শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক নতুন ডাইমেনশন


ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

…এবারের শোক দিবসের অনুষ্ঠানাদিতে আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে। তা হলো শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জাসদের ভূমিকা। জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু ক্ষমতাসীন ১৪ দলের অন্তর্ভূক্ত একটি দল। আর বিনা ভোটের নির্বাচনের সিলেকশনে মন্ত্রী হয়েছেন। যদি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করে এমপি হতে হতো, তা হলে ইনু সাহেবের নির্বাচিত হবার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না, বরং তাকে জামানত হারাতে হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রথমে অভিযোগ তোলেন যে, শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল জাসদ। তারা গণবাহিনী গঠন করে আওয়ামী এমপি–কর্মীদের হত্যা করেছিল। তারা বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা গঠন করে সেনাবাহিনীর ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল, সেনা বিদ্রোহ উসকে দিয়েছিল। এর কোনো কিছুই মিথ্যা নয়। সে সময় জনাব ইনুর ভূমিকাও ছিল হঠকারি। ফলে শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক নতুন ডাইমেনশন তৈরি হয়েছে।

শেখ সেলিম কাউকেই ছেড়ে কথা বলেননি। তিনি এক হাত নিয়েছেন সে সময়ের সেনাবাহিনী প্রধান জে.mujib1-art শফিউল্লাহকে। তিনি বলেছেন, শফিউল্লাহ ও রক্ষীবাহিনীর প্রধান তোফায়েল আহমদ কেউই তাদের দায়িত্ব পালন করেননি। জবাবে চুপ করে থাকেননি জে. শফিউল্লাহ। তিনি বলেছেন, সেলিম ছিলেন খন্দকার মুশতাকের সহযোগী। আর মুশতাকের দূত হয়ে ১৫ আগস্টই শেখ সেলিম গিয়েছিলেন মার্কিন দূতাবাসে। সেলিম সেটা অস্বীকার না করে বলেছেন, শফিউল্লাহ একজন জীবন্ত মিথ্যাবাদী। এভাবেই কথার তুবড়ি ছুটছে আর নতুন নতুন মিথ্যার জন্ম হচ্ছে। চাপা পড়ে যাচ্ছে ইতিহাসের আসল সত্য।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগারদের মধ্যে একটি সাধারণ ধারণা আছে যে, খন্দকার মুশতাক আহমদের সহযোগিতায় যক্তরাষ্ট্র শেখ মুজিব হত্যার পেছনে ছিল। তাদের সঙ্গে ছিল সেনাবাহিনীর কিছু চাকরিরত ও কিছু চাকরিচ্যুত সদস্য। আর আওয়ামী লীগারদের মধ্যে আরও একটি ফ্যাশন দাঁড়িয়ে গেছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান মে. জে. জিয়াউর রহমানেরও হাত ছিল। যদিও সম্প্রতি শেখ সেলিম বলেছেন যে, শফিউল্লাহর বদলে যদি জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকতেন, তাহলে তিনি শেখ মুজিবকে রক্ষায় এগিয়ে আসতেন। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন এই গীত কোরাসের মতো গাওয়া হতে থাকে।

তারা এমন একটা ভাব করে যে, তাদের এই বক্তব্য অতি পবিত্র এবং একমাত্র সত্য। এখন তাদের আর একটা ব্যাখ্যা হলো এই যে, শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডে পরোক্ষভাবে হলেও জড়িত ছিল দেশের ভেতরে জাসদ, সিরাজ সিকদারের পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি, আর বাইরে ওয়াশিংটনে সক্রিয় ছিল সিআইএ। কিন্তু এখন মুজিব হত্যার ক্ষেত্রে নতুন নতুন তথ্য যুক্ত হচ্ছে আর মিডিয়ার কল্যাণে তা সাধারণ মানুষ জানতেও পারছে। এ থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে সমভাবে যুক্ত ছিল দিল্লি ও ওয়াশিংটন। আর শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটনই জয়ী হয়েছে। জানা ঐ অভ্যুত্থানের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড তিক্ততার সঙ্গেই ইন্দিরা গান্ধীকে বলেছিলেন যে,‘ম্যাডাম প্রধানমন্ত্রী, খেলা কেবল শুরু হলো।’

অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের ব্যাখ্যা হলো, যেহেতু ওয়াশিংটন ও দিল্লি উভয়েই শেখ মুজিব সরকারকে হঠানোর চেষ্টা করছিল, সে কারণেই তাদের মধ্যে ওমন তিক্ত কথাবার্তা হয়েছিল। তবে শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডে বিদেশি হস্তক্ষেপের চুলচেরা বিশ্লেষণের আগে আমরা ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য সে সময়ের দেশীয় কিছু ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখতে পারি।

এক. শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগিনা, মুজিববাহিনী নেতা ও আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেক ফজলুল হক মণির ওপর ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’–এর (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং) ছিল গভীর আস্থা ও প্রভাব।

দুই. মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার গঠন করে ভারতীয় যৌথ গোযেন্দা কমিটি। এই কমিটিকে মেজর জেনারেল উবানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ বাহিনী গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়। (দেখুন, মে. জে. উবানের লেখা বই ‘ফ্যান্টম অব চিটাগাং’)। এই বাহিনীর নাম দেওয়া হয় মুজিববাহিনী আর শেখ মণি এর নেতা ছিলেন। এই বাহিনী ছিল দেশপ্রেমিক সাধারণ মানুষদের নিয়ে গঠিত মুক্তিবাহিনীর বিপরীতে আর একটি বাহিনী। মুক্তিবাহিনী ছিল তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের অধীন। আর মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন পাকিস্তানী সেনাবাহিনী দ্বারা প্রশিক্ষিত কর্মকর্তারা। এই কর্মকর্তাদের ভারত সরকার বিশ্বাস করতো না।

তিন. মুজববাহিনীর ক্ষমতা ছিল বেপরোয়া। সে সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি (১৯৭১) এম এ মোহাইমেন লিখেছেন, ১৬ ডিসেম্বর (১৯৭১) সকালে আমি জানতে পারলাম যে, ঐদিন বিকালে জেনারেল নিয়াজী রেসকোর্স ময়দানে তার সেনাবাহিনীসহ ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। আমি তাজউদ্দীন সাহেবের সঙ্গে দেখা করার জন্য ৮নং থিয়েটার রোডে (কলকাতা) হাজির হলাম। আমি শুনেছিলাম, ততোক্ষণে তিনি ঢাকা রওয়ানা হয়ে গেছেন বা পৌঁছে গেছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম, তাজউদ্দীন সাহেব বরাবরের মতোই সেখানে বসে আছেন। তার ঢাকা যাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, তিনি যাবেন না। তার জবাব শুনে আমি বিস্মিত হলাম। দীর্ঘ সংগ্রামের পর আমাদের দেশ স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে, শত্রুবাহিনী আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে, কিন্তু অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সেই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে হাজির থাকবেন না। বিষয়টি আমি একেবারেই অনুধাবন করতে পারলাম না। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি জবাব দিলেন, আপনি শেখ মণি ও মুজিববাহিনী সম্পর্কে আমার মনোভাব জানেন। ঢাকায় সেনাবাহিনীতে আমার শুভাকাক্সক্ষীদের কাছ থেকে আমি জানতে পেরেছি যে, এই মুহূর্তে ঢাকায় সম্পূর্ণ নৈরাজ্য বিরাজ করছে। ঠিক এই সময়ে আমার জন্য ঢাকায় কোনো জনসমাবেশে অংশগ্রহণ করা নিরাপদ নয়। তাই আমার শুভাকাক্সক্ষীরা বলছেন যে, ঢাকায় তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলে তারা আমাকে জানাবেন। আমি এক–দু’ দিনের মধ্যেই ঢাকা যেতে পারব। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, জেনারেল ওসমানী সাহেব কি ঢাকা যাচ্ছেন? তিনি (তাজউদ্দীন) জবাব দিলেন, তিনিও যাচ্ছেন না। আমি জানতাম, মুজিববাহিনীর সঙ্গে তাজউদ্দীনের সম্পর্ক ভাল ছিল না।mujib_dead-3

চার. শেখ মুজিবুর রহমান যখন ইন্দিরা গান্ধীকে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় বাহিনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেন, তখন দেখা গেল, বেশির ভাগ মুজিববাহিনী সদস্য আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গেলেন। তারা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠন করলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা। প্রায় একই সময়ে ১৯৭২ সালের ০৮ ফেব্রুয়ারি মুজিব সরকার জাতীয় রক্ষীবাহিনী নামে একটি আধা–সামরিক বাহিনী গঠন করে। দৃশ্যত এরা ছিল পুলিশের একটি সহযোগী বাহিনী। কিন্তু কার্যত এটি ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের অনুগত একটি বিশেষ বাহিনী। অধ্যাপক গোলাম মুরশিদ এই বাহিনীকে হিটলারের গেস্টাপো বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। অপরদিকে লেখক অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস লিখেছেন, হিটলারের নাৎসী বাহিনী আর মুজিবের রক্ষীবাহিনীর মধ্যে সামান্যই পার্থক্য ছিল। প্রায় সকল বিশ্বাসযোগ্য সূত্রমতে, রক্ষীবাহিনী পরবর্তী তিন বছরে কমপক্ষে ৪৫ হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। আর বাংলাদেশে ক্রসফায়ারের সংস্কৃতিও চালু হয়েছে তখন থেকেই।


mujib_dead-3

পাঁচ. তা সত্ত্বেও, আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতিতে ভারত শেখ মুজিব সরকারের টিকে থাকা ও বাংলাদেশের ভবিষৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। উদ্বেগের প্রধান কারণ ছিল, ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান। ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী একটি সম্ভাব্য সামরিক অভ্যুত্থানের ব্যাপারে শেখ মুজিবকে সতর্ক করার জন্য র–এর প্রতিষ্ঠাতা রামেশ্বর নাথ কাও–কে ঢাকায় পাঠান। র–এর কর্মকাণ্ডের অভিজ্ঞ বিশ্লেষক অশোক রায়না তার বই ‘ইনসাইড র’তে এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছেন।

ছয়. ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করে বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেন। নিজের নিয়ন্ত্রণে চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকি সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেন। ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও সংসদের মেয়াদ এক ঘোষণা বলে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য বাড়িয়ে দেন।

এভাবে দেশ যখন শাসন–অনুপযোগী হয়ে পড়ে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলতে থাকে, তখন ১৯৭৫ সালের মার্চে ফের বাংলাদেশে সম্ভাব্য সামরিক অভ্যুত্থান বিষয়ে শেখ মুজিবকে সতর্ক করার জন্য ভারত আবারও একজন র কর্মকর্তাকে ঢাকায় পাঠায়। কিন্তু মুজিব র–এর সতর্ক বার্তা উপেক্ষা করেন বলে জানা যায়।

এতে হতাশ হয়ে পড়ে ভারত। ভারত মনে করে যে, বাংলাদেশে পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত সেনা কর্মকর্তারা যদি ক্ষমতা দখল করে, তবে এদেশের ওপর তাদের কর্তৃত্ব আর থাকবে না। ফলে ভারত র–এর মাধ্যমে শেখ মুজিবের স্থলাভিষিক্ত করার জন্য তাদের নিজস্ব টীম তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। মুজিব হত্যা মামলার একজন আসামীর মতে র ঐ টীমের প্রধান হিসেবে শেখ ফজলুল হক মণিকে নির্বাচন করে। কিন্তু সামরিক অভ্যুত্থানকারীরা জাতীয়তাবাদী জোশে শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেখ মণিকেও হত্যা করে।

এই বক্তব্যের সত্যতা মেলে শেখ মুজিবুর রহমানের দুইজন হত্যাকারীর অবস্থানের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সূত্র ও মিডিয়ার সংবাদ অনুযায়ী ঐ দুই হত্যাকারী ক্যাপ্টেন মাজেদ ও রিসালাদার মোসলেহ উদ্দিন ভারতের কারাগারে আটক আছেন। কিন্তু ভারত সেদেশে ঐ দু’জনের ইপস্থিতি অস্বীকার করে আসছে। ২০০৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী ভারতে ঐ দুজনের উপস্থিতি সম্পর্কে মিডিয়া রিপোর্ট সরাসরি অস্বীকার করেন। ১৯৭৪ সালে ফার ইস্টার্ন ইকোনোমিক রিভিউ পত্রিকার ঢাকা প্রতিনিধি ও ১৯৭৫ সালে একই পত্রিকার দিল্লি প্রতিনিধি ছিলেন লরেন্স লিফশুলজ। তিনি ১৯৭৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের ওপর ব্যাপক গবেষণা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “শেখ মুজিবের মৃত্যু সম্পর্কে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী নিশ্চিত করে বলেছেন যে, ঐ হত্যাকাণ্ডে বিদেশীদের হাত ছিল। বরাবরের মতোই মিসেস গান্ধীর বক্তব্যে বিস্তারিত কিছু ছিল না। তবে ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা জারির ঘোরতর সমর্থক মস্কোপন্থী কম্যুনিস্ট পার্টি (সিপিআই) আরও নির্দিষ্ট করে বলে যে, ‘সিআইএ বলেছে, এই অভ্যুত্থানের পেছনে ছিল সিপিআই।”

দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী শাসনের অংশীদার ছিল সিপিআই, সেক্ষেত্রে শেখ মুজিব হত্যার দায় দিল্লিও এড়াতে পারে না। [এই নিবন্ধ রচনায় অশোক রায়না, এম এ মোহাইমেন, মেজর জেনারেল উবান, মহিউদ্দিন আহমদ, অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস, লরেন্স লিফশুলজ প্রমুখ লেখকের গ্রন্থ ও সাপ্তাহিক হলিডে’র তথ্য–উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে।]

SUMMARY

1540-1.jpg