তুমি নেই বলে সুদীর্ঘ সময় আছি অবিচল অন্ধকারে
অমাবস্যাতিথি-কৃষ্ণপক্ষকালে পড়ে আছি অচেনা বিবরে
তোমার রক্তের দাগ কালসিটে অক্ষর হয়ে সেঁটে আছে পাঁজরের হাড়ে
নীলবর্ণ বিষাদ বর্ণেরা কাব্যের পঙ্ক্তিতে উচ্চারিত হয় হাহাকারে;
মৃত্তিকার কল্যাণে তোমার দীর্ঘশ্বাস যেন শ্রাবণের ধারা
একটিমাত্র বুলেটে সাড়ে সাত কোটি সন্তান সহসা পিতৃহারা;
তোমাকে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিয়ে গেল প্রত্যন্ত দূরের গাঁয়ে
জীবনে নতুন তীর্থ হয়ে ছড়ালো প্রান্তিক গ্রাম জনপদে পায়ে পায়ে।
আমাদের নিভৃত পল্লীর ছোট নদীটির নাম আজ- তুমি
তোমার আবেগে সেজেছে বাংলার পক্ষীকুল সব বনভূমি
ঘরে ঘরে শিশু-সন্তানের গালে তুমি আদরের প্রিয় টোল
সলজ্জ দু’পায়ে হাঁটা বালিকার ঠোঁটে তুমি সদ্য-ফোটা বোল
সাহসী তরুণ শেখে ন্যায়-প্রতিবাদ চেনে স্বজন-স্বদেশ
শ্রেষ্ঠ বাঙালি পুরুষ তুমি সমার্থ সোনার বাংলাদেশ।