ফকীর আবদুর রাজ্জাক
আগস্ট মাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মৃত্যু দিবস এবং কবি গুরু রবীন্দ্রনাথেরও মৃত্যু দিবসও আগস্ট মাসেই। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ও বিদ্রোহী কাজী নজরুল। জীবনের বহু বক্তৃতায় তিনি বহুবার এই দুই কবির কবিতা উচ্চারণ করেছেন। তাদেরকে তিনি এতটাই যে ভালোবাসতেন তার প্রমাণও রেখে গেছেন বাংলাদেশ স্বাধীন করে। কবি গুরুর একটি কবিতার অংশ আমাদের জাতীয় সঙ্গীত এবং কবি নজরুলের কবিতার একটি অংশ আমাদের সমর সঙ্গীত। যা আজ বাঙালির অস্তিত্বের সাথে মিছে গেছে। আগস্ট মাস সমাগত হলেই বঙ্গবন্ধুকে যারা নেতা, আদর্শ ও প্রেরণার মূল শক্তি হিসেবে মনে করেন তারা নড়ে চড়ে বসেন। মূল দল, সহযোগী দল, অঙ্গ সংগঠনসহ আওয়ামী পরিচয়ের অসংখ্য সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়ে মাসব্যাপী দিবস বেশ জমিয়ে রাখে। উচ্ছাস-আবেগ-ভালোবাসায় পুরো আগস্ট মাস একটা ভাব গাম্ভীর্যে আপ্লুত হয়ে ওঠে। এর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অস্বীকার করা যাবে না। এ লেখাটি যেদিন প্রকাশ হবে তার দু’দিন পরেই ১৫ আগস্ট। ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জন করার গৌরবের স্রোতধারা সাড়ে তিন বছর না পেরোতেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সদ্য স্বাধীন দেশের উঠতি পুঁজিপাত ও সামরিক বাহিনীর উচ্চাভিলাসী শক্তি সাম্রাজ্যবাদের আশীর্বাদ নিয়ে জাতির জনক, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারের ওপর মর্মদন্তু আঘাত হানে। মাত্র দুইজন সদস্য শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া সবাইকে ঐ বর্বর পশু শক্তি হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বিদেশে থাকায় তারা বেঁচে যান। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী জাতির জীবনে সেই থেকে নেমে আসে কাল রাত্রি যা আজ ৬০ বছরেও পুরোপুরি দূর করা সম্ভব হয়নি। অবশ্য বঙ্গবন্ধুর শূন্যস্থান যে কোনোদিনও পূরণ করা সম্ভব হবে না সেটা বাঙালি মাত্রেই জানে। হাজার বছরের ইতিহাসে ক্ষণজন্মা নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ইতিহাসে তিনিই প্রথম বাঙালির স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। যা বিশ্বমানচিত্রের আজ স্থায়ী অংশ। তাই যতদিন বাংলাদেশ তার অস্তিত্ব নিয়ে সমহিমায় টিকে থাকবে ততদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের মহিমা-মর্যাদা থাকবে অমলিন। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু কত প্রাসঙ্গিক তাও চার দশক পরেও জাতি প্রতি মুহূর্তে উপলদ্ধি করছে।
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথও বাঙালির জীবনে সদা প্রাসঙ্গিক। ২২ শ্রাবণ ছিল কবির প্রয়াণ দিবস। এবার ২২ শ্রাবণ ছিল আগস্ট। প্রতিবারের ন্যায় এবারও জাতি কবি গুরুর মৃত্যু দিবসের শ্রদ্ধা ভালোবাসায় স্মরণ করেছে কবিকে। এটাই বোধ হয় একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়ম যে- যতই দিন-মাস বছর অতীতে হারিয়ে যাবে ততই বেশির ভাগ মহত ব্যক্তি জনগণের স্মৃতির পাতা হারিয়ে যান। কিন্তু গত ৭০ বছরের বেশি এবং ৪৩ বছর পরও কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হারিয়ে তো যানইনি বরং প্রতিদিন তারা প্রাসঙ্গিক ও উজ্জ্বল মহিমা নিয়ে বাঙালিকে শক্তি, প্রেরণা, প্রেম ভালোবাসা যুগিয়ে যাচ্ছেন। এখানেই এই দুই মহান মানুষ হয়েছেন কালজয়ী। তাদের কি আরও বেশি উজ্জ্বল, মহিমামান্বিত করে জীবন ও সমাজের প্রতিটি পর্বে প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক বাঙালি জাতিকে বিজ্ঞান মনস্কতা নিয়ে মেধা ও মনন শাণিত করে কাজ করে যেতে হবে। অপ্রিয় হলেও সত্য এ ক্ষেত্রেই রয়েছে আমাদের ঘাটতি। অনেকের মনেই প্রশ্ন, রবীন্দ্র-বঙ্গবন্ধু জন্ম-মৃত্যু দিবস কি গতানুগতিকভাবে পালিত হতে যাচ্ছে? সেই ভালোবাসা, আবেগ কি ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির হৃদয় মন্দিরে আসন গেড়ে বসে আছেন বহু আগে থেকেই। তারপরও কিছু কিছু ঘটনায় মনে হয়- রবীন্দ্রনাথ কি বিশেষ করে নতুন প্রজন্মদের কাছ থেকে একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছেন? কিছুদিন আগে কলকাতায় একটি টিভি অনুষ্ঠানে এক পরিচালক রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে একটা সাধারণ প্রশ্ন করেছিলেন। কিশোর বয়সী ছেলে-মেয়ে কেউই সঠিক উত্তর দিতে পারলো না। ঐ তুলনায় বাংলাদেশে কবির সম্পর্কে না জানার সংখ্যা বেশি। এটা মূলত পাঠ্যক্রমের ও শিক্ষাদানকারীদের দুর্বলতা। একইভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানের অভাব আমাদের দেশে ব্যাপক। নতুন প্রজন্ম সাধারণ কিছু তথ্য ছাড়া অনেক কিছুই তার সম্পর্কে জানে না তারা। বঙ্গবন্ধুরই নাম, পোস্টার ও আদর্শের বাণী বহন করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ ও মহিলা লীগ পরিচয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের এক বিরাট অংশই জাতির পিতা সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রেই অজ্ঞ। এরাই নেতা সম্পর্কে যেসব কথা বলে ও বক্তব্য দেয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা বিকৃত ও ভুল তথ্য দ্বারা বিভ্রান্তিমূলক। এতে করে বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষতি হচ্ছে একটু একটু করে।
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বাণিজ্য করার সুযোগ কম। তাকে না বুঝে না জেনে কিছু বিবৃতিমূলক কাজ করা সম্ভব হলেও একজন রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে যেভাবে বাণিজ্য করা যায় তা বিশ্ব কবিকে নিয়ে করা যায় না। ৭৫ এর আগস্টে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর থেকে ক্রমান্বয়ে তাকে নিয়ে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়তে থাকে। প্রথম যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন থেকেই এই বাণিজ্য প্রসার লাভ করে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার আমলে এই বাণিজ্য এতটাই রমরমা আকার ধারণ করেছে যে, দলের সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারাও এই প্রবণতার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ ‘শেখ হাসিনা’ ‘জাতির পিতা’ এবং ‘আওয়ামী’-এই শব্দগুলো ব্যবহার করে ব্যাঙের ছাতার মতো অসংখ্য সংগঠন গজিয়ে উঠেছে ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র।
এসব শত সহস্ত্র সংগঠনের নেতাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অচেনা। অথচ দেশের রাজনীতি সচেতন মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস- নেতাদের পরোক্ষ প্রশ্রয়েই দেশব্যাপী এই ভূইফোঁড় সংগঠনের জন্ম। এরা মূলত চাঁদাবাজি, ক্ষমতার প্রদর্শন, সুবিধা আদায়, সংগঠনের নামে আওয়ামী নেতা-নেত্রীর নাম ব্যবহার করে দখল বাণিজ্য, চাঁদা আদায় ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের দ্বারা মূলত ক্ষমতাসীন দল ও তার নেত্রীর ভাবমূর্তি ধ্বংস করছে। আমার এক সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বন্ধু যিনি এখন প্রয়াত প্রায়ই বলতেন- আওয়ামী লীগের নামে এখন ঢাকায় কত দোকান খুলেছে- দেখেছেন? এসব দোকানদাররা বঙ্গবন্ধু এমনকি আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা সম্পর্কেও কিছুই জানে না। যতটুকু জানে তার বেশিভাগই বিকৃত। এভাবেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মূল দল আওয়ামী লীগ ও তার নেত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে। মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সবার।
আগস্ট মাস সমাগত হলেই আওয়ামী ঘরানার সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা নড়ে চড়ে বসেন, ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেন। এ ব্যস্ততা কি নেতাকে স্মরণ করা, শ্রদ্ধা জানানো বা তার জীবন সংগ্রামের ইতিহাসকে সমুজ্জ্বল করে জনগণের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে? নাকি ১৫ আগস্টকে উপলক্ষ করে রমরমা চাঁদাবজির বাণিজ্য করাই আসল উদ্দেশ্য? রাজনৈতিক মহান নেতাদের এটাই দুর্ভাগ্য। তারা যখন জীবিত থাকেন, তখনও এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী নেতাকর্মী তাদের নাম ভাঙিয়ে ভাগ্য গড়ার বাণিজ্য করেন, আবার মারা গেলেও সেসব নেতাদের ভাবমূর্তি যদি বিশাল হয় তাহলেও তার নাম ভাঙিয়ে জমিয়ে বাণিজ্য করা যায়। সেই নেতা যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হয় তাহলো তো কথাই নেই। নেতার মৃত্যুর ৪২/৪৩ বছর পরেও তার ইমেজ আজও অমলিন, উজ্জ্বল। তাই ব্যবসা-বাণিজ্যের উৎকৃষ্ট উপাদান হিসেবে আজও তার নামটি আকর্ষণীয় পণ্য। দলের পরিচয়ে সুবিধাবাদী ও সুযোগসন্ধানী ব্যক্তিরা নেতার নামটি লুফে নিয়ে রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যায়। যা ইদানীংকালে জনগণের সামনে উৎকট হয়ে ধরা পড়ছে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বেলায় তার জন্ম-মৃত্যু দিবসে রাজনৈতিক নেতাদের মতো এমন রমরমা বাণিজ্য জমে না। কবিকে তার অনুরক্ত-ভঙ্গ লোকের কেবল তাকে ভালোই বাসে, শ্রদ্ধা জানায়। প্রতিযোগিতা করে কবিকে ভালোবাসা জানাতে হয় না। জীবনে ইতিহাস নিয়ে আলোচনা, কবিতা পাঠ ও সঙ্গীত গেয়েই তাকে শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানানো হয়। কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের বেলায় জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনে প্রতিযোগিতা থাকে। কে কার চাইতে বড়, জাঁমজমকপূর্ণ ও ব্যাপক আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে তার অনেকটাই নির্ভর করে বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ। অথচ দেশের সুস্থ মন মানসিকতার অসংখ্য বঙ্গবন্ধু ভক্ত মানুষেরা আশা করেছিল- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একদা দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হবে। তাকে নিয়ে দেশব্যাপী অবিকৃত ব্যাপক আলোচনা, গবেষণা এবং নেতার নীতি, আদর্শ এব রাজনীতির ব্যাপারে তার দর্শন জনগণের মাঝে প্রচারিত হবে। জনমনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম-ত্যাগ-অর্জন একদিন প্রতিষ্ঠা পাবে। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, মৃত্যুর চল্লিশ বছর পরেও এমনকি বঙ্গবন্ধুর নিজ দল আওয়ামী লীগের ক্ষমতার আমলেও মহান নেতাকে জনমনে সর্বব্যাপী প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে বিজ্ঞানসম্মত, বাস্তবমুখী-কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। যা কিছু করা হয়েছে তা আংশিক, ব্যক্তি ও মহল বিশেষের উদ্যোগের মাঝে সীমাবদ্ধ।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে- রবীন্দ্রনাথ-বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ওতোপ্রতভাবে জড়িয়ে আছেন তার রাজনীতিতে। রবীন্দ্রনাথ তাকে মানবতাবাদী ও মহীয়ান হতে প্রেরণা যুগিয়েছেন, আর কবি নজরুল তাকে অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী-বিদ্রোহী হতে সাহস যুগিয়েছেন। এই দুই মহান সত্তাকে হৃদয়ে ধারণ করেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হতে পেরেছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। আগস্ট মাসে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু মুজিবের মৃত্যুমাস। বাঙালির এই দুই কালজয়ী মহান ব্যক্তিকে স্মরণ করা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর গতানুগতিক প্রক্রিয়ার পরিবর্তন করে আরো আধুনিক, সুদূরপ্রসারি ও চিরস্থায়ী কোন পরিকল্পনার উদ্ভাবন করতে হবে। যাতে তারা বাঙালির ইতহাসে, মননে ও পঠনে অনন্য স্থায়িত্ব পান। যেভাবে চলছে তাতে গতানুগতায় বিকৃতির অতলে গিয়ে একদিন বিস্মৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে পারে। এখনই সভা-সেমিনার-আলোচনায় এই দুই মহান কবি রাজনীতিক যে বর্ণিলভাবে উপস্থাপিত হন বাস্তবে, সাধারণ মানুষের মাঝে, পঠনে পাঠনে ও নতুন প্রজন্মের মননে সেভাবে প্রাসঙ্গিক নয়। অর্থাৎ ক্রমান্বয়ে একটু একটু করে তারা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। যা বাঙালির জাতির ভবিষ্যতের জন্যে মোটেই শুভ ইঙ্গিত বহন করে না।
এবার আগস্ট মাসে এসে মনে হয়েছে বাঙালির সত্যিকার মুক্তির একটি মাত্রই পথ- রবীন্দ্র, নজরুল ও বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে মনে প্রাণে আঁকড়ে ধরা। সকল প্রকার সংকট, সমস্যা উত্তরণের উপায়ন্ত ঐ ত্রয়ীর ঐক্যতান। তাদের নীতি, আদর্শ ও জীবন সংগ্রামের পথ সামগ্রিক জাতীয় ঐক্যের মাধ্যম আঁকড়ে ধরার মধ্যেই রয়েছে বাঙালির সার্বিক মুক্তি।
লেখক : সংবাদিক, কলামিস্ট