১৫ই আগস্ট অভ্যুথানের আভাস সর্বপ্রথম জানতে পারেন ডি.জি.এফ.আই ব্রিগেডিয়ার রউফ


১৫ই আগস্ট মধ্যরাতে অভ্যুথান ঘটতে যাচ্ছে, সোর্স মারফত এরকম আভাস সর্বপ্রথম জানতে পারেন ডি.জি.এফ.আই ব্রিগেডিয়ার রউফ, আনুমানিক ২/৩টার দিকে। তিনি নিজেই বিবৃতিতে স্বীকার করেন, জনৈক গোয়েন্দা ডাইরেক্টর ফোন করে তাকে আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্যাঙ্ক ও সৈন্য চলাচলের সংবাদ দেন। কিন্তু তিনি কাউকে জাননি। তিনি রাষ্ট্রপতিকে [ বঙ্গবন্ধুকে ] সাবধান করে দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। তিনি যদি তৎক্ষণাৎ সরাসরি রাষ্ট্রপতিকে রেড টেলিফোনে ফোন করে সতর্ক করতেন, তাহলে হয়ত ১৫আগস্টের ঘটনা ঘটত না।

তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর শফিউল্লাহ বলেন, রউফ অজানা আশংকায় তৎক্ষণাৎ তার বাসা ত্যাগ করে পরিবার নিয়ে বাসার পেছনে মাঠে একটি গাছের নিচে লুকিয়ে থাকেন। ঘটনার পর সকালে বেরিয়ে এসে ব্যর্থতা ঢাকতে অসংলগ্ন গল্পের অবতারণা করেন এবং পত্র-পত্রিকায় বিবৃতি দেন।

তার এই নিঃশ্চুপ থাকার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে এই যে, রাষ্ট্রপতি ব্রিগেডিয়ার রউফকে ডি.জি.এফ.আই-এর পোস্ট থেকে সরিয়ে অন্যত্র বদলি করেন এবং কর্নেল জামিলকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। এতে রউফ অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি দায়িত্বভার জামিলকে বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি করছিলেন। পরে ১৫ই আগস্ট দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন বলে ঠিক হয়। ঐ দিনই অভ্যুথান সংঘটিত হয়।

[ তথ্য সূত্র : তিনটি সেনা অভ্যুথান ও কিছু না বলা কথা – লেঃ কর্নেল (অব:) এম এ হামিদ পিএসসি ]
 

এ. এল. খতিব তার হু কিলড মুজিব বইয়ে লিখেছেন, ব্রিগেডিয়ার রউফ অভ্যুথানের দুদিন আগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বসে মুজিবের বিরুদ্ধে উচ্চস্বরে কথা বলেছিলেন। যখন তার মদ্য পানের সাথীরা তাকে নিরস্ত করতে যান তখন তিনি বলেন, “তোমাদের বঙ্গবন্ধুর করুন পরিণতি হবে।”

SUMMARY

1494-1.png