পঁচাত্তরের ১৫আগস্টের অভ্যুথান সম্পর্কে মার্কিন দলিল থেকে জানা যায়, মেজর ফারুক বঙ্গবন্ধু সরকারকে উৎখাত করতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে ধরনা দিয়েছিল। জানা যায়, ১৯৭৪ সালের ১৩মে “উচ্চতম পর্যায়ের বাংলাদেশ সেনা কমকর্তার নির্দেশে” বঙ্গবন্ধুর সরকারকে উৎখাত করতে মার্কিন প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করেছিল।
ফারুক প্রচলিত আইন ও সেনাশৃঙ্খলা উপেক্ষা করে একাধিক বার মার্কিন দূতাবাসে ছুতে গেছে। ধারণা করা হয়, ফারুক রহমান ও খুনি চক্রের মধ্যে ভারতকে নিয়ে বিরাট শঙ্কা ছিল। ফারুক-রশিদ ১৫অগস্টের পর সম্ভাব্য ভারতীয় হস্তক্ষেপ ঠেকাতে খন্দকার মোশতাক সরকারের পক্ষে দূতাবাসের আরেক কর্মকতার কাছেও গিয়েছিল।
১৯৭৪সালের ১৩মে ফারুক মার্কিন দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা উইলিয়াম এফ গ্রেশামের বাসায় গিয়ে বলেছিল, সে উচ্চপর্যায়ের বাংলাদেশ সেনা কর্মকর্তার নির্দেশে অভ্যুথান ঘটানো হলে মার্কিন সরকারের মনোভাব কি হবে তা জানতে এসেছে। বিশেষ করে, এ ধরণের পরিস্থিতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ রোধে তারা কোনো ভরসা দেবে কিনা। এখানে বিদেশি হস্তক্ষেপ নাম নিঃসন্দেহে ভারতের হস্তক্ষেপ।
তথ্য সূত্র: মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকান্ড [ মিজানুর রহমান খান ]
পঁচাত্তরের ১৫আগস্টের অভ্যুথান সম্পর্কে মার্কিন দলিল থেকে জানা যায়, মেজর ফারুক বঙ্গবন্ধু সরকারকে উৎখাত করতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে ধরনা দিয়েছিল। জানা যায়, ১৯৭৪ সালের ১৩মে “উচ্চতম পর্যায়ের বাংলাদেশ ...