যেভাবে বইটি রচিত হলো -শেখ হাসিনা

 
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রজীবন থেকেই বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু করেন। বাংলার শোষিত বঞ্চিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় তিনি ব্যাকুল হয়ে পড়তেন। তাই এই অধিকারহারা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সেই স্কুলজীবন থেকেই সোচ্চার ছিলেন। এই সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবনের মূল্যবান সময় তাকে কারাগারেই কাটাতে হয়।
পাকিস্তান নামে দেশটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাঙালিদের অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের ওপর আঘাত আসে। বঞ্চনার শিকার হয় বাঙালি। এমনকি মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকারটুকুও কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে নব্য আধা-ঔপনিবেশিক শক্তি পাকিস্তানের শাসকবর্গ। পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ববঙ্গ এই দুই অংশ হাজার মাইল দূরে অবস্থিত দুটি ভূখ- নিয়ে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়। পূর্ববঙ্গে ৫৬ ভাগ জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানের রাজধানী হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। পূর্ববঙ্গের নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় পূর্ব পাকিস্তান। বাংলা ভাষার পরিবর্তে উর্দুকে মাতৃভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে মাস্টার্সে পড়াশোনা শুরু করেন। মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করেন ১৯৪৮ সালের মার্চ মাস থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার আন্দোলনকে সমর্থন করেন। এর ফলে কারাবরণ করতে হয় এবং এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হন। যদিও মুচলেকা ও জরিমানা দিয়ে যারা বহিষ্কৃত ছিল তারা ছাত্রত্ব ফিরে পায় কিন্তু শেখ মুজিব তা করেন নাই বলে তাঁর বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকে। এক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য ছিল যে, ‘আমি কোনো অন্যায় দাবি করি নাই, অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত দাবি করেছি। মুচলেকা ও জরিমানা দেয়ার অর্থ হলো দোষ স্বীকার করে নেয়া, আমি তা করব না।’
সেই আন্দোলনের সূত্রপাত থেকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা তার উপর কড়া নজর রাখতে শুরু করে। পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (ওহঃবষষরমবহপব ইৎধহপয) প্রতিদিন প্রতিমুহূর্ত তার কর্মকা- পর্যবেক্ষণ করত এবং তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করত। এ সংক্রান্তে আইবি তার নামে ১৯৪৮ সালে একটি ব্যক্তিগত ফাইল খোলে এবং তাতে সকল তথ্য সংরক্ষণ করা শুরু করে, যা ব্যক্তিগত ফাইল বা পিএফ নামে পরিচিতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ফাইলটির নম্বর পিএফ ৬০৬-৪৮।
১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন সকল রিপোর্ট তৈরি করে রাখা হতো। এরই ভিত্তিতে তাকে হয়রানি করা হতো, তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হতো, এভাবে নানামুখী নির্যাতন চলতো। এমনকি কারাগারে বন্দী অবস্থায়ও যখন মামলার জন্য কোর্টে তাকে নেয়া হতো অথবা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেত, তখনও তার ওপর নজরদারি চলত। এই ডকুমেন্ট থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। যেমন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিকে গতিশীল করার জন্য কি কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে সে সম্পর্কে তিনি যে নির্দেশ দিয়েছেন সে তথ্যও রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় গোপনে ছাত্রলীগের সভাপতি নঈমুদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক খালেক নেওয়াজ দেখা করে ২১ শে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি সম্পর্কে আলোচনার বিষয়ও উল্লেখ রয়েছে। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের ‘মার্শাল ল’ জারি ও ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি পেশ ও আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, জনগণের আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান, আইয়ুব সরকার কর্তৃক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার, সকল বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে। 
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সফর করেছেন, জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন, জেলা ও মহকুমার নেতাদের কাছে চিঠিপত্র লিখেছেন। সে চিঠির সংগ্রহ এখানে আছে। বিভিন্ন সময়ে দায়েরকৃত মামলার তালিকা রয়েছে। অনেক চিঠিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল; পাকিস্তান সরকার যা কোনোদিনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতে পৌঁছায় নাই, সেসব চিঠিপত্রও এখানে পাওয়া গেছে।
‘কারাগারের রোজনামচা’ নামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের যে ডায়েরিটা প্রকাশিত হয়েছে সেই বইয়ের প্রথম অংশের লেখা খাতাটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই লেখা খাতাখানাও সংগ্রহ করা হয়েছে এখান থেকেই। এভাবে বহু দুর্লভ ও মূল্যবান তথ্যসমূহ আমরা পেয়েছি। আরও অনেক বিষয় রয়েছে যা বাংলাদেশ নামে এই ভূখ-ের স্বাধীনতা সংগ্রামের অমূল্য দলিল হিসেবে পাওয়া গেছে। বিশেষ করে যারা গবেষণার কাজ করছেন বা ঐতিহাসিক গ্রন্থ রচনা করছেন তাদের জন্য তথ্য সংগ্রহে সহায়ক হবে।
একটা বিষয় লক্ষণীয় তা হলো আমাদের দেশে অনেক জ্ঞানী-গুণী ও ত্যাগী নেতারা রয়েছেন বা ছিলেন সংবাদ মাধ্যমে তাঁদের কথাই বেশি প্রচার করা হয়ে থাকে। দেশের রাজনীতিতে তাদের গুরুত্ব আপাতদৃষ্টিতে বেশি মূল্যবান বলে মনে হয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের তৎপরতাটা বেশি চোখে পড়ে না বা তেমন রিপোর্টও বেশি নাই। হয়তো একখানা/ দুইখানা ফাইলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এর কারণটা কি আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। অনেকগুলো ফাইল এনে আমি দেখেছি বলেই এ কথাগুলো উল্লেখ করলাম। যা হোক, একটা কথা সকলেরই জানা যে, বাংলাাদেশের মানুষের অধিকার অর্জন, দেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং বাঙালির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নিয়ে রাজনীতি করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তাঁর এই কৌশলী পদক্ষেপের কারণেই বাংলাদেশ আজ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রাম তিনি কখনও আপস করেননি। একটি জনগোষ্ঠীকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে সংগ্রাম, অসহযোগ আন্দোলন এবং সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয় এনে দিয়েছেন। জাতি হিসেবে বাঙালি বিশ্ব দরবারে মর্যাদা পেয়েছে, স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র অর্জন করেছে।
 ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল কেন? সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলেও এই তথ্য সহায়ক হবে। এই কালো দিবসটি যদি বাঙালি জাতির জীবনে না আসত তবে স্বাধীনতা অর্জনের দশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে তিনি গড়ে দিয়ে যেতেন। বাংলাদেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতো। বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতো। বাঙালির অধিকারের কথা বলতে গিয়েই বারবার নির্যাতন ভোগ করেছেন, আর বাঙালির বিজয় মেনে নিতে পারে নাই বলে হত্যা করে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে পাকিস্তানপ্রেমীরা। তারা বাঙালির অগ্রযাত্রা ব্যাহত করেছে।
১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমি তখনই এই ফাইলগুলি সংগ্রহ করি এবং ১৯৯৭ সালে ফটোকপি করে রেখে পুনরায় ফাইলগুলো এসবি অফিসে ফেরত পাঠাই। ডকুমেন্টগুলো গোয়েন্দা সংস্থার গোপনীয় দলিল হওয়ায় ডি-ক্লাসিফাইড করা হয়। তিন কপি করে এক সেট আমেরিকায় জয়ের কাছে পাঠাই। জয় সেটা ড. এনায়েত রহিমের কাছে দেয়, কারণ তিনি ইতিহাসবিদ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উপর গবেষণা করছিলেন। এক সেট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে রেখে নেই। একটা সেট নিয়ে আমি ও বেবি মওদুদ কাজ করতে শুরু করি। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর এসবি-কেই দায়িত্ব দেই এই ফাইলগুলো কম্পিউটারের টাইপ করে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে এবং মূল ডকুমেন্ট স্ক্যান করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংগ্রহ করার জন্য। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই কাজটা তারা সম্পন্ন করেছেন। একটা টিম দিনরাত পরিশ্রম করেছে। এই টিমের নেতৃত্বে আছেন মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি। দীর্ঘদিন এই একই পদে আমি তাঁকে রেখেছি শুধু এই কাজটা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য। আমি তাঁকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁর সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন তাদেরকেও আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ১৯৬০ সালে যে খাতাটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেই খাতাটা খুঁজে বের করার সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদেরকেও আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের নামের তালিকা ধন্যবাদ জ্ঞাপন শিরোনামে দিয়ে দিলাম।
যখন প্রথম সমস্ত ফাইল সংগ্রহ করি তখন ঝই-র উওএ ছিলেন সামসুদ্দিন সাহেব, তাঁকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, কারণ এই অমূল্য রত্মভা-ারের খোঁজ তিনিই আমাকে দিয়েছিলেন।
বই আকারে প্রকাশের জন্য হাক্কানী পাবলিশার্সকে দেয়া হয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরেই একটা অফিস দিয়ে কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কাজে তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান এবং আমার সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ ও সার্বিক তদারকি করছে সম্পা। আমি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সরকারি এই ডকুমেন্ট যেভাবে প্রস্তুত করা হয়েছিল সেভাবেই রাখা হয়েছে। অনেক সময় বক্তৃতাগুলোর নোট নিতে গিয়ে লেখায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভুল করেছেন, আবার বৃষ্টিতে মুছে গেছে। দীর্ঘদিনের পুরাতন হওয়ার কারণে কিছু দলিলের অংশবিশেষ নষ্ট হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম তৎকালীন অফিসারগণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে লিখেছেন। এমনকি এক জায়গায় মুজিবুর রহমান খানও লেখা আছে। পাঠকগণ কনটেক্সট থেকে বুঝে নেবেন আশা করি। টেক্সটগুলি পাঠকদের নিকট সহজবোধ্য করার লক্ষ্যে প্রতিটি ডকুমেন্টের পরিচিতি ও মূল বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ক্রমিক নম্বরসহ শিরোনাম দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পিতা শেখ লুৎফর রহমান ১৯৭৫ সালে ইন্তেকাল করলেও ডকুমেন্টগুলোর কোনো কোনো স্থানে তৎকালীন অফিসারগণ ভুলবশত তাঁর নামের পূর্বে মৃত লিখেছেন। এছাড়া অধিকাংশ ডকুমেন্টে থাকা অফিসারদের নির্দেশনা, নোট, মতামত ইত্যাদিকে ‘সাইড নোট’ হিসেবে উল্লেখ করে আদালাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। হাতের লেখা ডকুমেন্টগুলোর ক্ষেত্রে হাতেলেখা আদলের ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু বানান ও ভিন্নার্থক শব্দের সংশোধনী বইয়ের শেষে দেয়া হয়েছে। ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় ‘উধপপধ’ বানানটি বইয়ের সর্বত্র একই রূপ রাখা আছে। বইয়ে কিছু কিছু ডকুমেন্টের ইমেজ সংযোজন করা হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যে তারিখে পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে তার পরদিন গ্রেফতার দেখিয়েছে, এ ধরনের তথ্যও রয়েছে। এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। আশা করি পাঠকবৃন্দ এতে বিভ্রান্ত হবেন না। আমি এই অমূল্য সম্পদ জাতির কাছে তুলে দিতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি সমগ্র জীবনটাই উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে, তাঁর এ অবদান জাতি কোনোদিন ভুলতে পারবে না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ আবু নাসের, সুলতানা কামাল খুকী, পারভীন জামাল রোজী, আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শেখ ফজলুল হক মণি, বেগম আরজু মণি, কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ, বেবী সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু ও এসবি’র এএসআই সিদ্দিকুর রহমান ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে শাহাদত বরণ করেছেন, তাদের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

SUMMARY

2176-1.jpg