বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ-জি এম তারিকুল ইসলাম

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ-জি এম তারিকুল ইসলাম

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্রষ্টা ও দ্রষ্টা। কবি অন্নদাশঙ্কর রায় যথার্থই বলেছেন, ‘যতকাল রবে পদ্মা, যমুনা/গৌরী মেঘনা বহমান/ততকাল রবে কীর্তি তোমার/শেখ মুজিবুর রহমান।’ অর্থাৎ এই স্বাধীন বাংলার আকাশ, বাতাস, নদী, ভূখ-ের অস্তিত্ব যতকাল থাকবে, ততকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কৃতিত্ব থাকবে অমøান ও অক্ষয়। 
বিশ্ব ইতিহাসের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, পৃথিবীতে প্রত্যেক জাতি, দেশ কিংবা সম্প্রদায়ের মধ্যে মহামানবের আবির্ভাব ঘটেছে। সেসব মহামানব ওই জাতি, দেশ কিংবা সম্প্রদায়ের মুক্তির জন্য নিয়ে আসেন মহান বার্তা। এসব মহামানবকে বলা হয় Excellent Birthবা সর্বোৎকৃষ্ট জন্ম। পৃথিবীতে এসব মহান ব্যক্তির জন্ম হয় শত বছর, হাজার বছর কিংবা আরও বেশি সময়ের ব্যবধানে এবং এদের সংখ্যা খুবই কম। আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি ও কাব্য এই লাল-সবুজের স্বাধীন বাংলাদেশ। জাতিরাষ্ট্রের স্রষ্টা হিসেবে তার কৃতিত্ব বিশ্বে নজিরবিহীন। কেননা তিনিই এ বাঙালি জাতির জন্য বিশ্বের মানচিত্র বদল করে দিয়ে গেছেন। নতুন মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস পরিক্রমায় এ মহামানব এসেছিলেন বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতির ঠিকানা নিশ্চিত করতে। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায়, বাঙালি জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর জন্ম সর্বোৎকৃষ্ট জন্ম, যে জন্ম না হলে আমাদের স্বাধীনতার জন্ম হতো না। ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এ বিশাল ভূখ- তাই সবসময় তার শূন্যতা অনুভব করে। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়মন্দিরে তার স্থান অব্যয়, অক্ষয়, অমøান। এ বাংলা নামের ভূখ-ের নামকরণ করেন তিনি বাংলাদেশ। তার রাজনৈতিক জীবনে তিনি সফল হয়েছিলেন সমগ্র বাঙালি জাতিকে একই ছাতা ও পতাকাতলে অর্থাৎ একটি সমষ্টিতে একই স্রোতে প্রবাহিত করতে। আর সে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অস্ত্রেশস্ত্রে দুর্বল হয়েও একটি জাতি মাত্র ৯ মাসে অর্জন করে স্বাধীনতা। আর এ লক্ষ্যেই সব শ্রেণী-পেশার মানুষ একই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তি সংগ্রামে। জীবন উৎসর্গ করেন ৩০ লাখ শহীদ; সম্ভ্রম হারান ৩ লাখ মা-বোন। বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্বে গোটা জাতি অর্থাৎ তৎকালীন সাড়ে ৭ কোটি জনতা জেগেছিল নবোদ্যমে। সারা বিশ্বকে তিনি মেসেজ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, অনিবার্য এবং অপরিহার্যভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাঙালি জাতির নিশ্চিত অধিকার। এখানে কোনো কিন্তুর প্রশ্ন অবান্তর। সারা বিশ্বের দুই-একটি রাষ্ট্র ছাড়া প্রায় সবাই তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নেতা হিসেবে নিজেকে বিনির্মাণ করেছিলেন তিলে তিলে, জীবন-যৌবনের দীর্ঘ প্রায় ১৪টি বছর জেলখানার অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কেটেছে নিজ জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। পশ্চিম পাকিস্তানে কারাগারের মধ্যে তার সেলের পাশে সমাধি পর্যন্ত খনন করা হয়েছিল। তবুও বাঙালি জাতির জন্য তিনি কোনোরকম আপস-মীমাংসা করেননি। তিনি যেমন পেয়েছিলেন একটি জাতির ভালোবাসা, তেমনি তিনি ভালোবেসেছিলেন এ জাতিকে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে। তিনি অকৃত্রিমভাবে ভালোবেসেছিলেন বাংলা আর বাঙালিকে। শেষ পর্যন্ত তিনি এ জাতির স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। এ স্বাধীন রাষ্ট্রের ভূখ-ে বাঙালি জাতির মননে তিনি নিয়েছেন স্থায়ী আসন করে। তিনি ভূষিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু, জাতির জনক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি অভিধায়। শুধু বাঙালি নয়, এ জাতি রাষ্ট্রে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, আদিবাসী কিংবা উপজাতি সবাই তাকে একই অভিধায় গ্রহণ করেছে একান্ত চিত্তে। বঙ্গবন্ধু নামক প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে লেখালেখি, গবেষণা, আলোচনা, সমালোচনা চলছে, চলবে; এ প্রয়াস থামার নয়। কেননা বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশÑ এ তিনটি সমার্থক শব্দ। একটির সঙ্গে আরেকটি শব্দ এখানে একে অন্যের সঙ্গে পরিপূরক হয়ে যেন সার্থকতা সৃষ্টি করেছে। একটি জাতির জন্ম ইতিহাস যেন বঙ্গবন্ধু শব্দের অভ্যন্তরে নিহিত। তাই বঙ্গবন্ধুকে চেনার, জানার, আবিষ্কার করার এখনও ঢের বাকি। কেননা বঙ্গবন্ধুকে জানলেই জানা হবে স্বাধীনতা ও বাংলাদেশকে। 
তৎকালীন পূর্ব বাংলার জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্রে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অদ্বিতীয় ও অবিসংবাদিত নেতা। তার সমকক্ষ আর কেউ নন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তার সুদৃঢ় ও সুদূরপ্রসারী চিন্তাচেতনার মূলে ছিল গভীর দার্শনিক অন্তর্দৃষ্টি। সেই স্কুল জীবন থেকে শেখ মুজিবের মধ্যে রাজনৈতিক ভাবাদর্শ ও চিন্তার উদ্রেক ঘটেছিল। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভারত-পাকিস্তানের বিভক্তি, পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ব বাংলার সঙ্গে সৎমায়ের মতো আচরণ, ফলশ্রুতিতে পকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্থান ও বিকাশ ঘটেছে শেখ মুজিবুর রহমানের। তরুণ শেখ মুজিব অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা, নেহরু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখের দ্বারা।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর একান্ত ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে পেয়েছিলেন আমাদের জাতীয় চার নেতাকে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এএইচএম কামরুজ্জামানের মতো নেতাদের একান্ত স্বজন হিসেবে পাওয়া বঙ্গবন্ধুর জন্য ছিল সৌভাগ্যের ব্যাপার। বঙ্গবন্ধুর প্রতি এদের শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও ভালোবাসা ছিল পর্বতসম। বঙ্গবন্ধুর বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা, জাতি রাষ্ট্রের কাছে জাতির জনক হওয়ার পেছনে এ চার নেতার রয়েছে অসামান্য অবদান। এ চার নেতার অনন্য নেতৃত্বে, মেধা ও প্রজ্ঞা দ্বারা তারা বঙ্গবন্ধুকে যেমন করেছিলেন সমৃদ্ধ, তেমনি ত্বরান্বিত করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে। নির্ভীক, নির্মোহ ইতিহাস রচনা করতে গেলে আমাদের জাতীয় ৪ নেতাকে বঙ্গবন্ধু থেকে আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। 
বেগম শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব রেণু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণী। ১৫ আগস্ট ভয়াবহ কালরাত্রিতে বঙ্গবন্ধুর জন্য, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে গেছেন এ বঙ্গমাতা। শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা, জাতির পিতা অভিধায় ভূষিত হওয়া, সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সাফল্যের পেছনে এ মহীয়সী নারীর রয়েছে অনন্য ও অপরিসীম অবদান। আমাদের জাতীয় কবি নজরুল নারী কবিতায় যেন এক্ষেত্রে সঠিক বলেছেন, ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ জাতীয় কবির এ মহান উক্তির রূপায়ণ ঘটেছে বর্তমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে। বেগম মুজিব অন্তরালে থেকে অর্থাৎ ঘরের ভেতর থেকে যেভাবে বঙ্গবন্ধু ও দেশের জন্য ভূমিকা রেখেছেন, তা সাধারণ কথায় বলে শেষ করা যাবে না। রীতিমতো গবেষণার বিষয়। 
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বিশ্ব ইতিহাসে অনবদ্য ও বিরল ভাষণ। কবিতার মতো মুগ্ধ ও বোধগম্য এ ভাষণ ছিল যেন প্রতিটি বাঙালির অন্তঃকষ্টের বহিঃপ্রকাশ। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, দিনমজুর, কৃষকসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের উপযোগী অনন্য এক বক্তৃতা। সব শ্রেণী-পেশার মানুষ বুঝে গিয়েছিল, বাংলাদেশ সৃষ্টির আর বেশি বাকি নেই। শিগগিরই বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাঙালির স্বাধিকার-অধিকার। তাই বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের সনদ হিসেবে বিবেচিত হয়। বঙ্গবন্ধুর সাহস, দেশ্রপ্রেম, নেতৃত্বের দৃঢ়তা এবং কণ্ঠের আকর্ষণ মন্ত্রমুগ্ধের মতো গোটা জাতিকে যেমন আকৃষ্ট করেছিল, উদ্বেলিত করেছিল, তেমনই গোটা জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল। ভাষণের প্রতিটি শব্দ ও বাক্য ছিল অনবদ্য, যা মানুষের মনে উত্তেজনার কম্পন সৃষ্টি করেছিল। সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি বুঝে গিয়েছিল তাদের দিকনির্দেশনা ও করণীয়।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু সরকার পরিচালনার সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে ৩ বছর। স্বাধীনতা লাভের পরই খুব দ্রুততম সময়ে তিনি রাষ্ট্রের জন্য যুগোপযোগী একটি অত্যাধুনিক সংবিধান প্রণয়নে সক্ষম হন, যা বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে। সাড়ে ৩ বছরে তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তি তৈরি করে দিয়ে গেছেন; বাঙালির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির পথনির্দেশ করে গেছেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের জন্য চীন ও সৌদি আরব ছাড়া বিশ্বের অধিকাংশ দেশের স্বীকৃতি আদায়ে সক্ষম হন।
এ স্বল্প সময়ে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে মানুষের মুখে দুই বেলা ভাত তুলে দেয়ার জন্য যা যা করণীয় তার প্রায় সবই করে গেছেন। সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর সাড়ে ৩ বছর ছিল আদর্শ স্বর্ণযুগ; সোনার বাংলার গোড়াপত্তনের যুগ। এ সাড়ে ৩ বছরে তিনি কৃষি, খাদ্য, শিল্প, ব্যাংক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ প্রায় সব বিষয়ে অসামান্য অবদান রেখেছেন, যা রীতিমতো গবেষণার দাবি রাখে। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত পদক্ষেপগুলো আজও সমুজ্জ্বল। মাত্র সাড়ে ৩ বছরে রাষ্ট্রীয় পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের কাঠামো, রূপরেখা দান, বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরুÑ এসবও নজিরবিহীন ঘটনা। বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং এর একটি সফল আর্থসামাজিক চরিত্রদানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিরলস সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও কৃতিত্ব অবিস্মরণীয়।
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে একটি আধুনিক রাষ্ট্র, যেখানে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না, রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ধর্ম কোনো মুখ্য বিষয় বা ভূমিকা পালন করবে না। তিনি মনে করতেন, ধর্ম হবে জনগণের অন্তরের ব্যক্তিগত বিষয়, আর তিনি নিজেও সেটা মানতেন। বঙ্গবন্ধুর যে বিশাল স্বপ্ন ছিল এই বাংলাদেশকে ঘিরে, তা বিশাল ধাক্কা খায় সপরিবারে তাকে নির্মম, নির্দয়, অমানবিক, জঘন্য ও নিষ্ঠুর হত্যাকা-ের মধ্যে দিয়ে। থমকে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর পর তারই সুযোগ্য জ্যেষ্ঠ কন্যা দেশগর্ব প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেন বাংলাদেশের; সুযোগ পান বাংলার দুঃখী মানুষের জন্য কিছু করার। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ ধরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সফল ও সঠিকভাবে পরিচালনা করছেন। বর্তমানসহ মোট তিনবার জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাচ্ছে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যের দিকে। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের গুণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। গতিশীল ও যুগোপযোগী নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনা এক অনন্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মুক্তির মূর্ত প্রতীক শেখ হাসিনা এ জাতির জন্য আশীর্বাদ। শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় না আসতেন, তাহলে হয়তো কোনোদিনই সম্ভব হতো না বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ সম্পন্ন করা এবং রায় কার্যকর করা। শেখ হাসিনার সব কৃতিত্বই যদি বাদ দিই, তবু শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কারণে ইতিহাসে তার স্থান চিরঅমøান। দেশি-বিদেশি সব বাধা অতিক্রম করে এ দুইটি মহান কাজের জন্য তিনি বাঙালি জাতির হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। আর এ দুইটি কাজই হলো শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় অর্জন। হ

জি এম তারিকুল ইসলাম
সহযোগী অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

SUMMARY

1434-1.jpg