আমার একুশের স্বপ্ন

ফরিদ আহমদ দুলাল

মহান একুশ আমাদের চেতনায় যে স্বপ্নবুনন করে দিয়েছে, যে স্বপ্নবুনন করতে গিয়ে আমাদের বীর যোদ্ধারা বুকের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করেছে; সেই স্বপ্নপূরণে- সেই স্বপ্নকে অভীষ্টে পৌঁছাতে আমরা কি আমাদের সামান্য মনোযোগ দিতে পারি না? আমাদের সচেতন হওয়ার দিন এসেছে, জন্মভূমির প্রতি দেশমাতৃকার প্রতি অঙ্গীকার উচ্চারণের দিন এসেছে; আসুন আমরা আমাদের মৃত্তিকার প্রতি আমাদের প্রেম নিবেদন করি।

আমাদের একজন শিক্ষক এক সময় দুঃসময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, একুশ আমাদের স্বপ্ন বুননের পটভূমি, একুশ আমাদের চেতনার বাতিঘর; একুশের আলোয় আমরা দুঃসময়ের অন্ধকারে পথ চিনে নিতে পারি। বাঙালির স্বপ্নের সন্ধান করে দেখি, বাঙালি নিজের মতো করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছে কমই।

১৯৪৭-এর দেশ বিভাগে বাঙালি যা পেয়েছিল তা ছিল ‘ঘোর’; ঘোরের মধ্যে বাঙালি যে স্বাধীনতা পেয়েছিল, তার মধ্যে ছিল বিভ্রান্তি; ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনে ছিল বাঙালির স্বপ্ন যে স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়ে।

১৯৭১-এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাঙালির চোখে জুড়ে দিয়েছিলেন স্বপ্ন। ‘স্বপ্ন’ শব্দের ধারণাটি বুঝতে আমরা ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞানী এ পি জে কালামের সেই কথাটি স্মরণ করতে পারি, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘স্বপ্ন সেটি নয় যা তুমি ঘুমের মধ্যে দেখো, বরং স্বপ্ন তাই যা তোমাকে জাগিয়ে রাখে।’

বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাঙালি বুকে ধারণ করেছিল; ধারণ করেছিল বলেই বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত জেগে ছিল বাঙালি; দেশমাতৃকার জন্য মুক্তির বীর সেনানিরা ছিল অতন্দ্রপ্রহরী। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাঙালি ত্রিশ লাখ মানুষের বুকের রক্ত আর দুই লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জন করে স্বপ্নের সোনালি ফসল। কিন্তু বাঙালির স্বপ্ন নিষ্কণ্টক হতে পারেনি, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাঙালিকে স্বপ্নবিচ্যুত করে পুনর্বার ঘোরে নিমজ্জিত করতে উদ্যত হয়; ১৯৭৫-এর পর থেকে বাঙালির তাই ঘোরমুক্ত হয়ে স্বপ্নবুননে সম্পৃক্ত হওয়ার সংগ্রাম।

দীর্ঘ সংগ্রামের পর বাঙালি স্বপ্নের দিশা পেলেও পূর্ণ ঘোরমুক্তি ঘটেনি। আজো নানান চাতুর্যে বাঙালিকে ঘোরগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত তাই। বাঙালির আজকের সংগ্রাম ঘোরমুক্তির সংগ্রাম, সম্প্রীতি-সহাবস্থানের সংগ্রাম; দারিদ্র্য-কুসংস্কার-ধর্মান্ধতা-কূপম-ূকতা-দুর্নীতি-নৃশংসতা থেকে মুক্তি আর সদাচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বাঙলির মুক্তির সংগ্রাম।

বাঙালির সংগ্রামকে অভীষ্টে নিয়ে যেতে, শ্যামল বাংলাদেশের আজকের উন্নয়নযাত্রার পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রতিবন্ধকতাগুলোকে চিহ্নিত করাকে অত্যাবশ্যক মনে করছি। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।

বঙ্গবন্ধুর সে ভাষণে যে স্বপ্ন ছিল বাঙালির জন্য, সেই স্বপ্নকে সঙ্গী করেই বাংলাদেশ আজো উন্নয়নের সরণিতে পথ চলতে সচেষ্ট আছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কোনো বিকল্প আজো তৈরি হয়নি আমাদের জাতীয় জীবনে। মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজয় অর্জনের পর দীর্ঘ প্রায় অর্ধ শতাব্দীকাল অতিক্রম হয়ে গেলেও আমরা আমাদের জীবনে ক্ষুধা-দারিদ্র্য আর কূপমণ্ডুকতা থেকে মুক্তি পাইনি। কেন আমাদের মুক্তি লাভ সম্ভব হয়নি সে বাস্তবতার সন্ধান করে তা থেকে পরিত্রাণের উপায় অনুসন্ধান করে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ আজ সময়ের দাবি। আমাদের জাতীয় জীবনে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রতিবন্ধকতাগুলোকে চিহ্নিত করে তাকে প্রতিহত করা আজ অত্যাবশ্যক।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশের মহান নেত্রী, জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন টুয়েন্টি-টুয়েন্টিওয়ান’-এর যে সম্ভাবনার আলোকশিখা আমাদের আকাক্সক্ষায় উজ্জীবিত করেছেন তাকে অভীষ্টে পৌঁছাতেও উন্নয়ন-প্রতিবন্ধকতাগুলোকে চিহ্নিত করে সমূলে উৎপাটন করতে হবে বলেও মনে করি। বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করছে এবং সরকারের কর্মসূচি এবং অগ্রযাত্রার স্বার্থে সমগ্র জাতিকে আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের কল্যাণব্রতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করতে চাই।

যদি আমরা যত্নের সঙ্গে লক্ষ করলে দেখতে পাব বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রার পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলো হলো, ব্যক্তিগত স্বার্থচিন্তা, সুশাসন ও জাতীয় ঐক্যের অভাব এবং ইতিহাস বিমুখতা। এই তিনটি অনুষঙ্গের সঙ্গেই পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত আছে মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুর ষড়যন্ত্র, একশ্রেণির বিভ্রান্ত রাজনীতিকের উচ্চাভিলাষ ও ক্ষমতালিপ্সা এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশপ্রেমের ঘাটতি-দুরভিসন্ধি।

নইলে যে বাঙালি জাতি ১৯৭১-এ বঙ্গবন্ধুর এক তর্জনী-হেলনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, সেই জাতিকে ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে, ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়ে, দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে এবং আদর্শচ্যুতির চেষ্টা চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরিয়ে ফেলার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে দীর্ঘ ২১টি বছর। বাঙালির মহান নেতাকে তার পরিবারের সদস্য এবং সহযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করে বাঙালির শৌর্য-বীর্যকে, ত্রিশ লাখ মানুষের আত্মত্যাগকে অর্থহীন করে তোলার প্রয়াশ চালানো হয়েছে, এ দেশের সচেতন মানুষ তা প্রত্যক্ষ করেছে।

এমনকি আজ যখন জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আসতে চলেছে, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে, তখন ষড়যন্ত্রকারীরা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের আশ্রয় নিয়ে দেশকে অস্থিতিস্থাপক করে তুলতে নিত্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর পৈশাচিকতা ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ‘দুর্বলের উপর সবলের আক্রমণ’ দেখেছে বিশ্ব। এমনকি জাতিসংঘকেও দেখেছে ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ হয়ে শক্তির কাছে মাথা নোয়াতে। ইরাক পুড়েছে, লেবানন পুড়েছে, প্যালেস্টাইনে জ্বলেছে আগুন; আফগানিস্তান পুড়েছে, বৈরুত পুড়েছে বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ; মিয়ানমার দেখেছে পৈশাচিকতা। পৃথিবীর দেশে দেশে এত যে তাণ্ডব, কোনো প্রতিকার পেয়েছে মানুষ? পায়নি। বিশ্বের বিবেকবান প্রতিটি মানুষ গুমড়ে কেঁদেছে, সামান্য প্রতিবাদ হলেও কোনো প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি।

আমরা দেখেছি পৃথিবীর প্রতিটি দেশের সাধারণ মানুষ হত্যা-নৈরাজ্য-যুদ্ধ এবং রক্তপাতবিরোধী। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ ভূখ-ে যখন পাকিস্তানি বাহিনী হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত, তখন খোদ পাকিস্তানেও মানুষ প্রতিবাদ করে রাস্তায় নেমেছে- মিছিল করেছে, কারাবরণও করেছে; হোক তা সংখ্যায় নগণ্য; পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা কি সামান্য কমেছে? কমেনি। ইঙ্গ-মার্কিন হামলায় যখন পুড়ছে ইরাক তখন খোদ আমেরিকাতেও যুদ্ধবিরোধী মিছিল হয়েছে, কিন্তু হত্যাযজ্ঞ থামেনি ইরাকে। প্যালেস্টাইনে যখন নিজস্ব ভূখণ্ডের দাবিতে লড়ছে মানুষ, ইসরায়েলি বাহিনীর অনৈতিক যুদ্ধকে কখনো প্রকাশ্যে কখনো পরোক্ষে সমর্থন করেছে আমেরিকা। নিরস্ত্র-বঞ্চিত মানুষ কখনো কোনো পরাশক্তির সমর্থন পায়নি।

প্রাগ্রসর মানুষ আফগানিস্তান-প্যালেস্টাইন-ইরাক-সাদ্দাম-ইয়াসির আরাফাত-বাংলাদেশ-শেখ মুজিবকে নিয়ে কবিতা লিখেছে, শিল্পীরা গান বেঁধেছে, নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে, নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র, কিন্তু যুদ্ধ থামেনি, থামেনি রক্তপাত; আগ্রাসন থমেনি, থামেনি কান্নার রোল। এই সভ্যতা- এই অগ্রগতি নিয়ে আমরা বড়াই করি! বিশ্বের প্রতিটি মায়ের অশ্রু, প্রতিটি বোনের আর্তনাদ, প্রতিটি শিশুর চিৎকার বিশ্ব বিবেককে জাগিয়ে তোলে না? নিশ্চয়ই জাগিয়ে তোলে।

সুতরাং আজ আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, যদি আমরা শান্তি চাই, প্রথমত দেশের ভেতর শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে; প্রতিটি দেশ যদি নিজের দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে, বিশ্বশান্তি আসতে বাধ্য। যদি উন্নয়ন চাই, যদি আমরা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ চাই, যদি আমরা পশ্চাৎপদতা-কূপমণ্ডুকতা থেকে মুক্তি চাই, যদি আমরা সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করতে চাই; তাহলে সমাজ থেকে সব ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-কূপমণ্ডুকতাকে সমূলে উৎপাটন করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে; মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদের উজ্জীবিত করতে হবে এবং ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির কথা স্মরণে এনে মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

যদি উন্নয়নের চাকাকে সচল রাখতে চাই তাহলে উচ্চাভিলাষি-বিভ্রান্ত রাজনীতিকদের প্রত্যাখ্যান করে উন্নয়ন ও দেশপ্রেমের রাজনীতির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এতক্ষণ যা বলা হলো তা মূলত রাজনীতির কথা, রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা পূরণের কথা; কিন্তু সেই রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা পূরণের অন্য একটি দিক হচ্ছে সামাজিক বাস্তবতা এবং অংশগ্রহণ। আজকের আলোচনা তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্প্রীতির আবশ্যিকতার প্রতি আলোকপাত; যার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা তো বটেই, প্রয়োজন সামাজিক অঙ্গীকার-আন্দোলন।

পরিবার-গৃহ-সমাজ-রাষ্ট্র-বিশ্ব যেখানেই বলি, সম্প্রীতি না থাকলে কোথাও শান্তি বা উন্নয়ন আসতে পারে না। প্রশ্ন হচ্ছে সম্প্রীতির উৎস কোথায়; এককথায় উত্তর সহিষ্ণুতায়-পরমতসহিষ্ণুতায়। এই সত্যের কথা জেনেও আমাদের সমাজের বাস্তবতা আজ ‘বিচার মানি, তালগাছ আমার।’

সমাজের এই নড়বড়ে অবস্থায় ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে, পরিবারে পরিবারে, মহল্লায় মহল্লায়, গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে, দলে দলে, এমনকি ধর্মে ধর্মে যদি সম্প্রীতি সৃষ্টি না করা যায়, তাহলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে বলে মনে করি না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সম্প্রীতির সন্ধান আমরা কোথায় করব? যদি আমাদের বোধোদয় ঘটে, যদি আমরা বিশ্বাস করি শান্তি ও উন্নয়নের পূর্বশর্ত সম্প্রীতি, যদি আমরা প্রার্থনা করি সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক, তাহলে আমরা নিজেরাই তা বাস্তবায়ন করতে পারি; সরকার-রাজনীতি-দল বা কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে না গিয়েও, সামান্য অর্থ লগ্নি না করেও সমাজে সম্প্রীতির চাষ করতে পারি। আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ আঙিনায় সততার চাষ করতে পারি, কল্যাণ আর সহিষ্ণুতার ফসল ফলাতে পারি; আমাদের শস্যক্ষেতে অন্ধতা-কূপম-ূকতা-দুর্নীতির যত কীট, তাদের চেতনার আগুনে পুড়িয়ে মারতে পারি।

মহান একুশ আমাদের চেতনায় যে স্বপ্নবুনন করে দিয়েছে, যে স্বপ্নবুনন করতে গিয়ে আমাদের বীর যোদ্ধারা বুকের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করেছে; সেই স্বপ্নপূরণে- সেই স্বপ্নকে অভীষ্টে পৌঁছাতে আমরা কি আমাদের সামান্য মনোযোগ দিতে পারি না? আমাদের সচেতন হওয়ার দিন এসেছে, জন্মভূমির প্রতি দেশমাতৃকার প্রতি অঙ্গীকার উচ্চারণের দিন এসেছে; আসুন আমরা আমাদের মৃত্তিকার প্রতি আমাদের প্রেম নিবেদন করি। আমরা সবাই সচেষ্ট হলে, যে উন্নয়নের মহাসড়কে আজকে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছে, সে যাত্রা অবশ্যই আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। জয় আমাদের সুনিশ্চিত। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

ফরিদ আহমদ দুলাল: কবি ও প্রাবন্ধিক; সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব।

SUMMARY

221-1.jpg