জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিনের তাৎপর্য


আজ ১০ জানুয়ারি। ৪৬ বছর আগে এই দিনে নবজাত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বিজয়ীর বেশে স্বদেশে ফিরে আসেন। এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমাদের জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হচ্ছে সবচেয়ে গৌরবের দিন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয় ও আত্মসমর্পণের ভেতর দিয়ে ওই দিন বাংলার মাটি শত্রুমুক্ত হয়েছিল, আমরা আমাদের মানচিত্রের ভাগ্যবিধাতা হয়েছিলাম। কিন্তু জাতির অবিসংবাদিত নেতা পাকিস্তানি কারাগারে থাকায় এবং গণহত্যাকারী রাষ্ট্র পাকিস্তান নেতাকে ফাঁসিতে ঝোলোবে কি না এই শঙ্কা থাকায় গৌরবের ওই দিনগুলোতে দেশবাসী আনন্দে উৎসবে তেমনভাবে শামিল হতে পারছিল না। আসলে জাতির স্বপ্নের সাহসী নায়ক দেশে ফিরে না এলে বিজয় সম্পূর্ণ হচ্ছিল না। বিজয়কে পরিপূর্ণতা দিয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। তাই এক অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে বাঙালি জাতির ইতিহাসের পাতায় এই দিনের ঘটনাপ্রবাহ স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

প্রসঙ্গত, আমাদের গৌরবমণ্ডিত বিজয় মানেই ছিল পাকিস্তানের লজ্জাজনক পরাজয়। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ১৬ ডিসেম্বর (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের পরক্ষণ থেকে পাকিস্তানের রঙ্গমঞ্চে যে পরাজয়ের বিয়োগান্তক বিষাদময় ছত্রখান নাটক চলতে থাকে, তা খুবই চিত্তাকর্ষক এবং নাটকের এক পর্যায়েই পরাজিতরা আমাদের জাতির পিতাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, ২০ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সেনাশাসক নরখাদক ইয়াহিয়া খান পদত্যাগ করেন এবং জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ক্ষমতা হাতে নিয়েই তিনি বলেন, শেখ মুজিবকে ‘প্রাণদণ্ড দিলে’ পশ্চিম পাকিস্তানিরা ‘আর দেশে ফিরতে পারবে না।’ পর দিনই শেখ মুজিবকে জেল থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে গৃহবন্দি করা হয়। সেই দিনগুলোতে কখনো মনে হতে থাকে প্রায় এক লাখ বন্দি সেনাবাহিনীর লোকদের বাঁচাতে পাকিস্তানিরা মুক্ত শেখ মুজিবকে বাংলার মুক্ত মাটিতে ফিরিয়ে দেবে, আবার কখনো মনে হয় পাকিস্তানিরা পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে শেখ মুজিবকে ফাঁসিতে ঝোলাবে। দেশবাসী তখন শঙ্কা ও আনন্দের পেন্ডুলামে যেন দুলতে থাকে।

এর পর একই দিনে দুটি ঘটনা ঘটে। ২৩ ডিসেম্বর আলোচনার জন্য বন্দি শেখ মুজিবকে রাওয়ালপিণ্ডিতে আনা হয় এবং চীন বাংলাদেশে দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। চীন প্রথম থেকেই গণহত্যার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল, তাই এটা কোনো অঘটনের পূর্বলক্ষণ কি না, এমনটা ভেবে দেশবাসীর শঙ্কা আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। প্রায় দেড় সপ্তাহ কাটে নানা গুজব ও শঙ্কার মধ্যে। এদিকে পাকিস্তানের ওপর ক‚টনৈতিক চাপ চরমে ওঠে। অবশেষে ৩ জানুয়ারি করাচির প্রহসনমূলক এক জনসভায় গণতন্ত্রের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে ভুট্টো উপস্থিত ¯্রােতাদের জিজ্ঞাসা করেন, তিনি যদি মুজিবকে শর্তহীন মুক্তি দেন, তবে তারা তা অনুমোদন করবে কি না? জনগণ সমর্থন করলে ওই সভায়ই ভুট্টো ঘোষণা করেন যে, শেখ মুজিবকে মুক্তি দেয়া হবে।

তারপর কেবলই প্রতীক্ষা আর প্রতীক্ষা। কবে স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে পা রাখবেন জাতির পিতা! ১০ জানুয়ারি ১টা ৪১ মিনিটে জাতির মহানায়ক বাংলার মুক্ত মাটিতে পা রাখলেন। ওই দিনের একটি ছবি ধারণা করি বাংলার মানুষের কাছে চিরজাগরূক হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু জড়িয়ে ধরছেন তাজউদ্দীনকে, ত্যাগ ও স্বপ্নমাখা আবেগে দুজনের সঙ্গে সারা দেশের মানুষ কাঁদছে। আনন্দের বন্যায় চোখের পানি তখন যেন বাংলার পবিত্র মাটিকে শপথের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে গিয়েছিল।

ওইদিন তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে খোলা গাড়িতে বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্স ময়দানে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল আড়াই ঘণ্টা। আর রেসকোর্স ছিল লোকে লোকারণ্য। একটুও বিশ্রাম না নিয়ে কোনো প্রস্তুতি না নিয়ে ১৭ মিনিটের ওই আবেগময় ও গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ কেবল দেশবাসীর জন্যই দিকনিদের্শনামূলক ছিল না, বিশ^বাসীর জন্যও ছিল নবজাত বাংলাদেশের অবস্থান ও ভূমিকা তুলে ধরার দিক থেকে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। ওই বক্তৃতার ভেতর দিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতির জীবনের সব ব্যথা-বেদনা ও প্রত্যাশা-স্বপ্নকে তুলে ধরেছিলেন। এই বক্তৃতা আবারো প্রমাণ করেছে, প্রকৃত নেতাই আসলে ধারণ করতে পারেন মানুষের মনের আকুতি, মনের কথা। পাকিস্তানিরা জাতির পিতাকে গণবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল কিন্তু বক্তৃতা শুনে মনে হয়েছিল সুদূর পাকিস্তানে বন্দি থাকলেও তিনি ছিলেন জনগণের সঙ্গেই। বাংলাদেশের জন্মের উৎসমুখের ওই বক্তৃতার জন্য বাঙালি জাতি প্রকৃত বিচারেই গর্ব করতে পারে। ১০ জানুয়ারি ওই বক্তৃতাটির জন্যও ইতিহাসে অমোচনীয় কালিতে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।

ক্ষমতা মানে যে নবজাত বাংলাদেশের শাসকদলের কাছে জনসেবা দেশসেবা, তা তিনি প্রথম বক্তৃতায় পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রথমেই বলছিলেন, ‘আজ থেকে আমার আদেশ, আজ থেকে আমার হুকুম ভাই হিসেবে, নেতা হিসেবে নয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়…।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ‘অপরিবর্তনীয়’ এই কথা বলে তিনি বলেছিলেন, ‘এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়। এই স্বাধীনতা পূর্ণ হবে না যদি আমার বাংলার মা-বোনেরা ইজ্জত ও কাপড় না পায়। … এই স্বাধীনতা পূর্ণ হবে না যদি এ দেশের মানুষ, যারা আমার যুবক শ্রেণি আছে তারা চাকুরি না পায়, কাজ না পায়।’

দেশের উন্নয়নের বিষয় সামনে রেখে এই উন্নয়ন-পাগল মানুষটি বলেছিলেন, ‘যথেষ্ট কাজ পড়ে রয়েছে।’ তিনি বলেছিলেন, ‘এই বাংলাদেশে হবে সমাজতন্ত্র ব্যবস্থা, এই বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্র, এই দেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।’ প্রসঙ্গত তখন সর্বদলীয় সরকার গঠনের দাবি রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রের মানসপুত্র সেই পথে যাননি। পর দিন ১১ জানুয়ারিই তিনি অস্থায়ী শাসনতান্ত্রিক আদেশ জারি করেছিলেন এবং অঙ্গীকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার নিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের ইতিহাসে প্রথম সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। আজ যারা বলেন, শেখ মুজিব ‘স্বৈরাচারী’ ছিলেন, এক দল করেছিলেন; তাদের উদ্দেশে বলতেই হয়, সংবিধানিক সরকার চালু হওয়ার পর সেই উগ্র বাম-ডানের ‘রাতের বাহিনী’ ও সরকারের অভ্যন্তরে সুযোগ সন্ধানী সুবিধাবাদী ‘চাটার দল’ কোন ধরনের অপকর্ম করে সংসদীয় গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করেছিল, সেই ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরাতে।

গভীর প্রত্যয় নিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বীরদৃপ্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘…আসার সময় দিল্লিতে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে যে সময় আলোচনা হয়েছে।… যেদিন আমি বলব সেই দিন ভারতের সৈন্য বাংলার মাটি ছেড়ে চলে যাবে।’ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি দেখায়ে দেবার চাই দুনিয়ার কাছে, শান্তিপূর্ণ বাঙালি রক্ত দিতে জানে, শান্তিপূর্ণ বাঙালি শান্তি বজায় রাখতে জানে।’ মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনার উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আজ আমার কারো বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা নাই। একটা মানুষকেও তোমরা কিছু বলো না, অন্যায় যে করেছে তাকে সাজা দিব। আইনশৃঙ্খলা তোমরা হাতে নিও না।’ নবজাত দেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়টি সামনে রখে তিনি বিশ^বাসীকে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রথম দিনেই কতটা দূরদৃষ্টি ও প্রত্যয় নিয়ে তিনি কথাগুলো বলেছিলেন, তা ভাবলে বিস্মিত হতে হয়।

ভাষণের সবচেয়ে মর্মস্পর্শী দিক ছিল পকিস্তানের কারাগারের স্মৃতিচারণ। বাঙালি জাতি ও বাংলাভাষার ওপর মমত্ববোধ ওই বক্তৃতার ভেতর দিয়ে সারা বাংলার মুক্তি¯œাত মানুষকে দলিত মথিত জাগ্রত করে তুলেছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার সেলের পাশে আমার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছিল। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম। বলেছিলাম, আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, একবার মরে দুইবার মরে না। আমি বলেছিলাম, আমার মৃত্যু এসে থাকে যদি আমি হাসতে হাসতে যাব। আমার বাঙালি জাতকে অপমান করে যাব না। তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইব না এবং যাবার সময় বলে যাব, জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।’

জনগণের প্রচণ্ড ও সৃষ্টিশীল কাজে আজন্ম বিশ^াসী জাতির পিতা চেখের পানি মুছে বলেছিলেন, ‘…যেখানে রাস্তা ভেঙে গেছে, নিজেরা রাস্তা করতে শুরু করে দেও। আমি চাই জমিতে যাও, ধান বোনা। কর্মচারীদের বলে দেবার চাই, একজন ঘুষ খাবেন না, আমি ক্ষমা করব না।’ মানুষের প্রতি বিশ^াস রেখে বাঙালি ‘মানুষ হয়েছে’ মন্তব্য করে তিনি কবিগুরুকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘তোমার আক্ষেপকে আমরা মোচন করেছি। তোমার কথা মিথ্যা প্রমাণ করে আজ ৭ কোটি বাঙালি যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছে। বিশ^কবি তুমি আজ জীবিত থাকলে বাঙালির বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে নতুন কবিতা সৃষ্টি করতে।’ পর দিন সাংবাদিকরা জাতির পিতাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এই মুহূর্তে দেশবাসীর প্রতি আপনার বাণী কি? তিনি কবিগুরুর দ্বারস্থ হয়ে বলেছিলেন, ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ভয় নাই ওরে ভয় নাই/নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’

ওই দিনের পর অনেক বছর পার হয়েছে। পদ্মা মেঘনা যমুনা কর্ণফুলী দিয়ে বহু পানি বঙ্গোপসাগরে নিপতিত হয়েছে। পেছন ফিরে তাকালে সেই দিনে স্বদেশের স্বাধীন মাটিতে পা রেখে জাতির হাজার বছরের এই শ্রেষ্ঠ সন্তানটির মনের অবস্থা, রাজনৈতিক অবস্থান, দেশের জন্য তিনি কী করতে চেয়েছিলেন, দেশবাসীকে কী দিকনির্দেশনা দিতে চেয়েছিলেন, তা সুস্পষ্ট হয়ে যায়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে নানা প্রতিক‚লতা ও পরাজিত দেশি- বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তর মধ্যে ওই দিনের বক্তৃতার দিকনির্দেশনার প্রতি অবিচল থেকেই তিনি নবজাত রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায় অগ্রসর হচ্ছিলেন। পরাধীনতা থেকে স্বাধীনতার স্বাদই কেবল নয়, রাষ্ট্র ও সমাজের নতুন ভিত সৃষ্টির সব কিছু তিনি দেশবাসীকে উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু অমোঘ সত্যের মতো তিনি যে কথা বলেছিলেন, জীবন দিয়ে সেই সত্যেরই প্রমাণ দিয়েছেন। ঘাতকের নিষ্ঠুর বুলেটে তিনি নিঃশেষে প্রাণ দিয়ে গেছেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিবিজড়িত দিবসটি আজ যখন পালিত হচ্ছে, তখনো দেখা যাবে পরাজিত শত্রুর ধারক-বাহক বাঙালি জাতির কলঙ্ক বলে চিহ্নিত একাংশ জাতিরাষ্ট্রের ¯্রষ্টা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অবদানের প্রতি অস্বীকৃতি জানাবে, বঙ্গবন্ধুকে স্বমর্যদার আসনে প্রতিষ্ঠিত না করে অবমূল্যায়নের প্রচেষ্টা চালাবে। জাতি এই পবিত্র দিনে জানাবে ওই সব মীরজাফর বংশীয়দের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ। রাষ্ট্র ও সমাজজীবন থেকে এসব পরাজিতদের চির নির্বাসনের জন্য জাতি এই দিনে শপথ নেবে। কিন্তু যারা আজো বঙ্গবন্ধুর সময়কার ‘চাটারদল’-এর মতো আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর গুনগান করবে কিন্তু ভেতরে ভেতরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নির্দেশনার বিপরীতে গণবিরোধী কাজ করছে ও করবে, জাতি সেই সব বর্ণচোরা শত্রুদের বিরুদ্ধে কী করবে? ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে কি তাদের চিহ্নিত ও বিচ্ছিন্ন করতে প্রয়াসী হবে না! যদি সেই সব প্রয়াস বিন্দুমাত্র অগ্রসর হয়, তবেই দিনটি পালন আরো সার্থক হবে।

শেখর দত্ত : রাজনীতিক, কলাম লেখক।

SUMMARY

1688-1.png