গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, এই গ্রামটিই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম স্থান। এ গ্রামের মেঠপথে ধূলবালি আর কাদাপানিতে মিশে বড় হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। শিশুকাল থেকেই বন্ধুদের সাথে দুরন্তপনায় সময় কেটেছে তার। ছিলেন বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী। অত্যাচার আর শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন সেই ছোট বেলা থেকেই। যা তাকে টেনে দিয়ে গেছে আপামর জনগণের কাছে।
হাওড় বাওড় আর মধুমতি নদীর তীরে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রাম। ১৯২০ সালে ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়া গ্রামের শেখ লুৎফর রহমান ও শায়েরা খাতুনের ঘড়ে জন্ম নেয় তিনি। বাবা-মা আদর করে খোকা বাবু বলে ডাকতেন। আর এই খোকাই হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশর কেটেছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গ্রামে। মেঠপথের ধূলবালি আর বর্ষার কাদা মাটিতে খেলে বন্ধুদের সাথে সময় পাড় হয়েছে তার। খেলাধুলার প্রতি প্রবল ঝুক ছিল তার, খেলতেন ফুটবল ও হাডুডু।
প্রকৃতি আর মানুষের প্রতি মমত্তবোধ ছোট বেলা থেকেই। তখন থেকেই ছিলেন অধীকার সচেতন। জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার আর শোষনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন কম বয়সেই।
বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ বোরহান উদ্দীন বলেছেন, মানুষের সাথে তার যে একটা আন্তরিকতা মানুষের সাথে যারা এই আন্তরিকতাটা পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে তার বুঝেছে। এই উপলব্ধি কাউকে বুঝাতে পাড়বে না।
শৈশব থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে শিখেছেন বলেই সারা জীবনের কোনও অপশক্তির কাছে মাথা নত করেননি। তাইতো হয়েছেন বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনক।