আজ থেকে ৯৫ বছর আগে কোন এক ভোরে– নাকি সন্ধ্যায়!
চন্দ্র সূর্যের বিচ্ছেদ বেলায় জন্মেছিল আমাদের পিতা!
সেই মহেন্দ্রক্ষনে আকাশে কি দেখা দিয়েছিল ধ্রবতারা?
নাকি সন্ধ্যাতারয় ঝলমলে আলোক বিচ্ছুরন –
অথবা
একটা ধুমকেতু আকাশের বুক বিদীর্ণ করে ছুটে গিয়েছিল এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে
যেতে যেতে একটুকরো আলোক ফেলেছিল আমাদের ই জন্মভুমিতে
আর তারই চ্ছটায় কৃষক মাতার গরভে জন্ম হয়েছিল আমাদের মুক্তির দুত!
হে বঙ্গবন্ধু হে পিতা–
তোমার কৈশোর, তোমার যৌবন আর মধ্যম সময় –
সবটুকু গিয়েছে অন্ধকার কারাবাসে-
মুক্তির আনন্দের চেয়ে বেশী উদ্দেলিত ছিলে জয় বাংলার হুংকারে—
শুধু তুমি একজন আর তাঁর পিছনে লক্ষ কোটি জনতা —
একটি হুংকার অথবা ঝাপিয়ে পড়বার আহবান –
“যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম”
কি অবলীলায় মৃত্যুর মিছিলে দলে দলে
ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক , মাঝি কামার কুমোর—
তোমার মন্ত্রে , তোমার নামে –
তুমি তখন হায়েনার ছুরির নিচে
নিরভিক দৃপ্ত শুধু একটাই জপ—
জয় বাংলা—
তারপর একদিন তোমার স্বাধীন সোনার বাংলা , তুমি এলে বিজয়ের বেশে —
কিন্তু হায়েনার লালসা তখনও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি —
যেঁ ভুমি তুমি জন্ম দিলে সেই ভুমিতেই তোমার তাজা রক্ত !
হে পিতা আজো এই ভুমি রক্তাক্ত নিত্যদিন–
তোমার ধরমনিরপেক্ষতার সোনার বাংলায় অবাধে মৌলবাদের আবাদ–
৭ কোটি বাঙ্গালী থেকে ১৬ কোটি জনতা-
শুধু তুমি নেই—