বঙ্গবন্ধুর অদেখা ভিডিও চিত্রের সন্ধানে


ইকবাল হোসাইন চৌধুরী

ফরাসি সাংবাদিক আরনো আমেলাঁ ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে হাজির ছিলেন ঢাকায়। সেদিন আরনো তাঁর প্রতিবেদনের জন্য ধারণ করেছিলেন দুর্লভ সব মুহূর্ত। প্রায় ৪৪ বছর পর কীভাবে খোঁজ মিলল সেই ভিডিও চিত্রের? পড়ুন

প্যারিসের এই দিকটা দিনের বেলায়ও চুপচাপ। মানুষজনের ছোটাছুটি নেই। ইসি লে মলিনু এলাকায় দুটোর বেশি গাড়ি নেই। সানসেট প্রেসের অফিসের গেটও জনশূন্য। আরনো আমেলাঁ আমাদের এখানেই আসতে বলেছেন। বেল বাজাতেই খানিক পর দরজা খুললেন তাঁর সহকারী। ভেতরে পা রাখার পর সবার আগে যে জিনিসটা চোখে পড়ল, সেটি একটি ধুলোমলিন হেলমেট, মানে শিরস্ত্রাণ। পুরোনো আমলের একটা টেলিভিশন সেটের নিচে সাজিয়ে রাখা। এই শিরস্ত্রাণ তো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় দেখেছি, সংবাদ সংস্থার অফিসে শিরস্ত্রাণ কেন? উত্তর মিলবে অচিরেই। তার আগে আমরা ফিরে যাই আরনো আমেলাঁর কাছে।

নিচতলা থেকে সহকারী পথ দেখিয়ে নিয়ে গেলেন দোতলার বড় ঘরটায়। সেখানেই অপেক্ষায় ছিলেন আরনো। সানসেট প্রেসের কর্ণধার তিনি। ব্যস্ততার শেষ নেই। এর মধ্যে আমাদের জন্য কিছুটা সময় বের করেছেন, কেবল আমরা বিশেষ একটি কারণে এসেছি বলে।


প্যারিসে তাঁর নিজের কার্যালয়ে ফরাসি সাংবাদিক ও নির্মাতা আরনো আমেলাঁ। ছবি: প্রকাশ রায়
প্যারিসে তাঁর নিজের কার্যালয়ে ফরাসি সাংবাদিক ও নির্মাতা আরনো আমেলাঁ। ছবি: প্রকাশ রায়
আমরা এসেছি তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের এমন একটি অধ্যায়ের গল্প শুনতে, যে ‘অমূল্য’ অধ্যায়টি প্রায় ভুলতেই বসেছিলেন আরনো। ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশি নির্মাতা প্রকাশ রায়ের অনুরোধে মাস দুয়েক আগে সেই ঝাপসা অধ্যায়ে নতুন করে আলো ফেলেছেন ফরাসি এই বর্ষীয়ান সাংবাদিক।বাংলাদেশ: একটি পতাকার জন্ম তথ্যচিত্রের নির্মাতা প্রকাশ রায়। একাত্তর সালে ঢাকায় এসেছিলেন আরেক ফরাসি সাংবাদিক ফিলিপ আলফঁনসি। আলফঁনসির অভিজ্ঞতা এবং আরও বিবিধ তথ্যপ্রমাণ নিয়ে প্রকাশ তৈরি করেছিলেন এই তথ্যচিত্র। ‘ফিলিপ আলফঁনসির বাংলাদেশ অভিযান’ শিরোনামে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে সেসব কাহিনি প্রকাশিত হয়েছিল ছুটির দিনের পাতায়। ঢাকায় বাংলাদেশ: একটি পতাকার জন্ম ছবির উদ্বোধনী প্রদর্শনীর পর প্রকাশ ফিরে গিয়েছিলেন ফ্রান্সে। তিনি জানতেন না বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের ভিডিও চিত্র তখনো অদেখাই থেকে গেছে তাঁর।

বঙ্গবন্ধুর মুখোমুখি তরুণ ফরাসি সাংবাদিক আরনো আমেলাঁ


বঙ্গবন্ধুর মুখোমুখি তরুণ ফরাসি সাংবাদিক আরনো আমেলাঁ
সেই ভিডিও চিত্রের সন্ধানে
২২ মে, ২০১৫। কান চলচ্চিত্র উৎসব তখন শেষের পথে। ব্যস্ততার মাঝে প্যারিস থেকে প্রকাশ রায়ের ফোন। ‘একজন নামকরা ফরাসি সাংবাদিকের খোঁজ পেয়েছি। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির (বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস) দারুণ সব ফুটেজ আছে তাঁর কাছে। আপনি কি তাঁর সঙ্গে একবার আলাপ করবেন?’
একই দেশে হলেও কান থেকে প্যারিস মোটেও কাছে নয়। দ্রুতগতির ট্রেনে চেপে গেলেও পাঁচ–ছয় ঘণ্টার রাস্তা। এর চেয়ে বরং ইতালি বা সুইজার‍ল্যান্ড নিকটতর। প্রকাশের পীড়াপীড়িতে রাজি হলাম। কিন্তু সাংবাদিকের মন একটু তো খুঁতখুঁত করেই। তাই ২৫ মে ট্রেনে উঠেই আবার প্রকাশকে ফোন করেছি।
ফুটেজের কথা যে বলেছিলেন, আপনি নিজে দেখেছেন তো? ফুটেজ কি সত্যিই আছে?
প্রকাশ এবার খোলাসা করে বললেন সব। না, ওই ফুটেজ প্রকাশ নিজেও এখনো দেখেননি। ফরাসি গবেষক ক্রিশ্চিয়ান লুর সূত্রে খবরটা শুনেছেন। এবার আরনো শুধু আমাদের সাক্ষাৎ দিতে রাজি হয়েছেন। ব্যস্‌, এতটুকুই। শুনে মনটা যারপরনাই দমে গেল। তবু ভাবলাম, রওনা যখন হয়েছি, দেখাই যাক না একবার।

প্রিয় ক্যামেরা কাঁধে আরনো। সত্তরের দশকের শুরুতে তোলা ছবি
প্রিয় ক্যামেরা কাঁধে আরনো। সত্তরের দশকের শুরুতে তোলা ছবি
সানসেট প্রেসে একদিন
২৬ মে, ২০১৫। তাঁর সানসেট প্রেসের অফিসে আরনো আমেলঁা হাসিমুখে হাত মেলালেন। বললেন, ‘একটু বসুন।’ তারপর ফিরে গেলেন নিজের ডেস্কে। আমরা বসে নানা কিছু ভাবছি। ফুটেজ কি আদৌ আছে আরনোর কাছে? থাকলেও সেসব কি দেখার মতো অবস্থায় আছে ৪৪ বছর পরে?
দুই বাংলাদেশি বসে আছি অধীর আগ্রহ নিয়ে। বর্ষীয়ান ফরাসি মানুষটা ল্যাপটপে কাজ করে যাচ্ছেন নির্বিকার। মিনিট পাঁচেক পর হাতের ম্যাক ল্যাপটপ নিয়ে আরনো এগিয়ে এলেন। রাখলেন আমাদের সামনে। বললেন, ‘দেখো।’
চোখের পলকে আমরা যেন ফিরে গেলাম প্রায় ৪৪ বছর আগের সেই দিনে। লোকে লোকারণ্য বিমানবন্দর। খুলে গেছে বিমানের দরজা। বিমান থেকে বেরিয়ে এলেন তিনি। হাত নাড়ছেন। অপেক্ষমাণ জনসমুদ্রে ঢেউ উঠল যেন। চিনতে অসুবিধা হলো না মোটেও, আমাদের বঙ্গবন্ধু! সাদা-কালো নয়, ঝকমকে রঙিন ফুটেজে চোখের সামনে জীবন্ত সবকিছু।
১০ জানুয়ারি ১৯৭২: বিমানবন্দরে অবতরণের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১০ জানুয়ারি ১৯৭২: বিমানবন্দরে অবতরণের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
না তাকিয়েও বুঝতে পারছি ঝলমল করছে প্রকাশের চোখও। আরনো পাশের চেয়ারে বসে উপভোগ করছিলেন আমাদের উত্তেজনা।
১০ জানুয়ারি, ১৯৭২। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাংলাদেশের ‘নিরাশা থেকে আশায় অভিযাত্রা’ শুরুর সেই দিনে জনতার ভিড়ে হাজির ছিলেন ফরাসি তরুণ সাংবাদিক আরনো আমেলাঁ। সঙ্গে ছিল ১৬ মিলিমিটার ভিডিও ক্যামেরা। বিমানবন্দর এবং  ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির ভিডিও চিত্র ধারণ করেছিলেন আরনো। ঢাকা থেকে আরনোর পাঠানো ভিডিও প্রতিবেদন তখন প্রচারিত হয় ফ্রান্সের টিভি চ্যানেলে। কিন্তু সেসব কবেকার কথা!
সুদীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে কম কিছু দেখেননি আরনো। ফিতায় বন্দী করে রাখা সেসব শত স্মৃতির ভিড়ে কীভাবে খুঁজে পাবেন ১৯৭২ সালের সেই বিশেষ ভিডিও প্রতিবেদন? আরনোর সময় হয়ে উঠছিল না। কিন্তু প্রকাশও নাছোড়বান্দা। আঠার মতো লেগে ছিলেন। না হলে আরনো হয়তো ‘আছে, দেখছি’ করেই কাটিয়ে দিতেন। আর অদেখাই থেকে যেত এই অমূল্য ভিডিও চিত্র!

কী আছে সেই ভিডিও চিত্রে?
আকাশে উড়ছে হেলিকপ্টার, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এগোচ্ছে গাড়িবহর। ছবি: ভিডিও চিত্র থেকে নেওয়া

আকাশে উড়ছে হেলিকপ্টার, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এগোচ্ছে গাড়িবহর। ছবি: ভিডিও চিত্র থেকে নেওয়া
বাইরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ জনতা। ভবনের ছাদেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বাজছে আনন্দের বাদ্য। উড়ছে হেলিকপ্টার। বেরিয়ে এলেন বঙ্গবন্ধু। জনতার উল্লাসধ্বনিতে প্রকম্পিত চারদিক। ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সহাস্য বঙ্গবন্ধু হাত মেলাচ্ছেন অভ্যাগতদের সঙ্গে।
বিমানবন্দর থেকে গাড়ির বহর রওনা হলো রেসকোর্সের পথে। ঢাকার রাস্তায় শুধু মানুষ আর মানুষ। কারও হাতে বাংলাদেশের পতাকা। কারও মুখে গান। হাত নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছে অনেকে। ভিড়ের মধ্যে মাইকে শোনা যাচ্ছে গান। একজন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক বা নির্মাতার চোখ দিয়ে আরনো পুরো সময়টাকে দেখেছেন। রাস্তায় গানের দল, বাইরে অপেক্ষমাণ খেটে খাওয়া মানুষ কিংবা ঢাকার রাস্তাঘাটের চিত্র। কোনো কিছু‌ই বাদ যায়নি তাঁর ভিডিও চিত্র থেকে।
ভিডিও ফুটেজের দ্বিতীয় অংশ ধারণ হয়েছে ধানমন্ডিতে। সেখানেও বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে মানুষের ভিড়। তাঁকে ঘিরে ধরেছেন দেশি-বিদেশি সাংবাদিকেরা। কারও হাতে মাইক্রোফোন, কারও হাতে নোটবুক। ভিড়ের মাঝে দেখা গেল আরনো আমেলাঁকেও। গায়ে সাদা শার্ট। হাতে মাইক্রোফোন। কথা বলছেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই অংশের অডিও ফুটেজটির আর খোঁজ মেলেনি।
বঙ্গবন্ধুকে দেখা
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আরনো আমেলাঁর কী কথা হয়েছিল সেদিন? কিছু কি মনে পড়ে?

আরনো ভাবলেন অনেকক্ষণ। ৪৪ বছরের পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে খুঁজে পেলেন না তেমন কিছুই।

আচ্ছা, বঙ্গবন্ধুকে কেমন মনে হয়েছিল আপনার? আরনো বললেন, ‘তাঁকে সেদিন খুব আনন্দিত মনে হচ্ছিল।’

তারপর আবার ভাবলেন কী যেন। মুখ খুললেন অনেক ভেবেচিন্তে।

‘মনে করুন সে সময়ের পাকিস্তানের অনেক নেতাকেও আমি দেখেছি। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁদের বড় ধরনের পার্থক্য ছিল। বঙ্গবন্ধু যখন কথা বলছিলেন, বোঝা যাচ্ছিল তিনি সবার কাছের মানুষ। অসম্ভব আন্তরিক। যাঁরাই আসছিলেন, তিনি প্রাণ খুলে কথা বলছিলেন। একইসঙ্গে তাঁর স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বও প্রকাশ পাচ্ছিল।’

ফরাসি এই সাংবাদিক কীভাবে আগ্রহী হলেন আমাদের বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ঢাকায় আসতে? আরনো বলছিলেন, ‘একটা তথ্যচিত্রের কাজে আমি তখন কলকাতায়। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছিলাম তখন। কলকাতায় বসেই খবর পেয়েছিলাম তিনি আসছেন। বলতে গেলে নিজের আগ্রহেই ছুটে গিয়েছিলাম। এমনকি ঠিকঠাক কাগজপত্রও আমার কাছে ছিল না।’

যুদ্ধ সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন আরনো। ভিয়েতনাম যুদ্ধে তিনি হাজির ছিলেন সম্মুখসমরে। দেখেছেন যুদ্ধের ভয়াবহতা। মৃত্যুকেও দেখেছেন খুব কাছ থেকে। অফিসের বাইরে রাখা ধুলোমলিন হেলমেট সেই সব আগুনঝরা দিনেরই স্মৃতি। আরনো বলছিলেন আর প্রকাশ রায় ফরাসি থেকে বাংলায় তরজমা করে যাচ্ছিলেন। ভাষার দূরত্বের কারণে আরনোকে ঠিক বুঝিয়ে বলা গেল না। তবে সাংবাদিকতার ভাষায় যাকে বলে ‘নোজ ফর নিউজ’, মানে ‘সংবাদের গন্ধ শোঁকার নাক’ই খুব সম্ভবত তরুণ আর দুঃসাহসী এই সাংবাদিককে টেনে এনেছিল ঢাকায়।

আরনোর ‘উপহার’

প্যারিসে প্রথম দেখায় ভিডিও চিত্রটির কপি আরনো আমেলাঁর কাছ থেকে পাইনি। ঢাকায় ফেরার পর আরনো আমেলাঁকে বারবার অনুরোধ করেছি। আরনো আমেলাঁও বলেছেন, তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভিডিও চিত্রটির একাংশ প্রথম আলোর কাছে পাঠানোর। নিয়মিত তাঁকে তাগাদা দিতে থাকলাম ঢাকা থেকে। অবশেষে, আরনো আমেলাঁ তাঁর কথা রাখলেন। ১৩ আগস্ট হাতে পৌঁছাল সেই ভিডিও চিত্র।
বাংলাদেশের জন্য এক ফরাসি  বন্ধুর ‘উপহার’ এই ভিডিও  চিত্রটি দেখা যাবে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে (www.prothomalo.com)। 

.
.
আরনো আমেলাঁ বৃত্তান্ত 
আরনো আমেলাঁ (Arnaud Hamelin) একজন সাংবাদিক ও তথ্যচিত্র নির্মাতা। তাঁর জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৭ জুন ফ্রান্সের ফন্টেইনব্লু শহরে। ১৯৮৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর অডিও ভিজ্যুয়াল সংবাদ সংস্থা সানসেট প্রেস। এই এজেন্সির ৭০০টিরও বেশি তথ্যচিত্র ও প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে ফ্রান্সের সামনের সারির বিভিন্ন চ্যানেলে। ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাকের নানা অনিয়ম নিয়ে তৈরি তাঁর তথ্যচিত্র ‘জ্যাক শিরাক: জাস্টিস বাই নর্থ ওয়েস্ট’ ছিল ফ্রান্সে অন্যতম আলোচিত ঘটনা। আরনোর সানসেট প্রেস মূলত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য বিখ্যাত। এ ধরনের রিপোর্ট করতে গিয়ে আরনোকে হতে হয়েছে মামলার মুখোমুখিও। কিন্তু দমে যাননি তিনি। সানসেট প্রেসের আলোচিত অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রগুলোর মধ্যে আছে দ্য বিস্ট অব কেনেডি, মার্চেন্টস অব ওয়েপন, নর্থ কোরিয়া: উইটনেস ফ্লিয়িং, বাগদাদ মাই লাভ ইত্যাদি। বিশ্বের ৩০টি দেশে সানসেটের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

SUMMARY

1468-1.jpg

ফরাসি সাংবাদিক আরনো আেমলঁার ল্যাপটপ কম্পিউটারে বঙ্গবন্ধুর সেই ভিডিও চিত্র। ছবি: প্রকাশ রায়