জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কথ্য ইতিহাস প্রকল্পের পরিচালক চার্লস স্টুয়ার্ট কেনেডি ১৯৮৯ বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টারকে প্রশ্ন করেন, শেখ মুজিব সম্পর্কে আপনার অনুভূতি কি ছিল?
বোস্টার বলেন: তিনি খুবই ক্যারিশমেটিক বা আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।তিনি এক বিস্ময়কর লোক।আপনি শুধু তাঁর দিকে তাকানোমাত্রই তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে পছন্দ করবেন।অভিভূত না হয়ে আপনার উপায় থাকবে না।আপনি যদি তাঁকে দেখতে যান, তাহলে আপনি দেখবেন অবাক দৃশ্য।বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা লোকজন তাঁকে দেখতে ভিড় করে আছে।আমি নিজে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে অভিভূত হয়েছি।ওই সমাজে আসলে এভাবেই সবকিছু ঘটে থাকে।এমনকি তাঁর নিজের বাড়িতেও একই রকম দৃশ্য দেখতে পাবেন।তাঁর বাড়িটি ঢাকার বাড়িঘরের তুলনায় বড়সড় বলতে হবে।কিন্তু তাই বলে সেটা এত বড় বাড়ি নয়, যাতে একজন প্রেসিডেন্টের থাকা উচিত।ঢাকার কূটনৈতিক সম্প্রদায় ও প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টাদের মধ্যে মুজিব সম্পর্কে একটা সাধারণ মতৈক্য রয়েছে, সেটা হলো সবার চোখে তিনি ফাদার ফিগার বা পিতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব।বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি এমন একজন ব্যক্তি, যাঁর একটি বিশিষ্ট অবস্থান রয়েছে।মুজিব হলেন বাংলাদেশের জর্জ ওয়াশিংটন, যিনি বাংলাদেশকে স্বাধীনতা দিয়েছেন।কিন্তু রাষ্ট্রীয় বিষয় কিভাবে পরিচালনা করতে হয়, ব্যবস্থাপনাগত সেই মেধা তাঁর ছিল না।তার জন্য অধিকতর ব্যবস্থাপনাগত মেধাবী ব্যক্তিদের দরকার ছিল।মুজিব ছিলেন একটি রাজনৈতিক সাফল্য এবং একটি ব্যবস্থাপনাগত ব্যর্থতা।
তথ্য সূত্র:
মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকান্ড (মিজানুর রহমান খান)