বাংলা বাঙালি বঙ্গবন্ধু ও আমরা


আরব, ওলন্দাজ, তুর্কি, ফরাসি, পুর্তগিজ, ইংরেজ প্রভৃতি বণিকগোষ্ঠীর অন্যায্য কৌশলের শিকারে পরিণত হয়ে সামগ্রিকভাবে ভূগোল-বাংলার গায়ে চেপে বসেছিল পরাধীনতার শৃঙ্খল। পরাধীনতার এই শৃঙ্খলকে অদৃষ্ট ভেবে এদেশের আপামর মানুষ নির্বিকার জীবনযাপন করে যাচ্ছিল বছরের পর বছর। নির্বিকার ও নিরাকাক্সক্ষায় একটি জাতি হাজার বছরেরও অধিক সময় যখন ঘুমিয়ে ছিল তখন জাতির এই ঘুম ভাঙানোর প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশেরই এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই বঙ্গে তাঁর জন্ম হয়েছিল বলে আজ আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে সক্ষম হয়েছি। স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার গৌরব অর্জনের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রতিষ্ঠার আস্বাদ লাভে সক্ষম হয়েছি।

গঙ্গা-করতোয়া-ব্রহ্মপুত্র বিধৌত, সাগর-পর্বত বেষ্টিত, রাঢ়-পুণ্ড্র-বঙ্গ-সমতট প্রভৃতি চতুর্জনপদ সমৃদ্ধ বাংলাদেশে প্রাচীনকাল থেকে আরম্ভ করে তুর্কিদের আগমন পর্যন্ত কত বিভিন্ন জন কত বিচিত্র রক্ত ও সংস্কৃতির ধারা বহন করে এনেছে এবং একে একে কোথায় কে কবে কীভাবে বিলীন হয়েছে তার সঠিক হিসেব নেই। কিন্তু মানুষ তার রক্ত ও দেহ গঠনে, ভাষায় ও সভ্যতার বাস্তব উপাদানে এবং মানসিক সংস্কৃতিতে তা গোপন করতে পারেনি। এই বিচিত্র রক্ত ও সংস্কৃতির ধারা প্রচ্ছন্নভাবে বাঙালির প্রাচীন সমাজ বিন্যাসে সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই লক্ষ করা যায়। জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা অর্জনকালে বাঙালির মধ্যেও কিছু স্বতন্ত্র স্বভাববৈশিষ্ট্য গভীরভাবে যুক্ত হয়। বাঙালির সংস্কার, সংস্কৃতি, ধর্ম, দর্শন, আনন্দ, বিনোদনসহ জীবন সংগ্রামের নানা পর্যায়েই স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় ফুটে ওঠে। রাজনৈতিকভাবেও বাঙালি বহু প্রাচীনকাল থেকেই স্বাধীনচেতা ও গণতন্ত্রমনস্ক। প্রাচীনকালের রাজা গোপালের সময় বাংলায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষিত ছিল বলে ইতিহাস থেকে আমরা জানি।

স্বাধীনচেতা, অসাম্প্রদায়িক এবং গণতন্ত্রকামী হলেও যুদ্ধ-বিগ্রহের প্রতি প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালির তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই বাঙালি স্বভাবে শান্তিপ্রিয়। তাই বিভিন্ন সময় পরাক্রমশালী বিভিন্ন রাজশক্তি বাংলা দখল ও শাসন করে। এক সময় মুঘল প্রভুদের চাকচিক্যময় ও জৌলুশপূর্ণ জীবন-যাপনের জন্য মোটা অঙ্কের কর দিতে হয় বাংলার মানুষকে। পরে, ১৭৫৭ সালে স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর ব্রিটিশরাজকেও কর দিতে হয়। শুধু তাই নয়- ব্রিটিশদের প্রায় ২০০ বছরের শাসন-শোষণকালে এদেশের মানুষের বঞ্চনার চিত্র করুণ হয়ে ওঠে। তারা এদেশের সম্পদ পাচার করে পাঠিয়ে দিত তাদের স্বদেশে এবং তাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রির বিশাল বাজারে পরিণত করে তুলেছিল বাংলাদেশ তথা সমগ্র ভারতবর্ষকে। ১৭৯৩ সালে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ আইনের মাধ্যমে সৃষ্ট জমিদার, ভূস্বামী গোষ্ঠীও তাদের সহযোগীর ভূমিকা পালন করে। ইংরেজদের অপশাসন বাঙালি তথা ভারতবর্ষের মানুষ মুখ বুজে সহ্য করেনি। বিভিন্ন সময়ে এদেশের মানুষ ইংরেজ শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছে। মাস্টারদা সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম ও বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের নাম ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা। ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো বঙ্গভূমির বীর সন্তানদের আন্দোলনের ফলে ইংরেজরা ১৯৪৭ সালে এ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।

এ সময় সমস্ত বৃহৎ-বঙ্গকে ভেঙে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ নামে বিভক্ত করে পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশকে পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে এবং পশ্চিমবঙ্গকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে দুটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে হিন্দুদের জন্য ভারত এবং মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। পূর্ববঙ্গে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ‘কাগুজে স্বাধীনতায়’ তাদের ভাগ্য জড়িয়ে পড়ে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির সঙ্গে। তখন বাংলাদেশের নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান। অজানা নিয়তি ১২০০ মাইল দূরের পশ্চিম পাকিস্তানের মুসলমানদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রচনা করাতে গিয়ে বাঙালিকে পাকিস্তান নামক তথাকথিত স্বাধীন রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করে। পশ্চিম পাকিস্তানিদের সঙ্গে বাঙালির একমাত্র ইসলাম ধর্ম ছাড়া ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, দর্শন, প্রকৃতি, পরিবেশ, মন-মানসিকতা, চিন্তা-চেতনা, আচার-ব্যবহার কোনো দিক থেকেই মিল ছিল না। তাই মুসলমানদের ‘ভ্রাতৃত্ব’র স্বপ্ন ব্যর্থ হয়। উপরন্তু, রাষ্ট্রক্ষমতা লাভ করেই পাকিস্তানি শাসকরা বাঙালির ওপর শাসন, শোষণ ও নির্যাতন শুরু করে। ফলে বাঙালি কেবল স্বপ্ন-ভঙের বেদনায়ই জর্জরিত হয়নি, তারা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়, পাকিস্তানের সঙ্গে তার ইতিহাস প্রকৃতপক্ষে নির্যাতন, বৈষম্য ও বঞ্চনারই ইতিহাস। পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ৫৫% এবং পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল ৪৫%। অপরদিকে এদেশের সব মানুষের মুখের ভাষা ছিল বাংলা। অপরদিকে পশ্চিম পাকিস্তানে সেকালে একাধিক ভাষার প্রচলন ছিল। এর মধ্যে মাত্র ১৫% পাকিস্তানির মুখের ভাষা ছিল উর্দু। তবুও ক্ষমতার দাপটে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একপেশে মনোভাব নিয়ে বাঙালির মাতৃভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে অপরিমেয় ত্যাগের বিনিময়ে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা তার আপন মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়।

ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা বুঝতে পেরেছিল, পাকিস্তানি শাসকরা বাঙালির সঙ্গে ‘ভ্রাতৃত্ব বন্ধন’ নয় ‘প্রভু-ভৃত্যে’র সম্পর্ক স্থাপনেই তৎপর ছিল। তারা কেবল ভাষা ও সংস্কৃতিই নয়- অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যনীতিও বাঙালির ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশ ও বাঙালিকে শাসন-শোষণের মধ্য দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান ও পাকিস্তানিরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে। প্রতিনিয়ত শোষণ-বঞ্চনার মাধ্যমে যেহেতু তাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় হয়ে উঠেছিল তাই বাঙালিদের তুলনায় পশ্চিম পাকিস্তানিদের সামজিক জীবনমানও উন্নত হয়ে উঠেছিল। তৎকালে সরকারি অধিকাংশ নীতিমালাও প্রণীত হতো পশ্চিম পাকিস্তানি জনগোষ্ঠীর স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে। তাই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকালে মুসলমান-মুসলমানে ‘ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে’র কথা থাকলেও এদেশবাসীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কিংবা সামাজিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে শাসকদের কোনো কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। নানা প্রকারের অভাবগ্রস্ততা বাঙালির সামগ্রিক জীবনকে পাকিস্তানিদের তুলনায় বহুগুণে পেছনে ফেলে দেয়। স্বৈরতান্ত্রিক পাকিস্তানিদের লাগামহীন শাসন, শোষণ, বঞ্চনা ও নিপীড়নের মধ্য থেকেও বাঙালিরা পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর ছিল। সমকালে এসব আন্দোলনের অধিকাংশেরই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ জন্য তাকে বারবার কারাবরণও করতে হয়। কিন্তু প্রতিবাদমুখর জনতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে স্লোগান স্লোগানে রাজপথ কাঁপিয়ে তুলেছিল। তখন সমস্বরে স্লোগান উঠেছিল : ‘জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো।’ শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ৬৬ সালের ৬ দফা দাবি, ৬৭ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান সার্থক রূপ লাভের মধ্য দিয়ে একটি কাক্সিক্ষত পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনে ২৮৮টিতে জয়লাভ করলেও ক্ষমতা হস্তান্তরে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর গড়িমসি ও ষড়যন্ত্র শান্তিপ্রিয় বাঙালিকে একটি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানিদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা এবং স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিনই তিনি ঘোষণা করেন : ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র সাধারণ বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা হত্যা করে অসংখ্য শিশু ও নারী-পুরুষ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে বন্দী করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। তার আগেই তিনি তারবার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা জারি করেন। ফলে শুরু হয় পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বাঙালির সর্বাত্মক সশস্ত্র সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু দেশে অনুপস্থিত কিন্তু তাঁরই নেতৃত্বে, তাঁকেই নেতা হিসেবে মেনে নিয়ে শুরু হয় বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’; ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’; ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’; ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’ প্রভৃতি স্লোগান বাঙালিকে সামগ্রিকভাবে একটি নির্দিষ্ট রাষ্ট্রসীমার অধিবাসী করে তোলে। আর ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি যুদ্ধক্ষেত্রসহ বাঙালির সামাজিক অভিবাদনের সংস্কৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জনসভায় জনসভায় এসব স্লোগান আকাশ বাতাস নিনাদিত ও প্রকম্পিত করে তুলত। এসবের মধ্য দিয়ে বাঙালি সমাজ নিঃসন্দেহে স্বাধীনতার অভিযাত্রার লক্ষ্যে ধাবিত হয়ে উঠেছিল। নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধিকার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাঙালি ক্রমেই শক্তি অর্জনের মাধ্যমে হয়ে উঠেছিল আত্মবিশ্বাসী। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে এ দেশের ত্রিশ লাখ মানুষ শহীদ হয়। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে সম্ভ্রম হারাতে হয় দুই লাখ নারীকে। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে তার অস্তিত্ব ঘোষণা করে।

বাংলাদেশ শব্দটি/নামটি সচেতনভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম তাঁদের কথা, কবিতা ও সাহিত্যের মাধ্যমে আমাদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার বাংলা’, নজরুলের ‘বাঙালির বাংলা’, আমাদের চেতনার রঙে জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’ ক্রমে-ক্রমান্বয়ে বঙ্গবন্ধুর ‘জয় বাংলা’র ভেতর দিয়েই বিকশিত হলো বাংলাদেশ নামের একটি রাষ্ট্রের মধ্যে। প্রকৃতপক্ষে প্রাচীনকাল থেকেই যুগে যুগে বঙ্গ, বঙ্গাল, বাঙ্গাল, বঙ্গদেশ প্রভৃতি কত নামেই না এই ভূগোল-বাংলার পরিচয় বিধৃত ছিল। নাম-পরিচয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভৌগোলিক সীমারেখা আর পরিধিরও পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়েছে যুগে-যুগে কালে-কালান্তরে। সকল কাল ও সকল যুগের সকল পরিচয় ঘুচিয়ে আজ আমাদের ঠিকানা হয়েছে বাংলাদেশ নামক ভৌগোলিক পরিধির মধ্যে। বাংলাদেশ আজ স্বাধীন-সার্বভৌম ও জনকল্যাণমুখী একটি রাষ্ট্রে পরিণত। স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আজ নানা দিক থেকে পরিণতও হয়ে উঠেছে। সুখের কথা, বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক বাঘে পরিণত হতে চলেছে। কিন্তু বাংলাদেশের এই পরিণতি অর্জনের আগে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে এর আত্মপ্রকাশ ছিল অনিবার্য।

এই বাংলায় বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলে বাংলাদেশের এই অনিবার্য আত্মপ্রকাশ সম্ভব হয়েছিল। চারিদিকের নানা শৃঙ্খল থেকে মুক্তিদানের মাধ্যমে বাঙালিকে স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণের ফুর্তিদান করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। আমরা বারবার ঘুরে-ফিরে সেই অমোঘ ইতিহাসেরই পাঠ নিই। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি বঙ্গবন্ধু মুজিবের আজ জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনে আমাদের অসীম শ্রদ্ধা।

আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

SUMMARY

1754-B3.jpg