অজয় দাশগুপ্ত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। ওই দিন সকালেই বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভি বা বাংলাদেশ টেলিভিশন চলে যায় খুনিদের নিয়ন্ত্রণে। সংবাদপত্রও চলে তাদের কথায়। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চলে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের সদস্য এবং ঘাতকদের কাছে মাথা নত করতে রাজি না হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের সম্পর্কে অপপ্রচার ও কুৎসা। খন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়ে ২০ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বা বাকশাল বাতিল ঘোষণা করেন। ২৪ আগস্ট সেনাবাহিনী প্রধানের পদ থেকে মেজর জেনারেল সফিউল্লাহকে অপসারণ করে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে নিয়োগদান করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটনায় অনেকেরই দেখা গেছে জিহাদি মনোভাব। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী জামায়াতে ইসলামী ও মুসলিম লীগের মতো অপশক্তির যেসব নেতাকর্মী এতদিন বাংলাদেশের ভেতরে কিংবা বাইরে পালিয়ে ছিলেন, তারা রাতারাতি প্রকাশ্যে চলে আসেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের কয়েকটি সংবাদপত্র; যেমন- নিউজউইক, গার্ডিয়ান, ডেইলি টেলিগ্রাফ, সানডে টাইমস আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের কঠোর সমালোচনা করে লেখা প্রকাশ করে। ১৫ আগস্ট থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত খন্দকার মোশতাক এবং ৭ নভেম্বর থেকে বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও জিয়াউর রহমানের এসব লেখা বাংলাদেশের সংবাদপত্র পুনঃপ্রচার করতে থাকে। বেতার এবং টেলিভিশনের খবর ও আলোচনায়ও এসব লেখার উদৃব্দতি দেওয়া হতে থাকে। ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। একই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে গ্রহণ করা হয় শোক প্রস্তাব। এসব কর্মকাণ্ডকে যারা 'ভারতের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত' বলে আখ্যায়িত করেছিল, তারাই কিন্তু পরবর্তী সময়ে গড়ে তুলেছিল বিএনপি। জিয়াউর রহমানের ডান হাত-বাম হাত, সবই ছিলেন তারা। বর্তমানে বিএনপির শীর্ষ নেতা নজরুল ইসলাম খান গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট, ২০১৬) বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কখনও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে অশালীন বা আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেননি। তিনি এটাও বলেছেন, জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্র হনন করতে চেয়েছেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী নেতারাই ক্ষমতায় ছিলেন। আওয়ামী নেতারাই সংসদে ছিলেন। কিন্তু তখন শেখ হাসিনা দেশে আসতে পারেননি। জিয়ার আগ্রহ ও সম্মতিতেই তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরেছেন।
নজরুল ইসলাম খান যথার্থই বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগের নেতারাই ক্ষমতায় ছিলেন। এটাও জানা যে, ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে যখন জাতির জনকের মরদেহ পড়েছিল তখন বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের প্রহসন। এ শপথ যারা নিয়েছেন তাদের অনেকে এখন প্রয়াত। জীবদ্দশায় কেউ কেউ আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেছেন এভাবে- বন্দুকের মুখে তাদের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে পড়েও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা খুনি মোশতাকের কাছে মাথা নত করেননি। তবে সেনাবাহিনী প্রধানের পদ গ্রহণ করে জিয়াউর রহমানও কিন্তু সেটাই করেছিলেন। তাকে কি কেউ বন্দুকের মুখে সেনাপ্রধানের পদ গ্রহণে বাধ্য করেছিল? মন্ত্রীদের যিনি নিয়োগ দিয়েছিলেন, তিনিই সেনাবাহিনীর পদে ২৪ আগস্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়োগ দেন। তিনিই অক্টোবর মাসে জার্মানির ন্যাটো বিমান ঘাঁটিতে চাকরিরত এমএজি তাওয়াবকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ৪১ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে সে সময়ের অনেক ঘটনা অজানা। খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান ও আশির দশকে সেনাশাসক এইচএম এরশাদ বঙ্গবন্ধুকে বাঙালির মন থেকে চিরতরে মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঠিক চার মাস পর ১৯৭৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর 'রেডিও বাংলাদেশ' থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বিচারপতি সায়েম ও মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। এ ভাষণে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করা হয়নি। বাংলাদেশের বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তার অবদানের কথা উল্লেখ করা তো দূরের কথা- তার নাম পর্যন্ত উচ্চারিত হবে না, এটা কি ভাবা যায়? অথচ এটাই করেছিলেন 'বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা কৃতিত্বের দাবিদার' জিয়াউর রহমান। অথচ ইতিহাস বলছে, ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমদ বাকশাল বাতিল করেন। ফলে ১৯৭৫ সালের ৭ জুনের আগে বাংলাদেশে সক্রিয় সব রাজনৈতিক দল আপনাআপনি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ২৭ জুলাই বঙ্গভবনে একটি সভা হয়েছিল, যেখানে প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সভা আহ্বান করেছিলেন সে সময়ের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বিচারপতি সায়েম। তবে সন্দেহ নেই যে, বিচারপতি সায়েম ছিলেন শিখণ্ডী বা মুখোশ। তাকে সামনে রেখে ক্ষমতার কলকাঠি নাড়ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জিয়াউর রহমান।
১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর দালাল আইন-১৯৭২ বাতিল করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অগি্নসংযোগ প্রভৃতি ঘৃণ্য অপরাধের জন্য যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, বিচারপতি সায়েমের সরকারের এ পদক্ষেপের ফলে ওই ভয়ঙ্কর অপরাধীরা অভিযোগ থেকে মুক্ত হয় এবং বাংলাদেশে ফের সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে।
১৯৭৬ সালের ৪ মে জারি হয়েছিল নতুন একটি সামরিক আইন অধ্যাদেশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠনের বাধা অপসারণ করা হয়। নজরুল ইসলাম খান এবং বিএনপির অন্য নেতারা আমাদের ইতিহাসের এসব পাতা একটু পাঠ করে দেখতে পারেন। এখন যে জঙ্গিবাদের সমস্যা তার পুনরুত্থানের পেছনে ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তির দায় তো প্রত্যক্ষ। সময় ও প্রেক্ষাপট ভিন্ন, কিন্তু সক্রিয় একই শক্তি। ইসলামী ছাত্রসংঘ ছিল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন। ১৯৭১ সালে এ সংগঠনের প্রায় সব নেতাকর্মী কুখ্যাত আলবদর বাহিনীতে যুক্ত হয়ে যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সামরিক শাসনের মধ্যেই ইসলামী ছাত্রসংঘ ইসলামী ছাত্রশিবির নাম দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। আমাদের রাজনীতিতে দুষ্টগ্রহের অভ্যুদয় কিন্তু আপনাআপনি ঘটেনি!
বিএনপিতে এখনও অনেক নেতা সক্রিয় রয়েছেন, যারা ১৯৭৬ থেকে পরের কয়েকটি বছর ভালোভাবেই স্মরণ করতে পারবেন। তখন কড়া মার্শাল ল' জারি রয়েছে। সৈন্যরা রাস্তায় কিশোর-তরুণদের বড় চুল দেখলে কেটে দিত। মারধর তো ছিলই। শার্টের হাত কেন গুটিয়ে রাখা হয়েছে- এটাও ছিল রাইফেলের বাঁটের আঘাত খাওয়ার মতো অপরাধ। শাড়ি ঠিকভাবে পরা হয়নি, চুলের খোঁপা না করে কেন পিঠে ছেড়ে রাখা হয়েছে, হাতকাটা ব্লাউজ কেন পরা হয়েছে- এমনসব অপরাধে কত নারীকে যে রাজপথে সর্বসমক্ষে হেনস্তা করা হয়েছে! মিছিল-সমাবেশ, পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ। সংবাদপত্রে পূর্ণ সেন্সরশিপ। রাতে কারফিউ। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও মামলা দায়ের। জিয়াউর রহমান দ্রুতই সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিতে চাইছিলেন। এ জন্য নির্বাচনও দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু এবং তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মীকে হত্যার পরও নির্বাচন দেওয়া হলে আওয়ামী লীগই যে প্রবল প্রতিপক্ষ হবে, সেটা তার জানা ছিল। তাই এ দলের প্রধান নেতাদের বিভিন্ন মামলায় এমনভাবে সাজা দেওয়া হতে থাকে, যাতে তারা প্রার্থী হওয়ার অধিকার হারান। আবদুস সামাদ আজাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ২৭ দিনের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করে রায় প্রদান করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সামরিক আদালতে দণ্ডিত হন জিল্লুর রহমান, গাজী গোলাম মোস্তফা, লতিফ সিদ্দিকী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মতিন চৌধুরী ও ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবজামানের কারাদণ্ড হয়_ কেন তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন উপলক্ষে সর্বমোট ৭০ হাজার টাকা ব্যয় করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাজসজ্জা করেছিলেন।
১৯৭৬ সালের ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বুয়েট এলাকা সেনাবাহিনী, বিডিআর (এখন বিজিবি) ও পুলিশ ঘিরে ফেলে শত শত ছাত্রছাত্রীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাদের প্রখর রোদে কোনো খাবার না দিয়ে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোদের মধ্যে সারাদিন রাখা হয়। কিছু ছাত্রকে আটক রেখে বিকেলে বেশিরভাগকে বেত্রদণ্ড দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। বেত্রাঘাতে জর্জরিত হওয়াদের দলে থাকার দুর্ভাগ্য আমারও হয়েছিল।
ওই সময়েই আমরা দেখি, জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনী প্রধানের পদে থেকেই রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তিনি যে দল গঠন করবেন সেটাই হবে ক্ষমতাসীন দল। সেনাশাসক যখন ক্ষমতায় থেকে দল গঠন করেন, তখন সেটা আপনাআপনিই ক্ষমতাসীন দল হয়ে যায়। এটা ছিল মস্ত সুযোগ। দেশের সর্বত্র সুবিধাবাদী, লোভী ও স্বার্থপর লোকেরা সহজেই এ দলে ভিড়ে পড়তে থাকে। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সেনাপতি আইয়ুব খান এ পথ দেখিয়ে গেছেন। আশির দশকে আরেক সামরিক শাসক এইচএম এরশাদও একই পথ অনুসরণ করেন। তিন সেনাশাসকই সামরিক শাসন জারির পর অঙ্গীকার করেছেন- তাদের বিন্দুমাত্র রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। দেশ থেকে দুর্নীতি-অনিয়ম-নৈরাজ্য দূর করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। তারপর তিনজনই নিজের নিজের দল গঠন করে সামরিক শাসন বজায় রেখে কঠোর দমননীতির পরিবেশে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নিজের কাছেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন!
ক্ষমতার রাজনীতি বড়ই বিচিত্র!
এই ক্ষমতার রাজনীতির কারণেই ১৯৭৬ সালের ৫ আগস্ট জারি করা হয় অদ্ভুত এক সামরিক বিধি। এতে বলা হয়- 'প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ৪ আগস্ট রাজনৈতিক দলবিধি (সংশোধনী জারি করিয়াছেন। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তিকে কেন্দ্র করিয়া কোনো প্রকার ব্যক্তি পূজার উদ্রেক বা ব্যক্তিত্বের মাহাত্ম্য প্রচার অথবা বিকাশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকিবে।'
বিএনপি কি তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতার এ নির্দেশ মেনে চলতে রাজি আছে?
১৯৭৬ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালনে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারি। সে সময়ে ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। আমাদের ধারণা হয়েছিল_ যেহেতু ৩০ জুলাই থেকে ঘরোয়া রাজনীতি চালু করা হয়েছে_ সম্ভবত ১৫ আগস্ট ঘরোয়া পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালনে তেমন বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি হবে না। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ফুল প্রদান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিলের কর্মসূচি গ্রহণ করি। বঙ্গবন্ধুর বাসভবনেও একযোগে নয়, ছোট ছোট দল গিয়ে ফুল দেবে_ এটাই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু আমাদের ধারণা সঠিক ছিল না। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ওই এলাকায় ফুল হাতে কাউকে দেখলেই তাড়া দেয়। কয়েকজনকে আটক করে। উপায় না দেখে অনেকে ধানমণ্ডি লেকে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে মিলাদের আয়োজন অবশ্য নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছিল। সে সময়ে ওই মসজিদের ইমাম সাহেব যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়ে দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন।
সাংবাদিক