তুমি বঙ্গবন্ধু তুমি বঙ্গবীর! মোহাম্মদ নাঈম হাসান৷


তুমি অগণন মানুষের নয়নের মণি ! তুমি বঙ্গবন্দু ! তুমি বঙ্গবীর ! তুমি সাহসী , তুমি রণবীর৷ তুমি- ই বঙ্গবীর! তুমি শান্তিপ্রিয় , তুমি উদারমনা , চির উন্নত তোমার শির৷ তুমি ছিলে ন্যায়পরায়ণ ও দানবীর! তুমি-ই বঙ্গবীর৷ ১৭ মার্চ ১৯২০ ইংরাজী সনে , জনবন্ধু হয়ে , টুঙ্গিপাড়ার শেখ বংশে জন্ম তোমার৷ ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ ইংরাজী সনে , সকল স্বপ্ন তোমার , ভেঙে হলো চুরমার৷ গোটা বাঙালী জাতি হলো ত্রাস৷ শোকাগ্নিতে পুরো বাঙালী জাতি হলো হতাশ , হলো উচাটন ! বাংলার আকাশ হলো অমানিশা আঁধার৷ এই বাংলার মাটি ও মানুষের জন্য তুমি সহ্য করেছো , স্বৈর- শাসকদের বিচিত্র অত্যাচার৷ তোমাকে সহ্য করতে পারেনি স্বৈরচারগণ , তাই ওরা তোমাকে নিয়ে খেলল রক্তের হোলি! ন্যায় – সমরে তোমাকে হতে হলো অসময়ে বলি ৷

নির্মম পীড়নে ওরা তোমাকে করেছে শহীদ৷ বাংলার বুকে অসময়ে নেমে এলো জাতীয় শোকগীত ৷ একাত্তরের ঘাতকদের রক্ষা নাই৷ আমরা ওদের সবার ফাঁসি চাই – ই -চাই ৷ দীর্ঘ ৫৪ বছরের জীবদ্দশায় একটি যুগ তুমি করেছো কারাবাস৷ তুমি ছিলে বীর লড়াকু সৈনিক, তুমি অসংযমী , অন্যায়ের কাছে কভু করনি আপোষ ৷ তুমি ছিলে আপোশহীন ও নিয়মতান্ত্রিক! তুমি ছিলে গণতান্ত্রিক! তুমি ছিলে সমাজতান্ত্রিক! তুমি করেছো আজীবন , শান্তির আন্দোলন৷ বারংবার বলেছো, আমরা যুদ্ধ চাইনা, শান্তি চাই , এই ছিলো তোমার স্লোগান৷ তুমি ছিলে বাঙালী জাতির জনক! তুমি ছিলে শান্তির প্রতীক! তুমি ছিলে পথপ্রদর্শক! গোটা বাঙালী জাতিকে তুমি আজীবন দিয়েছো, সঠিক পথের দিশা৷ তুমি ছিলে গোটা বাঙালীর স্বপ্ন, শান্তি ছড়ানো এক স্বপ্নিল আশা ৷

২৬ শে মার্চের রেসকোর্স ময়দানের সেই স্বাধীনতার ভাষণ , আজও কোটি তরুণ – তরুণীদের হৃদয় , প্রবর্তনা জাগায় ৷ আজও বিজনে , যখনই বসি ধ্যানে৷ তখনই স্ব-কর্ণে শুনি, ২৬ শে মার্চের সেই স্বাধীনতার বিপ্লবী ধ্বনি৷ সত্যি-সত্যিই তুমি অদম্য, তুমি সাহসী, তুমিই বঙ্গবীর! বাবা হয়ে ধন্য শেখ লুৎফর রহমান৷ মা হয়ে ধন্য সায়েরা খাতুন৷ তুমি পরাধীন বাঙালী জাতির মুক্তিদাতা৷ ধন্য তুমি , ধন্য তোমার পুরো পরিবার , ধন্য তোমার পিতা-মাতা৷ টুঙ্গিপাড়ার সেই খোকা থেকে তুমি আজ বঙ্গবন্ধু৷ রাজনীতিতে রেখে গেলে তুমি , আজীবন স্মরণীয় অবদান ৷ প্রতিপদে তোমার পদাঙ্ক আওয়ামীলীগ করছে অনুসরণ৷ তোমার দেখানো পথে হেঁটেই আওয়ামীলীগ হলো জনবন্ধু ৷ ১৯৪৭ সালের ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা করেই জনসেবায় তুমি, দিলে উদারমন ৷ ১৯৪৮ সালে এসে ছাত্রলীগ করলে গঠন ৷

১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন মুসলিমলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদের সম্মান , তুমি করলে অর্জন ৷ ১৯৫২ তে এসে করলে তুমি ভাষা আন্দোলন৷ ১৯৫৪ তে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রীসভায় তুমিই পেলে স্হান৷ ১৯৫৮ তে ফের করলে তুমি আইয়ুব খানের সামরিক আন্দোলন৷ বাষট্টিতে ফের করলে তুমি শিক্ষা আন্দোলন ৷ ১৯৬৬ সালের পাঁচ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক ছয়দফা ঘোষণার দিলে গর্জন৷ ১৯৬৯ সালে করলে গণ-অভ্যুত্থান ৷ অবশেষে কারামুক্ত হয়ে, বঙ্গবন্ধু চির-উপাধির পেলে সম্মান ৷ ১৯৭০ সালে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হলে, সেখানেও তোমার অবদান৷ পেলে তুমি মহাসম্মান ৷ একাত্তরের মার্চে করলে তুমি নজির-বিহীন অসহযোগ-আন্দোলন৷

৭- ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জনসমুদ্রের সামনে দিলে তুমি ঐতিহাসিক এক ভাষণ৷ এবারের সংগ্রাম , আমাদের মুক্তির সংগ্রাম৷ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷ লক্ষ জনতা হলো রণোদ্যত, গোটা বাঙালী জাতি হলো রণমত্ত৷ অবশেষে ২৬ শে মার্চ শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ ৷ পাক বাহিনীর সঙ্গে বাঙালী জাতির হলো লড়াই , হলো তুমুল যুদ্ধ ৷ দীর্ঘ ন’মাস পরে বাঙালী জাতি পেলো স্বাধীনতা৷ আজও গোটা বাঙালী স্বাধীন ভাষায়-ই বলছি সেই কথা৷ ১৯৭৫ সালের ১৫ -ই আগষ্ট , কালরাতে, স্বাধীনতা অর্জনের সাড়ে তিন বছরের মধ্য নিজ বাসভবনে , একাত্তরের ঘাতকের হাতে, তোমার হলো জীবনাবসান ৷

স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন , তোমার আর হলোনা পূরণ ৷ আল্লাহ্‌ তোমায় নসীব করুক বেহেশত্ দান ৷ তুমি স্বদেশ প্রেমিক ৷ তুমি রণসৈনিক ৷ তুমি জনবন্ধু ৷ তুমি বঙ্গবন্ধু৷ তুমি সাহসী তুমি- ই বঙ্গবীর৷ আজীবন স্বাধীন বাংলার তুমি শ্রেষ্ঠ আমীর৷ সমাপ্ত৷৷

কবি পরিচিত: মোহাম্মদ নাঈম হাসান, জন্ম-২০ মার্চ১৯৮৯ ৷ পিতার নাম : মৃত, হাফেজ মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ্৷ মায়ের নাম: মোসাম্মাৎ মোর্শেদা বেগম৷ গ্রাম: ঝাটিবুনিয়া ৷ পোস্ট: সাপলেজা৷ থানা: মঠবাড়িয়া, জিলা- পিরোজপুর৷

SUMMARY

2020-1.png