শাহ আহমদ রেজা
আজকের নিবন্ধে বাংলাদেশের দুজন সংগ্রামী নেতার মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করব। একজন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, দ্বিতীয়জন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুজনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, সংগ্রাম ও অবদান সম্পর্কে নিশ্চয়ই বলার দরকার পড়ে না। এদিকে মওলানা ভাসানীও সাধারণ কোনো নেতা ছিলেন না। প্রায় ৮০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে তিনি দেশ ও জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে উদ্যোগী ও প্রধান নেতার আপসহীন ভূমিকা পালন করেন। পাকিস্তান আমলে প্রথম বিরোধী দল আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা (জুন, ১৯৪৯) এবং বিরোধী রাজনীতির সূচনা থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম প্রকাশ্য আহ্বান জানানো পর্যন্ত সংগ্রামের প্রতিটি পর্যায়ে তিনি থেকেছেন অগ্রবর্তী অবস্থানে। ১৯৫৭ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন, অন্যদিকে ১৯৫৩ সাল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক।
১৯৭০ সালের ৩০ নভেম্বর মওলানা ভাসানী মুদ্রিত প্রচারপত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সন্তোষে তার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য তাকে ভারতে যেতে হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে গঠিত মুজিবনগর সরকারকে সংঘাত ও অনৈক্যের অশুভ পরিণতি থেকে রক্ষা করা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নেওয়া ছিল মওলানা ভাসানীর প্রধান অবদান। তিনি ছিলেন মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান।
স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেও মওলানা ভাসানীই প্রথম সোচ্চার হয়েছিলেন। সরকারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি বৃদ্ধ বয়সেও মওলানা ভাসানী অনশন করেন, গ্রেফতার হন। ১৯৭৬ সালের ১৬ মে নিজের আহ্বানে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ফারাক্কা মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া ছিল তার সর্বশেষ অবদান।
১৯৫৭ সাল থেকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বা ন্যাপ নামে পৃথক দল করলেও মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবের সম্পর্ক সবসময় ছিল পিতা ও পুত্রের মতো। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার রায় ঘোষণা সময়ের ব্যাপারে পরিণত হলে শেখ মুজিব তখন ফয়েজ আহমদ, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, আতাউস সামাদ প্রমুখ সাংবাদিককে বলেন, ‘বুড়ারে খবর দে।’ ‘বুড়া’ বলতে মওলানা ভাসানীকে বুঝিয়েছিলেন শেখ মুজিব। খবর দেওয়ার জন্য সাংবাদিক আতাউস সামাদ সন্তোষে যান। এরপরই ১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মওলানা ভাসানী পল্টন ময়দানের বিরাট জনসভায় ক্যান্টনমেন্ট ভেঙে শেখ মুজিবকে মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। দেশে তখন ৬-দফা ও ১১-দফাভিত্তিক আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের রূপ নিয়েছিল। এরই প্রচণ্ড চাপে সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে এবং প্রধান অভিযুক্ত শেখ মুজিবসহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন (২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯)। মুক্তি পাওয়ার পর সেদিন সন্ধ্যায়ই শেখ মুজিব মওলানা ভাসানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং একান্ত বৈঠক করেন।
ইতিহাসের পর্যালোচনায় দেখা যাবে, স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বানে তৎপর মওলানা ভাসানী ১৯৭০ সালের নির্বাচন বর্জন করায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল আওয়ামী লীগ। দলটি ‘পূর্ব পাকিস্তানের’ জন্য নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ওই নির্বাচন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা পর্যন্ত সময়কালে মওলানা ভাসানী সুকৌশলে শেখ মুজিব এবং আওয়ামী লীগের প্রতি ‘সমর্থন’ জানান বলে প্রচার রয়েছে। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মতো কেউ কেউ ‘সমর্থন’ দেওয়ার এই নীতি ও কৌশলকে ‘রীতিমতো মাস্টার স্ট্রোক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ১৯৭১ সালের মার্চে আলোচনার দিনগুলোতেও মওলানা ভাসানী শেখ মুজিবের তথা স্বাধীনতার পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। মূলত মওলানা ভাসানীর কারণেই পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, যখন আর পাকিস্তান রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।
স্বাধীনতার পর সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেও ‘ছেলের মতো’ মুজিবের প্রতি মওলানা ভাসানীর মনোভাবে সামান্য পরিবর্তন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবও তাকে ‘পিতার মতোই’ সম্মান করেছেন। প্রকাশ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ও বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সব সমস্যায় তিনি মওলানা ভাসানীর কাছে ছুটে গেছেন। গেছেন অত্যন্ত স্নেহভাজন হিসেবে, যাকে মওলানা ভাসানী প্রকাশ্যেই ‘নিজের ছেলের মতো’ বলতেন। কিন্তু পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে শেখ মুজিব সবসময় প্রকাশ্যে যাননি। প্রকাশ্যে যখন গেছেন, তখন সবার সামনে মওলানা ভাসানীকে তিনি কদমবুচি করেছেন এবং সেই ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দেশের সব সংবাদপত্রে (যেমন ৯ মার্চ ১৯৭৫-এর দৈনিক বাংলায়)।
কিন্তু সহজবোধ্য কারণে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেখ মুজিব বেশিবার গেছেন গোপনীয়তার সঙ্গে। তথ্যাভিজ্ঞদের মতে, রাজধানী ও সন্তোষে তো বটেই, দুজনের সাক্ষাৎ ও আলোচনা হয়েছে এমনকি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মতো অচিন্তনীয় অনেক স্থানেও। ভাসানী-মুজিবের এ ধরনের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে চমৎকার একটি ঘটনার বর্ণনা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর ‘ভাসানীকে যেমন জেনেছি’ গ্রন্থে। বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে মওলানা ভাসানী শেখ মুজিবকে পরামর্শ দিয়েছেন এবং কখনো তিনি ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ প্রবাদবাক্যকে গুরুত্ব দেননি।
এরপর এসেছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। মওলানা ভাসানীকে যারা চিনতেন এবং ভাসানী-মুজিব সম্পর্ক সম্পর্কে যারা জানতেন, তাদের সবাই স্বীকার করেন, ‘নিজের ছেলের মতো’ প্রিয় ‘মোজিবরের’ হত্যাকাণ্ডে মওলানা ভাসানী গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছিলেন। ক্ষুব্ধ তো হয়েছিলেনই (মওলানা ভাসানী ‘মুজিব’ বা ‘মুজিবুর’ নয়, ‘মোজিবর’ উচ্চারণে ডাকতেন)। মূলত সে কারণেই খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর বহু চেষ্টা করেও মওলানা ভাসানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। মোশতাক প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন ১৯৭৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর— ১৫ আগস্টের ৩৮ দিন পর। সেটাও সম্ভব হয়েছিল মওলানা ভাসানী চিকিৎসার জন্য তৎকালীন পিজি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে।
ভাসানী-মুজিব সম্পর্ককে নেতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা কম হয়নি। কিন্তু সব চেষ্টাই অপচেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মন্তব্য স্মরণ করা যেতে পারে। ১৯৯৭ সালের ১৭ নভেম্বর মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবের মধ্যে ছিল ‘প্রগাঢ় ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসনের নাগপাশ থেকে স্বদেশকে মুক্ত করার সংগ্রামে মওলানা ভাসানী ছিলেন আপসহীন। স্বৈরশাসন, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির পুনরুত্থানে তিনি তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন।’ এই বাণীটির শেষাংশেই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর ছিল প্রগাঢ় ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।’ ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর ‘মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের’ ভিত্তিফলক উন্মোচন উপলক্ষে সন্তোষে দেওয়া বক্তৃতায়ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথারই পুনরাবৃত্তি করেন।
মওলানা ভাসানী ও ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবের মধ্যকার সম্পর্কের গভীরতা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য এখানে ১৯৭৪ সালের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের একটি চিঠি উদ্ধৃত করা হলো। এই চিঠিতে শেখ মুজিব লিখেছিলেন :
‘হুজুর,
আমার ভক্তিপূর্ণ সালাম গ্রহণ করিবেন। আপনার চিঠিগুলি আমি পাইয়াছি। আমি জানি, আপনি আমাকে ছেলের মতো ভালোবাসেন। যতদিন বেঁচে আছি, আপনার স্নেহের থেকে যেন বঞ্চিত না হই। আপনার বক্তিগত খরচের জন্য দশ হাজার টাকা পাঠাইলাম। যখন যাহা প্রয়োজন আমাকে জানাবেন। ...যাহা ইচ্ছা আপনি করেন আমার বলবার কিছুই নাই। তবে আপনার প্রয়োজন আমাকে জানাবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনার সেবা করতে চাই; যাহা পূর্বেও করার চেষ্টা করেছি।’
১৯৭৪ সালের আগস্টে অত্যন্ত সাধারণ একটি কাগজে তাড়াহুড়ো করে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব যখন এই চিঠিটি লিখেছিলেন, দেশের অবস্থা তখন খুব খারাপ। অমন এক অবস্থার মধ্যে আবেগাক্রান্ত এবং অভিমানী শেখ মুজিব লিখেছিলেন, ‘এমনি দিবারাত্রিতে, হুজুর, আপনার কথা মনে পড়ে। ১৯৫০ দশকে আপনার চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে হাত পেতেছি। আজ যখন আমার হাতে আমার টাকা, দশ হাজার টাকা পাঠালাম, মনে যা চায় খাবেন। আমি জানি, নিজ থেকে কিছুই খান না, খেতে চান না। ভক্তিভরে দিলে খান। এটা আমার ভক্তি। প্রাচ্যের ঐতিহ্য। ...আমি চাই আপনার স্নেহ। আমি জানি, আপনি আমাকে ছেলের মতো ভালোবাসেন। তাই তো দেখুন, ছোট্ট চিঠিটিতে আমি দুবার লিখেছি, ‘আপনার প্রয়োজন আমাকে জানাবেন।’ মুশকিল হলো, আপনি জানান না।’
অভিমানী শেখ মুজিব এরপর লিখেছিলেন, ‘বুঝি, জানাবেন-ই বা কিভাবে! সবাই এতে রাজনীতির গন্ধ খুঁজে বেড়াবে। আপনিও তো রাজনীতি ছাড়েননি। মিটিং মিছিল হরতাল অনশন কোনোটাই বাদ দেননি। আমার দিকে একবার তাকাবেন না? কতটুকু সম্ভব আর কতটুকু অসম্ভব! তাই চিঠিতে অভিমান ভরে লিখেছি, যাহা ইচ্ছা আপনি করেন আমার কিছুই বলবার নাই। ইতি স্নেহের মুজিব।’ (সাপ্তাহিক ‘হক-কথা’ সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল বারী সম্পাদিত গ্রন্থ ‘ভাসানী সমীপে নিবেদন ইতি’, পৃষ্ঠা ১১৮-১৯)
এই একটি চিঠির মধ্য দিয়েই ভাসানী-মুজিব সম্পর্কের গভীরতা পরিমাপ করা সম্ভব। ‘পিতার মতো’ ভালোবাসতেন বলে দেশের প্রধান নেতা হয়ে ওঠার পরও ‘বঙ্গবন্ধু’ একজন সুবোধ সন্তানের মতোই ‘নিজের টাকা’ পাঠিয়ে মওলানা ভাসানীকে লিখেছিলেন, ‘মনে যাহা চায় খাবেন’ এবং ‘আপনার প্রয়োজন আমাকে জানাবেন’। অভিমানের প্রকাশও তিনি যথেষ্টই করেছিলেন— ‘যাহা ইচ্ছা আপনি করেন, আমার কিছুই বলবার নাই।’
শেষ করার আগে একটি তথ্যের উল্লেখ করা দরকার। ‘বঙ্গবন্ধু’ তার নিজের ‘ভক্তি’ এবং ‘প্রাচ্যের ঐতিহ্য’ সম্পর্কে শুধু লেখেননি, বাস্তব জীবনেও এর প্রমাণ রেখেছেন। আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হওয়ার পরপর কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘটনা জানাতে গিয়ে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে শেখ মুজিব লিখেছেন, ‘জেলগেটে গিয়ে দেখি, বিরাট জনতা আমাদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য এসেছে মওলানা ভাসানী সাহেবের নেতৃত্বে। ...দেখি, আমার আব্বাও উপস্থিত। ...আমি আব্বাকে সালাম করে ভাসানী সাহেবের দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকেও সালাম করলাম।...’ (পৃষ্ঠা ১২১)
মওলানা ভাসানী এবং শেখ মুজিবের সম্পর্ক বিষয়ে জানার ও অনুধাবন করার জন্য এটুকুই সম্ভবত যথেষ্ট। ১৯৭২-৭৬ সময়কালে মওলানা ভাসানীর সহকারী হিসেবে কাজ করার সময় এই দুজন নেতার ব্যাপারে আমার নিজেরও কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এসব বিষয়ে পরবর্তী সময়ে লেখার ইচ্ছা রইল।
লেখক : সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক