মৃত্যুন্জয়ী মুজিব


“বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন (১৭ মার্চ ১৯২০-১৫ আগস্ট ১৯৭৫)”
* হযরত শেখ আউয়াল অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে সুদূর আগদাদ থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আসেন যার বংশ পরম্পরায় শেখ আব্দুল হামিদ এর নাতি, শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র হিসেবে বাংলার মাটিতে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বাংলা ১৩২৭ সালের ২০ চৈত্র মঙ্গলবার রাত ৮ ঘটিকায় টুঙ্গিপাড়ার শেখ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।


* শেখ মুজিবুর রহমানের বাল্যকাল চুঙ্গিপাড়া গ্রামেই কাটে।
* সমাজ ও পরিবেশ তাকে বাল্যকাল থেকেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছেন।
* শেখ মুজিবুর রহমান পিতা-মাতার প্রথম পুত্র।
* শেখ মুজিবুর রহমানের বাধ্যশিক্ষা বাড়িতেই প-িত সাখাওয়াতুল্লাহ এর হাত ধরে শুরু হয়।
* শেখ মুজিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা ও টুঙ্গিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
* ১৯৩৬ সাল থেকে চশমা পড়া শুরু করেন।
* শেখ মুজিব ত্রিশের দশকে তাঁর গৃহশিক্ষক আব্দুল হামিদ মাস্টার দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন।
* আব্দুল হামিদ মাস্টারের নিকট শেখ মুজিব রাজনীতির প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।
* শেখ মুজিবুর রহমান আব্দুল হামিদ মাস্টারের নিকট বিপ্লবীদের কথা শুনে, ইংরেজ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কাহিনী শুনে রাজনীতিতে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত হন।
* শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকে ভীষণ জেদী ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ছিলেন।
* তিনি জেদ করে মিশন স্কুলে ভর্তি হন ও সামনের বেঞ্চে বসতেন। যদিও তৎকালীন সময়ে মিশন স্কুলে মুসলমানদের সামনের বেঞ্চে বসা কঠিন ব্যপার ছিল।
* ইতিহাস ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়।
* তাঁর প্রিয় খেলা ছিল ফুটবল ও ভলিবল। তিনি ছিলেন ডানপিটে, অকুতোভয়।


* স্কুল জীবনে শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ ওয়ান্ডারার্স ফুটবল টিমে খেলতেন।
* স্কুলে পড়া অবস্থায় তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটতে থাকে।
* একবার টুঙ্গি পাড়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। গ্রামের মানুষ না খেয়ে আছে, এ দৃশ্য দেখে শেখ মুজিব তাঁদের ঘরের গোলার ধান গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দেন। পিতা বাড়ি এসে পুত্রের মানবিক গুণ দেখে মুগ্ধ হন। ছেলে খোকাকে র্ভৎসনা না করে প্রশংসা করেন।
* ১৮ বছর বয়সে তাঁর বন্দী জীবনের অভিজ্ঞতা হয়।
* শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৩৯ সালে নবম ও ১৯৪০ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। ১৯৪২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ২য় বিভাগে মেট্রিক পাস করেন।
* তিনি ২২ বছর বয়সে মেট্রিক পাস করেন।
* একবার ফজলুল হক গোপালগঞ্জ পাবলিক হল এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পরিদর্শন করতে আসেন। বিদায়কালে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁদের সামনে দাঁড়ান। স্কুলের ছাত্রাবাস সংস্কারের জন্য তিনি দাবি জানান। ফজলুল হক স্কুল পুনর্নিমাণের জন্য ১২০০ টাকা বরাদ্দ করেন। বাংলাল দু’মহান নেতার সাথে শেখ মুজিবুর রহমানের এটাই ছিল প্রথম সাক্ষাত।
* ১৯৩৮ সালের মার্চ এপ্রিল মাসে গোপালগঞ্জে হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ দেখা দেয়। শেখ মুজিবুর রহমানের সহপাঠী আবদুল মালেককে হিন্দু মহাসভা সভাপতি সুরেন ব্যানার্জির বাড়িতে নিয়ে মারপিট করেছে। শেখ মুজিব তার দলীয় ছাত্রদের নিয়ে মালেকেকে উদ্ধার করতে যায়। রমাপদ শেখ মুজিবকে দেখে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে যায়। শেখ মুজিব পাল্টা আঘাট করে রমাপদের মাথা ফাটিয়ে দেন এবং মালেককে কেড়ে নিয়ে চলে আসেন। রাতে কংগ্রেস নেতারা খন্দকার শামসুল হক মোক্তার শেখ মুজিব, মালেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে, তাদের সকলকে জিজ্ঞাসা করে থানায় এবং পরে জেলে পাঠিয়ে দেয়। দুই পক্ষ আলোচনান্তে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়- ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পনেরশ টাকা, দশদিনের মধ্যে সকলে জামিন পায়, “এই আমার জীবনে প্রথম জেল।”
* তিনি নবম শ্রেণির ছাত্র। স্কুলের শিক্ষক রসরঞ্জন সেনগুপ্তের বাসায় প্রাইভেট পড়তেন। একদিন তার বাসা থেকে ফেরার পথে দেখেন এক বালক খালি গায়ে শীতে কষ্ঠ পাচ্ছে। শেখ মুজিব নিজের শার্ট তাকে দিয়ে তিনি চাদর গায়ে বাসায় ফেরেন।
* ১৯৪২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে আইএ ক্লাসে ভর্তি হন। তিনি বেকার হোস্টেলে থাকতেন।
* তিনি গুরুসদয় দত্ত প্রবর্তিত ব্রতচারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি স্কুলে ছাত্র ও পাড়া-প্রতিবেশী ছেলেদের নিয়ে ব্রতচারী নাচ-গান করতেন। তাঁর কন্ঠে ধ্বতি হতো- “ও আমার বাংলাদেশের মাটি-তোমায় রাখব পরিপাটি”
* ১৯৪৮ সালের ৪ই জানুয়ারি ফজলুর হক মিলনায়তনে অধ্যাপক নজরুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান উক্ত প্রদশেরে অন্যতম প্রধান ছাত্রনতোয় পরণিত হন।


* ১৯৪৯ সালে ২৪ এপ্রিল তৎকালীন সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে সরকার বিরোধী বলে গ্রেফতার করে এবং ২৭ জুলাইয়ের পূর্বে মুক্তি দেয়।
* ১৯৫৩ সালে শখে মুজবি র্পূব পাকস্তিান আওয়ামী মুসলমি লীগরে সাধারণ সম্পাদক নর্বিাচতি হন এবং ১৯৬৬ সাল র্পযন্ত এ পদে বহাল ছলিনে।
* ১৯৬৬ সালইে তনিি দলরে সভাপতি হন।
* দলকে র্ধমনরিপক্ষে চরত্রি দওেয়ার জন্য ১৯৫৫ সালে মুজবিরে উদ্যোগে দলরে নাম হতে ‘মুসলমি’ শব্দটি বাদ দওেয়া হয়।
* ১৯৪৭ সালরে পর রাজনীততিে তাঁর যে র্ধমনরিপক্ষে দৃষ্টভিঙ্গরি উন্মষে ঘটছেলি।
* ১৯৪৯ সালের ১১ অক্টোবর আরমানিটোলায় জনসভার পর মাওলানা ভাসানী, শামসুল হক ও শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের হলে নাজিরা বাজারে পুলিশ মিছিলে আক্রমণ করে। পরবর্তীতে দিল্লি হয়ে খুলনা থেকে ঢাকা আসেন এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা জেলে পাঠিয়ে দেয়।


* ১৯৫০ সালের ১৯ ডিসেম্বর তাকে ফরিদপুর জেল থেকে খুলনা জেলে প্রেরণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেয়। তাকে হয়রানি, নির্যাতন ও মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য খুলনা ও ফরিদপুর জেল থেকে একাধিকবার গোপালগঞ্জ জেলে পাঠানো হয়।
* ১৯৫১ সালের ৩০ আগস্ট তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়।
* ১৯৫২ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয় এবং ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানকে সরকার বিনা শর্তে মুক্তি দেয়।
* ১৯৪৮ সনরে ফব্রেুয়ারি ২৩ তারখিে পাকস্তিানরে প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজমিউদ্দনি গণ-পরষিদরে অধবিশেনে বলনে য,ে র্উদূই হবে পাকস্তিানরে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তার এই মন্তব্যে সমগ্র র্পূব পাকস্তিনে বরিূপ প্রতক্রিযি়ার সৃষ্টি হয়।
* ১৯৪৮ সনরে ২ র্মাচে ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে ফজলুল হক হলে বভিন্নি রাজনতৈকি দলরে নতেৃবৃন্দকে নযি়ে একটি সম্মলেন অনুষ্ঠতি হয়। এই সম্মলেনে মুসলমি লীগরে বরিুদ্ধে আন্দোলনরে নীতমিালা নযি়ে আলোচনা করা হয় যাতে শখে মুজবি একটি প্রস্তাব পশে করছেলিনে।
* এই পরষিদরে আহ্বানে ১১ র্মাচ ১৯৪৮ তারখিে ঢাকায় র্ধমঘট পালতি হয়। র্ধমঘট পালনকালে শখে মুজবিসহ আরও কয়কেজন রাজনতৈকি র্কমীকে সচবিালয় ভবনরে সামনে থকেে গ্রফেতার করা হয়।
* ছাত্রসমাজরে তীব্র প্রতবিাদরে মুখে ১৫ র্মাচ শখে মুজবি এবং অন্য ছাত্র নতোদরেকে মুক্তি দযে়া হয়।
* ১১ সপ্টেম্বের ১৯৪৮ তারখিে তাকে পুনরায় আটক করা হয়।
* ১৯৪৯ খ্রস্টিাব্দরে ২১ জানুয়ারি শখে মুজবিকে জলে থকেে মুক্তি দযে়া হয়।


* ২৩ জুন সোহরাওযর়্াদী এবং মাওলানা ভাসানী র্পূব পাকস্তিান আওয়ামী মুসলমি লীগ গঠন করার পর শখে মুজবি মুসলমি লীগ ছডে়ে দযি়ে এই নতুন দলে যোগ দনে।
* ১৯৫০ খ্রস্টিাব্দরে জানুয়ারি মাসরে প্রথমদকিে পাকস্তিানরে প্রধানমন্ত্রী লযি়াকত আলি খানরে র্পূব পাকস্তিান আগমনকে উপলক্ষ করে আওয়ামী মুসলমি লীগ ঢাকায় র্দুভক্ষিবরিোধী মছিলি বরে কর।ে
* ১৯৫২ খ্রস্টিাব্দরে ২৬ জানুয়ারি খাজা নাজমিুদ্দনি ঘোষণা করনে, র্উদুই পাকস্তিানরে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হব।ে
* ২১ ফব্রেুয়ারকিে রাষ্ট্রভাষার দাবী আদায়রে দবিস হসিবেে পালন করার সদ্ধিান্ত নযে়া হয়। একই সময়ে শখে মুজবি জলেে থকেে ১৪ ফব্রেুয়ারি থকেে অনশন পালনরে সদ্ধিান্ত ননে। তার এই অনশন ১৩ দনি র্কাযকর ছলি। ২৬ ফব্রেুয়ারি তাকে জলে থকেে মুক্তি দযে়া হয়।


* ১৯৫৩ খ্রস্টিাব্দরে ৯ জুলাই তনিি র্পূব পাকস্তিান আওয়ামী লীগরে কাউন্সলি অধবিশেনরে শষেে দলরে সক্রেটোরী জনোরলে (মহাসচবি) নর্বিাচতি হন।


* ১৯৫৫ সালরে ৫ জুন শখে মুজবি আইন পরষিদরে সদস্য মনোনীত হন। ১৭ জুন আওয়ামী লীগ পল্টন ময়দানে আয়োজতি এক সম্মলেনে ২১ দফা দাবী পশে করে যার মধ্যে র্পূব পাকস্তিানরে স্বায়ত্তশাসন অর্ন্তভুক্ত ছলি।
* ২১ অক্টোবর বাংলাদশে আওয়ামী মুসলমি লীগরে বশিষে অধবিশেনে র্সবসম্মতক্রিমে দলরে নাম থকেে “মুসলমি” শব্দটি বাদ দযে়া হয়। শখে মুজবি পুনরায় দলরে মহাসচবি নর্বিাচতি হন।
* তনিি দলরে জন্য সর্ম্পূণ সময় ব্যয় করার তাগদিে ১৯৫৭ সালে ৩০ মে মন্ত্রীপরষিদ থকেে পদত্যাগ করনে।
* ১৯৬২ সালরে ৬ ফব্রেয়ারি জননরিাপত্তা আইনে তাকে আবার আটক করা হয়ছেলি। জুনরে ২ তারখিে চার বছরব্যাপী র্মাশাল ল অপসারণরে পর একই মাসরে ১৮ তারখিে তাকে মুক্তি দযে়া হয়। ১৯৬৩ সালে সোহরাওযর়্াদীর সাথে আলোচনার উদ্দশ্যেে লন্ডন যান, সোহরাওযর়্াদী সখোনে চকিৎিসারত ছলিনে।
* ১৯৬৩ সালে ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন শেখ মুজিবুর রহমান ।
* ১৯৬৫ সালের ২১ মার্চ জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৯৬৬ সালের ২০ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানকে সভাপতি করে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
*১৯৬৬ সালের ৬ মে জনসভা শেষে গ্রেফতার হন ও ৭ জুন পূর্ব পাকিস্তানে সকল বন্দীর মুক্তির দাবিতে হরতাল পালিত হয়।
* ১৯৬৬ সালের মার্চ মাসরে এক তারখিে শখে মুজবি আওয়ামী লীগরে সভাপতি নর্বিাচতি হন। এই নর্বিাচনরে পর তনিি ছয় দফার পক্ষে সর্মথন আদায়রে লক্ষ্যে দশেব্যাপী অভযিান পরচিালনা করনে।
* এই বছররে মে ৮ তারখিে নারায়ণগঞ্জে পাট কারখানার শ্রমকিদরে এক র‍্যালতিে অংশগ্রহণরে জন্য তাকে আবার গ্রফেতার করা
* সনোবাহনিী র্কতৃক আটক হয়ে জলেে দুই বছর থাকার পর ১৯৬৮ সালরে প্রথমদকিে পাকস্তিান সরকার শখে মুজবি এবং আরও ৩৪ জন বাঙালি সামরকি ও সএিসপি র্কমর্কতার বরিুদ্ধে একটি মামলা দায়রে করে যা ইতহিাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে সুপরচিতি।
* ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা মামলা থেকে শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকলে মুক্তি লাভ করে।
* ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ বাঙালি জাতির পক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে রেসকোর্স ময়দানে “বঙ্গবন্ধু” উপাধিতে ভূষিত করেন।
* বচিারর্কায চলাকালীন সময়ে ১৯৬৯ সালরে জানুয়ারি ৫ তারখিে কন্দ্রেীয় ছাত্র সংগ্রাম পরষিদ তাদরে এগার দফা দাবী পশে করে যার মধ্যে শখে মুজবিরে ছয় দফার সবগুলোই দফাই অর্ন্তভুক্ত ছলি।

* এই গণ আন্দোলন ঊনসত্তররে গণঅভ্যুত্থান নামে পরচিতি। মাসব্যাপী প্রতবিাদ ও প্রতরিোধ আন্দোলন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, কারফউি, পুলশিরে গুলর্বিষণ এবং বশে কছিু হতাহতরে পর আন্দোলন চরম রূপ ধারণ করলে পাকস্তিান সরকার ছাড় দতিে বাধ্য হয়।
* তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান রাজনতৈকি নতোদরে সাথে এক গোলটবেলি বঠৈকরে পর এই মামলা প্রত্যাহার করে ননে। এর সাথে শখে মুজবিসহ অভযিুক্ত সকলকে মুক্তি দযে়া হয়।
* ১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানরে আহ্বানে অনুষ্ঠতি একটি র্সবদলীয় সম্মলেনে মুজবি তাঁর ছয়-দফাসহ অন্যান্য রাজনতৈকি দলরে চাহদিাগুলো মনেে নওেয়ার আহ্বান জানান এবং তা প্রত্যাখ্যাত হলে সম্মলেন থকেে বরে হয়ে আসনে।
* ১৯৬৯ সালরে ৫ ডসিম্বের সোহরাওযর়্াদীর মৃত্যুর্বাষকিী উপলক্ষে আয়োজতি এক জনসভায় মুজবি ঘোষণা করনে যে এখন থকেে র্পূব পাকস্তিানকে “বাংলাদশে” নামে অভহিতি করা হবে
* শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে বলেন পূর্ব পাকিস্তানের নাম হবে বাংলাদেশ।
* ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রমনা রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। বঙ্গবন্ধু ২ টায় ভাষণ দেওয়ার কথা থাকলে ২ টা ৪৫ মিনিটে রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেওয়ার জন্য উপস্থিত হন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের হাতে যা কিছু আছে তই নিয়েই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” এভাবে সোচ্চার কন্ঠে তিনি বাঙালি জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন।


* ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে একদল কমান্ডো বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাসভবন ঘিরে ফেলে। তারা গোলাগুলি শুরু করে। লে. কর্ণেল জেড এ খান এবং কোম্পানি কমান্ডার মেজর বেলালের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে অভিযান চলে।
* কমান্ডোরা তাকে রাত ১.৩০ মিনিটে জীপে তুলে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে চলে যায়। রাতে তাকে ক্যান্টনমেন্টে আদমজী স্কুলে আটক রাখে।
* তিন দিন পর বঙ্গবন্ধুকে বিমানে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে পাঞ্জাবের মিয়ানওয়ালি জেলে বন্দী করে রাখা হয়।
* ২৬ মার্চ ১৯৭১ স্বাধীনতা ঘোষণা বঙ্গবন্ধু টেলিফোনে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহম্মেদ চৌধুরীর স্ত্রী ড. নুরুন্নাহারের নিকট জানিয়ে দেন।
* বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা বার্তাটি প্রচারের জন্য চট্টগ্রাম আওয়ামী নেতা এম এ হান্নান চট্টগ্রাম বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ২৬ মার্চ সকালে কালুঘাটে ট্রান্সমিশনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।


* ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সকালে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে ভারতের প্রেসিডেন্ট ভিপি গিরি ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন।


* বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১১ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

* বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা:
১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ পিও ১৬ আদেশে সকল ব্যাংক জাতীয়করণ করে ৬টি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা: প্রধানমন্ত্রী ১৯৭২ সালের ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্লানিং কমিশন গঠন করেন। যার চেয়ারম্যান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
শিক্ষানীতি: ১৯৭৪: ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই ড. মুহম্মদ কুদরত-এ-খুদাকে সভাপতি করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষা কমিশন গঠন করে।
 কমিশনের অগ্রাধিকার বিষয়:
১। শিক্ষার সর্বস্তরে জাতীয়করণ, মূলনীতি চতুষ্টয়ের সার্থক প্রতিফলন সুনিশ্চিত করা।
২। সর্বস্তরে বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যম রূপে ব্যবহার করা।
প্রথমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ: সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করে শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণ এবং বেতন বৃদ্ধি করে।
 বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা আইন: বিশ্ববিদ্যালয়ের কালাকানুন বাতিল করে ১৯৭৩ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়।
ফারাক্কা বাঁধ ও গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি: ভারত সরকার গঙ্গা নদীতে ১৯৭৫ সালে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ সমাপ্ত করে। ১৯৭৫ সালের ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সশস্ত্র বাহিনী: সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ণ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর চিন্তার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য তিনি কমান্ড কনসেপ্ট ধারণার প্রচলন করেন।



* ১৯৭২ সালের অক্টোবর মাসে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে শান্তি পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত হয় ১৪০ টি দেশের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
* বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব ও কূটনীতির কারণে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশের সদস্য পদ গ্রহণ করে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য
নির্বাচিত হয়।
* ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে যোগ দেন। তিনি প্রথম বাংলা ভাষায় জাতিসংঘে ভাষণ দেন।



* ১৯৭৫ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠন করেন। তিনি বাকশালের ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী এবং ১১৫ জন সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেন।
* ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট রাতে মেজর ফারুক এবং মেজর রশীদ প্রথম বেঙ্গল ল্যান্সার এবং দ্বিতীয় ফিল্ড আর্টিলারি ঢাকা সেনানিবাস থেকে বহর নিয়ে যায়।



* মেজর নুর চৌধুরী, মেজর বজলুল হুদা ও মেজর মহিউদ্দিন একদল ল্যান্সার সৈন্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে সকাল ৫.১৫ মিনিটে পৌঁছে। পাষ- মেজর নুর চৌধুরী তার স্টেনগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গুলিবর্ষণ করে। গুলি তাঁর ডান পাশে গর্ত করে বেরিয়ে যায়। গুলিতে তাঁর সমগ্র শরীর ঝাঁঝরা হয়ে যায়। বাঙালি জাতির মহান নেতার করুন মৃত্যু হলো।
* ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারে যারা নিহত হয়েছে



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বেগম ফজিলাতুন্নেসা- স্ত্রী
শেখ নাসের- ভাই
শেখ কামাল- জ্যেষ্ঠ পুত্র
শেখ জামাল-দ্বিতীয় পুত্র
শেখ রাসেল- কনিষ্ঠ পুত্র
সুলতানা কামাল- কামালের স্ত্রী
রোজী জামাল- জামালের স্ত্রী
আবদুর রব সেরনিয়াবাত- মন্ত্রী, ভগ্নিপতি
শেখ ফজলুল হক মনি- ভাগ্নে
আরজু মনি- শেখ মনির স্ত্রী
নুরুন্নেসা বেবী- সেরনিয়াবাতের কন্যা
আরিফ- সেরনিয়াবাতের পুত্র
কর্ণেল জামিল উদ্দিন আহমদ
সুকান্ত বাবু- সেরনিয়াবাতের নাতি
শহীদ সেরনিয়াবাত- মন্ত্রী আবদুর রব এর
ভ্রাতুষ্পুত্র।
আবু নাঈম রেন্টু-আতœীয়। বরিশাল অপসোনিনের
মালিক ক্যাপ্টেন সবুরের কনিষ্ঠ ভ্রাতা।



* বাঙালি জাতির আত্যপ্রকাশ রাজা শশাঙ্কার আমল থেকে শুরু হয়।কিনÍু তারা এ সংগ্রামে সফল হতে পারেননি । কারন তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে স¦াধীন রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা করতে ব্যার্থ হন।
* অত্মপতিষ্ঠার সংগ্রাম শশাংক থেকে পলাশী, পলাশী থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত চলে। জাতি হিসাবে আত্মপ্রকাশের সংগ্রামে আমাদের মহান নেতা আবুল কাশে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানী ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন।
* শেরে বাংলা বাঙালিদের শিক্ষা আলো ঘরে ঘরে পৌছে দিয়ে জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটান, সামাজিক-অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ভূমি সংস্কার করেন। তিনি একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৪০ সালে লাহোরে প্রস্তাবের মাধ্যমে পূর্বাঞ্চলে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রস্তাব পেশ করেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৪৭ সালে স্বাধীন বৃহত্তর বাংলাদেশ দাবি করেন।
* ১৯৫৪ সালে ২১ দফার ভিত্তিতে নির্বাচনের মাধ্যমে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানী বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন। বাংলা ভাষা রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
* আওয়ামী লীগের ৬ দফার আন্দোলন ছিল মূলত বাঙালি জাতির স্বাধীনতার দাবি। বাংলার স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বাংলার একদল দামাল ছেলে সেনাবাহিনীর মধ্যে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স গঠন করে।
* ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ততা পূর্ব বাংলার ঘটনাপ্রবাহ একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে একটি সুষ্ঠু পরিণতির পথে এমনভাবে অগ্রসর হয়েছে, তার যদি ইতিহাস লেখা হয় তবে যে মাহানায়ককে পাওয়া যায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
* অনেক কবি, সাহিত্যিক, নেতার অবদানেও বাংলাদেশ গৌরবময়। বাংলার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, কাজী নজরুল ইসলাম , এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা ভাসানী বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন।কিন্তু এ দেশ যার অবদানে জন্মলাভ করেছে তিনি বঙ্গবন্ধু। তার সাথে কারো তুলনা হয় না। তাই তাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বলা হয়

SUMMARY

2113-1.jpg