বঙ্গবন্ধু হত্যার দিন এবং পরবর্তী সময়ের কথা


হাবিবুর রহমান স্বপন

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ভোর বেলা আমার এবং আমার চাচাতো ভাই ডেভিড (প্রয়াত)-এর ঘুম ভাঙে আমার বয়োঃজ্যেষ্ঠ চাচাতো বোন বকুল আপার ডাকে। তিনি উচ্চস্বরে আমাদের দু’জনকে ডেকে উঠালেন ঘুম থেকে এবং বললেন, ‘রেডিওতে বলছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা হতচকিত হয়ে উঠে রেডিওর কাছে গেলাম, তখন সকাল সাতটা হবে’ একটু পর পরই রেডিওতে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে, ‘আমি মেজর ডালিম বলছি, ‘স্বৈরাচার শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে।’ ইত্যাদি…।
আমি এবং আমার দুই চাচাতো ভাই আমার বড় চাচার পাবনা শহরের রাধানগর মজুমদার পাড়াস্থ বাড়ির অদূরে এডওয়ার্ড কলেজের মাঠের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। কলেজ বাজারের (গোলা) চা’য়ের দোকানে লোকজন ভিড় করে রেডিও শুনছে। কারও মুখে কোনো কথা নেই। মানুষজনের মুখ ফ্যাকাশে। এক বৃদ্ধকে দেখলাম রেডিওর ঘোষণা শুনে কাঁদতে। কয়েকজনের চোখে জল। নিরবে অশ্রুপাত। শহরে তখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক। লোকজন (শ্রমিকরা) কাজের উদ্দেশ্যে বের হতে শুরু করেছে। শহরের বাস স্ট্যান্ডে গেলাম। দূরপাল্লার বাস বন্ধ। যেসব বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিল সেগুলো কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্যারেজে চলে গেল। শহরের চা’য়ের কয়েকটি দোকান এবং কয়েকটি রেস্টুরেন্ট খোলা। সেখানেও রেডিও ঘিরে মানুষজন। কিছুক্ষণ পর পরই মেজর ডালিমের ঘোষণা প্রচার করা হচ্ছিল এবং জনপ্রিয় বাংলা, উর্দু, হিন্দি এবং ইরেজি গান বাজানো হচ্ছিল। তার এক দিন পর থেকে রেডিওতে একের পর এক মিথ্যা-বানোয়াট প্রচার করা হচ্ছিল। তাতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে কত সোনা, হিরা-জহরত ইত্যাদি পাওয়া গেছে। আরও কত কি!
সকাল সাড়ে দশটায় শহরে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি পেলো। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ টহল। সোয়া এগারোটার দিকে একটি মিলিটারি গ্রুপ শহরের প্রধান সড়ক (আব্দুল হামিদ সড়ক) হয়ে সার্কিট হাউজের দিকে গেল। ভারী মেশিনগান তাক করা ছিল মিলিটারি বহরের সামনে পেছনের দুটি ট্রাকে। কিছুক্ষণ পরেই মাইকে প্রচার করা হলো কারফিউ-এর। মূহুর্তের মধ্যে শহর ফাঁকা হয়ে গেল।
আগের দিন এডওয়ার্ড কলেজে ছাত্রলীগের যেসব নেতাকে দাপটের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসে ঘোরা-ফেরা করতে দেখেছিলাম, তাদের কাউকে দেখলাম না। কোথায়ও কোনো প্রতিবাদ মিছিল নেই। যারা সুবিধাভোগী ছিলেন, সদ্য স্বাধীন দেশে যারা ক্ষমতার বড়াই করে বুক ফুলিয়ে ঘুরতেন সেই সব যুবক নেতাদের কাউকে দেখলাম না। যারা রেশন দোকান এবং ন্যায্য মূল্যের (কসকর) দোকানের লাইসেন্স পেয়ে রাতারাতি ধনী হয়েছিলেন এমনকি লবণ এবং চিনি বিক্রি করে বেশ অর্থ-কড়ি কামিয়েছিলেন তাদেরও দেখা গেল না।
কথাগুলো মনে পড়লো আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের অতিসম্প্রতি দেয়া বক্তৃতা শুনে। বঙ্গবন্ধুর শোক সভায় দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তারা বলেছেন, এমন কিছু করবেন না যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যার মতো প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়। তারা দলের নেতাদের ‘খাই খাই স্বভাব’ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন।
আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ, ‘চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী’। বহু মানুষের রক্ত এবং ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হলো। বঙ্গবন্ধু দেশ গঠনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর একদল সুবিধাবাদী-চোর তাদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। খাদ্য সংকট, জ্বালানি তেল (কেরোসিন) লবণ-চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সংকট। আর সেই সংকটের সুযোগ নিয়েছে সরকারদলীয় লোকেরা। রেশন-পারমিট বিক্রি করে অর্থ সম্পদ করেছে।
বঙ্গবন্ধু রাগে-ক্ষোভে তাইতো বক্তৃতায় বলেছেন, ‘সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পাইছি চোরের খনি’। কত কষ্ট নিয়ে যে তিনি কথাগুলো বলেছেন! রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি দেশ গঠনের জন্য কাজ করতেন আর এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত রাজনীতির নামাবলি গায়ে দিয়ে লুটপাটের মহোৎসবে মেতে ওঠে। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর এম মনসুর আলী-কে (পাবনার মানুষের কাছে ক্যান্টেন মনসুর নামে পরিচিত) আমি তথা পাবনাবাসী দেখেছি একজন আপাদমস্তক সৎ লোক হিসেবে। তাঁর দলের প্রতি এবং জনগণের প্রতি ভালবাসা ছিল অগাধ। তাই তো তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেঈমানি করেন নাই। জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন তিনি ছিলেন বিশ্বাসী ব্যক্তি এবং প্রকৃত দেশ প্রেমিক।
বঙ্গবন্ধুর প্রয়াণের পর দেশে নতুন রাজনীতি শুরু হতে দেখেছি। স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, জাসদ এবং নক্সালদের মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে। স্বাধীনতার পর পালিয়ে থাকা, গা ঢাকা দেয়া রাজাকার, আল-বদর, নক্সালরা জনসমক্ষে আসলো। তারা প্রচার-অপপ্রচারে বেশ তৎপর ছিল। তারা বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিয়ে মিথ্যা প্রচারণায় নেমে পড়লো। স্বাধীনতা বিরোধীরা এই কাজে বেশ পারঙ্গম ছিল। তারা সত্যকে মিথ্যা বলে প্রচার করতো। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর লোকজন বেশ কষ্টও করেছে। আবার তার সাথে ছিল হত্যার মতো বহু ঘটনা। অস্ত্রের ঝনঝনানি। পাবনা শহরে প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধা লালু হত্যাসহ বহু হত্যার ঘটনা ঘটে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিল। দলের নেতাদের দাপটে জননিরাপত্তার জন্য পুলিশ ছিল নিস্ক্রিয়। চতুর্দিকে সুবিধাভোগী চক্রের অর্থ-বিত্ত-বৈভব ইত্যাদি দেখে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। আবার বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে অবৈধ অস্ত্র উঠাতে রক্ষী বাহিনীর তৎপরতা ছিল। ক্ষমতাসীন দলের বহু নেতাকে আটক করে পিটিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। শুধু ক্ষমতাসীন দলেরই নয় তখন জাসদ এবং চরমপন্থী দলের সদস্যদেরও আটক-গ্রেফতার করে অস্ত্র উদ্ধার শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে। দ্রব্যমূল্য হ্রাস পেতে থাকে। ঠিক সেই মূহুর্তে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুন করা হয়।
স্বাধীনতা বিরোধীরা ছাড়াও দলের যেসব দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং অস্ত্র উদ্ধারের জন্য গ্রেফতার করা হয় তারও সরকারের বিরুদ্ধে চলে যায়। এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় তখন সরকারের জনপ্রিয়তা বেশ হ্রাস পেয়েছিল। এর অন্যতম কারণ ছিল দলের কিছু লোকের দুর্বৃত্তায়ন।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর সামরিক সরকার ক্ষমতায় এসে আরও জোরালোভাবে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার এবং সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করলো। রাতে কারফিউ আর দিনে শহর এলাকায় মিলিটারি-পুলিশের টহল। কেউ কোনো রাজনীতির কথা উচ্চারণ করতে পারতো না। রাতে কারফিউ চলে জিয়াউর রহমান, বিচারপতি সাত্তারের শাসনামলে এবং এরশাদের সময় ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত।
সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায়। মানুষের দৃষ্টি অন্যত্র সরানোর জন্য নামমাত্র বেসরকারি লোকদের রাষ্ট্রপতি করা হয়। প্রথমে খন্দকার মোস্তাক। তার পর বিচারপতি সায়েম, মোহাম্মদ আলী ইত্যাদি। সামরিক পোষাক পরে বাকশালে যোগ দেয়া মেজর জিয়া নিজেই প্রমোশন নিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেকে জেনারেল হলেন। তার পর গঠন করলেন ‘জাগদল’ (জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল)। পরে দলের নাম পরিবর্তন করে করলেন ‘বিএনপি’। বহু জাসদ নেতা, রাজাকার, ন্যাপ, মুসলিম লীগ এবং কয়েকজন অপাক্তেয় আওয়ামী লীগ নেতাও যোগ দিলেন সেই দলে।
এদেশে ধর্মের নামে রাজনীতি করার কৌশল সকলেই নিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা জিয়াকে খুব বড় করে প্রচার করতে লাগলো। তারা ওই প্রচারে জিয়াকে নামাজি, দরবেশ, সৎ ইত্যাদি হিসেবে প্রচার করলো। এই কাজে কিছু স্বাধীনতা বিরোধী ‘ওয়াজিন’ (যারা জালসায় ওয়াজ করে অর্থ আয় করেন) বেশ গলাবাজি করতে থাকে। দেশের সরলপ্রাণ মুসলমানরা সেসব কথা বিশ্বাসও করলো। পরে তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ হয়। এর পরেও ইতিহাস আমরা কম বেশি জানি।
আজ যখন আওয়ামী লীগের বা ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ তাদের দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছেন অতিলোভ করে দেশে আবার আশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির প্লট তৈরি করার সুযোগ না দিতে। তখন বারবারই মনে পড়ছে বঙ্গবন্ধুর কথা। স্বাধীনতার পর বহু দেশ বাংলাদেশের অসহায় মানুষের শীত নিবারণের জন্য কম্বল পাঠিয়েছিল। যা রিলিফ হিসেবে দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেই কম্বল গরিব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছিল না। ক্ষমতাসীন দলের দাপুটে নেতারা ভাল ভাল কম্বল তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। গরীব অসহায় মানুষের ভাগ্যে কম্বল জোটে না। রিলিফ বা ত্রাণের কম্বল চুরি! বঙ্গবন্ধু আফসোস করে বলেন, ‘সাত কোটি বাঙালির জন্য আট কোটি কম্বল, আমারটা গেল কই?’
এখনও দেশে আবার সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের সেই পুরাতন শয়তান গোষ্ঠি (সুবিধাবাদী, চাটুকার, বেহায়া, লোভি) জড়িত। ক্ষমতার স্বাদ নিচ্ছে তারা। চোখের সামনে কোটি কোটি টাকা আয় করে বাড়ি-ঘর করছে। খাই খাই স্বভাব! আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ! প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় হত্যা-খুনের ঘটনা ঘটছে। নিজ দলের মধ্যেও কোন্দলের কারণে খুনের ঘটনা ঘটছে। আর সরকারি সম্পদ লুট-পাটের খবরতো আছেই। ব্যাংক, শেয়ার বাজার থেকে টাকা লুটে নেয়ার খবর আমরা জানি। মন্ত্রী, এমপি’দের সততা নিয়ে নানা প্রশ্ন। আমলা-পুলিশ, শিক্ষক সকলেই যেন কোটিপতি হতে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছে!
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য দিনটি বেছে নেয়া হয় ১৪ আগস্ট দিবাগত রাত। ওই দিনটি পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। পর দিন প্রত্যুষে ছিল ভারতের স্বাধীনতা দিবস। দেশকে আবার পাকিস্তানি কায়দায় বা ভাবধারায় পরিচালনা করা হয়। দেশবাসীর সঙ্গে চলতে থাকে প্রতারণা। চার মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্র থেকে সরে যেয়ে সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ সংযুক্ত করা হয়। তার পর রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ করা হয়। কিন্তু ধর্মকর্মের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত ছিলেন না জিয়া-এরশাদরা। ধর্মীয় বিধি-বিধান মোতাবেক দেশ পরিচালিত হয়নি। গণতন্ত্রের খোলসে দেশে চলে পাকিস্তানি ভাবধারায় স্বৈরশাসন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পাকিস্তান আমাদের স্বীকৃতি দেয়। স্বীকৃতি দেয় স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিরোধীতাকারী আমেরিকা এবং সৌদী আরব। তাতেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু ওদের শত্রু ছিলেন।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম সমর্থক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের বাঙালির বীরত্বগাঁথা অনেকটাই ম্লান হয় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কারণে। বিদেশিরা বাঙালিকে অনেকটাই খাটো চোখে দেখতে থাকে ১৯৭৫-এর পর থেকে। এর কারণ পাকিস্তানিরা যে মহান নেতাকে হত্যা করতে পারে নাই। সেই মহান নেতাকে খুন করে তারই দেশের লোকেরা। যেমনটি খুন হয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তাকে ব্রিটিশরা খুন করতে পরেনি। তিনি খুন হয়েছিলেন ভারতেরই একজন উগ্র মৌলবাদী হিন্দুর হাতে।
ইতিহাসে আবারও প্রমাণ হলো হত্যা করে মহান আদর্শ বিলীন করা যায় না। ভারত তথা সারা বিশ্বে যেমন এখনও মহাত্মা গান্ধীর আদর্শের অনুসারী আছেন। তেমনই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাকে খাটো করা যায়নি। তিনিই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
লেখক: লেখক : সাংবাদিক , কলামিস্ট

SUMMARY

1479-1.png