স্বাধীনতার তাৎপর্য ও বঙ্গবন্ধু


মোহীত উল আলম

২০১৯ সালে বাংলাদেশ ৪৮ বছর পূরণ করল। আজকে স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশ পৃথিবীকে স্বাগতম জানাতে পারে এ বলে যে যাকে একদিন তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হয়েছিল, তার এখন ঝুড়ির তলা তো হয়েছেই, এমনকি অর্থনৈতিকভাবে ৭ শতাংশের কাছাকাছি দৌড়াচ্ছে এর প্রবৃদ্ধির হার। এ সাফল্য আগে আমাদের জন্য ছিল অনাস্বাদিত। একটি ভিডিও দেখলাম, পতেঙ্গা সমুদ্রতীরের উন্নতি। রাত দুটোর সময় মহিলা পর্যটক পর্যন্ত নির্বিবাদে বিপুল আধুনিকায়িত এ সমুদ্রতটে হাঁটতে পারছে। এ রকম উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উল্লেখ এখন শত শত দেয়া যাবে।
কিন্তু এ অতীব আনন্দের মধ্যেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করতে চাই, কারণ বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান নির্ণীত হওয়া উচিত ভবিষ্যতের পথনির্দেশক হিসেবে। বঙ্গবন্ধু তাঁর মৃত্যুর সময় হয়তো আট-নয় কোটি লোকের নয়নের মণি ছিলেন। কিন্তু অসম্ভব মনে হলেও তাঁর মৃত্যুটা হয়েছিল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। এখনো বাংলাদেশ ষড়যন্ত্রমুক্ত হয়েছে, এ কথা ভাবা ঠিক নয়। সে জন্য এ লেখায় আমি চেষ্টা করেছি দুটো উদ্দেশ্যকে তুলে ধরতে। এক. বঙ্গবন্ধুর জীবনটাকে আমি মহৎ ট্র্যাজিক নায়কের জীবন হিসেবে সৃজনশীল সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে প্রতিফলিত দেখতে চাই। দুই. ষড়যন্ত্রের ঠিকুজি বের করে আমি ভবিষ্যতের জন্যও একটি সতর্কতার বাতাবরণ তৈরি করতে চাই। লেখাটিতে এ কথাটি বলতে চেয়েছি যে যদিও বঙ্গবন্ধু ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন, তবে এ শিকার হওয়ার কিছু কিছু আলামত কি বঙ্গবন্ধুর নিজের অজান্তেই তৈরি হয়ে গেয়েছিল কিনা, হলে সেগুলো কীভাবে হলো এবং সে সম্পর্কে সজাগ হয়ে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হওয়া। যখন সবচেয়ে বেশি নিরাপদ মনে হয় সময়, তখন সবচেয়ে বড় অঘটনটি ঘটতে পারে। ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে দুটো মসজিদের ওপর শ্বেত সন্ত্রাসী হামলাই তার বড় প্রমাণ।

১৫ মার্চ, খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ সাল; জুলাই ২, ১৭৫৭ এবং আগস্ট ১৫, ১৯৭৫। প্রথম উল্লিখিত তারিখে একদল রোমান সিনেটর ব্রুটাসের নেতৃত্বে জুলিয়াস সিজারকে হত্যা করে। তখন তার বয়স ছিল ৫৫ বছর। দ্বিতীয় উল্লিখিত তারিখে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করে মোহাম্মদ আলী বেগ। তাকে আদেশ দেন মীরজাফরের ছেলে মীরন। সিরাজের বয়স তখন কেবল ২৪। আর শেষ উল্লিখিত তারিখে কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রে সপরিবারে নিহত হন বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল, সিজারের মতোই, ৫৫।
আমার এ লেখাটি কাল্পনিকভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবনকে অবলম্বন করে কীভাবে মহৎ সাহিত্য তৈরি হতে পারে তারই ঠিকুজি নির্ণয় করার খুবই বিনয়ী একটা চেষ্টা। বিশ্বাসঘাতকতা থিমের ওপর সাহিত্য বহু রচিত হয়েছে, তার মধ্যে সিজার এবং সিরাজের ঐতিহাসিক চরিত্রের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ট্র্র্যাজিক চরিত্র খুব মেলে। সিজারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন তার রাজনৈতিক অনুজ সঙ্গী ব্রুটাস। ব্রুটাসকে কোনো কোনো ইতিহাসবিদ সিজারের জারজ পুত্র হিসেবেও দাঁড় করিয়েছেন। আর সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন তার সম্পর্কে চাচা সেনাপতি মীরজাফর আলী খান, আর এ দুই ঐতিহাসিক চরিত্র সাহিত্যে রূপায়িত হয়ে অবিস্মরণীয় ট্র্যাজিক চরিত্রে পরিণত হয়েছেন। সিরাজউদ্দৌলা বিখ্যাত হয়েছেন শচীন সেনের নাটকে, যেটাতে সিরাজউদ্দৌলা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নির্মলেন্দু লাহিড়ী। আর ‘সিরাজউদ্দৌলা’ চলচ্চিত্রে আনোয়ার হোসেন কালজয়ী অভিনয় করেছিলেন। তবে অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় রচিত সিরাজউদ্দৌলা (১৮৯৮) গ্রন্থটি পলাশীর ঘটনাসহ তৎপূর্ববর্তী ও পরবর্তী ইতিহাস জানার জন্য প্রামাণিক ধরা হয়। জুলিয়াস সিজারের জীবনাবলম্বনে রচিত নাটক শেক্সপিয়ারের জুলিয়াস সিজার, এবং নিঃসন্দেহে বলা যায় বিশ্বাসঘাতকতামূলক নাটকের ওপর এটি শেক্সপিয়ারের সেরা সৃষ্টি।
জুলিয়াস সিজার, সিরাজউদ্দৌলা এবং বঙ্গবন্ধু এ তিনজনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য, কেননা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় সমাজে মৌল পরিবর্তন এসেছে নেতিবাচক অর্থে। জুলিয়াস সিজারের হত্যাকাণ্ডের পর রোমান রাজ্য রিপাবলিক থেকে সম্রাটশাসিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়। শুরু হয় রোমান সাম্রাজবাদ। অর্থাৎ যে প্রজাতন্ত্রীর প্রতি হুমকি মনে করে জুলিয়াস সিজারকে ব্রুটাসের নেতৃত্বে খুন করা হয়, তার মৃত্যুতে ফল হয় ঠিক উল্টোটা। প্রজাতন্ত্রী লোপ পেয়ে রোম হয়ে যায় সাম্রাজ্য এবং সিজারেরই ভ্রাতুষ্পুত্র অক্টেভিয়াস সিজার হন রোমের প্রথম সম্রাট। ঠিক সে রকম বাংলার মসনদ পাওয়ার লোভে রবার্ট ক্লাইভের সঙ্গে জোট বেঁধে মীরজাফর সিরাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। ২৩ জুন, ১৭৫৭ সালে সংঘটিত পলাশীর যুদ্ধের নানা বিবরণের মধ্যে একটি বয়ান হলো মীরজাফর এবং ইয়ার লতিফ খান তাদের সেনাদলকে যুদ্ধক্ষেত্রে ইংরেজদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় করে রাখে। ফলে সিরাজের পরাজয় হয়। সিরাজের পরাজয়ের পর মীরজাফর বাংলার মসনদে বসলেও রবার্ট ক্লাইভের পুতুল হয়ে রইলেন। বাংলার স্বাধীনতার সঙ্গে ভারতবর্ষের স্বাধীনতাও গেল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খোন্দকার মুশতাক দুই মাস বাইশ দিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় বসান কর্নেল তাহের প্রমুখ। তারপর ২১টি বছর বাংলাদেশ প্রায় পাকিস্তান রূপে শাসিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি এ সময় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দেশ শাসন করে। সিজার এবং সিরাজকে নিয়ে যেমন অবিস্মরণীয় সাহিত্য, নাটক ও চলচ্চিত্র হয়েছে, ঠিক সে রকম বঙ্গবন্ধুর মতো ট্র্যাজিক চরিত্র নিয়ে কেন সাহিত্য রচনা হবে না বা চলচ্চিত্র তৈরি হবে না। আমি অনুযোগ করছি না, কিন্তু এ লেখাটাতে বঙ্গবন্ধুর জীবনকে নিয়ে ট্র্যাজিক সাহিত্য বা চলচ্চিত্র নির্মাণের আকরের খোঁজ করার চেষ্টা করব।
আমার ধারণায় বঙ্গবন্ধুর ট্র্যাজিক জীবনকে সাহিত্যে বা সৃজনশীল মোড়কে আনতে গেলে প্রথম উপাদান হবে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’। খোন্দকার মুশতাক আহমদ, জিয়াউর রহমান এবং ‘মেজর চক্র’ তো তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেনই, সঙ্গে সঙ্গে করেছিলেন তার ঘনিষ্ঠজনরা। বিশ্বাসঘাতকতা ঘনিষ্ঠজনরা করে থাকে, এটা প্রমাণিত সত্য।
সাহিত্যের দিক থেকে মুশতাক ছিলেন যথার্থ ভিলেইন। বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মোশতাক দুই বছরের বড় ছিলেন। ছিলেন তাঁরা পরস্পরের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সতীর্থ। কিন্তু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে (২০১২) মুশতাক কোনো বিশিষ্টভাবে উল্লিখিত হননি। পুরো বইয়ে প্রায় সাত-আট জায়গায় অনেকের সঙ্গে তার নাম উচ্চারিত হয়েছে কেবল, কিন্তু মুশতাকের বিশেষ কোনো ভ‚মিকার বর্ণনা নেই। ১৯৪৮-৪৯ সালে খাদ্য সমস্যা দেখা দিলে পাকিস্তান সরকার কর্ডন প্রথা চালু করে। যার অর্থ হলো এক জেলার ধান অন্য জেলায় যেতে দেয়া হবে না। কিন্তু ঢাকা ও ফরিদপুর জেলার দিনমজুর শ্রেণির লোক ধানের মৌসুমে ধান কাটতে খুলনা ও বরিশাল জেলায় ধান কাটতে যেত। হাজার হাজার নৌকা করে তারা যেত। ধান কাটার পর মালিকের অংশ মালিককে দিয়ে তাদের শ্রমের প্রাপ্য হিসেবে কাটা ধানের একটি অংশ তারা বাড়িতে নিয়ে আসত। এদের বলা হতো দাওয়াল। কিন্তু কর্ডন প্রথা চালু হওয়ার পর সরকার করল কি এ দাওয়ালদের ধান কাটতে যাওয়ার সময় নিষেধ করল না, কিন্তু ধান কেটে ফিরে যাওয়ার সময় ধান রেখে দিল। ফলে দিনমজুরগুলো চরম দারিদ্র্যে নিপতিত হলো। দাওয়াল সমস্যা সংক্রান্ত মুশতাক সম্পর্কে এ ভ‚মিকার উল্লেখটুকু ছাড়া অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আর কোনো বিস্তৃত উল্লেখ নেই। কিন্তু কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থে ১১ এপ্রিল ১৯৬৭ থেকে ২২ এপ্রিল ১৯৬৭ পর্যন্ত যে ক’দিনের রোজনামচা আছে, যার খানিকটা আগে উল্লেখ করেছি, তাতে মোশতাকের সবিশেষ উল্লেখ আছে।
১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ওয়াজেদ মিঞার সঙ্গে মুশতাকের দেখা হয় ৩২ নম্বরে বাসার গেটে। খোন্দকার মুশতাক বলেন, ‘বাবা ওয়াজেদ… আগামীকাল তোমার শ্বশুর (বঙ্গবন্ধু) সংবিধানের যে পরিবর্তন ঘটাতে যাচ্ছেন, তা করা হলে সেটা শুধু একটি মারাত্মক ভুলই হবে না, এর ফলে দেশে এবং বিদেশে তাঁর ভাবমূর্তিও অপূরণীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতএব এক্ষুনি বাড়ির তেতলার বৈঠকখানায় গিয়ে তোমার শ্বশুরকে এ বিষয়টি সঠিকভাবে অনুধাবন করানোর চেষ্টা করো। আমি আমার শেষ চেষ্টা করে বিফল মনোরথে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বাসায় ফিরে যাচ্ছি।’ (পৃ. ২৩৪)
কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ওয়াজেদ মিঞা সে রাতে বঙ্গবন্ধুকে মুশতাকের সতর্কবাণীর কথা পৌঁছাতে পারলেন না। ফলে তারপরের দিন, অর্থাৎ ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫-এ চতুর্থ সংশোধনী প্রায় বিনা বাক্য ব্যয়ে সংসদে পাস হলে বাংলাদেশে প্রেসিডেনশিয়াল শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়। এই যে ওয়াজেদ মিঞা বঙ্গবন্ধুর কাছে কোনোক্রমেই মুশতাকের অনুরোধটা পৌঁছাতে পারলেন না, এটিও সাহিত্যের ছকে প্রয়োজনীয় এরর বা গুরুত্বপূর্ণ ভ্রান্তি হিসেবে বিবেচিত হবে, যা ঘটনার মোড় বিয়োগান্তুক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু নিজের এবং শেখ হাসিনাসহ অন্যদের লেখা পড়ে যতটুকু জেনেছি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রেণুর সম্পর্ক ছিল নিরেট ভালোবাসায় পূর্ণ। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক সব বিষয়ই তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করতেন। কিন্তু চতুর্থ সংশোধনীর বিষয়টি স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেননি। করলে কি হতো না হতো সেটা আমাদের খোঁজ নয়, যেমন ওয়াজেদ মিঞা বঙ্গবন্ধুকে মোশতাকের উদ্বেগের কথা জানালে কি হতো সেটাও আমাদের খোঁজ নয়, কিন্তু এ প্রমাদটা, রেণুর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর চতুর্থ সংশোধনী নিয়ে আলাপ না হওয়া, এটাও সাহিত্যের ছক অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ট্র্যাজিক উপাদানের মধ্যে পড়ে। আর কালপুর্নিয়ার সঙ্গে ফজিলতুন্নেছার যেটা মেলেনি সেটা হলো তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিনি ছেলেমেয়ে নিয়ে সরকারি রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকবেন না। থাকলেন না। বঙ্গবন্ধুও হয়তো সম্মতি দিলেন তাঁর কথায়। কিন্তু মাত্র সাত মাসের মাথায় প্রায় অরক্ষিত ৩২ নম্বর বাসভবনে তিনি মারা পড়লেন স্বামী, তিন পুত্র, দুই পুত্রবধূ ও একজন দেবরসহ। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকলে রক্ষা পেতেন কি পেতেন না, সেটা এ লেখার খোঁজ নয়, বরঞ্চ এটা বলা হলো যে এমন এক চরমক্ষণে স্ত্রীর একটি সিদ্ধান্ত ট্র্যাজিক নায়কের অবশ্যম্ভাবী গতিপথ তৈরি করল। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা যদি বর্তমানের দিকে আসি তা হলে একটা কথা বলা যায়, জনগণই হচ্ছে সব শক্তির উৎস। এমন কোনো ধারণা আমাদের পোষণ করা ঠিক হবে না, যাতে আমরা আত্মপ্রবঞ্চনার শিকার হয়ে যাই। বঙ্গবন্ধুর গণতান্ত্রিক আদর্শকে অনুসরণ করে আমাদের সব পর্যায়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। মাঝে মাঝে প্রহেলিকা তৈরি হয়, মিথ্যাকে সত্য বলে মনে হয়, ভঙ্গুর বিশ্বাসকে ঋজু বিশ্বাস মনে হয়। স্তাবকদের কথা ও আশ্বাসকে মনে হয় নিজেরই আত্মার কথা। এগুলো থেকে দূরে সরে থাকা কঠিন, কিন্তু দূরে সরে আসতেই হবে। আজকের স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর মহান স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে এ প্রত্যয়টি আমাদের উচ্চারিত হওয়া দরকার যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে, তাঁর বিচক্ষণ পরিচালনায় আমরা হুজুগে পরিস্থিতি নির্মূল করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব।

SUMMARY

185-1.jpg