গণহত্যা দিবস ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি


আহমেদ আমিনুল ইসলাম

৩০ লাখ মানুষের প্রাণ বিসর্জনের ইতিহাসকে, বাংলাদেশে পরিচালিত পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার বিষয়টি ইতিহাস বড় করে দেখে না। এটি একটি ভারসাম্যহীন বিবেচনা। এই বিবেচনা থেকে মুক্তির জন্য গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জরুরি। আবার ৯ ডিসেম্বর যেহেতু ঐতিহাসিকভাবে কোনো দেশের গণহত্যাকে সামনে রেখে নির্ধারিত নয় তাই আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস নিয়ে নতুন করে ভাবা যেতে পারে।

জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করে। সে হিসেবে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় এক ধরনের জটিলতা আছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কোনো রকমের সতর্ক সংকেত না দিয়ে রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে নিধনযজ্ঞ চালায় তার মতো ভয়াবহ ঘটনা মানব ইতিহাসে বিরল। সে জন্য ২৫ মার্চ সংঘটিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার ভিন্ন আঙ্গিকে হলেও একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রয়োজন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি অর্জনের চেষ্টা করছে বিগত ২০১৫ সাল থেকে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে সক্রিয় থাকা এবং বিষয়টিকে সব সময় আলোচনায় রাখা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে আমাদের অর্জিত বিজয়কেই ইতিহাস সবচেয়ে বড় করে দেখে, ৩০ লাখ মানুষের প্রাণ বিসর্জনের ইতিহাসকে, বাংলাদেশে পরিচালিত পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার বিষয়টি ইতিহাস বড় করে দেখে না। এটি একটি ভারসাম্যহীন বিবেচনা। এই বিবেচনা থেকে মুক্তির জন্য গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জরুরি। আবার ৯ ডিসেম্বর যেহেতু ঐতিহাসিকভাবে কোনো দেশের গণহত্যাকে সামনে রেখে নির্ধারিত নয় তাই আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস নিয়ে নতুন করে ভাবা যেতে পারে।

মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির জীবনের এক অনন্য অধ্যায়। এ বছর নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করে। এ অর্জনের কথা যতটা সহজ করে বলা যায় ঠিক ততটা সহজে অর্জিত হয়নি। পাকিস্তানি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ৩০ লাখ বাঙালিকে শহীদ হতে হয়েছিল, সম্ভ্রম হারাতে হয়েছিল আড়াই লাখ নারীকে। অর্থাৎ অগণিত মুক্তিযোদ্ধার সশস্ত্র সংগ্রাম, ৩০ লাখ মানুষের জীবন ও আড়াই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। কিন্তু এই স্বাধীনতা বাঙালির জীবনে হঠাৎ করে আসেনি। এসেছে দীর্ঘদিনের আন্দোলন, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন একজন ভবিষ্যৎবাদী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে। স্বপ্ন দেখানোর পর তৃণমূল পর্যায় থেকে সব মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন স্বাধীনতা ও মুক্তির আনন্দ-আস্বাদের কথা। গ্রাম-গঞ্জ-শহর-নগরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর চেতনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন বাঙালির জীবনের নানা ঘটনা পরম্পরার মধ্য দিয়ে। সাধারণ এক রাজনৈতিক ‘কর্মী’র জীবন থেকে সমগ্র জাতির দিকনির্দেশক ‘নেতা’ হয়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু সার্বিক মুক্তির আকাক্সক্ষায় এ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মিশেছেন- চেতনার বিনিময় ও বিনির্মাণ ঘটানোর মাধ্যমে মানুষের ভেতরকার স্বপ্ন প্রকাশ্যে সাহসও জুগিয়েছেন নিরন্তর। অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এ দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করছেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর উদাত্ত আহ্বানে মানুষ শুধু উজ্জীবিতই হয়নি- বঙ্গবন্ধুকে দেশবাসী বিশ্বস্ত ও আস্থাশীল এক কাণ্ডারিরূপেও গ্রহণ করেছিল, মেনে নিয়েছিল নির্ভরযোগ্য এবং অবিসংবাদী এক ও অনন্য নেতা হিসেবে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সাল থেকেই পাকিস্তানিরা এ দেশের মানুষকে বুঝিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানিরা শাসক আর বাঙালিরা শোষিত, পাকিস্তানিরা প্রভু আর বাঙালিরা প্রজা। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আগে উভয় পাকিস্তানের মুসলমান-মুসলমানে যে ‘ভ্রাতৃত্ব বন্ধন’-এর কথা উচ্চারিত হয়েছিল তা যে কেবলই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থের বুলিমাত্র ছিল তাও মানুষ বুঝেছিল। এ দেশের মানুষের সঙ্গে পাকিস্তানি শাসকরা যে আচরণ করেছিল তাতে যে মোটেই ‘ভ্রাতৃত্বের বন্ধন’ ছিল না বিভিন্ন ঘটনা পরম্পরায় বাঙালিরা তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছিল। তাই সব শেষে বঙ্গবন্ধুর চূড়ান্ত আহ্বানের মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীন জাতিসত্তার একটি সফল পরিণতি লাভ করে। শত শত বর্ষের শাসন, শোষণ, বঞ্চনা ও নিপীড়নের বিপরীতে বাঙালির আশা আকাক্সক্ষা ও স্বপ্ন একটি সার্বভৌম ভিত্তি অর্জন করে।

বাঙালির স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা পূরণের অভিযাত্রা সহজ ছিল না। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর থেকেই পাকিস্তানি শাসকদের নানা টালবাহানা সত্ত্বেও ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম আক্রমণটি তারা বাঙালির ওপর অতর্কিতে পরিচালনা করবে এমন ধারণা অনেকেরই ছিল না। শুরুতেই তারা বাঙালির মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য রাতের অন্ধকারে আক্রমণ করে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এরূপ জঘন্য হত্যাকাণ্ড আর কোথাও সংঘটিত হয়নি। পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে সমূলে নিশ্চিহ্ন করার জন্যই রাতের অন্ধকারে নির্বিচার গণহত্যা শুরু করেছিল। গণহত্যার মানেই হলো একটি জাতি, জাতিগোষ্ঠী বা সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করা। ১৯৪৮ সালে গৃহীত জাতিসংঘের ‘কনভেনশন অন প্রিভেনশন এন্ড পানিশমেন্ট অব দ্য ক্রাইম অব জেনোসাইড’-এ গণহত্যার পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা আছে। এক. কোনো গোষ্ঠীর মানুষকে হত্যা, দুই. তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম ক্ষতিসাধন, তিন. জীবনমানের প্রতি আঘাত ও শারীরিক ক্ষতি ক্ষতিসাধন, চার. জন্মদান বাধাগ্রস্ত করা এবং পাঁচ. শিশুদের অন্য গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেয়া। এই পাঁচটি উপাদানের যে কোনো একটি থাকলেই কোনো ঘটনা গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত হবে।

প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন ডাকা ও আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণের অন্তরালে শাসকরা বাঙালি নিধনের যে দীর্ঘ পাঁয়তারা করে আসছিল তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে। ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর সাংবাদিক সিডনি শনবার্গ ২৫ মার্চ ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান করছিলেন। পাকিস্তানি শাসকরা ২৭ মার্চ যে ৩৫ জন বিদেশি সাংবাদিককে বহিষ্কার করে সিডনি ছিলেন তাদেরই একজন। ২৫ মার্চের ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি তার রিপোর্টে লিখেছিলেন : ‘৭৫ মিলিয়ন মানুষের পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন ধ্বংস করার জন্য নিরস্ত্র সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী কামান ও ভারী মেশিনগান ব্যবহার করছে। [..] কোনো সতর্কীকরণ ছাড়াই বৃহস্পতিবার রাতে আক্রমণ শুরু করে। পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যরা, সেনাবাহিনীতে রয়েছে যাদের সংখ্যাধিক্য, প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকার রাস্তায় নেমে আসে বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন শক্ত ঘাঁটি অবরোধের উদ্দেশ্যে। [..] বিদেশি সাংবাদিকরা সবাই অবস্থান করছিলেন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। কী ঘটছে বুঝার জন্য বাইরে যেতে চাইলে ব্যাপকভাবে মোতায়েন সেনা প্রহরীরা তাদের জোর করে ভেতরে ঠেলে দেয় এবং বলে ভবনের বাইরে পা বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাদেরও গুলি করা হবে।’ ২৫ মার্চের সেই রাতটি চির-জীবনের জন্য পাকিস্তানিরা বাঙালির কাছে বিভীষিকাময় করে তুলেছিল। নির্বিচারে তারা হাজার হাজার মানুষ হত্যাসহ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করে পাকিস্তানের কারাগারে নিক্ষেপ করে।

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য জরুরি। এই স্বীকৃতি অর্জন প্রচেষ্টায় বিলম্ব ঘটে গেছে। এর পেছনকার অন্যতম কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে পাকিস্তানি ভাবধারার শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন এবং রাজনৈতিক মেরুকরণে পাকিস্তানপন্থিদের সাঙ্গীকরণ। উপরন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে পরাজিত শক্তির আদর্শিক উত্থান, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং শাসনকার্যে অংশগ্রহণ। ফলে, আগস্ট-উত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুষঙ্গী কর্মকাণ্ড পরিচালনা ছিল দুরূহ বিষয়। আবার এ সময়ই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব। তাই যুদ্ধাপরাধের বিচারসহ ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে ব্যাপক গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের বিষয়টি সাধারণের চোখের আড়ালে পড়ে যায়। সেনা ও সেনা-নিয়ন্ত্রিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে সংবিধান ছিন্নভিন্ন করে বিকৃত ইতিহাসের ধারা প্রবর্তনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে নিশ্চিহ্ন করা হয়। সেরকম প্রেক্ষাপটে গণহত্যা বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গটি আরো অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ ছাড়াও হতাশার বিষয় হলো পরবর্তী সময়ে কূটনৈতিক অবহেলা ও অপরিপক্বতার কারণে ২৫ মার্চের পরিবর্তে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতিসংঘে স্বীকৃতি লাভ করে। উল্লেখ্য, এ বিষয়ে বাংলাদেশও ভোট প্রদান করে।

২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর নামে যে গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানিরা তার দায়ে অভিযুক্তদের শনাক্ত ও অভিযোগপত্র গঠনে দৃশ্যমান উদ্যোগ আমরা প্রত্যক্ষ করিনি। এটি করতে হলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের সমর্থন প্রয়োজন। এ জন্য বাংলাদেশের কৌশলপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতর সক্রিয়তা জরুরি। সবাই স্বীকার করেন, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি অর্জন করতে হবে। সমগ্র বিশ্ব জানে ২৫ মার্চ কালরাত্রির কথা। কী ভয়ঙ্কর ও অমানবিক রাত ছিল ২৫ মার্চ! ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশ ২৫ মার্চ রাত্রিতে যে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে পার করেছে মানব ইতিহাসে সেরকম ঘটনার নজির নেই। সে রাতে ঢাকা শহরে কারফিউ জারি করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কয়েকটি সুসজ্জিত দল ঢাকার রাস্তায় নেমে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করেছে ১৮ নম্বর পাঞ্জাব, ২২ নম্বর বেলুচ, ৩২ নম্বর পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এদের অস্ত্র ছিল ট্যাংক, স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, রকেট লঞ্চার, ভারী মর্টার, হালকা মেশিনগান প্রভৃতি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রেজিমেন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর ঢাকার সর্বত্র ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। হত্যা করে নারী-পুরুষ-শিশু-আবালবৃদ্ধবনিতা। সারি সারি লাশ আর রক্তের প্রবল ধারায় বাংলাদেশ পৃথিবীর জঘন্যতম এক গণহত্যার সাক্ষী হয়ে থাকে। পাকিস্তানিরা বাঙালির অস্তিত্ব নির্মূলের যে পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের জন্য ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরিচালনা করেছিল তা ছিল শাণিত চেতনাসমৃদ্ধ বাঙালি জাতীয়তাবাদের আদর্শপুষ্ট একটি অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তার বিনাশ-প্রক্রিয়া। সুতরাং জাতিসংঘ কনভেনশন অনুযায়ী এটি স্পষ্টই গণহত্যা। আবার ৯ ডিসেম্বর দিন যেহেতু ঐতিহাসিকভাবে কোনো গণহত্যার সাক্ষীও নয় তাই সবদিক বিবেচনা করে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালনের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে পারে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন তুখোড় কূটনৈতিক তৎপরতা।

আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

SUMMARY

210-1.jpg