বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন



নূহ-উল-আলম লেনিন:
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষাদর্শন এবং শিক্ষাভাবনা তার রাজনৈতিক দর্শন থেকেই উৎসারিত। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক মতাদর্শ, দার্শনিক বীক্ষা এবং সমাজচিন্তাসহ জীবনের সকল কর্মকা-ের কেন্দ্রে রয়েছেন বাংলাদেশের মানুষ। তিনি কেবল বাঙালির জন্য একটা স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যেই তার চিন্তা এবং আজীবনের সংগ্রামকে সীমাবদ্ধ রাখেন নি। এই রাষ্ট্রটির চরিত্র কেমন হবে, কেমন হবে এর রূপ কাঠামো, রাষ্ট্রের দায়িত্ব, কর্তব্য, ক্ষমতা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রের লক্ষ্যও তিনি স্থির করে দিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর এই রাষ্ট্রদর্শন প্রতিফলিত হয়েছে।
১৯৭২ সালে সংবিধান রচনার অনেক আগেই কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তা-সমাজভাবনা এবং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি তার নানা বক্তৃতায়, কথায় ও ঘোষণার মাধ্যমে আমরা জেনেছি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন, প্রথমে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ এবং তারপর ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না ‘মুক্তি’ ও ‘স্বাধীনতা’ শব্দ দুটির গভীর অর্থ-ব্যঞ্চনা বুঝেই বঙ্গবন্ধু তা চয়ন করেছিলেন। স্বাধীনতার অর্থ সহজবোধ্য। কিন্তু ‘মুক্তি’? বঙ্গবন্ধুই সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এখন আমাদের সংগ্রাম অর্থনৈতিক মুক্তির। মানুষে মানুষে ভেদ-বৈষম্য অব্যাহত থাকলে, শোষণ-বঞ্চনা অসাম্য অব্যাহত থাকলে এবং আমরা দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারলে স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে।’ ১৯৭৪ সালে জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী গৃহীত হওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু তার ‘দ্বিতীয় বিপ্লবের’ ব্যাখ্যায় বলেছিলেন, ‘সোনার বাংলা’ গড়তে হলে আমার ‘সোনার মানুষ’ চাই। নিরক্ষরতার অভিশাপ দূর করে প্রতিটি মানুষকে শিক্ষিত করতে না পারলে, সোনার মানুষ গড়া যাবে না।
১৯৭০ সালের যে নির্বাচনে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে নিরঙ্কুশ রায় দিয়েছিল, সেই নির্বাচনের আগে রেডিও-টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দেন সেখানেই তিনি তার শিক্ষা-ভাবনা স্পষ্ট করে তুলে ধরেন :
“সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগের চাইতে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর কিছু হতে পারে না। ১৯৪৭ সালের পর বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এটা ভয়াবহ সত্য। আমাদের জনসংখ্যার ৮০ জন অক্ষর জ্ঞানহীন। প্রতিবছর ১০ লক্ষেরও অধিক নিরক্ষর লোক বাড়ছে। জাতির অর্ধেকেরও বেশি শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শতকরা মাত্র ১৮ জন বালক ও ৬ জন বালিকা প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করছে। জাতীয় উৎপাদনের শতকরা কমপক্ষে ৪ ভাগ সম্পদ শিক্ষা খাতে ব্যয় হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। কলেজ ও স্কুল শিক্ষকদের, বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। নিরক্ষরতা অবশ্যই দূর করতে হবে। ৫ বছর বয়স্ক শিশুদের বাধ্যতামূলক অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষাদানের জন্য একটা ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ চালু করতে হবে। মাধ্যমিক শিক্ষার দ্বার সকল শ্রেণীর জন্য খোলা রাখতে হবে। দ্রুত মেডিক্যাল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়সহ নয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দারিদ্র্য যাতে উচ্চশিক্ষার জন্য মেধাবী ছাত্রদের অভিশাপ হয়ে না দাঁড়ায় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।”
[বঙ্গবন্ধুর ভাষণ : নবেল পাবলিকেশন, সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, পৃ. ২৮, ১৯৮৯]
মুক্তিযুদ্ধের পর রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরও বঙ্গবন্ধু ১৯৭০-এর নির্বাচনে দেওয়া এই প্রতিশ্রুতি বিস্মৃত হননি। ১৯৭০-এর নির্বাচনটি ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রের কাঠামোর মধ্যে। কাজেই এই নির্বাচনী ওয়াদায় তিনি তার সামগ্রিক শিক্ষাদর্শন ও শিক্ষাচিন্তা প্রকাশ করতে পারেনি। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
১৯৭২ সালে প্রণীত হয় আমাদের সংবিধান। সংবিধানে রাষ্ট্রের চরিত্র-বৈশিষ্ট্য নির্ধারিত হয়। সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে বলা হয় ৮। (১) জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাÑ এই নীতিসমূহ এবং তৎসহ এই নীতিসমূহ হতে উদ্ভূত এই ভাগে বর্ণিত অন্য সকল নীতি, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলিয়া পরিগণিত হইবে।
চার জাতীয় মূলনীতিতে বলা হয়, মানুষের উপর মানুষের শোষণ হইতে মুক্ত ন্যায়যুগ সাম্যবাদী সমাজ লাভ, … প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে … সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতা … বিলোপ করা হইবে। এই রাষ্ট্রীয় নীতিসমূহে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রদর্শনই প্রতিফলিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে একটি ন্যায়ানুগ সাম্যবাদী সমাজ নির্মাণ এবং মানবসত্তার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হলে একটি শিক্ষিত জাতি এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণের বিকল্প নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২-এর সমাজ বাস্তবতা, আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় রেখেই তার শিক্ষাদর্শন ও শিক্ষাভাবনা অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নির্ধারণ করেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদেÑ
১৭। রাষ্ট্র
(ক) একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য,
(খ) সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সংগতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছা প্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য,
(গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
‘সার্বজনীন অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষা’ প্রদানকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়ে বঙ্গবন্ধু বস্তুত শিক্ষা যে একটি মৌলিক অধিকার, সেই অঙ্গীকারকেই সংবিধানসম্মত অলঙ্ঘনীয় বিধানে পরিণত করেন। কেবল সংবিধানে লেখা-ই নয়, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২-৭৩ সালে তৎকালে বিদ্যমান সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ করেন। ফলে হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা লাভ করে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক লক্ষ শিক্ষক সরকারি বেতন-ভাতার সুযোগ পেয়ে এক নতুন মানবিক জীবনের অধিকারী হয়। এভাবেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের বুনিয়াদি শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন করেন।
গোটা পাকিস্তানি আমলে একাধিক গণবিরোধী শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছিল। ১৯৬২, ’৬৪ এবং ’৬৯ পর্যন্ত দফায় দফায় এসব শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বুকের রক্ত দিয়ে ছাত্রসমাজ লড়াই করেছে। ফলে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কোনো শিক্ষানীতিই শেষ পর্যন্ত কার্যকর করতে পারেনি। ’৬২-তে ছিল শরীফ কমিশনের রিপোর্ট, ’৬৪ এবং পরবর্তী কয়েক বছর চেষ্টা হয়েছে হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট ছাত্রসমাজের ওপর চাপিয়ে দিতে। এমনকি ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে আইউবের পতনের পর নতুন সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান যে ব্যক্তি কোনোদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ মাড়ায় নি, যার কোনো ডিগ্রি ছিল না, সেই বিমান বাহিনী প্রধান নূর খানের নেতৃত্বেও একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। ছাত্রসমাজের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদের মুখে নূর খানের শিক্ষা কমিশন অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। শরীফ শিক্ষা কমিশন ও হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনÑ দুটোরই মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল এক। পাকিস্তানের মতো বহুজাতিক রাষ্ট্রের জনগোষ্ঠীকে একটি অভিন্ন ভাষায় (উর্দু) অভিন্ন ধর্ম ও অভিন্ন পাকিস্তানি জাতীয়তাবোধে গড়ে তোলা। ওই দুই কমিশনেরই দৃষ্টিভঙ্গি বা দর্শন ছিলÑ ‘একটি সাধারণ ভাষা-ধর্মবোধ ও পাকিস্তানি ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সৃষ্টির মাধ্যমে একটি পাকিস্তানি নেশন তৈরিতে শিক্ষাব্যবস্থাকে কাজে লাগান। এক কথায় সে সময়ের সরকারগুলোর শিক্ষাদর্শনের সারৎসার হলো : “যে সমস্ত আদর্শ পাকিস্তানের জন্ম দিয়েছে ঐগুলির সংরক্ষণের ব্যাপারে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে মৌলিক ভূমিকা গ্রহণ করিতে হইবে এবং আমরা যে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি, এ ধারণাকেও জোরালো করিতে হইবে।” শরীফ কমিশন অভিমত দেয় শিক্ষা হচ্ছে পণ্যবিশেষ, যার ক্রয়ক্ষমতা আছে, সে-ই শিক্ষার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ তারা সর্বজনীন শিক্ষার বিরোধী ছিল।
সংবিধান প্রণয়নের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ড. কুদরাত-এ-খুদার নেতৃত্বে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘শিক্ষা কমিশন’ গঠন করেন। কুদরাত-এ-খুদা কমিশনের প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শনই প্রতিফলিত হয়।
“বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সুস্পষ্টবোধ শিক্ষার্থীর চিত্তে জাগ্রত করে তাকে সুনাগরিকরূপে গড়ে তোলাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম লক্ষ্য।”
এই কমিশন দুই বছর নিরন্তর কাজ করে তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. অজয় রায় বলেছেন, “… শিক্ষা সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক সকল বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে এবং শিক্ষা-স্তরের সর্বাঙ্গীন ব্যবস্থাকে স্পর্শ করে একটি বৃহৎ প্রতিবেদন প্রস্তুত করে নিষ্ঠা ও ধৈর্য সহকারে। কার্জন ও স্যাড্লার কমিশনের পর এত চমৎকার অনুপুক্সক্ষ প্রতিবেদন এই উপমহাদেশে তৈরি হয়েছে বলে আমার জানা নেই।…
এই শিক্ষা কমিশনের সুপারিশের বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার চৌম্বক দিকগুলো হলো : “(১) ……… সালের মধ্যে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা ………….. সালের মধ্যে প্রবর্তন করা; (২) মাধ্যমিক শিক্ষা-স্তরেÑ সুসমন্বিত কল্যাণধর্মী ব্যক্তিজীবন ও সমাজ জীবনযাপনের জন্য সচেতন কর্তব্যবোধে উদ্বুদ্ধ, সৎ ও প্রগতিশীল জীবন সৃষ্টির সম্পূর্ণ ব্যক্তিত্বের বিকাশ সাধন করা; (৩) দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রয়াসে প্রয়োজনীয় মধ্যম স্তরের কর্মকুশল দক্ষ ও কর্তব্যনিষ্ঠ কর্মী সরবরাহ করা; (৪) মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চশিক্ষার উপযোগী করে গড়ে তোলা; (৫) প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার স্তরকে প্রাথমিক শিক্ষা-স্তরে উন্নীত করা।”
এভাবেই বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন ও শিক্ষাভাবনাকে ভিত্তি করে রচিত হয়েছিল বাংলাদেশের শিক্ষানীতি। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাঙালি জাতির, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ভেতর দিয়ে কেবল ক্ষমতার রদবদলই ঘটেনি। জেনারেল জিয়ার নেতৃত্বে সামরিক শাসক গোষ্ঠী আমাদের সংবিধানের মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতি এবং রাষ্ট্রের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক রূপকে পর্যন্ত পাল্টে দেয়। বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শনের পাশাপাশি শিক্ষাদর্শন তথা কুদরাত-এ-খুদা কমিশনও বাতিল করা হয়। পুনর্মুষিকোভব-এর মতো বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানি ভাবাদর্শের কারাগারে আবদ্ধ হয়।

SUMMARY

1642-1.jpg