নাহার আহ্মেদ
সেদিন ভোরের পাখিদের কোলাহল কেউ শুনেনি
শুনতে পাইনি সুরের বন্দনা
কিন্তু শুনেছিল প্রচন্ড গর্জন কামানের
বুক ঝাঁঝরা করার নিষ্ঠুর আর্তনাদ
আততায়ীদের উল্লাসে সেদিন থমকে গিয়েছিল
ভোরের বাতাস।
সূর্য উঠাও হয়তো
হত্যাযজ্ঞের নায়করা রেখে গেল
নির্দয় আর নিমর্মতার স্বাক্ষর।
বত্রিশ নম্বরের সেই বাড়িটার অন্দর মহলে
কলংকিত করে গেল স্বাধীনতার পবিত্রতাকে
সাত কোটি বাঙালীর পথ প্রদর্শক, আদর্শের প্রতীক
রক্ত পিপাসু শকুনের থাবায় ক্ষত-বিক্ষত হলো।
জাতি নির্বাক, প্রতিবাদের ভাষা সেদিন হারিয়ে ফেলেছিল
ইতিহাসের কুঠারে দ্বিখন্ডিত করা হোক, সভ্যতাকে
রক্তের সিড়ি বেয়ে সে যেন আজ ক্লান্ত।
নিহত গোলাপের শোকে মূহ্যমান বাঙালী জাতি
পাঁপড়ির আর্তনাদে হৃদয় তন্ত্রীতে বাজে
শোকের সানাই।
রক্তের কালিতে লেখা হলো নৃশংসতার অভিধান।
জাতির জনকের রক্তাক্ত নিথর দেহটা
ইতিহাস লিখে গেল মীরজাফরদের,
তার প্রতিটা রক্তকণায়।
যার যন্ত্রনার ভার বহন করবে
বাংলার এই মাটি, অনন্ত কাল ধরে।