বন্দিদশা শেষে বঙ্গবন্ধুর লন্ডন সফর স্মৃতিতে উজ্জ্বল আজও


একাত্তরে ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত হলেও জেনেভা কনভেনশনের কারণে পাকিস্তানের বন্দিদশা কাটিয়ে দেশে আসতে পারেননি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দুইদিন আগে লন্ডনে যান তিনি। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ব্রিটেন প্রবাসীদের আত্মিক যোগাযোগের টানেই বেছে নেন লন্ডনকে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির ১৯৭২ সালের ৮ই জানুয়ারির লন্ডন যাওয়ার সেই ক্ষণের সাক্ষী হয় বিলেতের হাজার হাজার জনতা।

 ২৯০ দিনের বন্দিদশা শেষে ১৯৭১ সালের ২৬ শে ডিসেম্বর পাকিস্তানের মিনাওয়ালি কারাগার থেকে মুক্ত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরের বছর ৮ই জানুয়ারি রাতে পাকিস্তান বিমান বন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। লন্ডনের হিথ্রো বিমান বন্দরে পৌঁছালে বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপ্রধানের মর্যাদায় স্বাগত জানায় ব্রিটিশ সরকার।

বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে প্রবাসীদের উদ্যোগে গঠিত শেখ মুজিব ডিফেন্স ফান্ডের তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ ছিলেন হাফিজ মজির উদ্দিন। বর্তমানে বয়স ৮০ পেরোলেও বঙ্গবন্ধুর লন্ডন সফর তার স্মৃতিতে উজ্জ্বল।

শেখ মুজিব ডিফেন্স ফান্ডের কোষাধ্যক্ষ হাফিজ মজির উদ্দিন বলেন, 'যে দিন শেখ সাহেব লন্ডনে আসেন সেই দিন অনেক মানুষ হয়েছে।'

বঙ্গবন্ধুর লন্ডনে আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে তাকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসেন হাজার হাজার জনতা। এ সময় সমবেত জনতাকে হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানান শেখ মুজিবুর রহমান।

সে সময় তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ নেতারা দেখা করেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থনের পাশাপাশি স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়ার আশ্বাস দেন।


যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান শরীফ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী এসেও দেখা করে বলেছেন যে তোমার দেশকে আমরা রি-অর্গানাইজড করবো। শুধু তুমি দেশে যাও, পরে এ ব্যাপারে তোমার সাথে আলাপ করবো। এবং তোমাকে সমর্থন দেবো।'

৮ জানুয়ারির লন্ডন সফর শেষে ১০ই জানুয়ারি বীরের বেশে স্বাধীন বাংলাদেশে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে তাই বঙ্গবন্ধুর ওই লন্ডন সফর মহাকালের সাক্ষী হিসেবেই রয়ে গেছে।

SUMMARY

1577-1.jpg