জন্মশতবার্ষিকীতে জ্যোতির্ময় পুরুষ

এ কে এম শাহনাওয়াজ

ক্ষণজন্মা মহান মানুষের খুব লম্বা তালিকা থাকে না। হাতেগোনা সংখ্যা থেকেই তাদের খুঁজে নিতে হয়। এসব কৃতী মানুষ নিজের কর্মেই সমাজে, দেশে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জ্যোতি ছড়ান।

বিশ্ব ইতিহাসে এমন একজন জ্যোতির্ময় পুরুষ বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গভীর শ্রদ্ধায় আর ভালোবাসায় জাতি শততম জন্মবার্ষিকীতে এ মহান মানুষটির সংগ্রামী আর কর্মময় জীবনকে স্মরণ করছে।

মানুষের জন্য একবুক ভালোবাসা নিয়ে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধুর কাছে ১৯৭১-এর ১৭ মার্চ জন্মদিনের অনুভূতি জানতে চেয়েছিলেন উপস্থিত সাংবাদিকরা। বঙ্গবন্ধু সাবলীলভাবে বলেছিলেন, ‘আমি আমার জন্ম উৎসব পালন করি না।

এ দুঃখী বাংলায় আমার জন্মদিন কী আর মৃত্যুদিন কী!’ একই দিনে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ। ইয়াহিয়া খান এসেছেন ঢাকায় আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করতে। গণহত্যার নীলনকশা এরই আগে চূড়ান্ত হয়েছে।

দূরদর্শী বঙ্গবন্ধু যথার্থই অনুমান করতে পেরেছেন। তাই এদিন বঙ্গবন্ধুর শুভার্থী পাকিস্তানের রাজনীতিক ওয়ালি খান বঙ্গবন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে প্রশ্ন করেন, ‘ঢাকায় কী হতে চলেছে?’

উত্তরে একজন ভবিষ্যৎ বক্তার মতো করে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘কী আর হবে! প্রেসিডেন্ট এসেছেন, এরপর ভুট্টো আসবেন। আলোচনা ভেঙে যাবে, আমাদের ওপর আক্রমণ হবে, আমরা প্রতিহত করব, যুদ্ধ চলবে, সর্বশেষ আমরাই জয়ী হব।’

এমন একজন রাজনীতিক হঠাৎ আবির্ভূত হননি। তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন নিজেকে। শৈশব থেকে যার সংগ্রামী আর বিপ্লবী জীবনের শুরু। বাঙালির মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। শাসকগোষ্ঠীর কোপানলে পড়েছেন। জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন বহুবার।

কিন্তু পিছু হটেননি। নেতৃত্বের অসাধারণ গুণে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। শৈশবের কথা যদি ছেড়েও দেই, তবু বলতে হবে ভারত বিভাগের আগে তরুণ মুজিব পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নিজের সংগ্রামী জীবনের প্রকৃত যাত্রা শুরু করেছিলেন।

আর কখনও মাঠ ছাড়েননি। বাঙালির অধিকার আদায়ে যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, ১৯৭১-এ স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত তার সংগ্রামী জীবনে আসেনি কখনও বিরতি। একটি নতুন জাতি- নতুন দেশের জন্ম দিয়ে বাঙালির হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।

পুরো জীবনের কালপরিসরে এ মহান নেতাকে তিনটি অধ্যায়ে তিনটি ভিন্ন মাত্রায় দেখা যায়। তিন পর্বেই তিনি একইভাবে জ্যোতি ছড়িয়েছেন। শৈশব থেকে শুরু করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পর্যন্ত এ মহান নেতার পরিচয় ছিল বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ নামে, অতঃপর বাঙালির আন্দোলনের মুখে মামলা উঠিয়ে নিয়ে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খান তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন।

ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে আসেন প্রিয় মুজিব। হৃদয়ের উষ্ণতা আর ভালোবাসায় বাঙালি তাকে বরণ করে। নেতাকে ভূষিত করে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে। এ পর্বটিতে বাঙালি তাকে বঙ্গবন্ধুরূপে আপন করে নেয়।

তাই ‘বঙ্গবন্ধু’ কোনো দলীয় স্লোগান নয়- বাঙালির আবেগ ও ভালোবাসা থেকে এ শ্রদ্ধার্ঘ্য। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নামে ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ পর্যন্ত তার উজ্জ্বল পরিচিতি ছিল। এরপর পাকিস্তানিদের বর্বর গণহত্যার মুখে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন।

এ সময় থেকেই কার্যত বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। এ নতুন রাষ্ট্র আর জাতির জন্ম দিলেন বঙ্গবন্ধু। তাই জীবনের এ শেষ পর্বটিতে বাঙালি অবধারিতভাবে বঙ্গবন্ধুকে বসালেন জাতির পিতার আসনে। সংগ্রামী জীবনের তিনটি পর্বেই এ ক্ষণজন্মা পুরুষ সমান জ্যোতিষ্মান ছিলেন।

বাংলাদেশে ঈর্ষাপরায়ণ রাজনীতিকদের বক্তব্যে কতগুলো অদ্ভুত প্রকাশভঙ্গি আছে। এগুলোকে হীনম্মন্যতা, না মূর্খতা বলা সমীচীন, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। এসব রাজনৈতিক আচরণের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি নিুমানের একটি আচরণ হচ্ছে, কোনো কোনো রাজনৈতিক পক্ষের নেতা-নেত্রীর মুখে শেখ মুজিবুর রহমান বলার আগে সতর্কভাবে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিটি ছেঁটে ফেলা।

শুধু বলা নয়, এ ধারার রাজনীতিকদের শাসনামলে স্কুল পাঠ্যবইগুলোতে অতি মনোযোগে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি ছেঁটে ফেলা হতো। যেন এ রাজনীতিকদের সামনে সবচেয়ে বড় ভীতি ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি।

এসব ভুঁইফোঁড় দলে জড়িয়ে পড়ার আগে অনেক নেতা-নেত্রী বহুবার ‘বঙ্গবন্ধু’ বলে মুখে খই ফুটিয়েছেন; কিন্তু এরপরই বোধহয় শর্তবন্দি হয়ে পড়েছেন যে এসব দলের সভ্য হতে হলে ভুলেও বঙ্গবন্ধু বলা যাবে না।

এমন আচরণের পেছনে হয়তো বঙ্গবন্ধুর বিশালত্বকে নতুন প্রজন্মের সামনে খাটো করার এক কুৎসিত উদ্দেশ্য কাজ করে; কিন্তু এমন ক্ষুদ্রতা ইতিহাস ধারণ করে না। কারণ বঙ্গবন্ধু রাজনীতির মাঠে ভুঁইফোঁড় কেউ নন।

নতুন প্রজন্মকে সত্যের ধারায় ধরে রাখতে হলে তাই প্রয়োজন ইতিহাসের কাছে ফিরে যাওয়া। একজন শেখ মুজিব রাজনীতির ঘাত-প্রতিঘাতে নিজেকে জড়িত করে কীভাবে বিশ্বনন্দিত নেতা হলেন, তার স্বরূপ উন্মোচন খুবই প্রয়োজন।

শুরুতেই বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে কালেভদ্রে ক্ষণজন্মা মানুষের জন্ম হয়। সময়ের প্রয়োজনেই যেন প্রকৃতি এ জন্মের আয়োজনটি করে দেয়। বাংলার ইতিহাসে এমন উজ্জ্বল উদাহরণ অনেক আছে।

কখনও ধর্ম রক্ষার প্রয়োজনে, কখনও রাজনৈতিক সংকটের মুহূর্তে, আবার কখনও সমাজ সংস্কারের তাগিদে ইতিহাসের পাতায় এসে দাঁড়াতে দেখেছে ইতিহাস অনুসন্ধিৎসু মানুষ। প্রাচীন বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মকে স্বমর্যাদায় দাঁড় করাতে বাংলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছিলেন শীলভদ্র, শান্তিরক্ষিত ও শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর।

মধ্যযুগে বর্ণবাদী ব্রাহ্মণদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষের যখন বিপন্নদশা, মুসলমান সুফিসাধকদের ধর্ম প্রচারের সাফল্যে হিন্দু সমাজের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা তখন হিন্দু সমাজ ও ধর্ম রক্ষায় এগিয়ে এসেছিলেন শ্রী চৈতন্য।

ইংরেজ শাসনযুগে ইউরোপীয় আধুনিকতার জোয়ার যখন বাংলার বেলাভূমিতে আছড়ে পড়ল, তখন সনাতন হিন্দু সমাজ রক্ষণশীলতার অচলায়তন ভেঙে এগিয়ে আসতে পারল না। এভাবে তারা সভ্যতার এগিয়ে চলার নিয়ম মানতে ব্যর্থ হল।

মুসলমানরা তো পরাজয়ের ক্ষোভ ভুলতে না পেরে অভিমান করে চলে গেল আরও অন্ধকারে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাঙালি সমাজ অবধারিতভাবে আত্মপরিচয় ভুলে যেত। তাই সমাজ সংস্কার ছাড়া বিকল্প ছিল না। ফলে এ দুই সমাজকে উদ্ধার করার জন্য প্রকৃতির দায় পড়েছিল ক্ষণজন্মা বাঙালিদের মঞ্চে দাঁড় করানোর।

এ বাস্তবতায় উনিশ শতকে আবির্ভূত হলেন রাজা রামমোহন রায় ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তারা রক্ষা করেছিলেন বাংলার হিন্দু সমাজকে। একটু দেরিতে হলেও বোধোদয় হয় মুসলমান নেতৃত্বের। নিজ সমাজ রক্ষায় আধুনিক শিক্ষায় মুসলমান সম্প্রদায়ের যুক্ত হওয়া যে জরুরি তারা তা উপলব্ধি করলেন।

তাই সমাজ সংস্কারে এগিয়ে এলেন নওয়াব আবদুল লতিফ, সৈয়দ আমীর আলী, হাজী মুহম্মদ মুহসীন প্রমুখ। এভাবে তারা রক্ষা করলেন মুসলমান সমাজকে। এসব ব্যক্তিত্ব অতুলনীয়। নিজ ঔজ্জ্বল্যেই তারা ইতিহাসের উচ্চাসনে সমাসীন।

তবে বঙ্গবন্ধুর বেড়ে ওঠাটা একটু আলাদা। যুগের বা সময়ের প্রয়োজনে প্রকৃতি থেকে হঠাৎ জন্ম নেয়া নয়। তিলে তিলে তিনি নিজেকে তৈরি করেছিলেন। জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তানের উর্দুভাষী শাসকগোষ্ঠী সংকট তৈরি করেছিল। যে বাঙালি পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বাধীনতা অর্জনে সোচ্চার হয়েছিল, কয়েক মাসের মাথায় তাদেরই মোহভঙ্গ হল। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে স্লোগান তুলতে হল ১৯৪৮-এ।

বাঙালির প্রতিবাদী আন্দোলনের সঙ্গে তরুণ শেখ মুজিব শুরু থেকেই নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। তিল তিল করে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। ১৯০৬-এ মুসলিম লীগ সৃষ্টির সঙ্গে ১৯৪৯-এ আওয়ামী মুসলিম লীগ জন্মের মনস্তাত্ত্বিক কারণ অনেকটা অভিন্ন।

মুসলিম লীগ জন্মের অনেক আগেই ব্রিটিশ ভারতের হিন্দু-মুসলমানের একমাত্র অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক সংগঠন ছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। কিন্তু ১৯০৩ সালে সরকারের বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনার কথা ঘোষিত হলে কংগ্রেসের প্রভাবশালী হিন্দু নেতারা এর বিরোধিতা করেন।

ফলে মুসলমান নেতারা প্রথম হোঁচট খান। স্পষ্ট ছিল বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পিছিয়ে পড়া পূর্ববাংলার প্রভূত উন্নতি হবে।

এ সময়ে ইংরেজদের সমর্থক ঢাকার নবাবরা বঙ্গভঙ্গের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন; কিন্তু ১৯০৫-এ সরকার কর্র্তৃক বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হলে কংগ্রেস, হিন্দু প্রেস এবং শিক্ষিত ধনিক হিন্দু প্রবল বিরোধিতায় মাঠে নামলে অনেক মুসলমান নেতার মধ্যে বিশ্বাস জন্মে কংগ্রেসের এখন আর অসাম্প্রদায়িক চরিত্র নেই। তাই মুসলমানের অধিকার সংরক্ষণে নিজেদের রাজনৈতিক সংগঠন চাই। আর এভাবেই ঢাকায় জন্ম নেয় মুসলিম লীগ।

পাকিস্তান নামের রাষ্ট্র জন্মের পরপরই ভাষার প্রশ্নে দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাঙালির অধিকার সংরক্ষণের প্রশ্ন আওয়ামী মুসলিম লীগ জন্মের নিয়ামক ছিল। তরুণ শেখ মুজিব কিন্তু এর আগেই নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিলেন রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি।

পরের বছর আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি নিজ যোগ্যতায় এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদকের পদ লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামের দলটি নিজেদের অসাম্প্রদায়িক ঘোষণা করে দলের নতুন নামকরণ করে আওয়ামী লীগ।

ততক্ষণে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক পরিপক্বতা একটি বিশেষ মানে পৌঁছে গেছে। আর এর স্বীকৃতি হিসেবে দেখা যায় তিনি ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

মোহভঙ্গ বাঙালির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ইতিমধ্যে শেরেবাংলা ফজলুল হকের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে কৃষক প্রজা পার্টি, পরে যা কৃষক শ্রমিক পার্টি নামে পরিচিত হয়। ষাটের দশকের শুরুর দিকেই আইয়ুব খানের শোষক চরিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে বাঙালির কাছে।

১৯৬১ সালের শেষদিক থেকেই আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূত্রপাত হয় পূর্ব পাকিস্তানে। আন্দোলন বেগবান হওয়ার পথ তৈরি হয় ১৯৬২ সালে। এ সময় শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট বিক্ষুব্ধ করে তোলে ছাত্র-শিক্ষক সমাজকে।

ক্রমে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন ব্যাপক গণআন্দোলনে রূপ লাভ করে। গণতন্ত্র প্রবর্তন ও মানবিক অধিকারের জন্য নতুন স্লোগান যুক্ত হয়। এ গণআন্দোলনের নেতৃত্বের সামনের সারিতে এসে দাঁড়ান শেখ মুজিবুর রহমান।

এরপর বঙ্গবন্ধু ক্রমাগত আন্দোলনের মাঠে। পাকিস্তান সরকার জেল-জুলুমের খক্ষ তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুর মাথায়। কিন্তু তার সংগ্রামী পথচলাকে রুদ্ধ করতে পারেনি মুহূর্তের জন্য। হাজার বন্ধুর পথ মাড়িয়ে মুক্তিসংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেন বাঙালিকে।

এ প্রেরণা পাথেয় করে অসংখ্য মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি অর্জন করে স্বাধীনতা। তাই কৃতজ্ঞ বাঙালি তাদের প্রিয় নেতার জন্মশতবার্ষিকী পালনে এক গভীর আবেগ ও আনন্দ অনুভব করছে।

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

shahnawaz7b@gmail.com

SUMMARY

2292-1.jpg