বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু বলে চিৎকার দিয়ে জেগে উঠে দেখি
আমার সম্মুুখে সমগ্র বাংলাদেশ ৫ টন
হয়তো, ট্রাকের গায়ে লেখাটি মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল বলে
এমন অদ্ভুত বিষয়টি মাথা থেকে আজো নামেনি
তখন সত্যিই বুঝতাম না পুরো বাংলাদেশের ওজন মাত্র এতটুকু
পরে বুঝলাম ট্রাকটি সমগ্র বাংলাদেশে চলাচলযোগ্য এবং
তার ধারণ ক্ষমতা ৫ টন
আমার একটি হাতে ৫টি আঙুল
প্রতিটি আঙুল এক টন ওজন বহন করতে পারে না
কিন্তু বঙ্গবন্ধুর একটি হাত উপরে উঠেছিল এবং
একটি আঙুলের ইশারায় একটি বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল
বাংলাদেশের ওজন তখন কত ছিল জানা নেই
(তবে লোকটির সন্তান সংখ্যা ছিল ৫, সে হিসেবে ধরে নিতে পারি ৫ টন)
পঁচাত্তরের পর আবার ওজন দাঁড়ালো ৫ টন
৫ জন অতি উচ্চ মানুষের সমান ওজন (তখন বঙ্গবন্ধু নেই)
শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম,
ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান
প্রতিজন প্রতিটন (যদিও টনের পরিমাণ অসমাপ্য)
এর আগে চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট সময়কালীন
৫ জন সাংবাদিক যারা বড় মাপের রাজনীতিক
পূর্ব বাংলায় এক কাতারে শামিল হয়েছিলেন
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী,
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া,
শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিজন প্রতিটন হিসেবে সাকল্যে ৫ টন
(এই ওজন পূর্ব-বাংলাকে অনেক ভারবাহী করেছিল)
আমরা এই ঘটনারও আগে ফিরে গেলে দেখতে পাই
৫ জন কবি বাংলাদেশের কথা লিখেছেন তাদের গানের বাণীতে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্র লাল রায়, রাজনীকান্ত সেন,
অতুলপ্রসাদ সেন ও কাজী নজরুল ইসলাম
প্রতিজন প্রতিটন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন
যে কারণে সমগ্র বাংলাদেশ ৫ টন
(এর বেশি ধারণ ক্ষমতা ঐ ট্রাকের নেই কখনো হবে না)
অতএব, হিসাবটা খুব সোজা
বঙ্গবন্ধু একা ৫ টন (যে কারণে জাতির জনক)
রাজনীতিবিদ ৫ জন ৫ টন (যেখানে আবার বঙ্গবন্ধু)
সাংবাদিক ৫ জন ৫ টন (এখানেও হবু জনকের মুখ)
৫ জন কবি ৫ টন (শেখ মুজিবুর রহমান অনুপস্থিত কারণ তিনি ঐ সময়ের কবি নন অথচ
একাত্তরের ৭ মার্চ মাত্র একটি কবিতা শুনিয়েছিলেন যার শিরোনাম ‘স্বাধীনতা’)
যেভাবেই হিসাব করি না কেন
সমগ্র বাংলাদেশ ৫ টন।