তুমি অগণন মানুষের নয়নের মণি !
তুমি বঙ্গবন্দু ! তুমি বঙ্গবীর !
তুমি সাহসী , তুমি রণবীর৷
তুমি- ই বঙ্গবীর !
তুমি শান্তিপ্রিয় ,
তুমি উদারমনা ,
চির উন্নত তোমার শির৷
তুমি ছিলে ন্যায়পরায়ণ ও দানবীর !
তুমি-ই ' বঙ্গবীর৷
১৭ মার্চ ১৯২০ ইংরাজী সনে ,
জনবন্ধু হয়ে , টুঙ্গিপাড়ার শেখ বংশে জন্ম তোমার৷
১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ ইংরাজী সনে ,
সকল স্বপ্ন তোমার ,
ভেঙে হলো চুরমার৷
গোটা বাঙালী জাতি হলো ত্রাস৷
শোকাগ্নিতে পুরো বাঙালী জাতি হলো হতাশ !
হলো উচাটন !
বাংলার আকাশ হলো অমানিশা আঁধার৷
এই বাংলার মাটি ও মানুষের জন্য তুমি সহ্য করেছো ,
স্বৈর- শাসকদের বিচিত্র অত্যাচার৷
তোমাকে সহ্য করতে পারেনি স্বৈরচারগণ ,
তাই ওরা তোমাকে নিয়ে খেলল রক্তের হোলি!
ন্যায় – সমরে তোমাকে হতে হলো অসময়ে বলি ৷
নির্মম পীড়নে ওরা তোমাকে করেছে শহীদ৷
বাংলার বুকে অসময়ে নেমে এলো জাতীয় শোকগীত ৷
একাত্তরের ঘাতকদের রক্ষা নাই৷
আমরা ওদের সবার ফাঁসি চাই – ই -চাই ৷
দীর্ঘ ৫৪ বছরের জীবদ্দশায় একটি যুগ তুমি করেছো ,
কারাবাস৷
তুমি ছিলে বীর লড়াকু সৈনিক !
তুমি অসংযমী!
তুমি অন্যায়ের কাছে কভু করনি আপোষ ৷
তুমি ছিলে আপোশহীন ও নিয়মতান্ত্রিক !
তুমি ছিলে গণতান্ত্রিক !
তুমি ছিলে সমাজতান্ত্রিক !
তুমি করেছো ,
আজীবন ,
শান্তির আন্দোলন৷
বারংবার বলেছো,
আমরা যুদ্ধ চাইনা, শান্তি চাই ,
শান্তি চাই !
এই ছিলো তোমার স্লোগান৷
তুমি ছিলে বাঙালী জাতির জনক !
তুমি ছিলে শান্তির প্রতীক!
তুমি ছিলে পথপ্রদর্শক!
গোটা বাঙালী জাতিকে তুমি ,আজীবন দিয়েছো,
সঠিক পথের দিশা৷
তুমি ছিলে গোটা বাঙালীর স্বপ্ন, শান্তি ছড়ানো এক স্বপ্নিল আশা ৷
২৬ শে মার্চের রেসকোর্স ময়দানের সেই স্বাধীনতার ভাষণ ,
আজও কোটি তরুণ – তরুণীদের হৃদয় ,
প্রবর্তনা জাগায় ৷
আজও বিজনে ,
যখনই বসি ধ্যানে৷
তখনই স্ব-কর্ণে শুনি-
২৬ শে মার্চের সেই স্বাধীনতার বিপ্লবী ধ্বনি৷
সত্যি-সত্যিই তুমি অদম্য !
তুমি সাহসী !
তুমিই বঙ্গবীর !
বাবা হয়ে ধন্য শেখ লুৎফর রহমান৷
মা হয়ে ধন্য সায়েরা খাতুন৷
তুমি পরাধীন বাঙালী জাতির মুক্তিদাতা৷
ধন্য তুমি , ধন্য তোমার পুরো পরিবার ,
ধন্য তোমার পিতা-মাতা৷
টুঙ্গিপাড়ার সেই খোকা থেকে তুমি আজও' বঙ্গবন্ধু৷
রাজনীতিতে রেখে গেলে তুমি ,
আজীবন স্মরণীয় অবদান ৷
প্রতিপদে তোমার পদাঙ্ক আওয়ামীলীগ করছে ,
অনুসরণ৷
তোমার দেখানো পথে হেঁটেই আওয়ামীলীগ হলো জনবন্ধু ৷
১৯৪৭ সালের ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা করেই জনসেবায় তুমি,
দিলে উদারমন ৷
১৯৪৮ সালে এসে ছাত্রলীগ করলে গঠন ৷
১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন,
মুসলিমলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদের সম্মান ,
তুমি করলে অর্জন ৷
১৯৫২ তে এসে করলে তুমি ভাষা আন্দোলন৷
১৯৫৪ তে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রীসভায় তুমিই পেলে স্হান৷
১৯৫৮ তে ফের করলে তুমি আইয়ুব খানের সামরিক আন্দোলন৷
বাষট্টিতে ফের করলে তুমি শিক্ষা আন্দোলন ৷
১৯৬৬ সালের পাঁচ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক ছয়দফা ঘোষণার দিলে গর্জন৷
১৯৬৯ সালে করলে গণ-অভ্যুত্থান ৷
অবশেষে কারামুক্ত হয়ে, বঙ্গবন্ধু চির-উপাধির পেলে সম্মান ৷
১৯৭০ সালে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হলে, সেখানেও তোমার অবদান৷
পেলে তুমি মহাসম্মান ৷
একাত্তরের মার্চে করলে তুমি নজির-বিহীন অসহযোগ-আন্দোলন৷
৭- ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান,
জনসমুদ্রের সামনে দিলে তুমি ঐতিহাসিক এক ভাষণ৷
এবারের সংগ্রাম ,
আমাদের মুক্তির সংগ্রাম৷
এবারের সংগ্রাম '
স্বাধীনতার সংগ্রাম৷
লক্ষ জনতা হলো রণোদ্যত!
গোটা বাঙালী জাতি হলো রণমত্ত৷
অবশেষে ২৬ শে মার্চ শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ ৷
পাক বাহিনীর সঙ্গে বাঙালী জাতির হলো লড়াই ,
হলো তুমুল যুদ্ধ ৷
দীর্ঘ ন’মাস পরে বাঙালী জাতি পেলো স্বাধীনতা৷
আজও গোটা বাঙালী স্বাধীন ভাষায়-ই,
বলছি সেই কথা৷
১৯৭৫ সালের ১৫ -ই আগষ্ট , কালরাতে,
স্বাধীনতা অর্জনের সাড়ে তিন বছরের মধ্য নিজ বাসভবনে ,
একাত্তরের ঘাতকের হাতে,
তোমার হলো জীবনাবসান ৷
স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন ,
তোমার আর হলোনা পূরণ ৷
আল্লাহ্ তোমায় নসীব করুক বেহেশত্ দান ৷
তুমি স্বদেশ প্রেমিক !
তুমি রণসৈনিক !
তুমি জনবন্ধু !
তুমি বঙ্গবন্ধু !
তুমি সাহসী তুমি- ই বঙ্গবীর!
আজীবন স্বাধীন বাংলার,
তুমি শ্রেষ্ঠ আমীর৷