তাজউদ্দীন আহমেদ ১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসের এক সকাল বেলা সাংবাদিক এবং লেখক সুখরঞ্জন দাশগুপ্তের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেছিলেন পাকসৈন্য কেন ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
তাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের পঞ্চপ্রধান একটা পরিকল্পনা করেছিলাম। পাকিস্তানের মধ্যেই নির্বাচনে আমরা ক্ষমতা দখল করতে পারব জানতাম। প্রথম তাই করব। শেখ সাহেব মন্ত্রী সভায় থাকতে চাইবেন না। সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন প্রধানমন্ত্রী, আমাকে করা হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। খন্দকার মোশতাককে পার্লামেন্টের স্পিকার করে দেব। তারপর একসময় প্রধানমন্ত্রীরূপে সৈয়দ নজরুল ইসলাম হুকুম করবেন – পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনী সরিয়ে আনো।
আমি সে হুকুম তামিল করব। এই কাজটি যেই হয়ে যাবে, তখনই জাতির পিতা হিসেবে মুজিব ঢাকায় জাতীয় পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকবেন। সেখানেই তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রস্তাব তুলবেন। সে প্রস্তাব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে জন্ম নেবে সার্বভৌম বাংলাদেশ। ভুট্টো এই পরিকল্পনার আভাস পেয়ে যান। খন্দকার মোশতাকই ফাঁসিয়ে দেন এটা।
[ তথ্য সূত্র: মুজিব হত্যার ষড়যন্ত্র – সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত ]