তুমি বঙ্গবন্ধু ! তুমি বঙ্গবীর !-নাঈম হাসান


তুমি অগণন মানুষের নয়নের মণি !  
 তুমি বঙ্গবন্দু  ! তুমি বঙ্গবীর ! 
 তুমি সাহসী , তুমি রণবীর৷
 তুমি- ই বঙ্গবীর ! 
তুমি শান্তিপ্রিয় ,
 তুমি উদারমনা ,
চির উন্নত তোমার শির৷
 তুমি ছিলে ন্যায়পরায়ণ ও দানবীর !
 তুমি-ই ' বঙ্গবীর৷
 ১৭ মার্চ ১৯২০ ইংরাজী সনে , 
জনবন্ধু হয়ে , টুঙ্গিপাড়ার শেখ বংশে জন্ম তোমার৷
 ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ ইংরাজী সনে , 
সকল স্বপ্ন তোমার , 
ভেঙে হলো চুরমার৷
 গোটা বাঙালী জাতি হলো ত্রাস৷
 শোকাগ্নিতে পুরো বাঙালী জাতি হলো হতাশ !
 হলো উচাটন ! 
বাংলার আকাশ হলো অমানিশা আঁধার৷
 এই বাংলার মাটি ও মানুষের জন্য তুমি সহ্য করেছো , 
স্বৈর- শাসকদের বিচিত্র অত্যাচার৷
 তোমাকে সহ্য করতে পারেনি স্বৈরচারগণ , 
 তাই ওরা তোমাকে নিয়ে খেলল রক্তের হোলি! 
ন্যায় – সমরে তোমাকে হতে হলো অসময়ে বলি ৷

নির্মম পীড়নে ওরা তোমাকে করেছে শহীদ৷ 
বাংলার বুকে অসময়ে নেমে এলো জাতীয় শোকগীত ৷ 
একাত্তরের ঘাতকদের রক্ষা নাই৷
 আমরা ওদের সবার ফাঁসি চাই – ই -চাই ৷
 দীর্ঘ ৫৪ বছরের জীবদ্দশায় একটি যুগ তুমি করেছো ,
কারাবাস৷
 তুমি ছিলে বীর লড়াকু সৈনিক !
তুমি অসংযমী!
 তুমি  অন্যায়ের কাছে কভু করনি আপোষ ৷ 
তুমি ছিলে আপোশহীন ও নিয়মতান্ত্রিক ! 
তুমি ছিলে গণতান্ত্রিক !
 তুমি ছিলে সমাজতান্ত্রিক ! 
তুমি করেছো , 
আজীবন ,
 শান্তির আন্দোলন৷
 বারংবার বলেছো, 
 আমরা যুদ্ধ চাইনা, শান্তি চাই ,
শান্তি চাই !
 এই ছিলো তোমার স্লোগান৷
 তুমি ছিলে বাঙালী জাতির জনক ! 
তুমি ছিলে শান্তির প্রতীক!
 তুমি ছিলে পথপ্রদর্শক! 
গোটা বাঙালী জাতিকে তুমি ,আজীবন দিয়েছো, 
সঠিক পথের দিশা৷
 তুমি ছিলে গোটা বাঙালীর স্বপ্ন, শান্তি ছড়ানো এক স্বপ্নিল আশা ৷

২৬ শে মার্চের রেসকোর্স ময়দানের সেই স্বাধীনতার ভাষণ ,
 আজও কোটি তরুণ – তরুণীদের হৃদয় ,
 প্রবর্তনা জাগায় ৷
 আজও বিজনে ,
 যখনই বসি ধ্যানে৷ 
তখনই স্ব-কর্ণে শুনি-
২৬ শে মার্চের সেই স্বাধীনতার বিপ্লবী ধ্বনি৷
 সত্যি-সত্যিই তুমি অদম্য !
তুমি সাহসী !
তুমিই বঙ্গবীর ! 
বাবা হয়ে ধন্য শেখ লুৎফর রহমান৷
 মা হয়ে ধন্য সায়েরা খাতুন৷
 তুমি পরাধীন বাঙালী জাতির মুক্তিদাতা৷
 ধন্য তুমি , ধন্য তোমার পুরো পরিবার ,
 ধন্য তোমার পিতা-মাতা৷
 টুঙ্গিপাড়ার সেই খোকা থেকে তুমি আজও' বঙ্গবন্ধু৷ 
রাজনীতিতে রেখে গেলে তুমি ,
 আজীবন স্মরণীয় অবদান ৷
 প্রতিপদে তোমার পদাঙ্ক আওয়ামীলীগ করছে ,
 অনুসরণ৷
 তোমার দেখানো পথে হেঁটেই আওয়ামীলীগ হলো জনবন্ধু ৷
 ১৯৪৭ সালের ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা করেই জনসেবায় তুমি, 
দিলে উদারমন ৷
 ১৯৪৮ সালে এসে ছাত্রলীগ করলে গঠন ৷

১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন,
মুসলিমলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদের সম্মান , 
তুমি করলে অর্জন ৷
 ১৯৫২ তে এসে করলে তুমি ভাষা আন্দোলন৷ 
১৯৫৪ তে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রীসভায় তুমিই পেলে স্হান৷ 
১৯৫৮ তে ফের করলে তুমি আইয়ুব খানের সামরিক আন্দোলন৷ 
বাষট্টিতে ফের করলে তুমি শিক্ষা আন্দোলন ৷ 
১৯৬৬ সালের পাঁচ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক ছয়দফা ঘোষণার দিলে গর্জন৷
 ১৯৬৯ সালে করলে গণ-অভ্যুত্থান ৷
 অবশেষে কারামুক্ত হয়ে, বঙ্গবন্ধু চির-উপাধির পেলে সম্মান ৷ 
১৯৭০ সালে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হলে, সেখানেও তোমার অবদান৷
 পেলে তুমি মহাসম্মান ৷
 একাত্তরের মার্চে করলে তুমি নজির-বিহীন অসহযোগ-আন্দোলন৷

৭- ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান,
 জনসমুদ্রের সামনে দিলে তুমি ঐতিহাসিক এক ভাষণ৷ 
এবারের সংগ্রাম , 
আমাদের মুক্তির সংগ্রাম৷ 
এবারের সংগ্রাম '
স্বাধীনতার সংগ্রাম৷
লক্ষ জনতা হলো রণোদ্যত!
 গোটা বাঙালী জাতি হলো রণমত্ত৷
 অবশেষে ২৬ শে মার্চ শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ ৷ 
পাক বাহিনীর সঙ্গে বাঙালী জাতির হলো লড়াই , 
হলো তুমুল যুদ্ধ ৷
 দীর্ঘ ন’মাস পরে বাঙালী জাতি পেলো স্বাধীনতা৷ 
আজও গোটা বাঙালী স্বাধীন ভাষায়-ই,
 বলছি সেই কথা৷ 
১৯৭৫ সালের ১৫ -ই আগষ্ট , কালরাতে,
 স্বাধীনতা অর্জনের সাড়ে তিন বছরের মধ্য নিজ বাসভবনে ,
 একাত্তরের ঘাতকের হাতে, 
তোমার হলো জীবনাবসান ৷

স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন ,
 তোমার আর হলোনা পূরণ ৷
 আল্লাহ্‌ তোমায় নসীব করুক বেহেশত্ দান ৷
 তুমি স্বদেশ প্রেমিক !
 তুমি রণসৈনিক !
 তুমি জনবন্ধু !
 তুমি বঙ্গবন্ধু !
তুমি সাহসী তুমি- ই বঙ্গবীর!
 আজীবন স্বাধীন বাংলার,
 তুমি শ্রেষ্ঠ আমীর৷

SUMMARY

1996-B8.png