মামুনুর রশীদ
১৫ আগস্ট ১৯৭৫! এক অমর মহাকাব্য হারিয়ে যাওয়ার দিন। যে মহাকাব্যের প্রতি চরণ, শব্দ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে নিবিড়ভাবে আকৃষ্ট করছে। কবির কবিতায় অলঙ্কৃত হয়েছে মহাকাব্যের নায়ক। ধ্রুবতারা তুমি মুজিব/ বাংলার আকাশ সীমায়/ বাঙালির নিবিড় মায়ায়/ বাঙালির হৃদয় প্রদীপ। মৌর্য-পাল-সেন-সুলতান শাসনামলের ইতিহাস যেমন মিশে আছে মহাকালে, হাজার বছরের ভাষা ও গীতে মিশে আছে কত শত দুঃখ, হাসি-কান্নার বান, মাটি ও মানুষের আঙিনা থেকে ইতিহাস প্রসারিত হয়েছে মুক্তির বার্তা নিয়ে, তেমনি করে ইতিহাসের নির্মাতা হিসেবে ভঙ্গুর এক অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি ও সংস্কৃতির পাল তুলে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের সঙ্গে মিশে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
উপনিবেশ থেকে মুক্তি মিলেছে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। যেদিন পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ভাঙা সেতু জোড়াতালি, রাস্তা নির্মাণ, শরণার্থীদের পুনর্বাসন, অভাবীদের খাদ্য বিলিয়ে দেয়া— এর সবটাই করেছিলেন মানবতার বন্ধু বঙ্গবন্ধু মুজিব। একদিকে তিনি দেশকে নির্মাণ করার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অন্যদিকে প্রতি পদে পদে বাধা সৃষ্টি করে বিশ্বের কাছে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সরাসরি অস্বীকার করেও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে অবলীলায় জীবন কাটিয়েছেন। জাতীয়তাবাদের মেলবন্ধনের নির্মাতা সেই মেলবন্ধন চোখে দেখে যেতে পারেননি।
এটা পৃথিবীর ইতিহাসে এক নিষ্ঠুরতম ও কলঙ্কজনক অধ্যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় আমরা হারিয়েছি বাংলা ও বাঙালির আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। রাজনীতির আকাশে এক লুব্ধকের পতনে মহাবিশ্ব শোকাহত হয়ে পড়েছিল। উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতনে যারা কলকাঠি নেড়েছিল, তাদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে দীর্ঘ সময় পর। বিশ্বের ইতিহাসে এ রকম ঘটনা বেশ বিরল। বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আকাশের কালো মেঘ কেটে গিয়ে রক্তিম আভা ফুটে উঠেছে। রক্তিম আভায় একটি জাতির ঘুম ভেঙেছে ঠিকই কিন্তু ঘোর কাটেনি নিশ্চিত! বাঙালি শেখ মুজিব ধর্মতান্ত্রিক ও সামরিক আধিপত্যবাদী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয়ী হয়েছিলেন। মুসলিমপ্রধান বিশ্ব জনপদে তিনিই প্রথম একটি আধুনিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই আধুনিক অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের স্রষ্টার সৃষ্টির সাফল্যে সেদিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মোড়লরা কেউই প্রস্তুত ছিলেন না মেনে নিতে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এক আন্তঃদেশীয় চক্রান্তের ষড়যন্ত্রের মূল শিকার হিসেবে ধরা পড়েছিলেন। কেননা পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতা কেউই মেনে নিতে পারেনি। সাময়িক সুবিধাকে প্রাধান্য দিয়ে আন্তর্জাতিক কূটকৌশলে কিছু বিশ্বাসঘাতক বাঙালি জারজের অপতত্পরতার ফলে আমরা পিতৃহীন। বঙ্গবন্ধু মুজিব সবসময়ই বলতেন, বাংলাদেশ এসেছে, বাংলাদেশ থাকবে, কেউ তাকে ধ্বংস করতে পারবে না। নিশ্চিতভাবেই জানি, পারবে না। কারণ ৩০ লাখ মানুষের তাজা রক্ত বৃথা যেতে পারে না। লাখো নারীর সম্ভ্রম বৃথা যেতে পারে না। লাখো মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। এখন বঙ্গবন্ধু রাজপথের জয়বাংলা স্লোগান। বঙ্গবন্ধু এখন চেতনার নাম, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই সবুজের বুকে লালের সমাহার। বঙ্গবন্ধু মানেই রবিঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ এ জয়গান।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন, ‘এই অঞ্চল যেমন বৌদ্ধ, হিন্দু ও মুসলমানের স্মারকলিপি হয়ে আছে, প্রার্থনা করি তেমনই এ যেন নতুন রাষ্ট্রে জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সব নাগরিকের মিলনভূমি হয়। আমিন। আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি। এটি কোনো আদর্শের কথা নয়, এটি একটি বাস্তব কথা। মা প্রকৃতি নিজের হাতে আমাদের চেহারায় ও ভাষায় বাঙালিত্বের এমন ছাপ মেরে দিয়েছেন যে তা মালা-তিলক-টিকিতে কিংবা টুপি-লুঙ্গি-দাড়িতে ঢাকবার জোটি নেই।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হচ্ছে, তিনি রাজনীতিকে মধ্যযুগীয় সাম্প্রদায়িক আবর্ত থেকে উদ্ধার করে আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ ধারায় প্রবাহিত করেছিলেন। প্রথমবারের মতো বাঙালি জাতিসত্তাকে তিনি রাষ্ট্রপর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সত্তরের দশকের বাঙালি মানসে যে অভূতপূর্ব দেশপ্রেম, তা ছিল জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে অভাবিত উজ্জীবিত করার। আগের ঐতিহাসিক আন্দোলনগুলোয় যা সম্ভব হয়নি, তা-ই সম্ভব করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এ তেজোদীপ্ত মানুষটির ওপর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের এ হত্যাকাণ্ড কেবল একজন জাতীয়তাবাদী নেতা ও তার পরিবারকে হত্যা নয়। এটি ছিল সভ্যতা, মানবতাকে গলা টিপে হত্যা করা। এ হত্যাকাণ্ডের পর নবীনতম রাষ্ট্রের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদে’ পৌঁছে দিয়েছিল। ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ওপর এ আঘাত চলতে থাকে প্রায় দুই যুগ। ভুললে চলবে না, ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত এ আগ্রাসনে বাংলাদেশ রাষ্ট্র অনেকটাই পথভ্রষ্ট হয়েছে, অনেকটাই বিভাজিত হয়েছে, নতুন প্রজন্মের একটি বড় অংশ প্রতারিত হয়েছে, জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের গৌরব পর্যন্ত বিভক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার ব্যাপ্তি ও শক্তি বুঝতে ব্যর্থ হয়। কাজেই তাদের ষড়যন্ত্রের সাফল্য স্থায়ী হয়নি। ইতিহাসের নিজস্ব শক্তি আছে, সে তার আপন শক্তি নিয়ে মাটি ফুঁড়ে বিকশিত হয়েছে, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ আবারো স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ আগস্টের শোক পালনের তাত্পর্য উপলব্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে। এ উপলব্ধিকে সামনে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় শক্তির সম্মিলন, একাত্তরের মতো লড়াই। এ লড়াই বাংলাদেশ রাখার, এ লড়াই কেবল বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের একার নয়, এ লড়াই বাংলাদেশের স্বাধীনতাপন্থী সবার।
বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অর্থনীতিবিদ মোশাররফ হোসেন পঁচাত্তরের জানুয়ারিতে করাচি গিয়েছিলেন থার্ড ওয়ার্ল্ড ফোরামের বৈঠকে যোগ দিতে। তার মামা ছিলেন পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের গভর্নর। তার বাসায় যে কয়েকজন বিশিষ্ট পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে আলাপ হয়, তাদের একজন জানতে চাইলেন, বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানের প্রদেশ হবে কিনা। জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, বাংলাদেশ তো এখন একটি স্বাধীন দেশ। তখন সেই ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘ওকে তো মেরে ফেলবে কয়েক দিনের মধ্যে।’ (আগস্ট স্মৃতি, মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা, ১৯৯৮) আমেরিকান গবেষক ও লেখক স্ট্যানলি ওলপার্টের লেখা বইয়ে আছে— ‘দুই বছর যাবৎ ভুট্টো কয়েকটি মুজিববিরোধী দলকে তার গোপন স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য অব্যাহত রাখেন এবং এর বিনিময়ে ফল লাভ করেছিলেন।’ ২০০০ সালে স্ট্যানলি ওলপার্টের ঢাকা সফরের সময় লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক আবদুল মতিন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘বিনিময়ে ফল লাভ বলতে আপনি কী বুঝিয়েছেন? মুজিব হত্যায় কি পাকিস্তান জড়িত ছিল?’ ওলপার্টের উত্তর, ‘হ্যাঁ, আপনি তা বলতে পারেন।’ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: কয়েকটি ঐতিহাসিক দলিল, র্যাডিক্যাল এশিয়া পাবলিকেশন্স, লন্ডন, ২০০৮)।
যে ডাকে জেগেছিল সাড়ে সাত কোটি প্রাণ রণাঙ্গনে, সেই কণ্ঠকে স্তব্ধ করা শুধু নয়, জাতির বিকাশকে স্থিমিত করার ঘৃণ্য চেষ্টাকে অবলোকন করেছে বিশ্ববাসী। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। যেকোনো বিচারেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন এক অনন্য নেতা। সহজ-সরল, সাদামাটা অথচ দৃঢ়চেতা এক মানুষ। দেহসৌষ্ঠবে ও বজ্রকণ্ঠের বিস্ময়কর শক্তি এ মানুষটিকে সহজেই এবং আলাদাভাবে চেনা যেত। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্মের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে তার নাম।
পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁডা অশ্রুর প্লাবনে। বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, তখন যে বৃষ্টি ঝরছিল তা যেন ছিল প্রকৃতিরই অশ্রুপাত। ভেজা বাতাস কেঁদেছে সমগ্র বাংলায়। ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ বিহ্বল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত ঘটনার আকস্মিকতায়। কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন। ১৫ আগস্ট শোকার্দ্র বাণী পাঠের দিন।
বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তিনি বেঁচে আছেন মানুষের হৃদয়ে। কেননা একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে ততদিন অমর তিনি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর স্থান ছিল কোটি কোটি মানুষের অন্তরে। তখন বাংলাদেশে একটি নামই উচ্চারিত হতো— শেখ মুজিব। তার নাম সগর্বে উচ্চারিত হবে ততদিন, যতদিন পদ্মা, মেঘনা, যমুনা প্রবাহিত হবে, যতদিন বাংলার মাটি আর মানুষ থাকবে। ৫০ হাজার বছর পরেও যদি এ শতকের একটি নাম উচ্চারিত হয়, সে নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু যে কত বড় মাপের নেতা ছিলেন, কত মহৎ ছিলেন, কত বড় গণতন্ত্রমনা ছিলেন, কত বড় দেশপ্রেমিক ছিলেন, কত বড় জনদরদি, কত বড় রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন, তা বাংলাদেশের একটি বিশেষ শ্রেণী বুঝতে পারেনি। তাদের হয়তো খুব দোষ দেয়া যায় না। কারণ বঙ্গবন্ধু এত বড়, এত মহত্ এবং তারা এত ক্ষুদ্র যে তাদের সংকীর্ণতার মাপে বঙ্গবন্ধুর বিশালতার পরিমাপ করা এক অসাধ্য কাজ। নেতার নেতৃত্ব আর মেধার গুণে আজ তিনি অমর হয়েছেন। আমরা অভিভাবক শূন্যে দিশেহারা হয়েছি। আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে থাকলে বাংলাদেশ গড়ে উঠত স্বপ্নের সোনার বাংলায়। বিশ্ব পেত আদর্শিক এক নেতা। জাতি বেঁচে থাকত পিতা মুজিবের বুকে। বাংলাদেশ বেঁচে থাকত লাল-সবুজের পতাকায়।
মুজিবকে ছেড়ে বাংলাদেশকে গ্রহণ করা যায় না। এ চেষ্টা অপচেষ্টা। ইতিহাসের পথপার্শ্বে চিরকাল কিছু আঁস্তাকুড় থাকে। ইতিহাসের সেই আঁস্তাকুড়ে ওইসব অপচেষ্টা নিক্ষিপ্ত হতে বাধ্য। কেননা মানবসমাজ এ-যাবত্কাল এগিয়েছে সত্য-সুন্দরের সাধনায়। ধর্ম নিয়ে অহেতুক লড়াই-বড়াই, জাতিবিদ্বেষ, বর্ণবিদ্বেষ, শ্রেণিবৈষম্য ইত্যাদি ছেড়ে এগিয়ে যাওয়ার কী আপ্রাণ চেষ্টা মানববিবেকের! এটাই সভ্যতার পথ। এ পথে যারা নেতৃত্ব দেন, তারা দার্শনিক-বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিক। বঙ্গবন্ধু ওখানে প্রতিষ্ঠিত (সতীর্থ, এসো সত্যাশ্রয়ে, প্রকাশ-সত্যান্বেষণ, ডিসেম্বর ২০০৬)। ইতিহাসকে ভুলে গেলে চলবে না। শোকার্ত হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু মুজিবের জয়গান গাইতে হবে একটি সুন্দর-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে।
লেখক: এমফিল গবেষক