** কা জী সা ই ফু ল ই স লা ম **
বই লেখা শেষ করেছি পুরোপুরি পঁচিশ দিন। কিন্তু মিকা লিখতে পারছি না। এ বি এম মূসা-র ‘মুজিব ভাই’ বইটির ভূমিকা লিখতে গিয়ে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, ‘বই লেখা সহজ, বইয়ের ভূমিকা লেখা তত সহজ নয়।’ বিখ্যাত কলামিস্টি। তার কথা এক বর্ণও মিথ্যে নয়।
তাই ভাবনাচিন্তা সব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলি। আর ভূমিকা লিখতে শুরু করি বইটি কি করে লেখা হলো আমার। আসলে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা আমার জন্য ছিল খুবই সাহসের একটি কাজ। এত সাহস কি করে আমার বুকে জড়ো হলো, তাই-ই জানাতে বসে গেলাম পাঠকদের।
একদিন আমি আর আমার ছোট ভাই প্রীতম, কাঁটাবনের গদ্যপদ্য বইয়ের দোকানে বসে আড্ডা মারছিলাম। সাথে ছিল আমার খুবই পছন্দের লাল চা। গদ্যপদ্যের প্রতিষ্ঠতা আনোয়ার ভাইও আছেন আমাদের সাথে। আমি মূলত অপেক্ষায় ছিলাম ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের জুয়েল ভাইর জন্য। তার সাথে বই প্রকাশ নিয়েই আলাপ ছিল। তিনি এলেন রাত ৯টায়। দোকান থেকে বেরিয়ে এসে সামনের ছোট বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছি আমি আর জুয়েল ভাই। অনেক কথার পরে একটু থেমে জুয়েল ভাই বললেন, ‘আপনি বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে একটি উপন্যাস লেখেন।’
কথাটি শুনে একেবারে থ’ মেরে গেলাম। এবং অবিশ্বাস্যভাবে একটি ভয়ঙ্কর ভয় এসে আমাকে জাপটে ধরে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কোনো সহজ কাজ নয়। সেদিন রাতে জুয়েল ভাইর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম। কিন্তু পর দিনই আমি টের পেলাম অন্য ঘটনা। ভয় পুরোপুরি কেটে গেছে। আর বুকের ভেতর খুবই ছোট আনন্দের একটি বীজ গজিয়েছে।
ক্ষমা, বিশ্বাস আর ভালোবাসা- মানুষের মনের এ তিন মহৎ গুণের অনুশীলনে মুজিব নামটিই হয়ে উঠেছিল একটি প্রতিষ্ঠানে। সে প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল বঙ্গবন্ধু, তারপর জাতীর পিতা। গোটা বিশ্বের প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকাগুলো হেডলাইন করেছিল, ‘মুজিব শব্দটি একটি জাদু।’ ‘মুজিব একটি অলৌকিক নাম।’ বঙ্গবন্ধু যখন মাদারীপুরের জেলাস্কুলের ছাত্র, তখন তার পরিচয় ঘটে বিপ্লবী পূর্ণদাসের সাথে। স্বদেশীদের কথা শুনে শুনেই বুকের ভেতর দেশপ্রেমের বীজ বুনতে থাকেন বঙ্গবন্ধু।
গোটা বইটি লিখতে গিয়ে নানা রকম অনুভূতির ফাঁদে পড়তে হয়েছে আমার। বাঙালির সংগ্রাম সম্পর্কে জানা হয়েছে কমবেশি। কখনো গর্বে বুক উঁচু হতো। কখনো থেঁতলে যেত মন। কান্না পেতো। আবার কখনো আনন্দে বিহŸল হয়ে যেতাম। মনে হতো, বাঙালিরাই হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। একজন বুড়ো বলতে শুরু করে টুঙ্গিপাড়ার শেখ বংশের গল্প। আর তার পাশে বসে শুনতে থাকে একজন বুড়ি। ঘটনাগুলো এগিয়ে চলে এভাবেই (বুড়ো-বুড়ি সত্য কোনো চরিত্র নয়। তবে বুড়োর বলা গল্পটা সত্যি)।
বইটি যখন লিখতে বসি, ঠিক তখনই গোটা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই অস্থির। সময়টাকে অবিবেচক বললেও ভুল হবে না। প্রতিদিনই বাংলা চ্যালেনগুলোর সংবাদ, আর টকশো মনে বিষ ঢেলে দিতো। রাজনৈতিক দলগুলো যেন নোংরা কথার শক্ত জাল বুনে যেতেই ভালোবাসেন। আর সে সব শক্ত জালে জড়িয়ে এরই মধ্যে আমাদের জাতীয় ঐক্যর মৃত্যু ঘটছে। এখন শুধু কফিনে পেড়েক মারা বাকি।
আমি মনে প্রাণে একটি কথা বিশ্বাস করি। তা হচ্ছে, প্রত্যেক লেখকেরই সমাজিক দায়বদ্ধতা স্বীকার করে নিয়েই লিখতে বসা দরকার। সমাজের অপপ্রচার আর অনৈতিক কাজগুলোকে ঝুঁকি না ভেবে নিজের কাঁধে বহন করে সত্যকে তুলে ধরাই হচ্ছে একজন লেখকের প্রধান দায়িত্ব। সত্য বলতে গেলে হয়তো অনেকেই গালাগাল দিতে পরে। হত্যার হুমকি বা হত্যা করতেও পারে। তাতে সত্যর কিছুই যায়-আসে না। যুদ্ধ অপরাধের বিচার চলছে। অবশ্যই এটা ছিল অনিবার্য। হওয়া দরকার। কিন্তু এই বিচারের চেয়েও আমার কাছে শতগুণ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, বাঙালির গৌরবের ইতিহাসকে সত্য সুন্দর পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর বিভেদের দেয়ালটাকে উপড়ে ফেলা। যেন এই স্বাধীন দেশে আগামীতে বেড়ে ওঠা মানুষগুলো সত্যকে চিনতে পারে নির্বিঘ্নে। কাঁটার ভয়ে ফুলের সুবাস থেকে যেন দূরে সরে না যাই আমরা। তাহলে সুন্দরের উপলব্ধি চিরকাল অজানাই থেকে যাবে আমাদের।
ক’মাস ধরে চলছিল মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বলার চর্চা। তার পরই শুরু হলো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উদ্ভট সব কথাবর্তা। জাতি হিসেবে তখন নিজেকে খুবই ছোট মনে হতে থাকে। প্রত্যেক জাতির অন্তত একটি গর্বের জায়গা থাকা খুবই দরকার। নাহলে জাতি তার আদর্শ হারায়। হো চি মিন, মাও সে তুং, ফিদেল ক্যাস্ট্রো, লেনিন, আলেন্দের, লেনসেন ম্যান্ডেলা, লি কুয়ান ইউ, জোসেফ স্টালিন। নিঃসন্দেহে এরা মহান। কিন্তু এদের নিয়েও তো নানা রকম বিতর্ক রয়েছে।
নব্বইয়ের পর থেকে যে বড় দু’টি দল বাংলাদেশ পরিচালনা করে আসছে। তাদের সবচেয়ে বড় দুটি ব্যর্থতা হচ্ছে, তারা এখনো এদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। অন্যটি হচ্ছে, যোগ্য মানুষকে বাদ দিয়ে অযোগ্য মানুষকে সম্মান দেখিয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা যদি ভুল করে, তার মাশুল সরা জীবন ধরে দিতে হয় জনগণকে।’
হাজারও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে, এক রকম জীবনের মায়া ছেড়েই আওয়ামী লীগ গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কারণ, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এদেশের মানুষের মুক্তির একমাত্র পথই হচ্ছে বিকল্প রাজনৈতিক দল গড়ে তোলা। ১৯৪৭-এর আগে পাকিস্তান আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা, পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র গঠন হওয়ার পর তার ওপর অমাবিক নির্যাতন, পাকিস্তান শাসনামলের ২৪ বছরের মধ্যে ১৪ বছরই বঙ্গবন্ধুর কারাবাস, জেল থেকে মুক্তির জন্য অনশন করতে গিয়ে প্রায় মৃত্যুর মুখে ঝুঁকে পড়া- এ সবই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এ বইটিতে।
প্রথম যখন আওয়ামী লীগের পূর্ণ কমিটি গঠন হয়, তখন মুসলিম লীগের অকথ্য নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে অনেকেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেই দুঃসময়ে দুজন মানুষ ছিলেন অটল। একজন, মওলানা ভাসানী। অন্যজন, আমাদের বঙ্গবন্ধু। জীবনের সুন্দর দিনগুলোই বঙ্গবন্ধুর কেটেছে অন্ধকার কারাগারে। কিন্তু অন্যায়ের সাথে তিনি আপস করেননি কোনোদিনই।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কতোগুলো সত্য ঘটনা তিল তিল করে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এ বইটিতে। এ কথা সত্য যে, বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিশাল চিত্র এতো ছোট ক্যানভাসে তুলে আনা অসম্ভব। তবুও চেষ্ট করেছি, অল্প কথার মধ্যেই বড় কতোগুলো ঘটনা শোনাতে। যাতে ওই ঘটনাকে অনুসরণ করে বহু দূর যেতে পারেন পাঠক।
আমাকে সবচেয়ে আপ্লুত করেছে লোকচোখের আড়ালে থাকা মহৎ একজন নারী। তার নাম- রেণু। ফজিলাতুন্নেছা রেণু। তিনিও টুঙ্গিপড়ার শেখ বংশেরই মেয়ে। মাত্র তিন বছর বয়ছে বঙ্গবন্ধুর সাথে তার বিয়ে হয়। আমার কাছে কেবলই মনে হয় (শুধুই যে মনে হয় তা কিন্তু নয়) আমি বিশ্বাস করি, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু তার পর গোটা জাতির পিতা হয়ে উঠার পেছনে রেণুর রয়েছে অসামান্য অবদান। ফজিলাতুন্নেছার ত্যাগ মনে রাখার মতো।
এ কথা চিরসত্য যে, দেশের কাজ করতে গিয়েই বঙ্গবন্ধু জীবনে চাকরি এবং ব্যবসা কিছুই করতে পারেননি। তার টাকাও ছিল না। তিনি যখন প্রথম সংসদ সদস্য হলেন, তখন পর্যন্তও তিনি তার আব্বার কাছ থেকে টাকা নিয়েই চলতেন। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী রেণুও তাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করতেন। কোনো দিনই কোনো চাওয়া ছিল না রেণুর। ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে নিজের হাতের সোনার বাংলা বিক্রি করে দিতে হয়েছিল তাকে।
রেণুর চরিত্রের সৌন্দর্য আর উদারতা মুগ্ধ করার মতো। অথচ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চিরকালই থেকে গেছেন আড়ালে। তিনি বঙ্গবন্ধুর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার পাশেই ছিলেন। ১৫ আগস্ট তিনি একবারও নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন নি। বরং সেদিন চিৎকার করে রেণু বলেছিলেন, ‘দরজা খুলে দে, মরলে সবাই এক সাথেই মরব।’ ঘর থেকে বেরিয়ে এসে সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখে আবার বলেছিলেন, ‘আমি যাব না, আমাকে এখানেই মেরে ফেলো।’
এই বইটিতে আমার চেষ্টা ছিল পরিবারের কিছু ঘটনা তুলে ধরা। ১৯৭১-এর এবং তার আগে ও পরে বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে বহু ঘটনা অনেকেরই জানা। আমি চেষ্টা করেছি মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু তারপর রাষ্ট্র নায়ক হয়ে ওঠার পেছনের গল্পটি বলতে। এ কথা সত্য যে মানুষের জীবন শুধু সঠিক পথেই চলার জন্য নয়। কারণ, সামনের পথগুলো আমাদের একেবারেই অজানা। আর আজানা পথে হাঁটতে গেলে সব সময় যে ঠিক পথে হাঁটতে পরবো, তা কিন্তু নয়। একটি হচ্ছে, দোষ করা। অন্যটি হচ্ছে, বুঝতে না পারা, অথবা নিজে বুঝেও চারপাশের সবাইকে বোঝাতে না পারার জন্য ভুল হয়ে যাওয়া। দুটি নিশ্চই এক হবে না কোনোদিন।
বিপ্লবের মধ্য দিয়ে স্বৈরসাশক বাতিস্তাকে হটিয়ে কিউবার রাষ্ট্রনায়ক হয়েছিলেন ফিদেল ক্যাস্ট্রো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ক্যাস্ট্রোর সাথে দেখা করেন বঙ্গবন্ধু। তাদের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়। তখন তিনিও বঙ্গবন্ধুকে সাবধান করে বলেছিলেন, ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে।
হ্যাঁ, একথা ঠিক যে বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠন নিয়ে বহু আলোচনা সমালোচনা রয়েছে। আমার নিজেরও মনে হতো ওটা বুঝি ঠিক ছিল না। কারণ, বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে গেছেন সেই প্রথম থেকেই। কিন্তু এখন, ঠিক এই মুহূর্তেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা দেখে মনে হয় বঙ্গবন্ধুর ধরণাটিই ঠিক ছিল।
চীন, কিউবা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া কিন্তু বুর্জোয়া গণতন্ত্রের পথে হাঁটেনি। আর সে কারণেই শূন্য থেকে দেশগুলোকে এতোদূরে টেনে তোলা সম্ভব হয়েছে। তারা এখন পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ডেমোক্রেসির আড়ালে ক্যাপিটালিজম আমাদের মতো দেশগুলোকে ধ্বংস করবে। গণতন্ত্র আর পুঁজি (পধঢ়রঃধষ) এক নয়। এই বাস্তবতা বুঝতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধুর ভাবনার একটি রূপ ছিল স্বাধীনতা। অন্যটি ছিল, আধুনিক উন্নত অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। যেখানে মানুষ থাকবে মুক্ত। থাকবে, কথা বলার স্বাধীনতা। নগর বা নাগরিক উন্নয়নে থাকবে সাম্যতা, অর্থনৈতিক মুক্তি, সমাজিক নিরাপত্তা। রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের দায় আর রাষ্ট্র নাগরিকের দায়িত্ব (একাউন্টবেলেটি) নিতে বাধ্য থাকবে।
ফজিলাতুন্নেছা রেণুর মনের সৌন্দর্য যেমন আমাকে আপ্লুত করেছে, ঠিক তেমনি অবাক করেছে জাতীয় রক্ষীরাহিনীর নিশ্চুপ ভূমিকা। নানা প্রশ্নের জন্মও দিয়েছে। ১৫ আগস্ট সকাল ৫টা ১৫ মিনিটে যখন বঙ্গবন্ধু বাড়িতে খুনিরা আক্রমণ চালায়, তখনো রক্ষীবাহিনীর সদরদপ্তরে ৩ হাজার সশস্ত্র রক্ষীবাহিনীর সদস্য অবস্থান করছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার বাসা থেকে প্রথমেই টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন রক্ষীবাহিনীর সদর দপ্তরে। কিন্তু সেদিন তিনি কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি। সদর দপ্তর থেকে কেউ তার ফোন রিসিভ করেনি। কেন? এরকম বহু প্রশ্ন যুগ যুগ ধরে মন থেকে মনে ছড়িয়ে যাবে। হয়তো উত্তর মিলবে না কোনো দিনই। তবুও মানুষ কিন্তু সত্য ঘটনা খুঁজে নিবেই।
কতোগুলো বই অনুসরণ করতে হয়েছে আমাকে। কখনো কখনো হুবহু তুলে দিতে হয়েছে। কারণ, বঙ্গবন্ধুর সাথে বিশ্ব নেতাদের কতোগুলো ডায়লগ আছে এই বইটিতে। সতত চেষ্টা করেছি সৎ থেকে সত্য ঘটনার মধ্য দিয়েই বইটি শেষ করতে। নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছি। এর পরও ভুল থাকবে। সে জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আর তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হলে অবশ্যই তা পরির্বতন করা হবে, পরের এডিশনগুলোতে।
এ বইটি লেখার সাথে জড়িয়ে থাকা কতগুলো নাম বলতেই হচ্ছে। এদের সহযোগিতায় বইটি সম্পন্ন করা সহজ হয়েছে। প্রকাশক : জুয়েল ভাই। ছোট ভাই : প্রীতম। আমার ভাগনে : নকিব। বন্ধু : মাহমুদ। নানা রকম কথা বলে উপদেশ দিয়েছেন, প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদিক : রাশেদ ভাই। যুগান্তর পত্রিকার সংবাদিক : মাহবুব কামাল ভাই (কলামিস্ট)। সৈকত হাবিব ভাই। সবার কাছেই আমি ঋণী।