বাংলাদেশের সক্রেটিস হিসেবে আখ্যায়িত এবং সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক Bangladesh : State of the Nation শীর্ষক ভাষণে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তাঁর সুচিন্তিত মন্তব্যে বলেছিলেন,
‘….. এ বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই যে, বঙ্গবন্ধু দেশপ্রেমে বিহŸল ছিলেন। দেশপ্রেমের সংজ্ঞাকে যত ব্যাপক করে তোলা যাক না কেন, বঙ্গবন্ধু ততখানিই তাঁর দেশকে ভালোবাসতেন। যে প্রেম তাঁকে বিহŸল করেছিল, তা দেশের প্রতি যে হালকা আবেগ আমরা অনুভব করি এবং যাকে দেশপ্রেম হিসেবে চালিয়ে থাকি, তার থেকে অনেক বেশি আলাদা।….. তিনি তাঁর অন্তিম এবং চিরন্তন ভালোবাসার কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছিলেন। পৃথিবীর সেই ছোট্ট অংশটার প্রেমে তিনি বিহŸল ছিলেন- যার নাম হচ্ছে বাংলাদেশ। এ ধরনের ভালোবাসা বিপজ্জনক হতে পারে। বঙ্গবন্ধুই তার প্রমাণ।’ প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের এই একটি লিখিত প্রবন্ধই আছে। ভাষণটি তিনি ইংরেজিতে দিয়েছিলেন। তবে পরে এর বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে। এই ভাষণটি তিনি দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘প্রফেসর মোজাফফর আহমদ চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা’ উপলক্ষে। উল্লেখ্য, প্রফেসর মোজাফফর আহমদ চৌধুরীও ছিলেন একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন প্রফেসর মোজাফফর আহমদ চৌধুরী। পরবর্তীকালে তিনি বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায় শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বাঙালিদের মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে এককভাবে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পুরো পরিবারকে চরমতম মূল্য দিতে হয়েছে! স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিন বছর পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে অন্ধকারের অতল গহŸরে বিলীন করে দেয়ার লক্ষ্যে এটি ছিল একটি সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ। যে ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। ১৯৭৫ সালের সেই কালরাতে সংঘটিত ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশে না থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের জল্লাদ শাহীর কারাগারে অন্তরীণ থাকাকালে সেলের পেছনে বঙ্গবন্ধুর জন্য কবর খনন করা হয়েছিল! অপরদিকে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অবরুদ্ধ ঢাকা শহরে, অন্তরীণ বেগম মুজিব, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দম বন্ধ হওয়া পরিবেশে কোনোরকমে বেঁচে থেকেছেন।
এক সময়ে বঙ্গবন্ধুর অনুগ্রহে যারা পারিবারিক, ব্যক্তিগত, পেশাগত ও রাজনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছিল তারাই ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে সুগভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিল! ষড়যন্ত্রটি কতটা সূ² ছিল তা উপলব্ধি করা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার থেকে। এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বোস্টার সম্পর্কে বলছেন যে, ‘বোস্টার নিজে বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক করতে গিয়েছিলেন।’ আসলে হত্যার ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু কতটুকু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন বা আদৌ নিয়েছেন কিনা এ ব্যাপারটি নিশ্চিত হতেই বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারী খোন্দকার মোশতাকের প্রধান ইন্ধনদাতা তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইউজিন বোস্টার সে সময় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তার নাম স্টিফেন আইসেনব্রম, যিনি বাংলাদেশে সে সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সাংবাদিক চার্লস কেনেডি ২০০৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা স্টিফেন আইসেনব্রম-এর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। আইসেনব্রম ১৯৭৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্স এন্ড রিসার্চ’-এর বাংলাদেশ শাখার ডেস্ক অফিসার ছিলেন। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে সংবিধানের ৪র্থ সংশোধনী জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হয়। পঁচাত্তরের জুলাই মাস থেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছিল। স্টিফেন আইসেনব্রম এ সময়ে ঢাকাতেই ছিলেন। স্টিফেন আইসেনব্রম বলছেন, ‘বাংলাদেশের লোকজন এ সময়ে কানাঘুষা করত যে, মুজিবের জীবন বিপদাপন্ন। লোকজনের এ ধরনের কানাঘুষা করার কথা মার্কিন দূতাবাসেও পৌঁছেছিল। দূতাবাসের মাধ্যমে এটি ওয়াশিংটনেও পৌঁছেছিল। অচিরেই এটি বোঝা গিয়েছিল যে, এটি কোনো অলস কথাবার্তা নয়।’
আইসেনব্রম বলছেন, ‘শেখ মুজিবকে সতর্ক করে দেয়ার নৈতিক দায়িত্ব আমাদের আছে কিনা, সে সম্পর্কিত কথাবার্তা আমাদের মধ্যে হওয়ার বিষয়ে আমি স্মরণ করি।’ স্টিফেন আইসেনব্রম স্মৃতিচারণ করে বলছেন, ‘শেষ পর্যন্ত শেখ মুজিবকে সতর্ক করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রদূত ডেভিড ইউজিন বোস্টার বলতে যাবেন। এটি সম্ভবত ১৯৭৫-এর জুলাইয়ের শেষে বা অগাস্টের প্রথমদিকে হবে। তিনি কী কথা বলবেন তা আমি ঠিক করে দিয়েছিলাম। তবে আমার পুরোপুরি মনে নেই আমি কী বলেছিলাম। যা হোক, বোস্টারকে যা বলার জন্য বলা হয়েছিল তার নির্যাস ছিল, আমরা আপনার বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান এবং সহিংসতা সম্পর্কে অনেক হুমকির কথা শুনছিলাম। তিনি কোনো নাম উল্লেখ করেননি। তিনি শুধু সাবধান হওয়ার জন্য মুজিবকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।’ ‘আমার যা মনে আছে’, আইসেনব্রম বলছেন, ‘মুজিব এ ব্যাপারে ক্যাজুয়াল ছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘ডোন্ট ওরি, আমি জানি আমার জনগণকে চিনি, তারা আমাকে ভালোবাসে এবং সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে আছে।’ আইসেনব্রম বলছেন, ‘বাংলাদেশে আমার দায়িত্বের শেষ দিন ছিল আগস্ট ১৫, শুক্রবার, ১৯৭৫ এবং আমি সব শেষে চলে এসেছিলাম। সেই দিন সকালে আমার যা করার ছিল তা হলো শুধু চলে আসা এবং শুভ বিদায় বলা কারণ পরবর্তী সোমবার সকালে আমি এফএসআই-এর বাংলা ভাষা ট্রেনিং শুরু করেছিলাম। অ্যান গ্রিফিন [আর একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা যিনি আইসেনব্রমের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন] ডেস্ক অফিসার হিসেবে ফিরে এসেছিলেন এবং আগের দিন দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সুতরাং আমি সেদিন সকালে অফিসে এসে পুরোপুরি গোলমেলে পরিস্থিতি অনুমান করতে পেরেছিলাম। এলোমেলো অবস্থা চলছিল কারণ শেখ মুজিব এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্য কিছুক্ষণ আগেই নিহত হয়েছিলেন। এটি ছিল একটি ভয়াবহ অবস্থা…।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে কেবল খোন্দকার মোশতাকই নয়, বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিলেন। আর জিয়া শুধু জড়িতই ছিল না, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে মৃত মানুষের চরিত্র হননের চেষ্টা করেছে। অথচ জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান নিয়োগ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বেগম খালেদা জিয়াকে যখন জিয়াউর রহমান গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তখন বঙ্গবন্ধুর কারণেই বেগম জিয়া তখন জিয়াউর রহমানের সংসারে পুনরায় প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিল। গত সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে ২০১৬ সালের শোকের মাস আগস্টের শুরুতে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যে বাড়িতে আমাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি, রাস্তায় বসে মিলাদ পড়তে হয়েছিল- সেই বাড়ি আমাকে হস্তান্তর করার জন্য তারা ব্যস্ত হয়ে যায়। আইনজীবীর মাধ্যমে বাড়ি বুঝে নেয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তখন বুঝতে পারিনি তাদের তাড়া কেন!’ ‘বাড়ি হস্তান্তর করার পরে ৪০ দিন ধরে টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে ওই বাড়িতে হীরা, মুক্তা, টাকা পাওয়া গেছে। আর জিয়া একটি ভাঙা স্যুটকেস আর ছেঁড়া জামা রেখে গেছে। ১শ টাকার নোট বঙ্গবন্ধু বন্ধ করেছিলেন। সেই নোট ট্রাংক ভরে এনে দেখিয়েছিল এসব পাওয়া গেছে ওই বাড়িতে।’ ‘কিন্তু বাংলার মানুষ এসব বিশ্বাস করেনি। কারণ দেশকে কে কতটুকু দিয়েছে তা মানুষ জানে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কৃত্রিমভাবে চরিত্র তৈরি করে সত্য চাপা দেয়া যায় না। আমাদের বিজয়ের ইতিহাস কয়েক প্রজন্ম জানতেই পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে ৭ মার্চের ভাষণ তারা শুনতে পেয়েছে। সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছে। এখন মানুষ অনেক সতর্ক। তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। চাইলেই আর মানুষকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই।’ ‘বাংলার মানুষের মন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র আর সফল হবে না’ বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া। আমি শুনেছি বাবা কিভাবে দেশের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করছি সেভাবে কাজ করতে।’ তিনি বলেন, ‘এখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে জঙ্গিবাদ। এটাও তাদের সৃষ্টি। গোড়ায় গেলে দেখা যাবে, একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তির উত্তরাধিকাররাই এতে জড়িত। এরাও পরাজিত হবে। ‘বাংলাদেশের মাটিতে কোনো জঙ্গিও স্থান হবে না। এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটাই হবে আজকের দিনে প্রতিজ্ঞা।’
বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকাকালে দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিপীড়ন, নির্যাতন, কারাভোগ ও প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা অসংখ্য! এমনো সময় গিয়েছে যখন বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ঢাকার কোনো কোনো বাড়িওয়ালা বাড়ি ভাড়া পর্যন্ত দিতে রাজি হতেন না। কী দুর্বিষহ জীবন! এটি শুধু ভুক্তভোগী ব্যক্তির পক্ষেই অনুভব করা সম্ভব। অন্য কারও পক্ষে এটি ধারণা করাও সম্ভব নয়! এসবই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বাঙালি জাতির মুক্তির সীমাহীন যন্ত্রণা-মূল্য, যা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে দিতে হয়েছে। বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কী পরিমাণ মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা অনুভব করেছে সেসব কিছু একটি মাত্র ক্ষুদ্র লেখায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এই যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এখনো এই যন্ত্রণা ভোগ করছেন। গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা, শোলাকিয়া ঈদের জামাতে জঙ্গি হামলাসহ দেশের চরম সংকটকালে দেশরতœ শেখ হাসিনার নিদ্রাহীন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা দেয়ার বিরল নজির সৃষ্টি করেছেন। এর পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার মতো চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিমুহ‚র্তে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি প্রতিমুহ‚র্তে নিজের জীবনের ওপর হুমকি তো আছেই! এসব কিছু মোকাবেল করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা।
প্রফেসর ড. অরুণ কুমার গোস্বামী : চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ও পরিচালক, সাউথ এশিয়ান স্টাডি সার্কেল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।