ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় সূচিত হলেও ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল।
হয়তো এ কারণেই আমাদের বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কেউ কেউ তালগোল পাকিয়ে ফেলে। ১৬ ডিসেম্বরের কিছুদিন পর আমি কুমিল্লা থেকে ঢাকা ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার যোগদান করি।
মুক্তিযুদ্ধকালে সশস্ত্র যুদ্ধের পাশাপাশি আমরা ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদনা ও প্রকাশনার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। পূর্বাঞ্চলে এটাই ছিল একমাত্র প্রচারমাধ্যম। যদিও পত্রিকাটি বেনামে অর্থাৎ আবুল হাসান চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও আবদুল মমিন চৌধুরী কর্তৃক প্রকাশিত হতো, তবুও এ পত্রিকার সঙ্গে আবদুল মান্নান চৌধুরী, সৈয়দ রেজাউর রহমান, মমতাজ বেগম, সৈয়দ আহমেদ ফারুক, প্রাণ গোপাল দত্ত সরাসরি এবং শেখ ফজলুল হক মনি ও শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ অনেকে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার যোগদানের পর আমি সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকাটি স্বনামে সম্পাদন করতে লাগলাম। আমাদের মাঝে অস্থিরতা ছিল প্রবল। ইতিমধ্যে দু’দুবার ষোড়শ ডিভিশনের অস্ত্রধারী ও বৈধ অস্ত্রধারীদের পাল্লায় পড়ে জীবন হারাতে বসেছিলাম। শেষোক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়েছিল। সেদিন তিনি আমাদের বলেছিলেন, ‘দেখবে, শিগগিরই তোমাদের মামা ফেরত আসবেন, তোমাদের আর কোনো দুঃখ থাকবে না।’ বঙ্গমাতার এটা শুধু প্রত্যাশা নয়, বরং অন্তরের কান্না ও বিশ্বাস ছিল। তবে বঙ্গমাতাসহ আমাদের কারও সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কোনো যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু একদিন মনে হল আমাদের সঙ্গে তার যেন কেমন একটি টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ হয়ে যাচ্ছে।
ফকিরাপুলের সাপ্তাহিক বাংলাদেশ কার্যালয়ে বসে আমি, সৈয়দ রেজাউর রহমান, মমতাজ বেগম ও সৈয়দ আহমেদ ফারুকসহ ৭-৮ জন আন্দাজ করতে শুরু করলাম কবে বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করতে পারেন। আজকের দিনে ব্যবস্থাপনার ভাষায় যাকে বলে ব্রেন-স্টর্মিং তেমনি একটি আন্দাজ প্রক্রিয়ায় আমরা নিমজ্জিত হলাম। একেকজন একেক কথা বললেন। বলতে গেলে সৈয়দ রেজাউর রহমানের মুখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে সমস্বরে আমরা বলে উঠলাম, ‘চলো আমাদের পত্রিকার আগামী সংখ্যার ব্যানার হেডলাইন করি বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসবেন’। আমরা যেদিন সেই শিরোনাম করি সেদিন সম্ভবত একমাত্র মহান স্রষ্টা ছাড়া কেউ জানতেন না বঙ্গবন্ধু আদৌও দেশে ফিরতে পারবেন কিনা এবং ফিরলেও সেটা কবে।
১০ জানুয়ারি ১৯৭২। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরলেন। আমরা আমাদের পত্রিকায় প্রকাশিত আগের শিরোনাম সমেত পত্রিকা প্রকাশ করলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও আমি নিজ হাতে পত্রিকার হকারের কাজ করলাম। আমরা যে টেলিপ্যাথিক যোগাযোগে সে ধরনের শিরোনাম প্রায় এক সপ্তাহ আগেই করেছিলাম তা কিন্তু তেমন কেউ জানতে পারেনি বা জানলেও বিশ্বাস করেনি।
যাক বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন। তার স্বপ্নের স্বদেশে ফিরে এলেন। লাখো মানুষ তাকে সংবর্ধনা দিতে জড়ো হল। তিনি মঞ্চে এলেন, আগের চেয়ে অনেক শীর্ণ কায়া তার। চোখে চশমা, বারবার চশমা ভিজে যাচ্ছে চোখের জলে। তারপরই অঝোরধারায় তার কান্না। সেদিন রেসকোর্স বা বর্তমানের সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে কয়জন মানুষ চোখের পানি সামলে রাখতে পেরেছিলেন? তিনি অতি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিলেন। বাঙালি যে মানুষ হয়েছে তার উল্লেখ করে বললেন, কবিগুরু, তোমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মধুর প্রতিশোধের সূচনা করলেন। তাদের স্বীকৃতি চাইলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আইনানুগ পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিলেন। মুক্তিযোদ্ধাসহ সবার পুনর্বাসনের উদাত্ত ঘোষণা দিলেন। চোখের জল আর অপরিসীম দৃঢ়তা নিয়ে তিনি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে ফিরলেন। আমরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে ঘরে ফিরলাম। আহা, কী আনন্দ আকাশে বাতাসে!
পরক্ষণেই মনে হল যদি কোনো কারণে বঙ্গবন্ধু ফিরে না আসতেন, তাহলে কী হতো? সংক্ষেপে বলা যায়, বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে দেশে গৃহযুদ্ধ বেধে যাওয়ার উপক্রম হতো। সে পরিস্থিতি ঠেকাতে ভারতীয় মিত্ররা স্থায়ীভাবে এ দেশে থেকে যেতেন। গুটিকয়েক দেশ ছাড়া কেউ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিত না। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো জোট বেঁধে পাকিস্তানের সমর্থনে নেমে পড়ত। এখানে একটা নতুন লেবানন সৃষ্টি হতো। উন্নয়নের জন্য অর্থ পাওয়া যেত না। শাসক দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে সবকিছু শেষ না হলেও শেষ হওয়ার উপক্রম হতো।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারি ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৪র্থবারের মতো শপথ নিলেন। বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে কি তা সম্ভব হতো? বঙ্গবন্ধু ফিরে আসায় জননেত্রী আজ আমাদের মুখোজ্জ্বল করেছেন এবং কতিপয় অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন, যার একটা কলমচিত্র তুলে ধরছি :
শেখ হাসিনা দেশে আসার কারণে তার দল অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর চারবার ক্ষমতায় এসেছে। এতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্প্রসারিত ও বাস্তবায়িত হচ্ছে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসায় যারা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে উল্লসিত হয়েছিল তারাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার হয়েছে, ব্যাংক-বীমার চেয়ারম্যান, ডাইরেক্টর হয়েছে, বিদেশে রাষ্ট্রদূত হয়েছে। আরও কত কী? ব্যক্তির পর্যায় ছাড়িয়ে সামষ্টিক পর্যায়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে ও হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরেছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি নবমর্যাদার আসনে সমাসীন হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন হয়েছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে, এমনকি সামাজিক উন্নয়ন সূচক দিয়ে আমরা ভারতকে ছাড়িয়ে গেছি। অর্থনীতিতে ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি ঘটছে। পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প স্বীয় অর্থে বাস্তবায়িত হচ্ছে; তথ্যপ্রযুক্তির সুফল প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছেছে, শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থায় চোখ ধাঁধানো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে অকল্পনীয় সম্প্রসারণ ঘটেছে। শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না করলে এবং জীবনবাজি রেখে সামনে এগিয়ে না গেলে তার কিছুই সম্ভব হতো না। চূড়ান্ত বিশ্লেষণে দেখা যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমাদের বহু ক্ষেত্রে উল্লম্ফন ঘটেছে, যদিও তার জীবন সংকটময় হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রায় ৬ বছর পর শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন। দিনটি ছিল ১৯৮১ সালের ১৭ মে। অবশ্য তিনি আবারও ২০০৭ সালের ৭ মে স্বল্প সময়ের জন্য বিদেশ বাসের পর বহু বাধাবিঘ্ন ঠেলে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে না এলে ২০০৭ সালের ৭ মে অপ্রাসঙ্গিক হতো এবং ২০০৭ সালে ৭ মে তিনি দেশে আবারও ফিরে না এলে তার আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ এবং ক্ষমতায় বসে অভূতপূর্ব অর্জনও কল্পনার বিষয় হয়ে থাকত।
দেশে প্রত্যাবর্তনের পর ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত এবং ২০০২-২০০৮ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন না, তবুও ক্ষমতাসীনদের ওপর এতটা চাপ সৃষ্টিতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন যে, ক্ষমতাসীন প্রতিপক্ষরা সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন এনে দেশটাকে ইসলামী রিপাবলিকে ঠেলে দিতে পারেনি। তিনি ফিরে না এলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ইতিহাসের গহ্বরে হারিয়ে যেত। আমাদের দেশটা হতো একান্তই সাম্প্রদায়িক দেশ।
শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসায় মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাগুলো সংবিধানে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা জাল ও সামাজিক মঙ্গল বিস্তৃত হয়েছে। একটি মেডিকেল কলেজের জায়গায় দেশে মেডিকেল কলেজ এখন অনেক। এক সময়কার হাতেগোনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশে এখন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেড়শ’র মতো। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে বলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে, ব্রেনড্রেন কমে যাচ্ছে এবং যুগোপযোগী শিক্ষা সহজলভ্য হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট লক্ষ্য নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে প্রতিস্থাপন করায় ডিজিটাইলজেশন বেগবান হয়েছে। চিরশত্রু পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্তরে পৌঁছার আকাক্সক্ষা পোষণ করেছেন।
শেখ হাসিনা ফিরে না এলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কটা হতো দা-কুমড়ার। সমুদ্র বিজয় বা ছিটমহল সমস্যা সমাধান হতো অকল্পনীয়; এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রাম সংকট নিরসনও। এ সবেও শেখ হাসিনার অপরিহার্যতার স্বীকৃতি মিলেছে। আমরা বিশ্বের বুকে একটা মর্যাদাবান জাতি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার কিংবা মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের সুযোগ তার কারণেই পেয়েছি।
শেখ হাসিনা আমাদের মাথা তুলে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন। বাংলাদেশ নিু আয়ের দেশ থেকে নিু-মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করেছে। যেতে হবে বহুদূর। আগামী ৫ বছরে তাকে অন্তত ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। বর্তমান প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮৬ শতাংশ, অতএব উপরোক্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে ২.১৪ শতাংশ অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতেই হবে। কেবল দুর্নীতিকে সামাল দিতে পারলে আমাদের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। তাই শেখ হাসিনার লক্ষ্যমাত্রা অসম্ভব কিংবা উচ্চাক্সক্ষাকার প্রকাশ নয়। এ দুর্নীতির সঙ্গে আরও বহু কিছু জড়িয়ে আছে। এসব ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতার কথা শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছেন। তার প্রতিশ্রুতিকে অবজ্ঞা করা যায় না, কেননা এ যাবৎ তিনি তার প্রতিশ্রুতির কোনো বরখেলাপ করেননি।
দেশে আরেকটি কঠিন সংকট ও সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব। দেশে প্রতি বছর ২১ লাখ লোক চাকরি ও কর্মের বাজারে প্রবেশ করছে। সে হিসাবে কর্মশিকারির সংখ্যা আগামী পাঁচ বছরে হবে ১ কোটি ৫ লাখ; কিন্তু শেখ হাসিনা প্রায় দেড় কোটি কর্মসৃজন করবেন। এটা তিনি কীভাবে করবেন তার নির্দেশনাও খানিকটা দিয়েছেন।
চাকরির ভিত্তি সম্প্রসারণের জন্য রফতানি প্রক্রিয়াজাত জোন বৃদ্ধি আবশ্যক। আগামী বছরগুলোয় প্রায় ১০০টি রফতানি প্রক্রিয়াকরণ জোন তৈরি হলে বছরে ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে দেশেই কর্মদান সম্ভব। এ বেকারত্বের সঙ্গে যোগ হয়েছে মাদক, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ। মাদক ও জঙ্গিবাদ দমনে পৃথক সম্মুখ সমরের কৌশল রয়েছে। তবে তার জন্য গেরিলা কায়দা হচ্ছে কর্মসংস্থান। মনে হচ্ছে পাঁচ বছরের মাথায় ওইসব লক্ষ অর্জন কঠিন হবে না; কিন্তু এ সবের জন্যও যে শেখ হাসিনারই প্রয়োজন।
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্থায়িত্ব আনয়ন অর্থাৎ টেকসই উন্নয়নের জন্য ও উন্নত দেশে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা এবং স্পষ্ট করে বলতে গেলে উচ্চশিক্ষা। উচ্চশিক্ষা হলেই হবে না, তাকে হতে হবে প্রাসঙ্গিক ও মানসম্পন্ন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ব্যয়ের অঙ্গীকার প্রকাশ করা হয়েছে। তবে প্রতি স্তরে মানসম্পন্ন শিক্ষা যাতে নিশ্চিত হয় সে জন্য অবকাঠামোগত সুবিধাদিসহ দক্ষ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের চাহিদা মেটাতে হবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে এ দুটি কর্ম কি সুষ্ঠুভাবে পালিত হবে? অতএব, শেখ হাসিনা ও তার দলের অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য।
লেখক- অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ