তুমি স্বাধীনতা নামক অমর কাব্যে উজ্জ্বল মহাকবি,
তুমি হাজার বছরের রাজনীতিতে অমিয় প্রতিচ্ছবি ।
তুমি এসেছো হৃদয়ে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে ফিরে,
তোমার ভালোবাসা জীবনের ঊর্ধ্বে সোনার বাংলা ঘিরে ।
তুমি দেখতে চাও নি বাংলার শ্যামল হৃদয়ে করুণ ধূপ,
ভালোবেসে গড়েছো তুমি ‘স্বাধীনতা’ কবিতায় বাংলার রূপ ।
সুখ ভুলে রাজপথে নির্ভীক সংগ্রামে ছিলে আন্দোলন চুমি,
সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা’র শূন্যতা বুঝতে দাও নি তুৃমি ।
মুক্তি সনদের স্বপ্ন ছিল আজন্ম, তোমার অদম্য চেতনায়,
শত নির্যাতনে সমর্পিত ছিল হৃদয় লক্ষ্যের প্রদীপ্ত আশায় ।
দেশপ্রেমিক ‘ভাসানী’ ‘মুজিবর’কে চিনে নিতে তুমি করো নি একচুলও ভুল,
তুমি ছিলে সবসময় অধিকারহীন জনতার অকূল ভরসার কূল ।
দেখেছি তোমায় সম্মোহনীর পরশপাথরে উজ্জীবিত বাংলায়,
আসীন বিমুগ্ধ জনতার বন্ধু থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’র উচ্চতায় ।
শত অত্যাচারে নুয়ে পড়োনি, হে চির উদ্যমী মহাকবি,
বাংলার আকাশে এসেছো তুমি হয়ে উদীয়মান রবি ।
মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরেছো অটল হিমাদ্রি বারংবার,
ফিরিয়ে এনেছো স্বাধীনতা, স্বপ্ন সোপান অধিকার ।
তুমি আসো মূর্ছিত অধিকারে, পুনর্জন্মের চেতনায় নির্ভুল,
ঊর্ধ্বমুখী বাহুতে, উঁচু তর্জনীতে, স্বপ্নের দোলায় দোদুল ।
বিদ্রোহ-শ্লোগানে মুখরিত ঐতিহাসিক চরিত্রে বরেণ্য তুমি,
শত ইতিহাস মন্থনে; সংগ্রামে তোমার হাত ধরে মুক্ত স্বদেশ ভূমি ।
হাজার বছরের দিশেহারা বাঙালি নতুন জীবন পেলো,
এ যেন মহাকালের মহাকবি ‘বঙ্গবন্ধু’ নক্ষত্র রূপে এলো ।