একজন অসাধারণ লোকের জীবনের কিছু সাধারণ ঘটনা নিয়ে আমি কিছু লিখতে চেষ্টা করছি। এই অসাধারণ লোকটি বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মনোবিজ্ঞানের একজন ছাত্র হিসেবে আমি শিখেছি যে, একজন মানুষ প্রকৃতভাবে সাধারণ না অসাধারণ তা বুঝা যায় বস্তুনিষ্ঠভাবে তার জীবনের ঘটনাবলি ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে। তাই আমার এই লেখাটিতে বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই এবং সেগুলোর তাৎপর্য সম্বন্ধে কিছু লিখতে চাই। তবে শুরুতেই এই লেখাটির শিরোনাম সম্বন্ধে পাঠকদের জানাতে চাই যে, শিরোনামটি অদ্ভুত মনে হলেও অপ্রাসঙ্গিক নয়। এটি বঙ্গবন্ধুর একটি উক্তি। শিরোনামটির প্রাসঙ্গিকতা ও তাৎপর্য সম্পর্কে একটু পরে আলোচনা করছি। তার আগে সংক্ষেপে এই লেখাটির প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে চাই।
১৯৬৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আমি প্রথমে ছাত্র এবং পরে শিক্ষক হিসেবে প্রায় ৩৩ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। ছাত্র জীবনে আমি তৎকালীন ইকবাল হলের (বর্তমান জহুরুল হক হল) আবাসিক ছাত্র ছিলাম। পরে (১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত) ওই হলের আবাসিক শিক্ষক ছিলাম। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০-৭১ সালের মুক্তিসংগ্রামের ক্রান্তিকালে এই হলটি ছিল সব ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্র। তখনকার ছাত্রনেতাদের অনেকেই (যেমন তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক ও সিরাজুল আলম খান) ইকবাল হলে থাকতেন। ওই সময়ে হলের একজন ছাত্র হিসেবে এসব আন্দোলনে অংশ নেয়া এবং মুক্তি সংগ্রামের অনেক ঘটনা অত্যন্ত কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ আমার হয়েছিল। যেমন ১৯৭১ সালের মার্চের ২ তারিখ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন আমি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের সময় রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত ছিলাম। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধু রমনা রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দিয়েছিলেন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের এসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্বন্ধে আমার অভিজ্ঞতা সবিস্তার লেখার ইচ্ছা আছে। তবে যে মহান নেতার ডাকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলাম প্রথমে তার সম্পর্কে আমার জানা কিছু ঘটনার ভিত্তিতে আমার এই লেখাটি পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করতে চাই। এই লেখাটি যাতে তথ্যবহুল, বস্তুনিষ্ঠ এবং বিশ্লেষণমূলক হয় সে জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।
বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ স্মৃতিশক্তি ছিল। তিনি অসংখ্য মানুষের নাম দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারতেন। জয়নাল আবেদীন নামক আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ কর্মীর এক আত্মীয়কে (শ্যালক) অনেক দিন পর দেখে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ‘তুই জয়নালের শালা না?’ মনোবিজ্ঞানের মতে মানুষকে আপন করে নেয়ার এক যাদুকরী ক্ষমতা হচ্ছে তার নাম মনে রাখা। যেসব কারণে একজন মানুষ হাজার হাজার মানুষের নাম মনে রাখতে পারে তা হচ্ছে প্রখর স্মৃতিশক্তি, মানুষের প্রতি আগ্রহ এবং অকৃত্রিম ভালোবাসা। কিন্তু পৃথিবীর খুব কম লোকেরই এই অসাধারণ গুণটি থাকে। প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট বঙ্গবন্ধুর মতো হাজার হাজার মানুষের নাম মনে রাখতে পারতেন। শারীরিকভাবে আংশিক পঙ্গু হয়েও অসাধারণ জনপ্রিয়তার কারণে আমেরিকার ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পর পর তিনবার (একটানা বারো বছর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী ও সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এখানে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবনের একটি দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই। যা থেকে বুঝা যাবে বঙ্গবন্ধু মানুষের কল্যাণে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে কখনো কুণ্ঠাবোধ করতেন না। ১৯৪৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে তিনি আর কখনো কোনো আন্দোলনে যোগ দেবেন না এই শর্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এ ধরনের কোনো মুচলেকা দিতে রাজি হলেন না। তিনি মুচলেকা দিয়ে আইনে ডিগ্রি করার চেয়ে মানুষের ন্যায্য অধিকারের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দেয়াকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
আমি আগেই উল্লেখ করেছি যে, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রমনা রেসকোর্সে উপস্থিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি শোনার। এই ভাষণটির প্রতিটি শব্দ কিভাবে লাখ লাখ বাঙালিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিল তা বর্ণনা করার ভাষা আমার জানা নেই। মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এই ভাষণটির বিভিন্ন অংশ প্রচার করে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করা হতো। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর সঙ্গে এখন বিশ্ব ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। কোনো জাতির ক্রান্তিলগ্নে দিকনির্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটির সঙ্গে আব্রাহাম লিঙ্কনের গেটিসবার্গ ভাষণটির বেশ মিল আছে।
১৯৬৯-’৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশে) একটি স্লোগান খুবই জনপ্রিয় ছিল। স্লোগানটি হলো- ‘তোমার দেশ আমার দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’ এই স্লোগানটি যে কতটা যথার্থ তা বুঝতে পেরেছিলাম ১৯৭৭ সালের একটি ঘটনা থেকে। ঘটনাটি নিম্নরূপ- ১৯৭৭ সালে আমি এবং আমার স্ত্রী ফরাসি ভাষা শেখার জন্য ‘ক্যাথলিক ইনস্টিটিউট অব প্যারিস’- এর একটি বৃত্তি নিয়ে প্যারিসে যাই। প্রথম দিকে আমরা সেখানের লোকজনের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলতাম। কিন্তু তখনকার সময়ে প্যারিসের খুব কম লোকই ইংরেজি বুঝত। একদিন কিছু কেনাকাটার জন্য আমরা একটি মুদি দোকানে যাই। দোকানদার একেবারেই ইংরেজি জানত না, আমরাও ফরাসি বলতে পারতাম না। তাই আঙুল দিয়ে দেখিয়ে কিছু জিনিস কিনলাম, চলে আসার সময় দোকানদার অনেক কিছু জানতে চাইল। কিন্তু আমরা কিছুই বুঝতে ও বলতে পারলাম না। কিছু না বুঝেই হঠাৎ আমি বললাম বাংলাদেশ। সঙ্গে সঙ্গে দোকানদার বলল ‘ও শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ তখন আমি বুঝলাম যে, কোটি কোটি বাঙালির মতো এই ফরাসি দোকানদারের কাছেও শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ মানেই শেখ মুজিব।
এই লেখাটির শেষ পর্যায়ে আমি আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করতে চাই। ১৯৭৭ সালে মনোবিজ্ঞানের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে আমি লন্ডনে গিয়েছিলাম। সম্মেলনের শেষে ডিনার টেবিলে একজন ব্রিটিশ অধ্যাপক আমার কাছে জানতে চাইলেন আমি ভারতীয় নাকি? আমি বললাম না আমি বাংলাদেশের। তিনি বললেন যে লোকটির জন্য তোমরা একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছ এবং একটি স্বাধীন জাতি হতে পেরেছ, তোমরা তাকে সপরিবারে হত্যা করেছ। যেটা তার শত্রুরাও করেনি। ন্যূনতম কৃতজ্ঞতা বোধ থাকলেও তোমরা এই নৃশংস কাজটি করতে পারতা না। আমি তার কথায় খুবই আহত হলাম এবং বললাম যে, আসলে বাঙালিরা তাকে হত্যা করেনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু পথভ্রষ্ট হঠকারী সৈনিক এই জঘন্য কাজটি করেছে। কিন্তু তার কাছে আমার উত্তরটা সঠিক বলে মনে হলো না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দেশি ও বিদেশি অনেক কুচক্রী মহল জড়িত থাকার তথ্য জানতে পেরে এখন আমার মনে হচ্ছে যে, আমার তখনকার উত্তরটা পুরোপুরি ঠিক ছিল না। বঙ্গবন্ধু হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুক ও কর্নেল রশীদ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিল যে ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনা সম্বন্ধে তখনকার সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করতে গেলে জিয়া তাদের বলেন, ‘পারলে তোমরা কর।’ জাতির জনকের হত্যার পরিকল্পনাকারীদের তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা ছিল একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে তার কর্তব্য। তা না করে তিনি হত্যা পরিকল্পনাকারীদের পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছিলেন। কর্নেল ফারুক ও রশীদের মতে জিয়াউর রহমান এমন একজন সুবিধাবাদী ও ক্ষমতালিপ্সু ব্যক্তি ছিলেন, যিনি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মদদ দিয়েছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের ফল পুরোপুরিভাবে ভোগ করেছেন।
একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও জিয়া শুধু মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গেই জড়িত ছিল না, বরং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও স্মৃতিগুলোকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রেও অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন। যেমন বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়বাদ এবং ‘জয়বাংলা’র পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান চালু করা, সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিল করা, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা, বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা, একজন কুখ্যাত রাজাকারকে দেশের প্রধানমন্ত্রী বানানো, বঙ্গবন্ধু রমনা রেসকোর্সের যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ৭ মার্চে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন সেখানে শিশু-পার্ক বানানো, মানুষ যাতে মুক্তি সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু বঙ্গবন্ধুর ৩২ নং রোডের বাড়িটির কথা ভুলে যায়, সে জন্য ধানমন্ডির সব রাস্তার নম্বর পরিবর্তন করা ইত্যাদি।
একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও জিয়া এসব কাজ কেন করেছিলেন। এর সম্ভাব্য দুটি ব্যাখ্যা আছে। প্রথম ব্যাখ্যাটি দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ। তার মতে একজন মুক্তিযোদ্ধা সারাজীবন মুক্তিযোদ্ধা নাও থাকতে পারেন। কিন্তু একজন রাজাকার সারা জীবনই রাজাকার থাকে। দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি হচ্ছে জিয়ার এসব কার্যকলাপ থেকে প্রতীয়মান হয় তিনি হয়তো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। কারণ তিনি মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে বিশ্বাস করতেন না। এ সম্বন্ধে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জের রায়ে হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেছেন :
‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাবিরোধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সংসদ সদস্য করেন এবং তাদের মন্ত্রী বানিয়ে, তাদের গাড়িতে পতাকা দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। এরপরও কি বাংলাদেশের জনগণ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা বলতে পারে? জিয়াউর রহমান শুধু জাতির পিতা ও তার পরিবারের এবং জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের দোসরই হননি বরং তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেরেছন রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য ইত্যাদি বানিয়ে। তিনি আরো যে জঘন্য কাজটি করেন তা হলো তিনি জনগণের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করে দায়মুক্তি আইন প্রণয়ন করেন। অর্থাৎ তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকে এই দায়মুক্তি আইন দ্বারা সমর্থন দিয়ে প্রমাণ করেন তিনিও জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের একজন।’
একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মাননীয় বিচারপতির এই বক্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করি। পরিশেষে, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, জিয়াউর রহমান যদি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে, বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি করার সুযোগ না দিতেন এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া যদি জামায়াতকে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিতেন তবে বাংলাদেশে কোনোদিনই সন্ত্রাসবাদের জন্ম ও উত্থান হতো না।
ড. আবদুল খালেক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। বর্তমানে মানব উন্নয়ন ও পরিবার বিজ্ঞান বিভাগ, কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকায় অধ্যাপনা করছেন।