মুজিবনগর সরকার বলতে আমরা এমনই এক সরকারকে বুঝি, যারা ১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় আম্রকাননে শপথ নিয়েছিলেন। যদিও ইতোপূর্বেই সরকার গঠিত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে সরকার শপথ নিলেও প্রকৃত অর্থে এই সরকারের প্রধান কার্যালয় ছিল ৮নং থিয়েটার রোড, কলিকাতা। এ সরকারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটা একটা বৈপ্লবিক সরকার এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিলেও চরিত্রগত কাঠামোতে এটা ছিল একটা গণতান্ত্রিক সরকার। বিপ্লবী হলেও গণতান্ত্রিক এই কারণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দ্বারা ওই সরকার গঠিত হয়েছিল। ’৭০-এর নির্বাচনে একচ্ছত্রভাবে বিজয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানিরা সংসদ বসতে দেয়নি। ১ মার্চ সংসদের অধিবেশন বাতিল করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তখন পূর্ববাংলা গর্জে ওঠে। শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। ৭ মার্চের ওই আন্দোলনের এক পর্যায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে এবং তিনি আরো বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি প্রয়োজনে রক্ত আরো দেব, তবুও বাংলার মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ।’ এসব উক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন ৬ দফা নয় তাঁর দফা একটি, তা হলো বাংলাদেশ স্বাধীন করা। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে বন্দি রাখা হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সামনে সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না। যেহেতু দেশের অভ্যন্তরে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা সম্ভব ছিল না, তাই তারা ভারতে আশ্রয় নিয়ে সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের মহান দায়িত্ব পালন করেছেন।
পৃথিবীর বেশ কয়েকটা দেশ সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এমনকি এক দেশে সশস্ত্র বিপ্লবীরা অন্য দেশে প্রবেশ করে ওই দেশকে স্বাধীন করে দিয়েছেন- যেমন কিউবা। বাংলাদেশের ব্যাপারে যে ব্যত্যয় ঘটেছে তা হলো মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সরকার নেতৃত্বে ছিল সেই সরকারের সবাই ছিলেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি বহুদিন ধরে বলে আসছে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নাকি জনগণকে ফেলে রেখে নিজেদের জীবন বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা এও বলতে ছাড়েন না, জনগণ নাকি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগের এই বিষয়ে কোনো কৃতিত্ব নেই। আসলে সেদিন আওয়ামী লীগের নেতারা যে বুদ্ধিমত্তা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছিলেন, তা দিতে ব্যর্থ হলে দেশের অভ্যন্তরে পাক হানাদার বাহিনীর কাছে জীবন দিতে হতো ত্রিশ লাখ কেন, এক কোটিরও বেশি মানুষকে। তারপরও স্বাধীনতা সুনিশ্চিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল কি? অবশ্য বঙ্গবন্ধুর নির্দেশমতে পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ভারতে যান ও ভারতের সরকার এবং জনগণের সম্পূর্ণরূপে সমর্থন পেয়েছিলেন। ধরে নিলাম জীবন বাঁচাতে তারা সীমানা অতিক্রম করেছিলেন কিন্তু ভারতে গিয়ে সরকার গঠন করে দেড় লাখ মুক্তিযোদ্ধার প্রশিক্ষণ দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে দেশে না পাঠাতে পারলে দেশ স্বাধীন করা কি সম্ভব ছিল। সেক্টরভিত্তিক এলাকা নির্ধারণ করে এক একজন বাঙালি সেনা অফিসারকে তার নেতৃত্বে বসিয়ে যেভাবে মুজিবনগর সরকার যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, যেভাবে বিদেশে ওই সরকার প্রচারণা চালিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পক্ষে জনমত গঠন করেছেন, ভারত সরকারকে সঠিকভাবে ব্রিফ করে আমাদের কখন, কোথায়, কী ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দরকার তার ব্যবস্থা করেছেন। বাংলাদেশ থেকে এক কোটি শরণার্থীকে বিশেষ করে সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের মানুষকে প্রায় এক বছর ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করেন, তা ওই ধরনের সরকার গঠিত না হলে এ কাজ করা কি সম্ভব ছিল? ভারত একটা পর্যায়ে সর্বত্রভাবে আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ কমান্ডে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছে। শত শত ভারতীয় সৈন্য যুদ্ধে জীবন দিয়েছেন। মিসেস ইন্দিরা গান্ধী ওইভাবে সোচ্চার না হলে, বিশ্বব্যাপী আমাদের সমর্থনে জনমত গঠন এবং বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব ছিল কিনা সন্দেহ। তেইশ বছরে ভারত কিন্তু পাকিস্তানের কোনো অংশ দখল করার জন্য যুদ্ধ করেননি। পাকিস্তান-ভারত বৈরী সম্পর্ক সবসময়ই বিদ্যমান ছিল। যুদ্ধ হয়েছে কয়েকবার। তবে কোনো এলাকা দখলকৃত হয়েছে এরূপ কথা বলা যাবে না। তাই যারা আজো বলতে ছাড়েন না যে, ভারত তার স্বার্থে পূর্ববাংলাকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দিয়েছে, তাদের বক্তব্যের পেছনে কোনো যুক্তি নেই। পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকার আন্দোলন চলেছে দীর্ঘ তেইশ বছর। কখনো তো ভারত বাংলাদেশের জনগণকে বলেনি, অস্ত্র ধরো দেশ স্বাধীন করো। আমরা সর্বত্রভাবে সহযোগিতা করব। বরং বাস্তবতা হচ্ছে জাতির জনকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বাঙালিরা সুদীর্ঘ দিনের স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম, ১৯৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদে বসতে না পেরে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল, যখন ভারতের সাহায্য এক নৈতিক মানবতাবাদী প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। মিসেস ইন্দিরা গান্ধী বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের জনগণের ভয়াবহ বিপর্যয়ের কথা এভাবেই বিভিন্ন বক্তব্যে তুলে ধরেছিলেন। পাকিস্তান চেষ্টা করেছিল প্রমাণ করার পূর্ববাংলার জনগণের এই আন্দোলনে কোনো সমর্থন নেই। ভারত নাকি ওই যুদ্ধের উদ্যোক্তা ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলার জনগণের বিপর্যয় এবং প্রত্যাশার বিষয়টি পাকিস্তান পর্দার আড়াল করে ওই যুদ্ধ ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল। বিচক্ষণ মুজিবনগর সরকারের বিপ্লবী নেতা তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে ও ভারত সরকারের সহযোগিতায় বিশ্বব্যাপী সফলতার সঙ্গে প্রচার করতে সক্ষম হয়েছিলেন, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলার মানুষের বাঁচা-মরার লড়াই। বাঙালি তার অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে বাংলার হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মের মানুষ এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এখানেই মুজিবনগর সরকারের প্রজ্ঞা ও দক্ষতা। ওই সরকার পরিচালনায় যারা ছিলেন তারা নির্বাচিত সাংসদরা। এছাড়াও দেশের বিখ্যাত বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, স্বাধীনতার পক্ষের অন্যান্য দল ভারতে গিয়ে যদি এক সুরে কথা না বলতেন এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাংলার মাটি থেকে বিদায় দেয়ার শপথ গ্রহণ না করতেন এবং জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে না পড়তেন তবে এর সাফল্য প্রশ্নাতীত থেকে যেত।
বিদেশের মাটিতে অবস্থান করে দেশের অভ্যন্তরে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করা খুব সহজসাধ্য বিষয় ছিল না। সবচেয়ে বড় সংকট ছিল যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ঢুকে যুদ্ধ করছিলেন তাদের কমান্ডে রাখা। সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত করা এবং নিজেরা যাতে দ্ব›দ্ব সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ে, সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন ইউনিটে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে এটা সেক্টর প্রধানদের দায়িত্ব ছিল। অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মী মুজিবনগর সরকারে যারা দায়িত্ব পালন বা দেশের অভ্যন্তরে ছিলেন এরা মুক্তাঞ্চলে মুজিবনগর সরকারের আধিপত্য বিস্তার করে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। এরূপ একটা বৃহত্তর ইউনিটের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ফরিদপুর জেলায়ও একটা মুক্তাঞ্চল ছিল। এর প্রধান দপ্তর ছিল ওরাকান্দি ঠাকুরবাড়ি। এখানেই সাব-সেক্টর কমান্ডারের প্রধান দপ্তর ছিল এবং ফরিদপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৮ দিন আগে অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ গোপালগঞ্জ বিনা রক্তপাতে মুক্ত হয় এবং তখন ফরিদপুর সদরে পাক সরকারের প্রতিনিধি জেলা প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে ৮ থেকে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধিরা প্রশাসন কার্য পরিচালনা করেন। মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলের নেতৃত্বে তা করা হয়। শুধু ফরিদপুর নয়, বাংলার অনেক সীমান্তবর্তী এলাকায় মুজিবনগর সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রতিনিধিরা এই ধরনের প্রশাসন পরিচালনা করেন। স্থানীয় জনগণ এই প্রশাসনের সুফল পেতে থাকে। গ্রাম-গঞ্জে চুরি-ডাকাতি, অন্যায়-অবিচার নিয়ন্ত্রণে আসে। জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেতে থাকে ও দ্রুত দেশ স্বাধীন করা সম্ভব হয়।
আসলে মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর অনুপস্থিতিতে মরহুম সৈয়দ নজরুল ইসলাম এই দায়িত্ব পালন করেন। লক্ষণীয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিববাহিনী ও মুক্তিবাহিনী কোনো কোনো স্থানে দ্ব›দ্ব-সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। দু’একটা দুর্ঘটনাও ঘটে। কিন্তু তৎকালীন স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মুজিবনগর সরকারের প্রত্যক্ষ সুসম্পর্ক ছিল বলেই তা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার পর দেশের অভ্যন্তরে সরকার গঠন করা ও দায়িত্ব পালন খুব সহজ হয়ে ওঠে এই কারণেই যে সরকার তো মুুজিবনগরে গঠিত হয়েছিল। প্রশাসনিক পদ্ধতি ও নিয়ম-কানুন বলতে যা বোঝায় তার সবকিছুই মুজিবনগর সরকার পালন করেছিল। দেশ স্বাধীন হলে মুজিবনগর সরকার তার কর্মস্থল পরিবর্তন করে ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীন দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত এই সরকার আগের নিয়মেই চলতে থাকে। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলার মাটিতে যখন তিনি ফিরে আসলেন, তখনই শাসনভার গ্রহণ করলেন এবং প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার সংগ্রাম পরিপূর্ণতা লাভ করে। সেই থেকে আজ বাংলাদেশ চলছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। জনগণের প্রত্যাশা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি সম্মিলিতভাবে দেশ পরিচালনা করুক। তাহলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে। বঙ্গবন্ধু মুজিব মাত্র সাড়ে তিন বছর রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই সময়ে তিনি সব জাতীয় সমস্যা সমাধান করে দেশকে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হননি। এই গুরুদায়িত্ব এখন পালন করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজ সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশ চলছে। পবিত্র সংবিধান পুনঃস্থাপন করে দ্রুত দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সাধিত হচ্ছে। স্বাধীনতার সপক্ষের সব শক্তির উচিত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীকে চিরতরে নির্মূল করে চিরদিনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকে। একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
ডা. এস এ মালেক : রাজনীতিক, কলামিস্ট।]