১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বরিশালবাসী যাদের হারিয়েছে


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। ভয়াল সেই রাতে স্বপরিবারে নৃশ্বংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। পাশাপাশি ওইরাতে বরিশালের একটি সাংস্কৃতিক দল ঢাকায় গিয়েছিলেন এবং তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের মিন্টো রোডের বাসায় তারা অবস্থান করছিলেন। বর্বর বিপথগামী সেনারা বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাসায় হামলার পাশাপাশি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের মিন্টো রোডের বাসায় হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সহ-ধর্মিনী এবং বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহানারা বেগম, ললিত দাসসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ওই রাতে অন্যান্যদের পাশাপাশি বরিশালবাসী যাদের হারিয়েছে তারা হলেন:

বঙ্গবন্ধুর সেজ বোনের স্বামী আবদুর রব সেরনিয়াবাত:
জন্ম: বরিশাল, ১৪ই চৈত্র ১৩২৭ বাংলা। বরিশাল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী ছিলেন। বেকার হোস্টেলেও এক সঙ্গে থাকতেন। বঙ্গবন্ধুর সেজ বোন আমেনা বেগমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কলকাতায় আই. এ. ও বি. এ পাস করার পরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করে বরিশালে আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।

১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১- এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২ সালের ১২ই এপ্রিল কৃষিমন্ত্রী হন। ১৯৭৩ এর নির্বাচনেও জয়লাভ করেন এবং বঙ্গবন্ধু তাকে সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রী নিয়োগ করেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের কৃষিক্ষেত্রে সংস্কার ও উৎপাদনে এবং কৃষকদের সহায়তা দেওয়ায় তার ভূমিকা ছিল যথেষ্ট জোরালো। একজন সৎ আদর্শবান ব্যক্তি হিসেবে তিনি সব মহলে প্রশংসিত ছিলেন। তিনি ছিলেন বরিশাল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বরিশাল প্রেসক্লাবের নতুন নামকরন করা হয়েছে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব। বরিশালের স্টেডিয়ামসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার নামে।

শেখ ফজলুল হক মনির স্ত্রী বেগম আরজু মনি:
জন্ম বরিশাল, ১৫ মার্চ ১৯৪৭ সাল। বরিশাল সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং বিএম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও বি. এ. পাস করেন। আবদুর রব সেরনিয়াবাতের জ্যেষ্ঠ কন্যা ছিলেন। ১৯৭০ সালে খালাত ভাই শেখ ফজলুল হক মনির সঙ্গে বিয়ে হয়। দু’সন্তানের মা আরজুকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে গুলি করে হত্যা করে ঘাতকরা। ১৯৭৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত:
জন্ম বরিশাল, ২০ মে ১৯৬০ সাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরী হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। নিহত হবার সময় পিতার কাছে ছিল।
আবদুর রব সেরনিয়াবাতের কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত – জন্ম ২৭ মাচর্, ১৯৬৪ সাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। নিহত হওয়ার সময় ঢাকায় পিতার কাছে ছিল।

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর জেষ্ঠ পুত্র সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু:
জন্ম: গৌরনদী, বরিশাল, ২২ জুন ১৯৭১ সাল। আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ছেলে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর জ্যেষ্ঠ পুত্র বাবু নিহত হওয়ার সময় বয়স ছিল ৪ বছর এবং ঢাকায় দাদার বাসায় বেড়াতে এসেছিল।

আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত:
জন্ম বরিশাল, ২৬ মার্চ ১৯৪০ সাল। বরিশাল বি এম স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, কলেজ থেকে আই. এ. ও বি. এ. পাস করেন। ঢাকা থেকে আইন পাস করে বরিশালে কোর্টে আইনজীবী ছিলেন। তিনি দৈনিক বাংলা পত্রিকার বরিশালের সংবাদদাতা ছিলেন। তিনি ছিলেন বরিশাল প্রেসক্লাবের (বর্তমানে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব) অন্যতম সদস্য। ১৫ আগস্ট চাচার বাসায় অবস্থানকালে নিহত হন।

শিল্প মন্ত্রী আমীর হোসেন আমুর খালাতো ভাই আবদুল নঈম খান রিন্টু:
জন্ম বরিশাল, ১ ডিসেম্বর ১৯৫৭ সাল। বরিশাল জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন। বরিশালের একটি সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গে ঢাকায় গিয়েছিলেন এবং তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় অবস্থান কালে নিহত হন।

বঙ্গবন্ধুর সেজ বোনের স্বামী আবদুর রব সেরনিয়াবাত:
জন্ম: বরিশাল, ১৪ই চৈত্র ১৩২৭ বাংলা। বরিশাল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী ছিলেন। বেকার হোস্টেলেও এক সঙ্গে থাকতেন। বঙ্গবন্ধুর সেজ বোন আমেনা বেগমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কলকাতায় আই. এ. ও বি. এ পাস করার পরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করে বরিশালে আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।

১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১- এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২ সালের ১২ই এপ্রিল কৃষিমন্ত্রী হন। ১৯৭৩ এর নির্বাচনেও জয়লাভ করেন এবং বঙ্গবন্ধু তাকে সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রী নিয়োগ করেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের কৃষিক্ষেত্রে সংস্কার ও উৎপাদনে এবং কৃষকদের সহায়তা দেওয়ায় তার ভূমিকা ছিল যথেষ্ট জোরালো। একজন সৎ আদর্শবান ব্যক্তি হিসেবে তিনি সব মহলে প্রশংসিত ছিলেন। তিনি ছিলেন বরিশাল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বরিশাল প্রেসক্লাবের নতুন নামকরন করা হয়েছে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব। বরিশালের স্টেডিয়ামসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার নামে।

শেখ ফজলুল হক মনির স্ত্রী বেগম আরজু মনি:
জন্ম বরিশাল, ১৫ মার্চ ১৯৪৭ সাল। বরিশাল সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং বিএম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও বি. এ. পাস করেন। আবদুর রব সেরনিয়াবাতের জ্যেষ্ঠ কন্যা ছিলেন। ১৯৭০ সালে খালাত ভাই শেখ ফজলুল হক মনির সঙ্গে বিয়ে হয়। দু’সন্তানের মা আরজুকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে গুলি করে হত্যা করে ঘাতকরা। ১৯৭৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত:
জন্ম বরিশাল, ২০ মে ১৯৬০ সাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরী হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। নিহত হবার সময় পিতার কাছে ছিল।

আবদুর রব সেরনিয়াবাতের কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত :
জন্ম ২৭ মাচর্, ১৯৬৪ সাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। নিহত হওয়ার সময় ঢাকায় পিতার কাছে ছিল।

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর জেষ্ঠ পুত্র সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু:
জন্ম: গৌরনদী, বরিশাল, ২২ জুন ১৯৭১ সাল। আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ছেলে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর জ্যেষ্ঠ পুত্র বাবু নিহত হওয়ার সময় বয়স ছিল ৪ বছর এবং ঢাকায় দাদার বাসায় বেড়াতে এসেছিল।

আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত:
জন্ম বরিশাল, ২৬ মার্চ ১৯৪০ সাল। বরিশাল বি এম স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, কলেজ থেকে আই. এ. ও বি. এ. পাস করেন। ঢাকা থেকে আইন পাস করে বরিশালে কোর্টে আইনজীবী ছিলেন। তিনি দৈনিক বাংলা পত্রিকার বরিশালের সংবাদদাতা ছিলেন। তিনি ছিলেন বরিশাল প্রেসক্লাবের (বর্তমানে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব) অন্যতম সদস্য। ১৫ আগস্ট চাচার বাসায় অবস্থানকালে নিহত হন।

 

SUMMARY

1611-1.jpg