অনিন্দ্যসুন্দর শ্যামলীমায় ঘেরা ‘টুঙ্গিপাড়া গ্রাম’। প্রবাহমান ¯্রােতস্বিনী নদী ‘মধুমতি’। শেখ লুৎফর রহমান ও বেগম শেখ সায়েরা খাতুনের কোল আলো করে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ আর্বিভাব ঘটে ‘শেখ মুজিবুর রহমান’-এর। এ মাটিতেই প্রকৃতির পরিবেশে কেটেছে শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশোরের ‘সোনালি’ দিনগুলো। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শোষক চক্রের হাতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে প্রাণ দিতে হলেও শেষ ঠিকানা হয়েছে টুঙ্গিপাড়া গ্রামেই। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার শরিফকে কেন্দ্র করে ৪০ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে ‘বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স’। এই সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, পাঠাগার, প্রদর্শনী হল, গবেষণা কেন্দ্র, পাবলিক প্লাজা, প্রশাসনিক ভবন, উন্মুক্ত মঞ্চ, জামে মসজিদ, উদ্যান, বকুলতলা চত্বর, চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিন ১৭ মার্চ এবং মৃত্যু দিন ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদ, সংসদ সদস্য, আমলা, বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিকসহ হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
‘বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স’ ও ‘টুঙ্গিপাড়া’কে আরো আকর্ষণীয় ও সমৃদ্ধ করা যেতে পারে। এ জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা হলে ‘টুঙ্গিপাড়া’ হয়ে ওঠবে অনিন্দ্যসুন্দর পর্যটন এলাকা। সমৃদ্ধ হবে ‘বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ’। সেই সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় একটি নতুন ‘প্রশাসনিক জেলা’ ও একটি নতুন ‘প্রশাসনিক বিভাগ’ স্থাপন করা যেতে পারে।
‘টুঙ্গিপাড়া’ ও ‘বঙ্গবন্ধু’কে ঘিরে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ মহাপরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা রয়েছে। এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে ‘বঙ্গবন্ধু’ সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় সব মানুষ জানার সুযোগ পাবে। বঙ্গবন্ধু গবেষক, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, ইতিহাসবিদ, সমাজ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ছাত্রছাত্রী গুরুত্বপূর্ণ ধারণা অর্জন করতে পারবেন।
আমার প্রথম মহাপরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা হলো ‘টুঙ্গিপাড়া’কে পরিকল্পিত উপায়ে সর্বাধুনিক ও বহুমুখী জাতীয় পর্যায়ের পর্যটন এলাকায় পরিণত করা এবং দ্বিতীয় মহাপরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা হলো টুঙ্গিপাড়ায় স্থাপিত হবে একটি নতুন ‘প্রশাসনিক জেলা’ ও একটি নতুন ‘প্রশাসনিক বিভাগ’। এ মহাপরিকল্পনার প্রস্তাবনার সীমানা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা এবং ‘বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স’কে মূল কেন্দ্র করে। উত্তর দিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ, দক্ষিণ দিকে টুঙ্গিপাড়া বাজার, পশ্চিম দিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ ও শেখ বাড়ি এবং পূর্ব দিকে গ্রাম পর্যন্ত, উপজেলা পরিষদে যাওয়ার রাস্তার দুই পার্শ্বের সমগ্র ধানক্ষেত। অন্যান্য প্রস্তাবনা এ উপজেলার সুবিধামতো স্থানে নির্মিত হতে পারে।
এই মহাপরিকল্পনা ও প্রস্তাবনাগুলো উল্লেখ করা হলো।
১. ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস’, ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘টুঙ্গিপাড়া গ্রাম’ এবং ‘শেখ বংশ সম্পর্কে এক ‘বিশাল তথ্য ভাণ্ডার’ প্রণয়ন। ২. ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘শেখ পরিবার’ সম্পর্কে ইতিহাস, বিস্ময়কর ঘটনা, ঐতিহাসিক নিদর্শন ভিত্তিক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ। ৩ এই বহুমুখী মহাপরিকল্পনার প্রস্তাবিত এলাকার জমির পরিমাণ হবে ন্যূনতম ১ হাজার থেকে ৫ হাজার একর বা তার বেশি। ৪. বঙ্গবন্ধু মাতা ‘বেগম শেখ সায়েরা খাতুন’ এবং পিতা ‘শেখ লুৎফর রহমান’-এর ভাস্কর্য নির্মাণ। ৫. মা ও বাবার কোলে ‘খোকা’ শিশু ‘শেখ মুজিব’-এর ভাস্কর্য নির্মাণ।
৬. বঙ্গবন্ধুর কিশোর কাল, ছাত্রজীবন, রাজনীতির শুরুর সময় স্মৃতিচিত্রের ভাস্কর্য নির্মাণ। ৭. শেখ মুজিবুর রহমানের বাল্য বন্ধুদের ভাস্কর্য নির্মাণ। ৮. ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পৈশাচিক শিকার শহীদদের ভাস্কর্য নির্মাণ। ৯. শেখ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের ভাস্কর্য নির্মাণ। ১০. ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ভাস্কর্য ও ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ খোদাই করা। ১১. জেলখানায় নিহত জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্য নির্মাণ। ১২. ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ‘ছয়দফা’ খোদাই করা। ১৩. ১৯৫২-এর ভাষা শহীদদের ভাস্কর্য নির্মাণ।
১৪. ২৬ মার্চ রাতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণার ভাস্কর্য নির্মাণ। ১৫. বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠক আব্দুল মান্নান ও আবুল কাশেম স›দ্বীপ-এর ভাস্কর্য নির্মাণ। ১৬. শিশু শেখ রাসেলের ভাস্কর্য নির্মাণ। ১৭. মুজিবনগরে গঠিত প্রথম বাংলাদেশ সরকারের সদস্যদের ভাস্কর্য নির্মাণ। ১৮. বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ চিত্রের ভাস্কর্য নির্মাণ। ১৯. মধুমতি নদীর ‘ছইওয়ালা রঙ্গিন পাল তোলা নৌকা’র ভাস্কর্য নির্মাণ। ২০. ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের চিত্রপটের ভাস্কর্য নির্মাণ এবং ‘আত্মসমর্পণ দলিল’ খোদাই করা। ২১. বঙ্গবন্ধুর মনুমেন্ট নির্মাণ। ২২. বঙ্গবন্ধু এবং শ্রীমতি ইন্দ্রিরা গান্ধীর একত্রে হাস্যোজ্জ্বল চিত্রপটের ভাস্কর্য নির্মাণ। ২৩. ১৯ মার্চ ১৯৭২ বাংলাদেশ ও ভারত মৈত্রীচুক্তির বঙ্গবন্ধু ও শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর ভাস্কর্য নির্মাণ। ২৪. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে কিশোর শেখ মুজিবের ভাস্কর্য নির্মাণ। ২৫. এম এ জি ওসমানীর ভাস্কর্য নির্মাণ।
২৬. শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ভাস্কর্য নির্মাণ। ২৭. বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য নির্মাণ।
২৮. কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধুর একত্রে ভাস্কয নির্মাণ। ২৯. মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ভাস্কর্য নির্মাণ। ৩০. বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের ভাস্কর্য নির্মাণ। ৩১. ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা’ ও ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানিদের হাতে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী’দের ভাস্কর্য নির্মাণ। ৩২. বহুতলবিশিষ্ট বহুমুখী ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ নির্মাণ। ৩৩. বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের প্রবেশ পথে সুরম্য ‘বঙ্গবন্ধু তোরণ’ নির্মাণ। ৩৪. টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের রাস্তার দুই পার্শ্বে শুধু ‘পবন ঝাউগাছ’ ও ফুলের চারা রোপণ। ৩৫. ঘোনাপাড়া থেকে বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ যাওয়ার সড়ক দুই লেনে উন্নীত। ৩৬. মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য নির্মাণ। ৩৭. বীর উত্তম ও বীরশ্রেষ্ঠদের ভাস্কর্য নির্মাণ। ৩৮. শহীদ মিনার নির্মাণ। ৩৯. ১৯৫৪-এর বাম ফ্রন্ট নির্বাচনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো খোদাই। ৪০. ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’-এর দিকগুলো খোদাই। ৪১. ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯-এ ‘ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ’ কর্তৃক শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করার চিত্রপট নির্মাণ। ৪২. ১৯৭০-এর নির্বাচনের প্রেক্ষাপট খোদাই। ৪৩. বহুতল বিশিষ্ট ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কমপ্লেক্স’ নির্মাণ। ৪৪. ‘শেখ রাসেল শিশু পার্ক’ নির্মাণ। ৪৫. শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর একক ভাস্কর্য নির্মাণ। ৪৬. শীর্ষস্থানীয় ‘শহীদ মিত্র বাহিনী’র তালিকা খোদাই। ৪৭. মুক্তিযুদ্ধের ১১ সেক্টরের কমান্ডারদের চিত্র ভাষ্কর্য নির্মাণ। ৪৮. নবাব সিরাজউদ্দৌলার ভাস্কর্য নির্মাণ। ৪৯. লন্ডনের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী জর্জ হ্যারিসনের ভাস্কর্য নির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা খোদাই।
৫০. বহুতলবিশিষ্ট ‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ নির্মাণ। ৫১. বঙ্গবন্ধুর বংশ এবং মামা বাড়ির বংশ পরিচয় সম্পর্কে পুস্তিকা প্রণয়ন এবং বিনামূল্যে বিতরণ। ৫২. বঙ্গবন্ধুর বাল্যকাল হতে মৃত্যুকাল পর্যন্ত সব ইতিহাস উল্লেখপূর্বক পুস্তক প্রণয়ন। ৫৩. ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা চিড়িয়াখানা’ স্থাপন। ৫৪. ‘বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার’ নির্মাণ। ৫৫. সুবিশাল ‘বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম’ নির্মাণ। ৫৬. পর্যটকদের জন্য ‘সাধারণ’, ‘তিন তারকা’ ও ‘পাঁচ তারকা’ হোটেল, মোটেল ও সার্কিট হাউস ও গেস্ট হাউস নির্মাণ। ৫৭. ‘শেখ লুৎফর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপন। ৫৮. ‘বেগম শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল’ স্থাপন। ৫৯. ‘শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপন। ৬০. টুঙ্গিপাড়া সংলগ্ন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিমান বন্দর’ স্থাপন। ৬১. বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স ও উপজেলা পরিষদের রাস্তার দুই পার্শে¦র বিশাল ধানক্ষেত এলাকায় আঁকা-বাঁকা লেক খনন, ঝুলন্ত ব্রিজ ও বিস্তীর্ণ উদ্যান তৈরি। ৬২. ধানক্ষেতের জমিতে মাটির উঁচু উঁচুু পাহাড় সৃষ্টি। ৬৩. ভূগর্ভস্থ আঁকা-বাঁকা দীর্ঘ সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণ। ৬৪. ভূগর্ভস্থ বহুমুখী কমপ্লেক্স নির্মাণ। ৬৫. বোটানিক্যাল গার্ডেন নির্মাণ। সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষসহ অন্যান্য প্রজাতির বৃক্ষরোপণ। ৬৬. সুউচ্চ ‘পর্যবেক্ষণ টাওয়ার’ নির্মাণ। ৬৭. ‘বঙ্গবন্ধু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ নির্মাণ। ৬৮. ‘সুইমিং পুল’ ও ‘জিমনেসিয়াম কমপ্লেক্স’ নির্মাণ। ৬৯. পাথরের কৃত্রিম পাহাড়, ঝরনা ও পানির ফোয়ারা নির্মাণ। ৭০. টুঙ্গিপাড়া পর্যটন এলাকায় ‘বঙ্গবন্ধু ভিলেজ’-এ সব রাস্তায় চলবে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি। ৭১. পরিকল্পিত উপায়ে গড়ে ওঠা পর্যটন এলাকা (প্রস্তাবিত) ‘বঙ্গবন্ধু ভিলেজ’কে ‘জাতীয় পর্যটন এলাকা’ ঘোষণা করা। ৭২. বহুতলবিশিষ্ট ‘শেখ মুজিবুর রহমান গবেষণা কেন্দ্র’ নির্মাণ। ৭৩. বহুতলবিশিষ্ট বহুমুখী ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স’ নির্মাণ। ৭৪. বিশলাকার ‘পাবলিক প্লাজা’ নির্মাণ। ৭৫. স্থায়ী অবকাঠমো নির্মাণের মাধ্যমে ‘উন্মুক্ত মঞ্চ’ নির্মাণ। ৭৬. আধুনিক ‘ওয়ার্টার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ স্থাপন। ৭৭. গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে ‘পাবলিক টয়লেট’ নির্মাণ। ৭৮. বৃহৎ ‘পাবলিক লাইব্রেরি’ স্থাপন। ৭৯. টুঙ্গিপাড়া হয়ে দক্ষিণবঙ্গের ‘রেলপথ’ নির্মাণ। ৮০. ‘শেখ কামাল সেনাবাহিনী ঘাঁটি’ স্থাপন। ৮১. ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র’ স্থাপন। ৮২. সুলভ ক্যান্টিন ও রেস্তোরাঁ স্থাপন। ৮৩. দেশের সব অঞ্চল হতে টুঙ্গিপাড়ায় ‘শিক্ষা সফর’-এর সুযোগ করা। আমার দ্বিতীয় মহাপরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা হলো টুঙ্গিপাড়ায় স্থাপিত হবে একটি নতুন ‘প্রশাসনিক জেলা’ ও একটি নতুন ‘প্রশাসনিক বিভাগ’। এই প্রস্তাবনা হলো। ১। ‘বঙ্গবন্ধুুর মাজার সংলগ্ন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা এলাকাতেই স্থাপিত হবে ‘প্রশাসনিক বিভাগ’। ২। এ জন্য প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলাকে ‘জেলায়’ রূপান্তর করা। ৩। নবগঠিত ‘জেলা’য় টুঙ্গিপাড়া সদর উপজেলাসহ ৬টি উপজেলা সংযুক্ত হবে। যথা- গোপালগঞ্জ জেলার-১) টুঙ্গিপাড়া সদর উপজেলা ও ২) কোটালীপাড়া উপজেলা, বাগেরহাট জেলার-৩) মোল্লারহাট উপজেলা ও ৪) চিতলমারী উপজেলা, খুলনা জেলার-৫) তেরখাদা উপজেলা, বরিশাল জেলার-৬) আগৈলঝাড়া উপজেলা। ৪। নবগঠিত ‘প্রশাসনিক বিভাগ’-এ পার্শ্ববর্তী ৯টি জেলা সংযুক্ত হবে। যথা-১) গোপালগঞ্জ জেলা, ২) ফরিদপুর জেলা, ৩) মাদারীপুর জেলা, ৪) নড়াইল জেলা, ৫) রাজবাড়ী জেলা, ৬) মাগুরা জেলা, ৭) শরীয়তপুর জেলা, ৮) পিরোজপুর জেলা এবং ৯) নবগঠিত টুঙ্গিপাড়া জেলা। ৫। নবগঠিত ‘প্রশাসনিক জেলা’ এবং ‘প্রশাসনিক বিভাগ’-এর নামকরণ করা হবে (বিশেষ তাৎপর্য অনুযায়ী)। যেমন-১) ‘মধুমতি’ ২) ‘সোনার তরী’ ৩) ‘রূপসী বাংলা’ ৪) ‘সোনার বাংলা’ ৫) ‘বসুন্ধরা’ ৬) ‘ধানসিঁড়ি’। বিশেষ তাৎপর্য অনুযায়ী যেকোনো নামকরণ করা। এই মহাউন্নয়নের জন্য দরকার সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট ‘মেগা মাস্টার প্লান’। এ জন্য সদাশয় সরকারের কাছে তথা দেশরতœ বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবানের জন্য সবিনয়ে তুলে ধরা হলো।
ড. দিলীপ কুমার দেব : সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী।