বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই হাঁটছি আমরা

ড. আতিউর রহমান

বঙ্গবন্ধু যে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন সেখানে কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করতেন না। তিনি চেয়েছিলেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মুক্তি। তিনি সবার জন্য সোনার বাংলা নির্মাণের স্বপ্ন দেখতেন। নিজের ভাষায় তিনি বলতেন, ‘শ্মশান বাংলাকে সোনার বাংলা করে গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলায় আগামী দিনের মায়েরা হাসবে, শিশুরা খেলবে। আমরা শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলব’ (২৬ মার্চ ১৯৭২)। তাই তার সামগ্রিক উন্নয়ন দর্শনটি ছিল সব মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিতকরণ। তিনি জনতুষ্টিবাদী রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের সুবিধাবাদী অংশকে আরও বেশি সুযোগ দেয়ার বিপক্ষে। তিনি ছিলেন শোষিতের পক্ষে। তার আজীবনের লড়াই ছিল সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশকে সামনে টেনে তোলার। তাই তিনি মুসলিম লীগ ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী মুসলিম লীগে। ১৯৫১ সালের ১৪ জুলাই ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি সাক্ষাৎকার নেয়া হয় ফরিদপুর জেলে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন তিনি মুসলিম লীগ ত্যাগ করে আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগ দিলেন। শেখ মুজিব বলেন, একদিন তিনি নিজেও প্রকৃত মুসলিম লীগ কর্মী ছিলেন, পাকিস্তান আনার পেছনে জীবন দিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু, আজ সেই মুসলিম লীগ ধনীদের স্বার্থ দেখে কাজ করে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাকিস্তান এসেছে সেই গরিব মানুষদের প্রতি মুসলিম লীগের কোনো নজরই নেই। আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগ দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এ সংগঠনের হয়ে গরিব মানুষের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে আরও বেশি কাজ করতে পারবেন। (দেখুন, SECRET DOCUMENTS OF INTELLIGENCE BRANCH ON FATHER OF THE NATION BANGABANDHU SHEIKH MUJIBUR RAHMAN, Edited by Sheikh Hasina, Hakkani Publishers, Dhaka, 2018, VOl-2, page-59).


তাই তিনি বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি প্রথা বিলোপের আন্দোলন করেছেন। তিনি সর্বদাই সাধারণ মানুষের অন্ন-বস্ত্রের অধিকার নিশ্চিত করতে চাইতেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মধ্যে কোনো ভাবালুতা ছিল না। বরং ছিল কঠিন লড়াই-সংগ্রাম। সেই লড়াই ছিল সব সময়ই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পক্ষে। তাদের সঙ্গে ছিল তার আত্মিক সম্পর্ক। একেবারে ছোটবেলা থেকে গড়ে উঠেছিল এ সম্পর্ক। পাকিস্তান আমলে তিনি লড়াই করেছেন পূর্ব-বাংলার বঞ্চিত মানুষের পক্ষে। আবার স্বাধীন বাংলাদেশেও তিনি লড়াই করেছেন এ দেশেরই কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের পক্ষে। তাদের জন্যই তিনি রাজনীতি করেছেন। ৭ জানুয়ারি, ১৯৭১ সালে এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসি বলেই আমি রাজনীতিতে আছি।’ (বাঙালির কণ্ঠ, মোনায়েম সরকার সম্পাদিত, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, পৃষ্ঠা-২০৫)

এ দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবেসেছেন বলেই নিজের জীবন বিপন্ন করে তুলেছেন তাদের সেবায়। এক মুহূর্ত বিশ্রাম নেই, কাজের বিরাম নেই। ছুটে বেড়িয়েছেন পথ থেকে পথে। জেলায় জেলায়। কখনও বা জনগণের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করতে করতে তার স্থান হয়েছে জেলখানায়। জেলখানায় গিয়েও তিনি সর্বক্ষণ চিন্তা করেছেন সেসব সাধারণ মানুষের কথাই। সুযোগ পেলেই কথা বলেছেন তাদের তথা ‘লদুদের’ সঙ্গে। সেসব কথা উঠে এসেছে তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী,’ ‘কারাগারের রোজনামাচা’ এবং সম্প্রতি প্রকাশিত ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থে। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার, নয়া চীনে ভ্রমণ করতে গিয়েও তিনি বারবার বলেছেন সে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের কথাই। তখন তার বয়স মাত্র ৩২। দলের মধ্যে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ নেতা। বহু বছর পর তিনি যখন নিজে একটি দেশ গড়ার দায়িত্ব হাতে পেলেন তখনও নয়া চীনে দেখা সেসব নীতিমালা, ব্যবস্থার আলোকে বেশ কিছু নীতি-কৌশল প্রয়োগ করতে চেয়েছিলেন। তিনি স্পষ্টতই বুঝতে পেরেছিলেন কঠোর আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া এ দেশের মানুষের মুক্তি নেই। ১৯৫২ সালের ১৬ আগস্ট রংপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় তিনি বলেছিলেন, ‘বক্তব্য শুরু করার আগে আমি মৌলভী খয়রাত হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। তিনি এখন জেলে। তার সঙ্গে আছেন মতিউর রহমান, সোবহান। আরও আছেন মওলানা ভাসানী। এ মুহূর্তে জননিরাত্তা আইনে প্রায় ৫০০ মানুষ জেলখানায় বন্দি। আমি আড়াই বছর জেল খেটে মাত্র বেরিয়ে আসলাম। আমাদের একমাত্র দোষ আমরা আমাদের মানুষের জন্য খাদ্য ও বস্ত্র চাই। যে মুসলিম লীগ এখন দেশ চালাচ্ছে তারা পাকিস্তানকে জাহান্নামে পরিণত করতে চাচ্ছে। আপনাদের হয়ে পাটের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার বিষয়ে আমি সরকারের সঙ্গে কথা বলব। ফারুক আর ইস্পাহানি জুটবোর্ড গঠন করেছে, কৃষকের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্কই নেই। তারা শুধু নিজেদের ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াচ্ছে। আমাদের পাটের ভালো বাজার ছিল, সেটি হারালাম কী করে? মুসলিম লীগ সরকারকে এ কৈফিয়ত দিতে হবে। আমেরিকা-ব্রিটেনে যদি পাটের বাজার না থাকে তাহলে তারা অন্য দেশে বাজার খোঁজে না কেন? যদি আমরা পাটের ন্যায্যমূল্য না পাই তাহলে সবারই ভোগান্তি হবে। আমার দাবি ছিল মণপ্রতি অন্তত ৩০ রুপি দিতে হবে। তারা ১৬ রুপি দেবে বলে ঠিক করেছিল, এখন সেই ১৬ রুপি দেয়ার সামর্থ্যও তাদের নেই। তামাকের জন্যও তারা কিছুই করেনি। শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে শেষ করে দিয়েছে। আর দুই মাসের মধ্যেই দুর্ভিক্ষ আসছে। আমরা অবশ্যই এর বিচার চাই। গরিবের ঘরে খাদ্য নাই, ওষুধ নাই, আর তাদের ট্যাক্সের অর্থ দিয়ে ৭৫ লাখ টাকা খরচ করে হোটেল বানানো হচ্ছে। আমরা যখন এ সবের প্রতিবাদ করি তখন আমরা হই দেশদ্রোহী! (‘গোয়েন্দা প্রতিবেদন’, প্রাগুক্ত, ভলিউম-২, পৃষ্ঠা- ৩২০)

বঙ্গবন্ধু দেশদ্রোহী ছিলেন না। ছিলেন দেশপ্রেমিক। এ বক্তব্যই তার প্রমাণ। একদল সুবিধাবাদী মহল দীর্ঘকাল ধরে প্রচার করে এসেছে শেখ মুজিবুর রহমান কেন পাকিস্তান ভাঙলেন? তিনি যদি পাকিস্তান না ভাঙতেন তাহলে কি আজও বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারত? আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির এ বাড়ন্ত অবস্থার (সর্বশেষ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৮.২০%) ভিত্তিপ্রস্তর কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই করে দিয়ে গিয়েছিলেন। জনাব সাইদুজ্জামান তখন পকিল্পনা কমিশনের, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এবং অর্থনৈতিকবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। সে জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু, প্রফেসর নুরুল ইসলাম ও জনাব তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হতো। জনাব সাইদুজ্জামান স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের কিছু মধ্য-দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ছিল- প্রথমত, স্ব-নির্ভরতা, যতটা সম্ভব দেশের সম্পদ ব্যবহার করা। দ্বিতীয়ত, বিদেশ ও দাতাদের কাছ থেকে শর্তহীন অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো এবং ক্রমান্বয়ে এ ধরনের নির্ভরতা হ্রাস করা। তৃতীয়ত, ১৯৭৪ সালের শুরুতেই বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সীমা ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা করা হয়। কাজেই বেসরকারি খাতকে বঙ্গবন্ধু উপেক্ষা করেছেন, এটা কখনও বলা যাবে না।’ (দৈনিক বণিকবার্তা, ৭ অক্টোবর ২০১৮)। সংবিধানের প্রস্তাবনায় শোষণমুক্ত, সমাজতান্ত্রিক এক সমাজ গঠনের অঙ্গীকার করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে নাগরিকদের মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য ও সুবিচার নিশ্চিত করা হবে। তা ছাড়া ধারা ১০-এ মানুষে মানুষে শোষণ নিরসন, ধারা ১৩-এ রাষ্ট্রীয়, সমবায়ী এবং ব্যক্তি মালিকানায় সম্পদের বণ্টন ব্যবস্থা করার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল। ১৪ ধারায় বলা হয়- খেটে খাওয়া কৃষক, শ্রমিক ও পিছিয়ে পড়া জনগণের শোষণ থেকে মুক্ত করা এবং ১৫ ধারায় পরিকল্পিত উপায়ে রাষ্ট্র উৎপাদনশীল শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে নাগরিকদের জীবনের মান উন্নত করে খাদ্য, বস্ত্র, আবাসন, শিক্ষা ও চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে কাজের অধিকার, নিশ্চিত কর্মসংস্থান ও মজুরির ব্যবস্থাও করবে রাষ্ট্র। এ ধারাতে আরও বলা হয়েছে যে, বেকার, অসুস্থ প্রতিবন্ধী, বিধবা, বয়স্ক ও অন্যদের সামাজিক সুরক্ষা দেয়া হবে। ১৬ ধারাতে গ্রামীণ পর্যায়ে বিদ্যুতায়ন, কুটিরশিল্প, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, যোগাযোগ, শহর ও গ্রামের জীবন মানের বৈষম্য দূর করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। ১৭ ধারাতে গণমানুষের উন্নয়নের জন্য একই ধারার শিক্ষাব্যবস্থা, আইন দ্বারা শিশুদের বাধ্যতামূলক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। ১৮ ধারাতে বলা হয়েছে, পুষ্টির মান ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের ব্যবস্থা করবে রাষ্ট্র। আর ১৯ ধারায় বলা আছে নাগরিকদের সবাইকে সমান সুযোগের ব্যবস্থা করবে রাষ্ট্র।

সংবিধানের এসব অঙ্গীকার আসলে উন্নয়নের মূলধারার বিষয়। এমন করে সুষম উন্নয়নের অঙ্গীকার খুব কম দেশের সংবিধানে বলা হয়েছে। সে বিচারে আমাদের সংবিধানটি আসলেই ‘অধিকারভিত্তিক’। বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকগুলোতে যে চোখ ধাঁধানো সাফল্য অর্জন করে চলেছে তার গোড়াপত্তন করে গেছেন বঙ্গবন্ধু তার নেতৃত্বে প্রণীত অধিকারভিত্তিক এ সংবিধানে ও প্রথম পঞ্চবার্ষিকী অর্থনৈতিক পরিকল্পনায়। বঞ্চিতজনের কল্যাণের অঙ্গীকার বেশ স্পষ্টভাবেই বঙ্গবন্ধু যুক্ত করেছিলেন এ পরিকল্পনা দলিলে। আমরা তার সেই সামাজিক বিনিয়োগের সুফল পাচ্ছি এদ্দিন পরে। মাঝে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির অনীহার কারণে সাংবিধানিক এসব অঙ্গীকার সেভাবে রূপায়ণ না হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর আর্থ-সামাজিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই লক্ষ করার মতো উন্নতি চোখে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী সাংবিধানিক ধারাগুলোর অঙ্গীকার মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনকে সুদৃঢ়ভাবে রূপায়ণ করে চলেছেন বলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারাটি সারা বিশ্বজুড়ে রোল মডেল হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। আর সেই কারণেই শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু, নারীর ক্ষমতায়ন, জীবনের প্রত্যাশিত আয়ুর মতো সামাজিক সূচকের বাংলাদেশ পাশের দেশ ভারতসহ উন্নয়নশীল বিশ্বের চেয়ে অনেক ভালো অর্জনের অধিকারী হতে পেরেছে। সামাজিক সূচকগুলো ছাড়াও অর্থনৈতিক সূচকেও বাংলাদেশের অর্জন আকর্ষণীয়। গত দশ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়েছে তিনগুণের মতো। সারা বিশ্বের সবচেয়ে গতিময় প্রবৃদ্ধির দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। পাশের দেশ ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে দেড় গুণের বেশি বাংলাদেশের হার।

তবে উন্নয়নের এ সাফল্যকে টেকসই করতে হলে বঙ্গবন্ধুর দেখানো অন্তর্ভুক্তিমূলক পথেই আমাদের হাঁটতে হবে। খুদে ও মাঝারি উদ্যোগকে সর্বদাই অগ্রাধিকার দিয়ে যেতে হবে। আর মনে রাখা চাই, এখনও এক-দশমাংশ মানুষ অতি-দরিদ্র। তাদের সামাজিক সুরক্ষার পাশাপাশি সম্ভাব্য আয়-রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি করে যেতে হবে। ‘মুজিববর্ষে’ প্রত্যেক গৃহহীনকে একটি করে দুর্যোগ-সহনীয় গৃহ স্থাপনের যে অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধুকন্যা করেছেন সেটিই সঠিক পন্থা। এ রকম আরও সুনির্দিষ্ট সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে এ বছর যদি এ অসহায় মানুষগুলোর উদ্যমী শক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দেয়া যায় তাহলেই তারা দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত হতে পারবে। আর তা করা গেলে সেটিই হবে মুজিবর্ষে তাদের জন্য সেরা উপহার। তাদের ছেলেমেয়েদের উপযুক্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যদি দক্ষ কর্মী হওয়ার সুযোগ করে দেয়া যায়, তাহলে তাদের পরিবার আর দারিদ্র্যরেখার নিচে পড়ে যাবে না। এভাবেই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে টেকসই করা সম্ভব। আড়ম্বর নয়, অপচয় নয়, এটিই হোক ‘মুজিববর্ষ’-এর সেরা নীতি-উদ্যোগ।

ড. আতিউর রহমান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক এবং সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক

SUMMARY

2302-1.jpg