সুভাষ বসু পারেননি, বঙ্গবন্ধু পেরেছেন


৭ মার্চ পেরিয়ে ১৭ মার্চ বাঙালি জাতীয় জীবনে আরেকটি স্মরণীয়-বরণীয় দিন। এরপর আসছে ২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। কাকতালীয়ভাবে হলেও কেন জানি মার্চ মাসটিই আমাদের জাতীয় জীবনে সবচেয়ে বেশি স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। এ মাসটি যেমন সুখের তেমনি দুঃখেরও। এ মাসেই বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যার সূচনা হয় আবার এ মাসেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম। আর মাত্র সেদিন আমাদের জাতীয় জীবনে আরেকটি গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা ঘটল, প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। টানা তিনটি ম্যাচ জিতে, ক্রিকেট জগতের অন্যতম পরাশক্তি ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে নতুন রেকর্ড গড়া চাট্টিখানি কথা নয়। হয়ত এদিনটি অন্যান্য ঐতিহাসিক দিনগুলোর মতো প্রতি বছর ঘটা করে পালিত হবে না অথবা আমরা হয়ত একদিন বিশ্বকাপও জয় করতে পারি কিন্তু আজকের যে আনন্দ, যে সুখানুভূতি তা কিন্তু অনুভূত হবে না। আমাদের জাতীয় জীবনে আরো দুটি মাস আছে ফেব্রুয়ারি ও আগস্ট, যা শুধু স্বজন হারানো বেদনার, শোকাবহ।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম শেখ লুৎফুর রহমান ও মা সাহারা খাতুন। তিনি ছিলেন বাবা-মার তৃতীয় সন্তান, তাঁর বড় আরো দুবোন ছিলেন। তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ধীরে ধীরে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পাশাপাশি ১৯০৫ সালে ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে মুসলিম লীগের জন্ম হয়েছে। অগ্নি যুগের অবসান হলেও তার রেশ তখনো রয়ে গেছে ভারতবর্ষ বিশেষ করে বাংলাদেশে। অর্থাৎ ভারতবর্ষের রাজনীতি একটি যুগ সন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছিল এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। আর সেই যুগ সন্ধিক্ষণে বঙ্গবন্ধুর মতো ক্ষণজন্মা পুরুষের জন্ম নিঃসন্দেহে গুরুত্ববহ। তিনি যেন ইতিহাসের বরপুত্র।

যাইহোক বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে মৃত্যু এই বিশাল সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস আলোচনা করা আমার উদ্দেশ্য নয়। কেননা বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামী জীবন নিয়ে অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে এবং তাঁর সবকিছুই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের নখদর্পণে। তাঁর জীবনী এতো বর্ণাঢ্য ও বিশাল যে এই ক্ষুদ্র পরিসরে আলোচনা করা সম্ভবও নয়। শুধু এই বিশাল মহীরুহের রাজনৈতিক জীবনের কিছু অংশ পাঠকদের জন্য বিশেষ করে নবপ্রজন্মের জন্য তুলে ধরার চেষ্টা মাত্র।

বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যিনি রাজনীতিকে তাঁর পরিপূর্ণভাবে নেশা ও পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন। ভারত উপমহাদেশে বিশেষ করে আমাদের দেশে সার্বক্ষণিক রাজনৈতিককর্মী একমাত্র কমিউনিস্ট পার্টিতে ছিল, তবে এখনো আছে কিনা জানি না। এবং তাদের দল থেকে ভাতা দেয়া হতো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সংসার চলত পারিবারিক তহবিল থেকে। মাঝেমধ্যে চাকরি করার চেষ্টা করেছেন, তাও আবার রাজনীতির কারণেই, তবে তাও ছিল ক্ষণস্থায়ী। আর তাঁর রাজনীতি আবর্তিত হতো বাংলা ও বাঙালির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে। তাঁর স্বপ্ন-সাধনা সবকিছুতেই ছিল গরিব-দুঃখী খেটে-খাওয়া মানুষ আর তাদের শোষণ মুক্তি।

বঙ্গবন্ধুর কয়েক যুগের বর্ণাঢ্য, সংগ্রামী ও কর্মময় রাজনৈতিক জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো রাজনীতিকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা। আমরা যদি উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাই, মহাত্মা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে আসার পূর্ব পর্যন্ত দলটি ছিল মূলত রাজা-মাহরাজা এবং অভিজাত শ্রেণির দখলে। শুরুতে দলটি এমনভাবে পরিচালিত হচ্ছিল যে মনে হতো এটি তাদের একটি ক্লাব, বছরে একবার ভারতবর্ষের কোনো একটি শহরে সমবেত হয়ে ব্রিটিশ সরকারের কাছে কিছু দাবি-দাওয়া উত্থাপন আর ভূরিভোজের আয়োজনের পাশাপাশি চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা। কিন্তু গান্ধীজি নেতৃত্বে আসার পরই মূলত দলটিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে এবং দলটি সত্যিকার অর্থেই সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে পরিণত হয়। আর নবাব স্যার সলিমুল্লাহ যে মুসলিম লীগ নামক রাজনৈতিক দলটি গঠন করেছিলেন তা কোনোদিনই গণমানুষের রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে পারেনি। সব সময়ই কোটারি স্বার্থান্বেষী, ষড়যন্ত্রকারী ও অভিজাত শ্রেণির নেতৃত্বই দলটিতে প্রাধান্য বজায় রেখেছে। তাইতো দেখা যায় পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই মওলানা ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হয়, যা পরবর্তীতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অর্থাৎ দলটিকে গণমানুষের রাজনৈতিক দলে পরিণত করার লক্ষ্যে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু আওয়ামী লীগ করা হয়। আর আওয়ামী লীগ রাজনীতির চেতনাগত দিক ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়ে স্বাধিকার অর্জন, পরবর্তীতে যা স্বাধীনতার দাবিতে রূপ নেয়।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মওলানা ভাসানী এবং হোসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দী দলের নেতৃত্বে থাকলেও বঙ্গবন্ধুর সাংগঠনিক দক্ষতা, বাগ্মিতা, সম্মোহনী শক্তি এবং দলের নেতাকর্মী তথা মাটি ও মানুষের প্রতি ঐকান্তিক মমত্ববোধ, ভালোবাসা এবং সাধারণ মানুষের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মনোভাবই খুব দ্রুত আওয়ামী লীগ ও তার রাজনীতির সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে মুখ্য ভূমিকা রাখে। যার ফলে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের নিরঙ্কুশ বিজয়। এরপর মওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ ত্যাগ, সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পুরোপুরি বঙ্গবন্ধুর হাতে চলে আসে। লক্ষণীয় বিষয় সেই সময় বঙ্গবন্ধুর চেয়ে আরো বেশি প্রাজ্ঞ, পণ্ডিত, জ্ঞানী-গুণী (আজকের সুশীল সমাজ বা নাগরিক সমাজের মতো) ব্যক্তিরা রাজনীতিতে ছিলেন। আবুল হাশিম, আতাউর রহমান খান, আবুল মনসুর আহমেদ, শাহ আজিজুর রহমান, মোশতাক আহমেদ (যার সব সময়ই এক নম্বর হওয়ার খায়েশ ছিল এবং শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেও তার খায়েশ পূরণ হয়নি) প্রমুখ। কিন্তু তারা কেউই সেদিন বঙ্গবন্ধুকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর সাংগঠনিক দক্ষতা, মাটি ও মানুষের মমত্ববোধ এবং বাংলা আর বাঙালির মুক্তির প্রশ্নে আপসহীতার কাছে তারা সবাই পরাভূত হয়েছেন। অনেকেই জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে বঙ্গবন্ধুকে অর্ধশিক্ষিত বলে গালিগালাজ করেছেন, দলছুট হয়ে ভিন্ন দল গঠন করেছেন, চক্রান্ত করেছেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বাংলা ও বাঙালির জয়যাত্রাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি। আজকেও আমরা কিন্তু একই চিত্র দেখতে পাই। যেভাবে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হয়েছে, বিষোদগার করা হয়েছে, কুৎসা রটনা করা হয়েছে, তেমনি একই চিত্র আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে জলাঞ্জলি দিয়ে নব্য পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাবার মতো কন্যারও মাটি ও মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসার কারণে কোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্তই তাকে দমিয়ে রাখতে পারছে না, পারবেও না। অভীষ্ট লক্ষ্যে আমরা পৌঁছবই।

বঙ্গবন্ধুর আগে আরেকজন বাঙালি নেতা আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তিনি নেতাজি সুভাষ চন্ত্র বসু। তিনি এক সময় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন, তবে তিনি গান্ধীবাদী ছিলেন না। তিনি বিশ্বাস করতেন অহিংস পথে নয়, সহিংস অর্থাৎ একমাত্র সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমেই ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব। তিনি শুধু বাংলার নয়, সমগ্র ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় হিটলার-মুসলিনি বিশেষ করে জাপানের সহায়তায় সশস্ত্র সেনাবাহিনী গঠন করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল ব্যাপক, প্রস্তুতি ছিল অপ্রতুল। স্বাধীনতা সংগ্রামের যে মূল চালিকাশক্তি সাধারণ মানুষ, তাদের তিনি সেই সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্ত করতে পারেনি। তিনি মাত্র কয়েক হাজার সৈনিক নিয়ে এবং বিদেশি শক্তির ওপর ভর করে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিলেন। সুতরাং তিনি যখন বলেন, তোমরা আমায় রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব সেই ডাকে সেদিন কিন্তু সমগ্র ভারতবাসী দূরে থাক, বাঙালিরাও সাড়া দেয়নি। তিনি জীবন দিয়েছেন কিন্তু স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে পারেননি।

সুভাষ বসু না পারলেও বঙ্গবন্ধু কিন্তু পেরেছেন, স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে সফল হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সীমিত কিন্তু প্রস্তুতি ছিল ব্যাপক। তিনি বৃহত্তর বাংলা নয়, শুধু পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার স্বপ্নই দেখেছেন। আর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য তিলে তিলে জনগণকে প্রস্তুত করেছেন। জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় কারাগারে কাটিয়েছেন, দুবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন কিন্তু পরাস্ত হননি। ভাষা আন্দোলন থেকে ছয় দফার আন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মার্চের অহিংস-অসহযোগ আন্দোলনের পথ বেয়ে সশস্ত্র স্বাধীনতার সংগ্রাম। দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে তিনি বাংলার আপামর জনগণকে ধীরে ধীরে প্রস্তুত করেছেন স্বাধীনতার সংগ্রামের জন্য। অহিংস আন্দোলন থেকে সশস্ত্র সংগ্রাম। তাই তিনি যখন বলেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাল্লাহ। মানুষ কিন্তু রক্ত দিতে দ্বিধাবোধ করেনি। তাই ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে আমাদের স্বাধীনতা, দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা। পাঠক একটু খেয়াল করলে দেখবেন সুভাষ বসু ও বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের মধ্যে সূ², অথচ একটি ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। সুভাষ বসু বলেছেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও; আর বঙ্গবন্ধু বলেছেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। তাই সুভাষ বসু তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি, বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন।

বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমরা আজ স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি। বঙ্গবন্ধু আরেকটি কথা বলতেন, আমাদের এই স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে যাবে, যদি না আর্থ-সামাজিক মুক্তি অর্জন করতে পারি। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার মাধ্যমে ধীরে ধীরে মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ করে যেতে পারেননি, তা অসমাপ্ত রেখেই দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয়েছে। আজ আবার তাঁর স্বপ্ন পূরণের কাজ শুরু হয়েছে, তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত হয়েছে, তাঁকেও হত্যা করার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। বাঙালি বীরের জাতি, আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। সব চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রকে পরাভূত করে শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা এগিয়ে যাব বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। তাই হোক জাতির জনকের জন্মদিনে আমাদের দৃপ্ত শপথ। জয় আমাদের হবেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

যুক্তরাজ্য থেকে

সুজাত মনসুর : সাবেক ছাত্রনেতা ও কলাম লেখক।

SUMMARY

1788-1.png