‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’-শুভ্রামনি


হৃদপিণ্ড চিরে!
লাল রক্তিম পলাশের আল্পনায় কিংবা
দেহের বিন্দু বিন্দু রক্ত কণা দিয়ে
হে মানব-
তোমাকে জানাই শতকোটি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কী লিখব তোমাকে নিয়ে আজ!
কী লেখা যায়? সবই তো
১৫ই আগস্টে দিয়েছিল সীমারেরা
রক্ত গঙ্গার বুকে জলাঞ্জলি।
আজি-
আকাশে বাতাসে ধ্বনিত বিলাপ রোল!!!
এতো রাসেল এর আত্মার তীব্র প্রতিধ্বনি!
যে ছিল শিশু বুক ছেড়া ধন
মা-বাবার নয়নমণি।
শত কষ্টের তীব্রতায়য়,সুরের মূর্ছনায়
করুণ হাহাকার! ক্রন্দনে! চিৎকারে
কবরখানিও আজ থর! থর! কম্পিত
গোটা বিশ্বকে আজ জাগিয়ে দেবো
ওরা হয়ে যায় যেনো চমকিত!
হে মানব-, কী দেবো তোমায়?
তোমাকে যারা বাঙ্গলার বুক থেকে চিরতরে
দিয়েছে রক্ত গঙ্গায় জলাঞ্জলি
আমি!
সেই সব নরপশুদের মুখে থুঃ!থুঃ! ছিটিয়ে
তোমাকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
তোমার গৌরবে,সৌরভ মাখা সুরভীতে
লাখো জনতা ঢালে বছরের পর বছর
তব সমাধিতে
কত শত কত পুষ্পাঞ্জলি
আর আমি তোমার হত্যার বিচার চেয়ে
রচনা করব,গীতি কাব্যে
গীতাঞ্জলী!!!

SUMMARY

1942-1.png