বঙ্গবন্ধুর আদর্শ : বাঙালি জাতির আজন্ম অনুপ্রেরণার উৎস

অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জুলকারনাইন জিল্লু:

“… তুমি কেউ নও, বলে ওরা, কিন্তু বাংলাদেশের আড়াইশত নদী বলে,
তুমি এই বাংলার নদী, বাংলার সবুজ প্রান্তর
তুমি এই চর্যাপদের গান, তুমি এই বাংলার অক্ষর,
বলে ওরা, তুমি কেউ নও, কিন্তু তোমার পায়ের শব্দে নেচে ওঠে পদ্মার ইলিশ,
তুমি কেউ নও, বলে ওরা, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গান আর নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা বলে,
তুমি বাংলাদেশের হৃদয়ে”

মহাকালের আবর্তে অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া এ নিয়মের মধ্যেও অনিয়ম হয় কিছু স্মৃতি, গুটিকয়েক নাম। বাংলা ও বাঙালির কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামটিও তেমনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এ বাঙালির অবদান চিরজাগরুক থাকবে বাঙালির প্রাণের স্পন্দনে। হাজার বছরের শৃঙ্খলিত বাঙালির মুক্তির দিশা নিয়ে জন্ম নিয়েছিল মুজিব নামের এক দেদীপ্যমান আলোক শিখার। এ আলোক শিখা ক্রমে ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র, নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যে পরাধীনতার আগল থেকে মুক্ত করতে পথ দেখাতে থাকে পরাধীন জাতিকে। অবশেষে বাংলার পূর্ব আকাশে পরিপূর্ণ এক সূর্য আবির্ভূত হয়, বাঙালি অর্জন করে মুক্তি। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আজ নেই, কিন্তু সে সূর্যের প্রখরতা আগের চেয়েও বেড়েছে অনেকগুণ। তাঁর অবস্থান এখন মধ্যগগনে। সেই সূর্যের প্রখরতা নিয়েই বাঙালি জাতি আজ এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। বঙ্গবন্ধু একটি দর্শন, একটি চেতনা। যে চেতনা উদ্বুদ্ধ হয়ে আজও আমরা এগিয়ে চলেছি একটি শোষিত-বঞ্চিত জাতির সার্বিক মুক্তির দিকে। বঙ্গবন্ধু হলেন বিশ্বাস, ধ্যান ও জ্ঞানে মুক্তিকামী জনতার মূলমন্ত্র। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোলাপগঞ্জের অজ-পাড়াগাঁ টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারে জন্ম নেন। খোকা ছিল মানুষটার ডাক নাম। পরিবারের লোকজন মায়া করে এই নামে ডাকতেন। নানা শেখ আব্দুল মজিদ অন্য আরেকটা খেতাবি নাম রেখেছিলেন। নাম রাখার সময় নিজের মেয়েকে ডেকে বললেন, মা সায়েরা, তোর ছেলে একদিন জগজ্জোড়া বিখ্যাত একজন হবে। নানা কি জানতেন? যার সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে গেলেন সে একদিন গোটা দেশের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে? তিনি শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধু। তিনি বাংলাদেশ। যার সম্পর্কে ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেন, আমি হিমালয় দেখিনি, আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি। ‘ফিনান্সিয়াল টাইমস’ পত্রিকাটি তার সম্পর্কে বলেছিল, মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনো জন্ম নিতো না। রাজনীতিটা তিনি করতেন গণমানুষের জন্য। তিনি বজ্রকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। আমরা এ দেশের মানুষের অধিকার চাই’’। তার মন কাঁদতো এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, নিপীড়িত মানুষের জন্য। তিনি কথা বলতেন ন্যায়ের পক্ষে। এ জন্য জীবনের বড় অংশই কেটেছে যার কারাভোগ করে করে। মানুষটাকে ঘিরে কত কবি কত কাব্য রচনা করেছেন। আর তিনি রচনা করেছিলেন একটা ইতিহাস, দেশের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস। এই মানুষটা দেশের নামটা পর্যন্ত নিজে দিয়ে গিয়েছিলেন, এ জন্যই নিউজ উইক বঙ্গবন্ধুকে উল্লেখ করেছিলেন, ‘পয়েট অফ পলিটিক্স’। আজকাল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বলে কেউ কেউ চেঁচান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিক্রি করে সস্তায় বিবেক বিকিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। তাঁরা কি আদৌ জানেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কি?
আজকে আমাদের দেশে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুখে যখন শুনি ‘‘বঙ্গবন্ধু আদর্শ’’ তখন এই দুঃখ জানানোর ভাষা আমাদের থাকেনা। যাদের কাছে আদর্শচর্চা শিখতে যাবে তাদের একটু কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, তারাই সবার আগে আদর্শ বিক্রি করে বসে আছে। সত্যিকারের আদর্শের একটা ঘটনা বলি। ভাসানী সাহেব তখন আওয়ামীলীগের সভাপতি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন তখনকার সাধারণ সম্পাদক। ভাসানী সাহেব বঙ্গবন্ধুকে একটি কাজে নারায়ণগঞ্জে পাঠান। সাথে দিয়েছিলেন আটআনা পয়সা। বঙ্গবন্ধু কাজ শেষ করে বিকালে এসে মাওলানা ভাষানীর হাতে আটআনা পয়সাই ফেরত দেন। ভাসানী সাহেব খুবই অবাক হলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, ঘটনা কি মুজিব, তুমি নারায়ণগঞ্জ কীভাবে গেলে? বঙ্গবন্ধু উত্তর দিলেন, সাইকেল করে গিয়েছি, টাকাটা বেঁচে গেছে। ‘‘বঙ্গবন্ধুর আদশ’র্’ বলে সারাদিন চেঁচান এমন কিছু পথভ্রষ্ট নেতাও এই দেশে আছে যারা অসহায় জনগণের ত্রাণের খাবারও লুটপাট করেন। জনগণ কাঁদে আর তারা এসি রুমে বসে মিডিয়ার সামনে ফোঁস ফোঁস করে বিক্রি করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। ১৯৭৪ সালে সারাদেশে দুর্ভিক্ষ। বঙ্গবন্ধুর মন খারাপ কিন্তু মনোবল শক্ত। এই সময় তার সাথে দেখা করতে গেলেন নুরুল ইসলাম। ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাসায়। ভেতরে প্রবেশ করে দেখল বঙ্গবন্ধু লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরে মোড়ার উপর বসে আছেন। নুরুলকে দেখে বলেন, ‘‘আসো আসো, আমি তো প্রতিদিন মুড়ি খাই তুমি খাবা?’’ এমন সাধারণ জীবনযাপন করতেন বঙ্গবন্ধু। এক নেতাকে একবার এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন আচ্ছা আপনি মুজিবকোট কেন পরেন? সে নেতা জবাব দিয়েছিলেন এটা বঙ্গবন্ধু পরতেন বলে পরি, এটা আদর্শ। আসলে বঙ্গবন্ধু পরতেন বলে এটি আদর্শ নয়, আদর্শ ছিল এই কোট পরার পিছনের চিন্তাধারা। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক ছাত্র একবার তাজউদ্দীনের সাথে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে গেলেন। ছেলেটা অনেকক্ষণ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নেতাকে দেখলেন। হুট করে ছেলেটা বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করল, আপনার কোটের বোতাম ছয়টা কেন? এ ধরনের কোটে বোতাম আরও বেশি থাকার কথা। প্রশ্ন শুনে নেতা ছেলেটাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। বলেন এমন প্রশ্ন আমাকে আগে কেউ করে নাই, তুমি প্রথম। এই ছয়টি বোতাম হলো আমার ঘোষিত ছয় দফার প্রতীক। এই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা, যিনি একটা কোটের মধ্যে ধারণ বিশ্বাস করেন দাবি, ন্যায্যতা।বঙ্গবন্ধু ছাত্র থাকা অবস্থায় শুধু ছাত্র না সবার অধিকার আর কথাই ভাবতেন। এখনকার ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে ‘ভাইয়া রাজনীতি’ আর ‘নাউন’-এর চেয়ে ‘বিশেষণ’ বেশি ব্যবহার করে খুশি করার রাজনীতি। ব্যক্তিগত ব্যানারে এক কোণে দেখা যায় না এমন ধরনের বঙ্গবন্ধুর ছোট্ট এক টুকরা ছবি দিয়ে পোস্টার বানানোর রাজনীতি, নিজে কাজ না করে নেতার প্রোফাইল পিকচার শেয়ার করার রাজনীতি। আর কথায় কথায় বলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক বলে নিজেকে দাবি করার প্রতিযোগিতার রাজনীতি। অথচ বঙ্গবন্ধু সেই মহান ব্যক্তিত্ব যিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থাকা অবস্থায় কথা বলেছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পক্ষে। ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ডাকা ধর্মঘটে নেতৃত্বদানের অভিযোগে তাকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। মুচলেকা দিয়ে ছাত্রত্ব ফেরত পাওয়ার অফার পেয়েও তিনি তার নীতি থেকে এক চুলও সরে আসেননি। এটাই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।আজকাল রাজনীতি চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হাতে। টাকা না থাকলে নাকি রাজনীতি হয় না। কেউ কেউ তো রাজনীতিকেই সবচেয়ে বড় ব্যবসা বলেন! কারও কারও ধারণা এখানে টাকার বিনিয়োগ করে একবার ক্ষমতার স্বাদ পেলেই সাত পুরুষের চলার মতো সচ্ছলতা হবে। অথচ আমাদের বঙ্গবন্ধু ছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রতিনিধি। তিনি তার পড়াশোনা ও রাজনীতির আংশিক খরচ এমনকি সিগারেটের পয়সাটাও স্ত্রীর কাছ থেকে নিতেন। তার সহজ-সরল জীবনযাপনের কথা সবাই জানে। বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বলেন, টাকার চেয়ে বড় ব্যাপার বঙ্গমাতা তাকে কখনো কোনো কিছুতেই বাঁধা দেননি। মানসিকভাবে। উপহাস জুগিয়েছেন। একজন বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে লোভ নয়, টাকা নয়, প্রতিহিংসা নয়Ñ কাজ করেছে সরল মন, মানুষের জন্য ভালো করার চেতনা আর তার আপনজনদের বিশ^াস। এটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।বঙ্গবন্ধুর নামে মিথ্যা প্রচারও কম হয়নি। তাকে ইসলামবিরোধী হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টাও হয়েছে এই দেশে। অথচ, তিনি স্বাধীনতার পরপরই রাশিয়াতে অনুষ্ঠিত তাবলীগ বাংলাদেশ থেকে জামাতপ্রেরণের ব্যবস্থা করেছিলেন। ঢাকায় কাকরাইলের মসজিদ ও বিশ^ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে সরকারি জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে থেকে পবিত্র হজ পালনের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা তিনিই করেছিলেন। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। তিনি বিদেশ থেকে মদ আমদানি ও মদ তৈরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সোহরাওর্য়াদী উদ্যানে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার নামে প্রকাশ্যে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।বঙ্গবন্ধু ছিলেন খুবই ধর্মপ্রাণ মানব। তবে কখনো ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেননি তিনি। এক ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মানুষকে মানুষ হিসাবেই দেখি। রাজনীতিতে আমার কাছে মুসলমান, হিন্দু ও খ্রিস্টান কিছু নাই। সকলেই মানুষ’। এটিই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে এর প্রতিচ্ছবি যিনি আঁকতেন।নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রথম তিনিই ভেবেছিলেন। এক আদেশনামায় তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘পাবলিক সেক্টরে যে সকল নিয়োগ হবে তাতে ১০ শতাংশ মেয়েদের নিয়োগ থাকবে। ‘সেই সময়ে ১০ শতাংশ মেয়েদের পাবলিক সেক্টরে নিয়োগের সিদ্ধান্ত কি পরিমাণ সাহসী কাজ সেটা তখনকার মানুষই ভালো জানেন। এটিই ছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, যিনি নারী অধিকারের কথা সবার আগে মাথায় রাখেন। এটিই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।এ দেশে মুখে মুখে থাকার কথা ছিল বঙ্গবন্ধুর গল্প। অথচ তেলবাজের সাম্রাজ্য ভয় হয় একদিন বঙ্গবন্ধুর নামটা ছাড়া বাকি সব অর্জন, বিসর্জন, আদর্শ, দর্শন মুছে যায় কিনা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক। আমাদের চেতনার অগ্নিমশাল। তার আদর্শ চিরঅম্লান। সেই আদর্শকে বুকে ধারণ করে, তারাই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দৃঢ় শপথগ্রহণই হবে বঙ্গবন্ধুুর প্রতি সত্যিকার শ্রদ্ধা জানানো। শ্লোগান সর্বসত্তা এবং লোক দেখানো স্তুতিবাক্য নয়, তাকে কোনো নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে নয়, তার আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিককে প্রকৃত দেশপ্রেমিক, সত্যনিষ্ঠাবান, সাহসী ও ত্যাগী দেশকর্মী হতে হবে। তার সংগ্রামী জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গোটা জাতি একযোগে কাজ করতে পারলেই আমাদের অর্থনীতির পাশে জোর হাওয়া লাগবে। তখন বাংলাদেশ হয়ে উঠবে সত্যিকারের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা। ধীরে হলেও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে। আমরা তার সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির আকাঙ্খা পূরণের পথেই। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা- দারিদ্র্যমুক্ত একটি সমৃদ্ধ জাতি গড়ার পথে বাংলাদেশের তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশেরতœ শেখ হাসিনা জনহিতৈষী পদক্ষেপ, উন্নত রাষ্ট্রচিন্তা, স্থিতিশীল অর্থনীতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবিত করার মাধ্যমে দেশকে জোরকদমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার কাজে তিনি তার ধ্যান, মন, প্রাণ পুরোপুরি সঁপে দিয়েছেন। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও শক্তিশালী করব এবং সকল ষড়যন্ত্রকারীকে প্রতিহত করব- এটাই হোক আমাদের আজকের শপথ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক

লেখক…
আইনজীবী, সাবেক সহ-সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কক্সবাজার জেলা

SUMMARY

1810-1.jpg