পিতা এনেদিলেন স্বাধীনতা,
শৃংখলিত বাঙ্গাঁলী জাতির।
মুক্তির চেতনায় উদ্বুদ্ধ সাড়ে সাত কোটি মানুষ
স্বাধীনতার মর্ম বুঝেছিল তারা,
পরাধীনতার যাঁতাকলে নিষ্পেসিত
দুইশ তেইশ বছরের গোলামীর জিঞ্জির
তোমার বজ্রকঠিন নেতৃত্বে,
ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছিলো পদতলে।
মুক্তির উন্মাদনায় বিভোর ছিলো যারা,
পনেরই আগষ্ট –
পাকিস্তানী নরঘাতকদের পদলেহিত কুকুরদের দল
নির্মম ভাবে হত্যা করলো তোমাকে স্বরিবারে,
ওরা পাসন্ড বর্বর, বাঁচতে দিলো না –
তোমার মত এক জন মহানায়ককে,
ছোট্ট শিশু রাসেল আর গর্ভবতী মহিলা
রেহাই পেলোনা ওদের নিষ্ঠুর রোষানল থেকে।
দেখেছি আমি বএিশ নাম্বারে প্রতিটি জায়গায়
তাজা রক্তের ছোপ ছোপ দাগ এখন মিটেনি
পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম অপরাধের জলন্ত প্রমাণ,
তাই আজ ও কাঁদে বাঙ্গাঁলী
বুকফাটা আর্তনাদে –
আজ তোমার বিশাল নেতৃত্বের বড় প্রয়োজন ছিল।
মীর জাফরদের দল বাংলার প্রদীপ নিভিয়ে দিল।
ইতিহাস থেকে তোমার নাম মুছে দিতে চাইলো,
পারলো কি তারা?
মুজিব চিরভাস্বর উজ্জল আলোক বর্তিকা
বাংলার ঘরে ঘরে জীবনের ফল্গুধারা।
এদেশের আকাশে বাতাসে ধ্বনিত শেখ মুজিবের নাম।
মীরজাফরেরা আজ বড় কোনটাসা,
চিও সুখে আয়েস নয় –
এদেরকে সমুলে করতে হবে বিনাশ
এটাই হোক পনেরই আগষ্টের চেতনা,
জেগে উঠো মৃওিকার স্বাধীনতার বিশ্বাসী –
জনতা যারা মুক্তমনা।