বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে গঠন করা হয় ‘জাতীয় মুক্তি বাহিনী’


শাহ মোহাম্মদ রনি 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার প্রতিশোধ নিতে গঠন করা হয়েছিল ‘জাতীয় মুক্তি বাহিনী’। আট হাজার মুক্তিযোদ্ধার সমন্বয়ে গঠিত হয় বিশেষ এ বাহিনী। দীর্ঘ ১৯ মাস ভারতে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সঙ্গে যুদ্ধ করে এই বাহিনী। ময়মনসিংহ থেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার প্রথম ঘোষণা এবং এ বাহিনী গঠন করা হয়।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ময়মনসিংহের মানুষের মধ্যেও থমথমে ভাব বিরাজ করছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না থাকায় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। ইতিহাসের কলঙ্কময় এই হত্যাকাণ্ডের খবর পৌঁছার পরই ময়মনসিংহ শহরসহ পুরো জেলা নিস্তব্ধ হয়। হতভম্ব হন সর্বস্তরের মানুষ। অঘোষিত কারফিউ জারি থাকায় সৃষ্টি হয় ভূতুড়ে পরিবেশ। নামানো হয় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) ও পুলিশ। গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতারা। শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়। গ্রেফতার হন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশত নেতা। অনেককেই আটকাদেশ দিয়ে পরবর্তীতে মেয়াদ বাড়ানো হয়। ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে তারা সবাই মুক্তি পান। একই সময় বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। পরবর্তীতে তাকে অন্য কারাগারে নেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালের কলঙ্কময় ১৫ আগস্ট এবং তার পরবর্তী সময় নিয়ে গতকাল সোমবার কথা হয় কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য গঠন করা ‘জাতীয় মুক্তি বাহিনী’র অন্যতম সেক্টর কমান্ডার বর্তমানে প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মীর দোলায়ার হোসেন আজকালের খবরকে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ময়মনসিংহের মাটি থেকেই। গর্জে উঠেছিল এ অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বাছাই করা আট হাজার মুক্তিযোদ্ধার সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছিল ‘জাতীয় মুক্তি বাহিনী’। বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন। তিনি বলেন, এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী সুযোগ খুঁজতে থাকেন। সাহসী কয়েকজন মুুক্তিযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে নভেম্বর মাসের শুরুতে ময়মনসিংহ শহরে আসেন। রেবতী মোহন চক্রবর্তী, সুধীর চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে দেখা করে হালুয়াঘাট সীমান্তের গোবড়াকুড়ায় আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। হালুয়াঘাট, নালিতাবাড়ি ও ঝিনাইগাতী সীমান্তে অবস্থানের পর আমাদের নিয়ে সীমান্তের ওপারে যান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তিনি পরপর দুই বার ভারতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করে ফিরে আসেন। তৃতীয় বার ভারত সরকারের সহযোগিতায় শুরু হয় ‘জাতীয় মুক্তি বাহিনী’র কর্মকাণ্ড। মানুষ এখনও এই বাহিনীকে চেনে ‘কাদেরিয়া বাহিনী’ নামে।

মূলত তিনটি সেক্টরে বিভক্ত ছিল ‘জাতীয় মুক্তি বাহিনী’। টাঙ্গাইল শহরের আনোয়ারুল হক সেলিম তালুকদার নেত্রকোনা সীমান্তের ওপারে মেঘালয়ের ভবানীপুরে, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের মীর দেলোয়ার হোসেন ময়মনসিংহ সীমান্তের ওপারে মেঘালয়ের ডুমনি কোনায় এবং নেত্রকোনার কলমাকান্দার সুকুমার সরকার নেত্রকোনা সীমান্তের মেঘালয়ের মহাদেও-এ অবস্থান করে আলাদা তিনটি সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। টাঙ্গাইলের সেলিম তালুকদার ‘জাতীয় মুক্তি বাহিনী’র সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। বর্তমানে তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি। মীর দেলোয়ার হোসেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির পাশাপাশি ময়মনসিংহ বিভাগে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান কমান্ডার কবিরুল ইসলাম বেগ এই বাহিনীর হেডকোয়ার্টার কমান্ডারসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মীর দেলোয়ার হোসেন জানান, বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ থেকে কুড়িগ্রাম জেলার ওপারে দেড় শতাধিক অস্থায়ী ক্যাম্প করে দীর্ঘ ১৯ মাস বিডিআরের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাই। প্রতিদিনই দীর্ঘ ৩২২ কিলোমিটার সীমান্তের একাধিক পয়েন্টে বিডিআরের সঙ্গে আমাদের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটতো। ১৯৭৫ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭৭ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত আমরা ভারতে অবস্থান করে দীর্ঘ ৩২২ কিলোমিটার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে রাখি। ১৯ মাসের যুদ্ধে বাহিনীর দুই শতাধিক সদস্য শহীদ হন। ভারত সরকারের পটপরিবর্তন হওয়ায় যুদ্ধ বিরতি চুক্তির মাধ্যমে ‘জাতীয় মুক্তি বাহিনী’র সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তিনি বলেন, ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও তার শীর্ষ ১৫ সহযোগী। চুক্তি অনুযায়ী বাহিনীর সদস্যদের পুনর্বাসন না করে পাঁচ শতাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করে মাসের পর মাস ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ বিভিন্ন কারাগারে আটক রাখা হয়। ওই সময় সামরিক আদালত গঠন করে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বজিত নন্দীসহ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করার পর তার ফাঁসির দণ্ড মওকুফ করেন।

জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমকে দেশে ফিরিয়ে আনেন। পরে প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়ানোর কারণে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সরাসরি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় কয়েকটি বিষয়ে কাছের সহযোগিদের সঙ্গেও ব্যাপক দূরত্ব সৃষ্টি হয় কাদের সিদ্দিকীর। এরই মধ্যে ১৯৯৭ সালে ‘জাতীয় মুক্তি বাহিনী’ বিলুপ্ত ঘোষণা করে গঠন করা হয় ‘প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদ’। অন্যদিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী ‘জাতীয় মুক্তি বাহিনী’র বীর যোদ্ধাদের অনেকেই মানবেতর জীবন-যাপন করছিলেন। পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছিল তাদের। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে প্রতিশোধ নিতে গর্জে ওঠা ‘জাতীয় মুক্তি বাহিনী’র অনেক সদস্যের এখন পর্যন্ত নাম নেই সরকারের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায়। বীর যোদ্ধাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে ‘প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদ’ সদস্যদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে খোলা হয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সেল। এখন পর্যন্ত তালিকায় স্থান পেয়েছেন ছয় হাজারেরও বেশী বীর যোদ্ধা। এরই মধ্যে অনেকেই ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থ সহায়তা পেয়েছেন। জটিলতা নিরসন হলেই ‘প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদ’ সদস্যরা সরকারি সুযোগ সুবিধা এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় (যারা একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন) স্থান পাবেন।

ধর্মমন্ত্রী আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বারবার কারাবরণ ও জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু দেশী-বিদেশী চক্রান্তের শিকার হয়ে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মহান এ নেতা। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গৌরীপুর আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ জানান, কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড ঘটানো অসম্ভব। এতে বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। ময়মনসিংহের পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদুল ইসলাম বলেন, জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে এ খবর শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম। স্তব্ধ হয়েছিলাম কিছুক্ষণের জন্য। ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশ নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদেরকে ভূমিকা রাখতে হবে।

ফুলপুর আসনের এমপি শরীফ আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাংলাদেশের স্থপতি মহান এ নেতাকে জাতি যুগযুগান্তর মনে রাখবে। ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইকরামুল হক টিটু জানান, বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন বলেই বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ উল্লেখযোগ্য নাম। আমরা এখন সারা বিশ্বে বীরের জাতি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল জানান, সেদিন ভোরের ট্রেনে বাড়ি যাওয়ার জন্য গফরগাঁওয়ের কাওরাইদ স্টেশনে নামি। রেডিও’র খবরে জানতে পারি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। ভেবেছিলাম প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য একটি অস্ত্র প্রয়োজন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল বলেন, ১৫ আগস্ট সকালে রেডিওতে মেজর শরিফুল ইসলাম ডালিমের ঘোষণা বিশ্বাস করতে পারিনি। নির্বাক নিস্তব্ধ হয়ে থমকে যাই। চারদিকে শুরু হয় নিস্তব্ধ নিরবতা। আকাশ বাণীর সকাল আটটার খবরে বিস্তারিত জানতে পাই। ততক্ষণে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম-গ্রামান্তরে। ময়মনসিংহ শহরে বিডিআর-পুলিশের যৌথ টহল। অঘোষিত কারফিউ চলে টানা তিনদিন। আত্মগোপনে যান যুবক ও মধ্য বয়সী হাজার হাজার মানুষ।

জানা যায়, ইতিহাসের কলঙ্কময় ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পরই বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুক আহমেদ ময়মনসিংহ শহরে আসেন। তিনি ঈদগাহ মাঠের বিপরীতে মামার বাড়িতে অবস্থান করেন। ওই সময় ময়মনসিংহ শহরের অনেকের সাথে তিনি সখ্যতা গড়ে তোলেন। প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করেন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে। ফ্রিডম পার্টি গঠনের পর বৃহত্তর ময়মনসিংহের রাজনীতি দেখভাল করতেন খুনি ফারুক।

১৫ আগস্ট বাঙালি ও বাংলাদেশের শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই কালো দিনটিতে জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, আবহমান বাংলা ও বাঙালির আরাধ্য পুরুষ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শেখ মুজিবুর রহমান পরিবার-পরিজনসহ নৃশংসভাবে শহীদ হন। কিছু বিশ্বাসঘাতক পথভ্রষ্ট রাজনীতিবিদের চক্রান্ত ও সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্চাবিলাসী বিপথগামী সদস্যের নির্মম বুলেটের আঘাতে সেদিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রাণ হারান তার প্রিয় সহধর্মিণী বেগম শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, সেনা কর্মকর্তা শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশু ছেলে শেখ রাসেল এবং নবপরিণীতা দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। প্রবাসে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। আগস্টের সেই হত্যাকাণ্ডে আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, শিশু ছেলে সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে- শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, নিকটাত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা সামরিক সচিব কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন নিরাপত্তা কমকর্তা-কর্মচারী।

SUMMARY

2197-BB1.jpg