। বেশিরভাগ প্রাথমিক শিক্ষক জুতা ছাড়া খালি পায়ে স্কুলে যেত। সে করুণ দৃশ্য আজও মনের মাঝে উঁকি দেয়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হল। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে এলেন। চারদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে নিঃশেষ করেছিল। অবকাঠামোগত সমস্যা, রাস্তাঘাট, গাড়ি, খাদ্য, পোশাক, ওষুধপত্রের অবস্থা ছিল নাজুক। চারদিকে শুধু সীমাহীন অভাব। শুধু নেই আর নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক ছিল শূন্য। অভাবের তাড়নায় সবাই ছিল দিশেহারা। বঙ্গবন্ধু খাদ্যদ্রব্য ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশন শপের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা করেছিলেন। এত অভাবের মাঝেও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা ভাবলেন, বাংলাদেশকে কীভাবে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা যায়। জাতির এ স্বপ্নপূরণে তিনি গরিব, মেহনতি, কৃষক ও শ্রমিকের সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করেন। এজন্য ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন।

বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বলেছেন, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।’ ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ এ দেশের মানুষের জন্য মুক্তির বার্তা নিয়ে আসে। তখন প্রশিক্ষণবিহীন প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৪৫ টাকার স্কেল, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা পেত ২২০ টাকা। প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব ভাতা ছিল ১০ টাকা। সেসময় ঢাকাসহ বিভিন্ন পৌরসভার শিক্ষকরা এর বিরোধিতা করলেও বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন প্রাথমিক শিক্ষা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ছিলেন অনড়। তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষকদের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর সমান ১৪৫ টাকা বেতন স্কেল সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন- এক সময় প্রাথমিক শিক্ষকরা ১ম শ্রেণির মর্যাদা ও বেতন পাবে; সেদিন খুব বেশি দূরে নয়।

১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের নির্মম হত্যাকাণ্ড বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেয়। বিএনপি সরকার সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ১৯৮১ সালে বেসরকারিকরণ করে। প্রাথমিক শিক্ষকরা ৩ মাস ১০ দিন ঐক্যবদ্ধ ধর্মঘট ও ঐতিহাসিক মহাবিক্ষোভ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অটুট রাখে। আজ অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে বলতে হয়, ১৯৮১ সালের আন্দোলনে বিএনপি সরকারের দালালরা আজ সরকারি ছত্রছায়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বৈষম্য দূরীকরণের আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করছে। দালালদের রক্তে স্বীয় স্বার্থ ছাড়া অন্য কোনো ভাবনা থাকে না। দালালরা সবসময় দালাল। বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করে এ দেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের ঋণে আবদ্ধ করেছেন; অথচ স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পরও প্রাথমিকের কোনো সংগঠন বঙ্গবন্ধুর সমাধি জিয়ারত করেনি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণের পর সারা দেশ থেকে সহস্রাধিক প্রাথমিক শিক্ষক নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধি জিয়ারত করেছি।

আজকে অনেক বিপথগামী প্রাথমিক শিক্ষক নেতাদের শিক্ষকদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অহরহ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আসা-যাওয়া করতে দেখা যায়। জানি না, হয়তো তারা অতীতের ভুল বুঝতে পারছেন। নতুবা একে পুঁজি করে স্বীয় স্বার্থ সিদ্ধি করছেন। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষকদের স্বার্থ ও কল্যাণের বিরুদ্ধবাদী দালালরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থী। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এত দ্রুত অর্জিত হতো না; তেমনি প্রাথমিক শিক্ষাও জাতীয়করণ হতো না। বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে নেই। তার আদর্শের যথাযথ বাস্তবায়ন ও রুহের মাগফেরাত কামনা করা ছাড়া আমাদের আর করার কিছুই নেই।

২০০৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য আন্দোলনে হাজতবাসের সুযোগ পাওয়ায় আমি গর্বিত। প্রাথমিক শিক্ষার বৈষম্য বা মানোন্নয়নে নীরব থাকা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থী। বঙ্গবন্ধু সবার বন্ধু হলেও সবার আগে প্রাথমিক শিক্ষকদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু আজ বেঁচে থাকলে কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের সুফল বাঙালি জাতি পেত; সেই সঙ্গে শিক্ষকরাও উপকৃত হতেন। আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা শিক্ষাক্ষেত্রে বিশাল অর্জনে শিক্ষাবান্ধব সরকার হিসেবে সারা বিশ্বে সমাদৃত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা। প্রাথমিক শিক্ষার সব বৈষম্য দূরীকরণার্থে কাজ করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। এ পরিষদ গবেষণার পাশাপাশি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলায় বিশ্বাসী। তাই মুজিববর্ষে শিক্ষকদের প্রতি অগাধ ভালোবাসার জন্য বঙ্গবন্ধুকে ‘শিক্ষকবন্ধু’ হিসেবে সম্মানিত করছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রাথমিক শিক্ষায় সব বৈষম্য দূর করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই।

‘শিক্ষকবন্ধু’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। শিক্ষক সমাজের প্রতি আহ্বান জানাই- মুজিববর্ষে ঢাকায় জাতীয়ভাবে ‘বঙ্গবন্ধুর কাছে প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের ঋণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা করার পরিবর্তে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে করার জন্য। বঙ্গবন্ধুর ঋণ পরিশোধ করার একমাত্র পথ তার আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে। ‘শিক্ষকবন্ধু’ হিসেবে সব শিক্ষকের মাঝে বঙ্গবন্ধু জাগ্রত থাকুন; এ প্রত্যাশা করি।

মো. সিদ্দিকুর রহমান : সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ

siddiqsir54@gmail.com

SUMMARY

2329-1.jpg