১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নির্দেশ কে দিয়েছিল?


ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের অভ্যুথানের পর ঢাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পথে ফারুক ব্যাংককে বলেছিল, তার নির্দেশেই সৈন্যবাহিনী শেখ মুজিবকে হত্যা করেছে। এই ফারুকই পরবর্তী সময়ে লন্ডনে বলেছে, মুজিবকে হত্যার কথা মেজর রশিদই তাকে প্রথম বলে। রশিদের প্রস্তাবে সে রাজি হয়। রশিদ-ফারুক ভায়রাভাই। আমরা ধারণা করতে পারি, আসলে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনা মেজর রশিদের মাথায় আসেনি। সম্ভবত খন্দকার মোশতাকই রশিদের মাথায় সে কথা ঢুকিয়ে দিয়েছিল। মেজর রশিদ সম্পর্কে মোশতাকের ভাগ্নে হয়। রশিদের মাধ্যমেই মোশতাক সেনাবাহিনী থেকে খুনিদের খরিদ করেছিল।

মোশতাকের টাকার অভাব ছিলোনা। আমেরিকা, পাকিস্তান, সৌদি আরবের ভান্ডার তার জন্য উন্মুক্ত ছিল। মেজর জেনারেল বাচ্চু করিম মোশতাকের প্রধান সহায়ক ছিল। বাচ্চু করিম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ছিল। সে মুক্তি সংগ্রামে যোগ দেয়নি। তখন সে পাকিস্তানে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সে দেশে ফিরে আসে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাকে সেনাবাহিনী থেকে অবসর দেয়।

জানা যায়, এই বাচ্চু করিমই ছিল পাকিস্তান সরকারের আঁড়িকাঠি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ঢাকায় কোনো পাকিস্তানি দূতাবাস ছিল না। বাচ্চু করিমই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছে। তার মাধ্যমেই ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে টাকা এসেছে।

তথ্য সূত্র: মুজিব হত্যার তদন্ত ও রায় [ পরেশ সাহা ]

SUMMARY

1490-1.png