বিশ্ব শিক্ষক দিবসে মনে পড়ছে বঙ্গবন্ধুকে


এসএম ফারুক আহমেদ  
আজ ৫অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। আজ বেশি করে মনে পড়ছে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি দেশ স্বাধীন করে জাতিকে শিক্ষিত করে তোলার জন্য প্রাথমিক শিক্ষাকে সরকারিকরণ করেছিলেন। জাতিকে শিক্ষিত করে তোলার জন্য এবং জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য এত বড় সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। 

যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল জাতিকে শিক্ষিত করে বাংলাদেশকে সোনার দেশে রূপান্তরিত করা।  বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব ভার গ্রহণের পর তিনিও ২৬ হাজারেরও বেশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করেছেন। এটাও শিক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধরণের অর্জন।

অনেকেই বলেছিলেন সমুদ্রের পানি তেল যদি হয়, তাহলেই কেবল সম্ভব। কিন্তু না বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেই অসম্ভবকেও সম্ভব করেছেন। আজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে। তাদের সংসারে অভাবের তাড়না নেই বললে চলে। 

অপরদিকে আমাদের দেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন প্রায় ৫লাখ শিক্ষক-কর্মচারী। তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন যে একেবারে ঘটেনি। সেটা আমি বলব না। তারা নতুন বেতন স্কেলে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। কিন্তু তাদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদের দেয়া হয়নি নতুন বেতন স্কেলের ৫ শতাংশ বর্ধিত অংশ, দেয়া হয়নি পূর্ণাঙ্গ ঈদের বোনাস, দেয়া হয়নি পূর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়ার অংশ। এমনকি দেয়া হয়নি বৈশাখী ভাতা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে, শহর ও গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের পার্থক্য নিরসনকল্পে ইতোমধ্যে প্রতি উপজেলায় একটি করে বেসরকারি স্কুল ও কলেজ সরকারিকরণ করা হয়েছে।


যার সুফল গ্রামাঞ্চলের গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে। আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবসে আমি প্রত্যাশা রাখছি, বর্তমান সরকারের আমলেই বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় কর্মরত প্রায় ৫লাখ শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় সঙ্গত দাবিসমূহ অচিরেই পূরণ হবে। 

লেখক : সহকারী শিক্ষক, নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
অভয়নগর, যশোর

SUMMARY

2098-1.gif