বাংলার প্রাদেশিক মুসলিম লীগের মধ্যে তখন দুটি উপদল। একটি মোহাম্মদ আকরাম খাঁ-খাজা নাজিমুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন, অন্যটি ছিল সোহরাওয়ার্দী-আবুল হাশিমের। দ্বিতীয় উপদলটি ছিল প্রগতিশীল এবং তাঁরা মুসলিম লীগকে জনগণের প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে চেষ্টা করেন। সেই আলোকে তাঁরা জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের সংকল্প ঘোষণা করেন। শেখ মুজিব সেই উপদলে জড়িত হন এবং আবুল হাশিমের পরামর্শে মুসলিম লীগের সার্বক্ষণিক কর্মী হয়ে উঠেন। ১৯৪৩ সালে বাংলায় দেখা দেয় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। শেখ মুজিব তখন ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র এবং তিনি সারাদিন লঙ্গরখানার কাজ করেছেন। রাতে কখনো বেকার হোস্টলে ফিরেছেন, কখনো রাতে মুসলিম লীগের অফিসে শুয়ে রাত কাটিয়েছেন।
১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্টে মুসলিম লীগ প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস আহবান করে। এই সংগ্রাম দিবসের প্রাক্কালে সোহরাওয়ার্দী কর্মীদের বলেন দিনটি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে এবং আবুল হাশিম তাঁদের বলেন দিনটি যে হিন্দুর বিরুদ্ধে নয়, ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম হিসেবে পালিত হচ্ছে, হিন্দু মহল্লায় গিয়ে তা বোঝাতে। কিন্তু প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসকে কেন্দ্র করে কলকাতায় সংঘটিত হয় ভয়াবহতম হত্যাকা- এবং পরে তা ছড়িয়ে পড়ে নোয়াখালী ও বিহারে। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক দল কর্মী তখন হিন্দু এলাকা থেকে মুসলমান ছাত্রীদের উদ্ধার করতে এবং তাঁদের কলেজের হিন্দু অধ্যাপককে পাহারা দিয়ে মুসলমান এলাকায় আনা-নেয়া করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেন।
১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ জুলাই সিলেটের গণভোট উপলক্ষে পাকিস্তানের পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে বৃহত্তর সিলেটের সর্বত্র শুরু হয় তোড়-জোড় এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। জেলার পাঁচটি সাব-ডিভিশন সিলেট সদর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ এবং করিমগঞ্জ মেতে উঠে এক ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক তরংগে। ভারত বর্ষের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছোটে এলেন সিলেটে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন নবাব জাদা লিয়াকত আলী খান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (১৮৯৩-১৯৬৩), চৌধুরী খালিকুজ্জামান, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, সুবাহানী, মাওলানা আকরাম খা (১৮৬৮-১৯৬৮), ইউসুফ আলী চৌধুরী, আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ, নূরুল আমীন, পীর বাদশাহ মিয়া, সৈয়দ মোয়াজ্জেম উদ্দিন হোসেন, ফজলুল কাদের চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, ছাত্র নেতা শাহ আজিজুর রহমান, শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ। ঐ সময়ে উপমহাদেশের অনেক বর্ষিয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে তরুণ ছাত্র নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাক্ষাৎ ঘটে এবং ব্রিটিশ রাজত্বের শেষ দিন গুলোর রাজনীতির অনেক কুট-কৌশল সম্পর্কে তিনি অবগত হন।
মুসলিম লীগের সকল সিদ্ধান্ত যে, শেখ মুজিবুর রহমান ভালোভাবে মেনে নিতেন তা নয়, কিন্তÍ একজন কর্মী হিসেবে তার বিরুদ্ধে প্রকাশে কিছু বলাও তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিলো না। যেমন ১৯৪৭ সালে লাহোর প্রস্তাবের ‘স্টেটস’ শব্দ পরিবর্তন করে ‘স্টেট’ করা, সোহরাওয়ার্দী-আবুল হাশিমের স্বাধীন সার্বভৌম ও অখন্ড বাংলা গঠনের প্রস্তাব ব্যর্থ করা এবং পূর্ববঙ্গ আইনসভার নতুন নেতা নির্বাচনের নির্দেশ দিয়ে সোহরাওয়ার্দীকে হারিয়ে দেওয়া (পশ্চিম পাঞ্জাবে তা করা হয়নি)। পরবর্তীকালে শেখ মুজিব বিষয়টি নিয়ে অনুধাবন করেন যে, সোহরাওয়ার্দীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগের কতিপয় নেতার ষড়যন্ত্র হিসেবে এবং তখন থেকেই পাকিস্তানে ষড়যন্ত্রের রাজনীতির যে, যাত্রা শুরু হয়েছিল তা তিনি অনুধাবন করতে সক্ষম হন।
১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পর শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতা থেকে যখন বিদায় নেন, তখন সোহরাওয়ার্দী তাঁকে বলেছিলেন, পাকিস্তানে যেন সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা না হয়, তা দেখতে। ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় যখন গণতান্ত্রিক যুবলীগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন শেখ মুজিব বলেন যে, এই সংগঠনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য কাজ করা। গণতান্ত্রিক যুবলীগে অর্থনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণের বিরোধিতা করে তিনি মত প্রকাশ করেন যে, মাত্র দু’ মাস হলো দেশ স্বাধীন হয়েছে, এখন এমন দাবী তোলা উচিত নয়। এই উদ্যোগ থেকে তিনি কেবল সরে আসেননি, মোগলটুলিতে মুসলিম লীগ অফিসে গণতান্ত্রিক যুবলীগের সাইনবোর্ড টাঙানো হলে তিনি তা নামিয়ে নিতে বাধ্য করেন এবং যুবলীগের কর্মীদের জিনিসপত্র নিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন। কিন্তু মুসলীম লীগ সরকারের প্রতি তিনি আস্থা বেশি দিন টিকিয়ে রাখতে পারেননি। তাই তিনি ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার সমর্থিত নিখিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের বিপরীত পক্ষে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্র ভাষার প্রশ্নটি সামনে চলে এলে ছাত্রলীগ বাংলার পক্ষে দাঁড়ায়। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ আহূত ধর্মঘটে যোগ দিয়ে সচিবালয়ের সামনে পিকেটিং করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন শেখ মুজিব। পাকিস্তানে এই প্রথম তাঁর কারাবাস। ১৯৪৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন এবং পরে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। তাঁর কারাবাসকালে নতুন রাজনৈতিক দল আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় এবং তিনি তার দুজন যুগ্ম সম্পাদকের একজন নির্বাচিত হন।
এরপর থেকে পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং শেখ মুজিবের জীবনযাত্রা প্রায় অভিন্ন হয়ে ওঠে। পঞ্চাশের দশকে আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি অসাধারণ সাংগঠনিক ক্ষমতার পরিচয় দেন। তিনি প্রথমবার মন্ত্রী হলে ষোলো দিন পর কেন্দ্রীয় সরকার সে মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেয়। আরেকবার তিনি মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন দলীয় সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করবেন বলে। তিনি যে কত নির্লোভ ছিলেন, এ ঘটনা তার পরিচয় বহন করে। আওয়ামী মুসলিম লীগের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বর্জনে এবং প্রাদেশিক আইনসভায় পূর্ব বাংলার জন্য যুক্ত নির্বাচন প্রথার পক্ষে প্রস্তাব গ্রহণে তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। গণপরিষদের সদস্য হিসেবে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানে তিনি দেশের নাম থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র কথাগুলো বর্জন, পূর্ববঙ্গের নাম পূর্ব পাকিস্তান না রেখে পূর্ববাংলা করা এবং প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের বিধান রাখার প্রস্তাব করেন। যদিও তাঁর কোন প্রস্তাবই গৃহীত হয়নি। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন প্রবর্তিত হলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়, শেখ মুজিব প্রথমে কারাবন্দি এবং পরে গৃহবন্দি হন।
প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসন ছিল শেখ মুজিবের ধ্যানজ্ঞান। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীন্যে তিনি পাকিস্তানের অখন্ডতায় আস্থা হারিয়ে ফেলেন। ষাটের দশকে পূর্ব বাংলাকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের নেতারা দুটি পৃথক গোপন সংগঠন করলে মুজিব তা সমর্থন করেন বলে দাবী করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতিরুপে ১৯৬৬ সালে তিনি ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন এবং তা লাহোর প্রস্তাবের প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে রচিত বলে তিনি ঘোষণা দেন। তার বিরুদ্ধে সরকার শক্ত অবস্থান নিলে মুজিব পূর্ব বাংলার সর্বত্র জনসভা করে এর পক্ষে জনমত গঠন করেন। এই সময়ে তিনি ক্রমাগত গ্রেপ্তার হতে থাকেন এবং মামলায় জামিন নিয়ে নিয়ে আবার জনসভা করতে থাকেন। ১৯৬৮ সালে শেখ মুজিবসহ আরো ৩৪ জনের বিরুদ্ধে সরকার পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বিশষ ট্র্যাইব্যুনালে তাঁদের বিচারের উদ্যোগ নেন। তাতে ফল হয় অভিপ্রায়ের বিপরীত। মুজিবের মুক্তির দাবিতে, তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নিতে এবং ছয় দফার দাবির সমর্থনে পূর্ব বাংলায় গণ অভ্যুত্থান ঘটে এবং যার ফলশ্রুতিতে ১৯৬৯ মালের ২৫ মার্চ জেনারেল প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান তদানীন্তন সেনা প্রধান আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের নিকট পদত্যাগ করতে ও ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন। এই মামলায় বন্দি থাকা অবস্থায় শেখ মুজিবকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়। পরে তিনি তা জানতে পেরে সতর্কতা অবলম্বন করলে সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত কর্নেল (অব:) শওকত আলী অনেক পরে তাঁর একটি বইয়ে লিখেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য বলে জানান। মামলা থেকে মুক্তি লাভের পর শেখ মুজিবকে ঢাকায় বিশাল সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং তাঁকে ভূষিত করা হয় বঙ্গবন্ধু বলে। তিনি আরোহণ করেন জনপ্রিয়তার শিখরে।
১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রত্যাশীতভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা লাভ করে, কিন্তু ক্ষমতাসীন শাসকচক্র তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে এবং তাঁর দলের অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধান রচনা করতে অস্বীকার করে। তার প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর আহবানে পূর্ব বাংলায় যে, অহিংস অসহযোগ আন্দোলন গড়ে ওঠে, তা সারা পৃথিবীকে চমকিত করে। সেনানিবাস ছাড়া, তখন আর সবকিছু চলে তাঁর নির্দেশে। ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে তিনি যে ভাষণ দেন, তা এখন পৃথিবীর অন্যতম সেরা ভাষণের মর্যাদা লাভ করেছে। জনসাধারণের স্বাধীনতা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই ভাষণে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা না করেও বঙ্গবন্ধু অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতাই ঘোষণা করেন। দেশবাসীকে তিনি ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলার এবং যার যা আছে তা নিয়ে শত্রুকে মোকাবেলা করার আহবান জানান। তিনি গর্জে ওঠেন: এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বিভিন্ন বাঙালি সম্প্রদায়ের ওপর চরম আঘাত আনে। শেখ মুজিব স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শুরু হয় বাঙ্গালির মুক্তিযুদ্ধ। ভারতে আশ্রয় নিয়ে গড়ে ওঠে বাংলাদেশ সরকার, মুজিবকে ঘোষণা করা হয় রাষ্ট্রপ্রতিরূপে। পাকিস্তানের আদালতের বিচারে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বঙ্গবন্ধুকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্বজনমতের চাপে তা সরকার কার্যকর করতে পারেননি। এদিকে শেখ মুজিবের নামে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে বাংলার মানুষ বিজয় লাভ করে। ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু বিজয়ীর বেশে মহান নেতা হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সে স্বপ্নের জন্যে আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এবং সে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেছিলেন। আজ সমগ্র প্রথিবী জানে ১৯৭১ সালে যে সংগ্রামের নেতৃত্ব তিনি দিয়েছিলেন, তা বিছিন্নতাবাদী আন্দোলন ছিল না, শোষিত মানুষের মুক্তিসংগ্রাম, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের ন্যায় যুদ্ধ। তিনি ইতিহাস নির্মাণের মাধ্যমে ইতিহাসের স্রষ্টা হয়েছেন এবং বাঙালি জাতির জনকের মর্যাদা লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। সমালোচকরা যাই বলুকনা কেন কোন মহান নেতাকে মূল্যায়ন করতে হলে তাঁর সময়কালকে আগে মূল্যায়ন করতে হবে, তবেই প্রকৃত অবদান ও প্রাপ্য মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধুর সময়কালে তিনি যে কৃতিত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন, তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। তাঁর অবদানই তাঁকে সম্মোহনী মহান নেতার মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
লেখক : অধ্যক্ষ, নর্থইস্ট বালাগঞ্জ কলেজ, সিলেট।