১৫ই আগস্ট ২০১৫ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ এর এই দিন রাত্রে কিছু উচ্চাবিলাসী বিপথগামী সেনা সদস্য দ্বারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডি ৩২নং বাড়িতে সপরিবারে নিহত হন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁহার বোন শেখ রেহানা বাংলাদেশের বাহিরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। তৎকালীন সময়ে আমি কুমিল্লা সদর সার্কেলে পুলিশের সার্কেল পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলাম। ১৯৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৩ বছর ৭ মাস ২৯ দিনের মাথায় সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন একটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে তখন কেহ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেন নি। বিশাল এবং মহৎ হৃদয়ের অধিকারী এই মহান ব্যক্তিত্ব পাকিস্তান সৃষ্টির পর হতে পাকিস্তানী শাসক চক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জেল, জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু কখনও তাদের কাছে মাথা নত করেননি। যিনি পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতির জন্য একটি সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিলেন তাঁর মত একজন রাষ্ট্রনায়ককে সপরিবারে পাকিস্তানীদের পরিবর্তে বাঙালি ঘাতকের গুলিতে প্রাণ দিতে হবে সাধারণ জনগণের কল্পনাতেও কোনদিন এসেছে বলে মনে হয়না।
১৫ই আগস্ট সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬ টার সময় কুমিল্লা পুলিশ লাইনস্ এর ভিতর আমার বাসায় রিজার্ভ অফিসার হোসেন আলী ছুটে এসে আমাকে ঘুম থেকে তুলে রেডিও খুলতে বললে আমি সঙ্গে সঙ্গে রেডিও খুলে খুনী চক্রের অন্যতম সদস্য মেজর ডালিমের কণ্ঠে ‘শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে এবং সারা বাংলাদেশে এই মুহূর্ত হতে কারফিউ জারি করা গেল।’ এমন সংবাদ বার বার রেডিওতে প্রচার করতে শুনতে পাই। প্রথমে সংবাদটি বিশ্বাস করতে পারিনি। কিন্তু তার কণ্ঠে বার বার প্রচারের পর বিশ্বাস করতে হলো। এর মধ্যে পুলিশ সুপার পুলিশ লাইনস্ সহ জেলার সব পুলিশ ইউনিটে কর্মরত পুলিশ বাহিনী সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। তাড়াতাড়ি হাত-মুখ ধুয়ে ইউনিফর্ম পরে অফিসে এসে বসি। প্রায় ১০ টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাই। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে অফিস স্টাফ সহ সবার মাঝে নি:শব্দ-নীরবতা এবং অজানা এক আতঙ্ক লক্ষ্য করি। কয়েকজনের সাথে আলাপ করে বুঝতে পারি তারা সবাই অপ্রত্যাশিত পৈশাচিক এই হত্যাকাণ্ডে মর্মাহত। পুলিশ সুপারের নির্দেশে শহর এলাকায় পাহারা চেক্ করতে বাহির হই। কুমিল্লা শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা কান্দিরপাড় এসে কিছু দোকানপাট খোলা দেখতে পাই। দোকানীদের মাঝেও এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে অনুভব করি। গাড়িতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রদের এখানে-ওখানে জটলা পাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জানতে পারি তারা কেহ এই হত্যাকাণ্ড মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। ১৫ই আগস্ট দিবাগত রাত্রে কুমিল্লা শহর এবং শহরতলী এলাকায় টহল পুলিশের ডিউটি চেক্ করার দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়। রাত ৯ টার পর যখন বাসা হতে গাড়িতে বের হই, তখন শহরের সর্বত্র রাস্তাঘাট জনমানব শূন্য দেখতে পাই। সব দোকানপাট বন্ধ দেখি। রাত যত গভীর হতে থাকে রাস্তায় পুলিশ ও কুকুর ছাড়া অন্য প্রাণী চোখে পড়েনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর কয়েকদিন কুমিল্লা শহরের এমন পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল।
এবার বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত বিপথগামী সেনা সদস্যদের অন্যতম খুনী মেজর ডালিম প্রসঙ্গে আসি। আমার যতদূর মনে পড়ে, ১৯৭৪ এর শেষের দিকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কুমিল্লাসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু থানায় সেনা মোতায়েন করা হয়। মেজর ডালিম কুমিল্লায় মোতায়েনকৃত সেনা ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন। টমসন ব্রিজের সন্নিকটে সম্ভবত পি.ডি.বি এর রেস্ট হাউজ এলাকায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পটি ছিল। মেজর ডালিম একদিন কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান আফজল খানকে ধরে ক্যাম্পে এনে অস্ত্র উদ্ধারের নামে শারীরিকভাবে নির্যাতনের সংবাদ শুনতে পাই। আফজল খানকে অস্ত্র উদ্ধারের নামে কয়েকদিন আটকে রেখে নির্যাতন করার পরও তার কাছ থেকে কোন অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। আফজল খান ছাড়াও আরো অনেককে ডালিম তার টর্চার সেলে ঐ সময় অস্ত্র উদ্ধারের নামে ধরে এনে অমানুষিক নির্যাতন করে। উল্লেখ্য যে আফজল খান ও ডালিম উভয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ছাত্র থাকাবস্থায় কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয়ের মধ্যে অঘোষিত দ্বন্দ্ব ছিল। কলেজ জীবনের পুরাতন এই দ্বন্দ্বের জের ধরে ডালিম আফজল খানের উপর এমন অমানুষিক নির্যাতন চালায় বলে পরে জানতে পারি। একদিন সরকারি কাজে আমার, ডালিমের কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার আনুগত্যের পরিবর্তে উদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা শুনে তখন চুপ করে থাকা ছাড়া আমার পক্ষে অন্য কোন পথ খোলা ছিল না। তার অত্যাচার এবং নির্যাতনের এই কাহিনী সরকার জানতে পারলে কিছুদিন পর তাকে সহ সেনা ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এবং নেপথ্যে নায়ক বাঙালি জাতির ইতিহাসে মীর জাফরের পর সবচেয়ে বেশি সমালোচিত খলনায়ক খন্দকার মোশতাক আহমদ প্রসঙ্গে এবার আসি। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার কয়েক মাস পূর্বে খন্দকার মোশতাক এর এলাকা দাউদকান্দিতে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিতে আসেন। ঐ জনসভার জন্য নির্মিত সুউচ্চ বক্তৃতা মঞ্চের নিচে আমার ডিউটি ছিল। ঢাকা থেকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে বঙ্গবন্ধু সভাস্থলে যথাসময়ে উপস্থিত হন। বক্তৃতা মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর পাশে খন্দকার মোশতাক সহ অন্যান্য জাতীয় নেতৃবৃন্দ একই মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু বক্তৃতার এক পর্যায়ে খন্দকার মোশতাকের কাঁধে হাত রেখে জনতার উদ্যেশে স্বভাব সুলভ ভঙ্গিমায় বলেন, ‘আমার পাশে আপনাদের এলাকার মোশতাক আছে, সেও নাকি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এমন সংবাদ শুনতে পাই’। প্রকাশ্যে জনসভায় এমন বক্তব্য শুনে সবার মনে হয়েছিল বঙ্গবন্ধু মোশতাকের ষড়যন্ত্রের কথা কিছুটা টের করতে পেরেছিলেন। মহৎ হৃদয় এবং ক্ষমাশীল এই মহান ব্যক্তিটি এতবড় ষড়যন্ত্রের কথা টের পাওয়ার পরও কোন অদৃশ্য শক্তির চাপে মোশতাককে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেননি এটা এখনও রহস্যাবৃত রয়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের প্রায় শেষ পর্যায়ে জয় আমাদের নিশ্চিত জেনেও অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাবস্থায় আওয়ামী লীগের ডানপন্থি এই নেতা ভারতের নয়াদিল্লীতে আমেরিকান দূতাবাসের মাধ্যমে পাকিস্তানের সাথে কন্ফিডারেশন করার ষড়যন্ত্র টের পেয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ়চেতা প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ মোশতাক কে মন্ত্রীত্ব হতে বহিষ্কার করতে দ্বিধাবোধ করেন নি। মোশতাকের পরিবর্তে বৃহত্তর সিলেটের কৃতী সন্তান আবদুস সামাদ আজাদের উপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। আমরা যারা ওপারে মুক্তি সংগ্রামের সাথে যুক্ত ছিলাম মোশতাকের পাকিস্তান প্রীতি এবং মুক্তিযুদ্ধ বানচালের সংবাদ মাঝে মধ্যে আমাদের কানে ভেসে আসতো। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সু:খ-দু:খের একান্ত সহচর সৎ, নির্লোভ, দৃঢ়চেতা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাজউদ্দিন আহমেদকে এর খেশারত দিতে হয়। খন্দকার মোশতাক সহ অন্যান্য চাটুকার ও তাজউদ্দিন বিরোধী কুচক্রী মহলের চক্রান্তের কারণে তাজউদ্দিন আহমদ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর রোষানলে পড়ে স্বাধীনতার অল্প কিছুদিন পর অর্থ মন্ত্রীর পথ ছাড়তে বাধ্য হন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী অকুতোভয় নির্ভীক সৈনিক তাজউদ্দিন আহমদকে স্বাধীনতার পর সুপরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে হত্যার মূল নায়ক খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধু হত্যার পথ সুগম করেন এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রক্তের দাগ না শুকানোর আগেই খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি হয়ে তিনি তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিলে তিনি ঘৃণাভরে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এম. কামরুজ্জামান, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং পরবর্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদকে মন্ত্রীত্ব গ্রহণের প্রস্তাব দিলে তারাও এই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। যার পরিণতিতে তাদের সবাইকে ক্ষমতা গ্রহণের পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীন অবস্থায় রাখা হয়। কারাগার রাজনৈতিক নেতাদের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। অথচ এই কেন্দ্রীয় কারাগারে খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে ১৯৭৫ এর ৩রা নভেম্বর ঘাতকের গুলিতে একমাত্র আবদুস সামাদ আজাদ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী উল্লেখিত চার নেতাকে নৃশংসভাবে প্রাণ দিতে হয়।
১৯৭৩ এর মার্চ হতে কুমিল্লায় পুলিশের চাকুরিতে থাকাবস্থায় খন্দকার মোশতাককে কাছ থেকে যতটুকু দেখেছি এবং বুঝেছি, এটা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে পারি তিনি একজন প্রতিহিংসাপরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন। দাউদকান্দিতে তার প্রতিপক্ষ কাহাকেও তিনি সহ্য করতে পারতেন না। আমার জানা মতে, তার প্রতিপক্ষ রশিদ ইঞ্জিনিয়ারকে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর সাথে সহযোগিতার অভিযোগ এনে দালাল আইনে খন্দকার মোশতাকের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়। অথচ যুদ্ধের সময় দালালি করা তো দূরের কথা তিনি বহু হিন্দু পরিবারকে আশ্রয় দিয়ে পাকহানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্সা করেন এমন সংবাদ জনগণের কাছে জানা যায়। বিচিত্র আমাদের এই বাংলাদেশ এবং বিচিত্র এদেশের মানুষের মন-মানসিকতা। বাঙালি চরিত্রের এই বৈশিষ্ট্যের কথা আমার মনে হয় স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও জানেন না। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে কুমিল্লায় দৃশ্যপট বদলে যেতে দেখতে পাই। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকাবস্থায় যে সমস্ত নেতাকে কান্দিরপাড় মোড়ে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত এমন বক্তব্য দিতে শুনেছি, খন্দকার মোশতাক ক্ষমতা গ্রহণের পর কুমিল্লায় আসলে এদের অনেককে মোশতাকের গাড়িবহরের আগে আগে ‘মোশতাক ভাই যেখানে আমরা আছি সেখানে’ োগান দিয়ে নাচতে নাচতে রাস্তা দিয়ে যেতেও দেখেছি। দাউদকান্দির দাশপাড়ায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজ বাড়িতে যখন আসতো, তখন তাহাকে বাবার মাজার জিয়ারত করার সময় যতটুকু না কাঁদতে দেখেছি, তার চেয়ে কোন অংশে কম কাঁদতে দেখিনি এই সব মৌসুমী চাটুকার সমর্থকদের। খন্দকার মোশতাকের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণের পর দাশপাড়ার অনতি দূরে সুন্দরপুর খাল খননের সময় আমি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডিউটি করি। তখন মোশতাকের বাবার মাজারে জিয়ারত করার মত কোন মানুষ আমাদের চোখে পড়েনি।
১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ এর এই বিয়োগান্তক ঘটনার পর বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডি ৩২নং বাড়িতে সোনা-দানা, বিপুল অর্থসহ প্রচুর সম্পদ মওজুদ আছে সুপরিকল্পিতভাবে এমন একটি সংবাদ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানো হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে ঐ বাড়িতে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর কড়া পুলিশি পাহারার বন্দোবস্ত করা হয়। কিছুদিন পর বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে প্রাপ্ত সম্পদের জব্দকৃত তালিকা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে জনগণ সম্পদের বিবরণ জানতে পারে। তখনকার সময় একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারও এর চেয়ে অধিক সম্পদের মালিক ছিল এত কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।