আইনের শাসন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে আইনের শাসন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন এবং তাঁর সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছেন।   

বিচার বিভাগে বঙ্গবন্ধুর অবদান বিষয়ক একটি সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট আইনজ্ঞ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সব অঙ্গেই বঙ্গবন্ধুর অবদান রয়েছে। আমরা বলতে পারি যে, বঙ্গবন্ধু একটি চারাগাছ রোপণ করেছিলেন এবং তাঁর কন্যা এটিকে সেবা-যত্ন দিয়ে আজ বিশাল বৃক্ষে পরিনত করেছেন।’
 
তিনি বলেন, ‘হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু। তিনি জাতির পিতা হিসেবে আজ সম্মানিত। বঙ্গবন্ধু তাঁর দেশ এবং জনগণের জন্য আত্মত্যাগী ও সংগ্রামী জীবন-যাপনের কারণেই এই সম্মান অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ ও দেশের জনগণকে মুক্ত করার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানো তাঁর স্বপ্ন ছিল।

আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানেই বিচার বিভাগ সবসময় স্বাধীন হবে এবং কেউ এতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বলে আইনের শাসন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার শুরু করেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘১৯৭২ সালের সংবিধানের মূল বিষয় ছিল বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, যা বঙ্গবন্ধু করেছিলেন। তিনি যখন বিচার বিভাগের বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন, তখন তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, বিচার বিভাগ স্বাধীন হবে এবং আইনের শাসন ছাড়া কোনো দেশ কখনো উন্নতি করতে পারে না। আমরা তাঁর কাছ থেকেই এই জিনিসটি শিখেছি।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে হত্যা না করতো, তবে দেশের বিচার বিভাগ আরো অনেক আগেই দৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়ে যেত।

সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ঋষিকেশ সাহা বলেন, বিচার বিভাগসহ সব ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধুর অবদান সূর্যের মতো উজ্জ্বল।

সাবেক জেলা জজ সাহা বলেন, ‘তাঁর অবদানকে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ তাঁর সরকারের আমলেই প্রণীত হয়। আজ এইটুকু সান্তনা যে, এই আইনটি অতীতের স্বৈরাচারী সরকারগুলোর কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষা পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনায় এখন বাংলাদেশ দীর্ঘকালের কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাচ্ছে। এই বিচার প্রক্রিয়া বঙ্গবন্ধুই শুরু করেছিলেন, যা এখন তাঁর সুযোগ্যকন্যা বাস্তবায়ন করছেন।’

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সাড়ে তিনবছরের শাসনামলে বিশ্বের সেরা সংবিধানের একটি জাতিকে উপহার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চার মৌলিক নীতিমালা সম্বলিত এই সংবিধান জাতির জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। আমাদেরকে অবশ্যই এ কথাটি ভুলে গেলে চলবে না যে, এই সংবিধানের জন্যই রাষ্ট্রের অঙ্গ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সীমিত মেয়াদকালে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন করেন। আমার কাছে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মনে হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩। যার অধীনে যুদ্ধাপরাধীদের বর্তমানে বিচার চলছে।’ বাসস

SUMMARY

2121-bb2.jpg